ভ্যাপসা গরমে ঘেমে মুখশ্রী লাল থেকে কালো রুপ ধারণ করেছে।বেশী ঘামলে মুখ তৈলাক্ত হয়ে কালো হয়ে যায় এই সমস্যার কোনো সমাধান ই পেলাম না আজ ও।রাস্তা থেকে আইসক্রিম কিনে রিয়া আর আমি খেতে খেতে বাসায় আসলাম।বিকালে আবার কোচিং এ ক্লাস আছে।সারারাস্তা প্রতিজ্ঞা করেছি আর জীবনে কথা বলবো না উনার সাথে।
সময়টা সকাল ১১ টা নাগাদ হবে , পুরো স্ট্যান্ড গাছপালায় ভর্তি থাকায় সূর্যের কিরণ ঠিক মতো এসে পৌঁছাতে পারছে না সেখানে , কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাএীরা আড্ডা দিচ্ছে গাছের নীচে বসে।চারিদিক থেকে গাড়ির হর্নের আওয়াজ ভেসে আসছে। স্ট্যান্ডের নীচের দিকে পার্ক সাইডে স্কুল ইউনিফর্ম পরিহিত বাচ্চাদের ভিড়, তারা নিজেদের মধ্যে
থেকে থেকে দূরে হুতুম প্যাঁচা ডাকছে। যা ভুতুড়ে শোনাচ্ছে। গা কাঁপুনি ঠান্ডা। সময়টা যেন থমকে দাঁড়িয়ে চড়ছে দণ্ড শূলে। পদ্মজা ছুটে আসে পূর্ণার কাছে। পূর্ণা উবু হয়ে শুয়ে পড়েছে।
আবিরঃ এবার লক্ষি মেয়ের মত ঘুমাও আর কখনো যেন রাজনীতির কথা মুখে না শুনি বলে আবির চলে গেল।
মেঘলাঃ ফাউল ছেলে দেখ এবার আমি কি করি রাতেই আমি এখান থেকে পালাব।
রাতে আলফাজের সাথে সুরাইম আসলো।এ বাসায় আসার পর ফাইয়াজ সবসময় এখানেই লেগে থাকে।বিকেল থেকে এখানেই তার থাকা,খাওয়া দাওয়া হচ্ছে। যাওয়ার কোনো টান নেই।বাসায় ফিরার কথা বললে সে বললো,'দূই আন্টিমণিকে বলো আমার সাথে আসতে।তাহলে আসবো আমি।'
সাদাফ খাটের একপাশে বসে আছে। দিশা তার ঠিক সামনেই, রুমের ফাঁকা জায়গাটার মাঝামাঝিতে দাঁড়িয়ে বললো, “আমি ভাবতেও পারিনি আজ আপনি আসবেন। তবে খুশি হয়েছি বেশ। হঠাৎ কি কারণে এসেছেন জানতে পারি? না মানে বাবার কাছেই এসেছেন নাকি আমার বিয়ের উদ্দেশ্যে আসা?” “আপনার বাবার কাছে এসেছি।” “ওহ্।
মদন কিছুতেই যাচ্ছে না। আর পদ্মজা অন্দরমহলের ভেতর ঢুকতে চাইছে না। সে বার বার বলছে, ‘আমি একটু হাঁটব এদিকে। আপনি যান।’ ‘রাইতের বেলা একলা থাকবেন। আমার কাম আপনারারে দেইখা রাখা।’ ‘এদিকে তো আলো জ্বলছে। উনিও আসবেন এখন। আপনি যান। আর…
শাহানা নিকাব খুলে মাথায় পানি দিল। শাহানা মাথা ঝুঁকে রাখে। আর পদ্মজা দুইহাতে পানি নিয়ে শাহানার মাথায় ঢালে। কিছুক্ষণ পানি দেয়ার পর শাহানা সুস্থবোধ করে। বিশ্রাম নেয়ার জন্য সে একটু দূরে একটা গাছের গোড়ায় বসলো। পদ্মজা চারপাশ দেখে নিজের নিকাব খুললো। চোখ দুটি জ্বলছে। পানি দেয়া প্রয়োজন।
ঘড়ির কাটা সকাল সাতটা পনেরো ছুঁয়েছে৷ এরই মধ্যে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া এসে পৌঁছাল সৌধরা। সৌধ ড্রাইভ করার ফাঁকে ফ্রন্ট মিররে দেখে নিল, বান্ধবী প্রাচী ঘুমাচ্ছে। পাশে বসে বই পড়ছে চৌকশ স্টুডেন্ট আইয়াজ। সৌধর মেজাজ খুব খারাপ হয়ে গেল। আইয়াজের উদ্দেশ্যে বিড়বিড়িয়ে বলল, ‘ এই শালা মনে হয় টয়লেটে বসে বসেও পড়ে!‘
ভোরের আলো ফোটার আগেই ঘুম ভাঙলো মুগ্ধর। কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিল টেরই পায়নি। জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে রইল। তিতির ওর বুকের মধ্যে ঘুমাচ্ছে। তিতিরের দিকে চোখ পড়তেই ওর রাতের পাগলামির কথা মনে পড়ে গেল। একা একাই হেসে ফেলল মুগ্ধ। আস্তে আস্তে আকাশটা সাদা হতে লাগলো। বাসে সামনে কয়েকজনের ঘুম ভেঙেছে।
শাড়ি পরে বেডের এক কোণে গুটিশুটি মে’রে বসে আছে হুর। হুরের আম্মু মিসেস হেনা জোর করে হুর কে একটা লাল শাড়ি পড়িয়ে দিয়েছেন। যেহেতু আজকেই বিয়ে হলো আর ফাইয়াজ ও এই বাড়িতে থাকবে আজ তাই তিনি মেয়েকে শাড়ি পড়িয়ে হালকা সাজিয়ে দিয়েছেন। নতুন বউ বলে কথা!
কাপা হাতটা রুমাইশার সারা মুখে বুলিয়ে দিয়ে, শরীর টা ঝুকিয়ে রুমাইশার কপালে চুমু খেলো ও। আর তখনই রুমাইশার মুখের ওপর টুপ করে এক ফোটা পানি গড়িয়ে পড়লো সাফওয়ানের চোখ থেকে। রুমাইশার চোয়াল বেয়ে সেটা গড়িয়ে পড়লো বিছানার ওপর৷
আজ সৌধ, সিমরানের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান। সকাল থেকে তোড়জোড় চলছে৷ দু পরিবারে আলাদা আলাদা আয়োজন। চৌধুরী বাড়ি থেকে সৌধর কিছু কাজিন এসেছে খন্দকার বাড়িতে৷ তারা সিমরানের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানের ফটোশুট, ভিডিয়োশুট করতে ব্যস্ত। পছন্দের মানুষটাকে বর হিসেবে পেতে চলেছে সিমরান। চারপাশে সুখ, সুখ সুবাস৷ কত মানুষ, কত আনন্দ ঘিরে রয়েছে তাকে৷
'নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারার স্বভাব আমার নেই।'
'বসে থাকতে,থাকতে আমার কোমরের হাড় ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে।'
'দুই-তিনদিন বসে থাকলে হাড় ক্ষয় হয় না।'
পদ্মজা হতাশ হয়ে বললো,''আমার যন্ত্রণা হয়। ঝিমঝিম করে পা।'
আরুশ:প্রথমেই বলি আমি আয়রাকে আজ থেকে আারো আট বছর আগে থেকে চিনি।ওকে প্রথমবার আমি তিয়াশাদের বাসায় তিয়াশার জন্মদিনের পার্টিতে দেখি।তখন আমি নাইনে পড়ি।
নূর কে নিয়ে যাওয়ার পর আশমিন হালকা হাসলো। অমি নিয়ে গেছে নূর কে। সানভি নিস্তেজ নূর কে কোলে নিতে গেলেই আশমিনের ভয়ংকর ধমক খেয়ে থেমে গেছে। চাকরি জীবনে এই প্রথম আশমিন এভাবে হুংকার দিয়ে ধমক দিয়েছে ওকে।ভয় দ্বিধা সব নিয়ে যখন সানভি আশমিনের দিকে তাকিয়ে ছিল তখন আশমিন গম্ভীর গলায় অমি কে বললো নূর কে ডক্টরের কাছে নিয়ে যেতে।
প্রান্ত পরীর হাত ছেড়ে দিয়ে কানে ধরে বলে, “স্যরি।” পরী কপাল কুঁচকে তাকিয়ে থাকে। প্রান্ত বলে, “হাত ধরার জন্য স্যরি।” পরীর মুখের কোনো ভাবান্তর হলো না। সেলিম ওরা সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। প্রান্ত কান থেকে হাত নামিয়ে বলে, “আসলে…
সাদা ওড়নাটা বিছিয়ে আছে বিছানার ওপর, নিতম্ব ছাড়ানো চুল গুলো ডানপেশে হয়ে ছড়িয়ে আছে। নরম হাত দুইটা দিয়ে মোবাইল ফোন টা ধরে উপরের দাঁত দিয়ে নিচের ঠোঁট কামড়ে ভাবছে রুমাইশা বাক্যটা কিভাবে সাজালে সাফওয়ান ভাইয়ের মনপুত হবে।
সমস্ত রাত টা ল্যাবে কাটিয়েছে সাফওয়ান৷ রুমাইশার থেকে নেওয়া সমস্ত ফ্লুউড গুলোর টেস্ট করেছে ও৷ রুমাইশার ব্লাড টেস্ট করার পর সাফওয়ান পুরোপুরি বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেছে।
মিষ্টি আর রুমি আসতেই পালক উঠে দাঁড়াল। পরীর দিকে ফিরে তাকিয়ে বলল,'ফিরে এসে তোমার সাথে অনেক গল্প করব পরী।'
জবাবে পরী মাথা দোলায় শুধু। ওরা চলে যেতেই জুম্মান হেসে বলে,'এই আপা অনেক ভালো তাই না আপা?'