কতক্ষণ এভাবে কেটে যাওয়ার পর মুগ্ধ তিতিরকে পাহাড়ের কিনার থেকে সরিয়ে আনলো। ওরা ছিল আকাশনীলা কটেজের পেছন দিকটায়। কটেজের পিছন দিকেও একটা বারান্দা ছিল। সেই বারান্দার সামনে ঘাসের উপর তিতির বসে পড়লো। মুগ্ধও বসলো তিতিরের পাশে। অনেকটা সময় কেটে গেল, একটা কথাও বলেনি তিতির।
-'পরী তুই খুন করলি!!'
-'মরে গেছে!!সত্যি সত্যি!'
একটু অবাক হলো পরী। কারণ সে বাজে ভাবে জখম করতে চেয়েছিল। কিন্ত পরীর ধারণার চাইতে কোপ টা একটু জোরে হয়ে গেছে। রুপালি পরীর হাত ধরে ঝাঁকিয়ে বলে,'কি করলি পরী!!এখন কি হবে?'
বন্ধুদ্বয়ের সাথে কথোপকথনের সমাপ্তি ঘটেছে অনেকক্ষণ। নামীদের বাড়ির দোতলার বারান্দায় চনমনে চিত্তে বসে আছে সুহাস। ফোনের স্ক্রিনে মায়ের নাম্বার জ্বলজ্বল করছে। সে অশান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে। দু’বার কল করল মাকে। দু’বারই ফোন বন্ধ শোনাল। এরপর কিয়ৎকাল ভেবে কল করল ছোটো বোন সিমরানকে। তার ফোনও বন্ধ বলছে।
ওয়াসেনাত সামনে তাকিয়ে আছে। আজ কত দিন পড়ে সামনের লোকটাকে দেখছে।সে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারে নাই তাই ছাপিয়ে পড়ে তাকে জড়িয়ে ধরেছে।লোকটিও তাকে অতি যত্নে আগলে ধরে আছে।অনেকক্ষন ধরে ওয়াসেনাতকে না আসতে দেখে তার মা হাতরাতে হাতরাতে দরজার সামনে এসে থমকে যায়।সেই পরিচিত চিরচেনা ঘ্রাণ নাকে এসেছে বলে কথা।থমকে
অভি বাস থেকে নামতেই ওর মা ওকে এককোনে ডেকে নিয়ে যায়। মায়ের ডাক শুনে অভির ত আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হয়ে যাবার যোগাড়। বুকের মাঝে এক ঝড় ওঠে, মা কি বুঝতে পেরে গেল নাকি ওর আর পরীর হৃদ্যতা?
....
এই ভাবে এই দুই প্রেমিক যুগল বিয়ের বন্ধনে বেঁধে যায়।
অভি মনে মনে ভাবে, “আমি খালি হাতে এসেছিলাম কিন্তু অনেক কিছু নিয়ে যাচ্ছি। আমার ভালবাসা, আমার পরী।”
নিশির তৃতীয় প্রহর। সাদিফ চিৎ হয়ে শুয়ে আছে ছাদের খোলা মেঝেতে। চতুর্দিকে নির্মল প্রভঞ্জনের ছোঁয়ায়, চোখ মুঁদে আসতে চাইছে। মাথার নীচে আড়া-আড়ি বাম হাত রেখে, উন্মুক্ত আকাশের দিক চেয়ে ও। একটা তারা নেই,না আছে চাঁদ হতে ছুটে আসা জ্যোৎস্নার কোনও অংশ। বরং গভীর অমানিশার তোপে সব কিছু অন্ধকার
ডিসেম্বর মাসের অর্ধেক দিন কেটে গেছে আরও কয়েকদিন পরই নতুন বছরের শুরু । আগে নতুন বছর নিয়ে বেশ আনন্দ থাকতো সুদেষ্ণার মনে কিন্তু বড়ো হওয়ার পর ব্যাপারটা আর নেই। এখনকার ডিসেম্বর আগের মতো সুন্দর নেই। আগে ডিসেম্বর মানেই ছুটি, ঘোরাঘুরি আর এখন ডিসেম্বর মানেই পরীক্ষা। আগে নতুন বছর মানে নতুন
– আন্টি আপনার ছেলের কি কোনোদিনও আক্কেল জ্ঞান হবে না? দিহাদ করুন চোখে তাকিয়ে আছে আয়েশা বেগমের দিকে।কালকে বিকালে এনজিও থেকে অর্ক বেড়িয়ে আসার পর অর্কের ফোনের অনেকগুলো কল দিয়েছিল দিহাদ।কিন্তু রিসিভ করে নি ও।তারপর সন্ধ্যার দিকেও অনেক গুলো কল দেয় দিহাদ।অর্ক তখনও ওর কল রিসিভ করে নি।
সবুজ মেরুর দেশে শুধুই সবুজের সমারোহ।চারদিকে সবুজ ধান ক্ষেত হয়তো পনেরো দিনের মাঝেই ফুল আসবে গাছে।প্রসস্ত বিলের মাঝে চিকন একটা পিজঢালা রাস্তা যার চারদিকের কুল কিনারা দেখা যাচ্ছে না।বাতাসে ধানক্ষেতের ধানের পাতা গুলো দোল খাচ্ছে যেনো স্রোত বয়ে যাচ্ছে ধানের পাতায়।মাঝে মাঝে কাক তাড়ুয়া ও আছে।কৃষক রা ধান হওয়ার আগেই কাকতাড়ুয়া লাগিয়ে
টুম্পা ভাবী যাবার আগে টাপুর টুপুর কে নিয়ে বাবা দেখা করতে যান। জামিল ভাইয়ের রাগারাগি, হুমকি কোনো কিছুই বাবা কর্নপাত করেন না। তিনি নাতনিদের নিয়ে চলে যান। আম্মা নিজের চোখ কে যেন বিশ্বাস করতে পারেন না। যে মানুষ টা সারাজীবন তার হ্যাঁ তে হ্যাঁ, না তে না বলেছে সে আজ কথা শুনলো না।
আমি ওনার দিকে তাকিয়ে রেগে জোরেই বলে উঠলাম,”কাল রাতে আপনি আমার সাথে কি করেছেন?” উনি থমকে দাঁড়িয়ে ঘুরে আমার দিকে তাকালেন। আমি আরো বললাম, “আপনি সত্যিই অনেক খারাপ৷ আপনি অসভ্য আর অমানুষ।” একটু থেমে বললাম,”কি হলো এখন চুপ করে আছেন কেন?”
সকালে ঘুম ভা’ঙ’তেই হুরের নিজেকে অনেক ভা’রী মনে হলো। কিন্তু ঘুমের ঘোর সঠিক ভাবে না কা’টায় প্রথমে বুঝতে পারলো না সে। ঘুমের ঘোরে মনে হলো কোনো ভা’রী কিছু তার গায়ের উপর পড়ে আছে। ঘাড়ে গরম নিঃশ্বাসের অস্তিত্ব টের পেতেই ঘোর উড়ে গেলো হুরের।
ক্রিস্তিয়ান তার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগেই সিয়ার হাতের দিকে তাকান স্ট্রিকল্যান্ড কুরী। তৈলচিত্রগুলো একপ্রকার ছিনিয়ে নেন তিনি। রাগমিশ্রিত কন্ঠে জিজ্ঞেস করেন,,,
- এগুলো তোমাদের কাছে কেনো? কে নিয়ে এসেছে এখানে?
মুগ্ধ বলল, -“মেঘের আরো কাছে নিয়ে যাব তোমাকে। হাত বাড়ালেই মেঘগুলো লুটিয়ে পড়বে তোমার গায়ে।” তিতির একথা শুনে বলল, -“কোথায়? ওহ শুনেছিলাম নিলগিরি তে নাকি মেঘ ছোঁয়া যায়। সত্যি কি?” -“হুম তবে সেটা খুব সকালে। ৮/৯ টা পর্যন্ত। কিন্তু আমরা নিলগিরি পৌঁছাতে ১২/১ টা বেজে যাবে।” -“ওহ!” -“আমি অবশ্য বলছিলাম
জলপ্রপাতের পানিতে ভাসতে ভাসতে আর স্রোতের ধাক্কা খেতে খেতে তিতিরের সারা শরীর যেন অসাড় হয়ে পড়ছিল। তিতির পানি থেকে ওঠার কথা মুগ্ধকে বলতে গিয়ে দেখলো কোনো কথাই বলতে পারছেনা। কথা বলার জন্য যে মিনিমাম শক্তিটুকু দরকার তা ওর ওই মুহূর্তে ছিলনা। কিছুক্ষণের মধ্যেই মুগ্ধ বলল, -“এইযে তিতিরপাখি, চলো এবার
কন্যাকে পাত্রস্থ করার পর বিদায়বেলা।হৃদয়বিদারক এক মুহুর্ত। প্রতিটি নারীর জীবনে এ মুহুর্তটি অত্যন্ত মর্মভেদী৷ সোহান খন্দকার একহাতে সৌধর হাত ধরে আছে। অপর হাতে সিমরানের হাত৷ নিজের আবেগ, মায়া, ভালোবাসা, স্নেহ সমস্ত কিছু বুকের ভেতর চাপা দিয়ে ঠোঁট কামড়ে কান্না আটকানোর চেষ্টা করল সে।
সময় ঘনিয়েছে। শীতের আমেজ এসেই পড়েছে অবশেষে। যদিও হাড় কাঁপানো শীত এখনো আসেনি। সকালের মৃদুমিষ্টি সূর্যের প্রখর দিপ্ত রোদের মধ্যে ছাদে একটা চৌকিতে বসে আছে পরী। এই সময়টার রোদ শরীরে উষ্ণ স্পর্শ এনে দেয়। সময়গুলো যে অতি তাড়াতাড়ি কীভাবে চলে…
শেফালি কাচুমাচু করে সামনে এসে দাঁড়াল,'বড় কর্তা আমি কুসুম রে দেখছি বিষ মিশাইতে।'
-'দেখছেন ভাই আপনার মেয়ে এখনই আমাদের মা*রার পরিকল্পনা সেরে ফেলছে। শেফালি না বললে তো আমরা শরবত খেয়েই ম*রে যেতাম।'
নাবিলঃ আছে একটা পাগলি একদিন না হয় পরিচয় করিয়ে দিব।
আবিরঃআকাশ ভাইয়ের ভালবাসা দেখে খুব হিংসা হচ্ছে তারউপর। সেই ভাগ্যবতীকে তো দেখতেই হবে।
নাবিলঃ সত্যিই সে ভাগ্যবতী...!!!
বিকেলের দিকে রুমাইশা আর শাফিন বেরোলো জঙ্গলের ভেতর ঘুরতে। দুপুরের একটু আগে এসে শামসুল কাদের রুমাইশার বই খাতা, কিছু জামা কাপড়, আর প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস এনে দিয়ে গেছে৷ সেগুলো গোছ গাছ করে গোসল সেরে খেয়ে একটু বিশ্রাম নিয়ে ওরা ভাবলো জঙ্গল টা একটু ঘুরে আসা যাক৷