প্রেমাতাল | পর্ব – ১২

মুগ্ধ-তিতির আলো ফুটতেই মানে ৫ টার দিকে রওনা দিয়েছিল। ৩ ঘন্টা হাটা আর প্রায় ১ ঘন্টা বাস জার্নির পর ওরা থানচি পৌঁছেছিল। থানচি গেস্ট হাউজে ঢুকেই মুগ্ধ রিসিপশনের দিকে গেল। পিছন পিছন গেল তিতির। ঘড়ির কাটা ছিল তখন ৯ টার আশেপাশে।

১৬ বছর বয়স | পর্ব – ২৯

গাড়িতে বসে আমি আড় চোখে শাওনের দিকে তাকালাম। উনি সামনের দিকে তাকিয়ে নিজের সীট বেল্ট পরে নিলেন। তারপর গাড়ি স্টার্ট দিলেন। আমি স্নোবেলের মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে জালানার বাহিরে তাকিয়ে রইলাম। গাড়ির মধ্যে বিরাজ করছে অনেক নিস্তব্ধতা। অনেকক্ষণ পর আমি নিস্তব্ধতা ভেঙে বলতে লাগলাম,”আপনি কি…”

ফ্লোরেনসিয়া – ১৫

বেশকিছু দিন আগেও গ্রামের মানুষগুলো কত হাসি-খুশি ছিলো। সারাক্ষণ লোকজনের কোলাহলে সম্পূর্ণ গ্রামটা মুখরিত হয়ে থাকতো। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে র'ক্ত'চোষা পি'শাচদের কবলে পড়ে সবাই কেমন আতংকে জর্জরিত। সম্পূর্ণ গ্রামটাই যেন নির্জন, নিস্তব্ধ। মাঝে মাঝে শুধু শোনা যায় শিশুদের কান্নার শব্দ।

ভালবাসার রাজপ্রাসাদ | পর্ব – ৬ | অপরিজ্ঞাত যাত্রা

অনেক কিছু পরিকল্পনা করতে হবে। বাবা মাকে কি বলে বের হবে তাঁর চিন্তা, কোথায় যাবে, কি করে যাবে তাঁর চিন্তা, পরীকে কি করে ওর বান্ধবীদের কবল থেকে বার করবে তাঁর চিন্তা। ওর এক সিনিয়ার বন্ধু, সুপ্রতিমদা দিল্লীতে থাকে। ... সুপ্রতিমদা, “ধুর বাবা বিয়ে করে কি হবে, টাইম পাসের জন্য ত পাওয়া যায় রে।” দুজিনেই হেসে ফেলল। সুপ্রতিমদা, “তাহলে চিতকুল যাচ্ছিস? কোথায় সেটা?” অভি, “হিমাচলের এক কোনায়, সাঙলা ভ্যালি নামে এক ভ্যালিতে।” সুপ্রতিমদা, “মানালি বা ডালহউসি যেতে পারতিস।” অভি, “না পরীর বান্ধবীরা মানালি যাচ্ছে, পরীর ইচ্ছে আমরা এমন এক জায়গায় যাই যেখানে কেউ থাকবে না। অনেক ভেবে চিন্তে এই জায়গাটা বেছেছি।”

১৬ বছর বয়স | পর্ব – ৪১ (অভিমান)

“আপনার আমাকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।আপনি যান আপনার গুরুত্বপূর্ণ কাজে। এক মাস কেনো এক বছর কাটিয়ে আসুন।” রেগে বললাম আমি। “ওকে। যাব আমি।” শক্ত মুখ করে বলল শাওন। আমি থমকে গেলাম। শাওন বের হয়ে চলে গেল। উনি কি সত্যিই যাবেন নাকি?
এক সমুদ্র প্রেম

এক সমুদ্র প্রেম – ৩১

পিউয়ের ওষ্ঠযূগল ঠকঠক করে কাঁ*পছে। ভ*য়ার্ত দুটি আঁখি ধূসরের র*ক্তাভ চেহারায়। ফর্সা মানুষ কাঁ*দলে, হাসলে,লাল হতে দেখেছে সে। কিন্তু শ্যামলা বর্নেও ধূসর লালিত হয়, অতিরিক্ত ক্ষো*ভে। নিঃশ্বাসে পায় হিঁসহিঁস শব্দ।

A Destination Wedding | পর্ব – ১১

আরুশ:প্রথমেই বলি আমি আয়রাকে আজ থেকে আারো আট বছর আগে থেকে চিনি।ওকে প্রথমবার আমি তিয়াশাদের বাসায় তিয়াশার জন্মদিনের পার্টিতে দেখি।তখন আমি নাইনে পড়ি।

লাজুকপাতা | পর্ব – ১৭

ঈদের পর একসঙ্গে অনেক গুলো ঘটনা ঘটলো। মনির সম্পত্তির ভাগ চাওয়া নিয়ে একদিন ঝামেলা হলো। পাশা মিয়া তার ফ্যামিলি সহ এসেছিল। সঙ্গে মনিও, এবারও ব্যাগ ভর্তি জিনিসপত্র। সঙ্গে কয়েক রকম মাছও। মনি সম্পত্তির ভাগ চায়। সে সবকিছু বুঝে পেলে আর এদিকে আসবে না। তবে এবার ওরা ঝামেলা করতে পারলো না। এসেছিল ঝামেলা করতে।

অফিডিয়ান | পর্ব – ২০

রুমাইশাদের বাড়ির পাশ থেকে বিশ পচিশ হাত দুরত্ব রেখে মেইন রোড চলে গেছে। ভেজা জামা কাপড় গুলো হাতে নিয়ে শামসুলের সাথে রাস্তা থেকে নেমে বাড়িতে ঢুকলো রুমাইশা। আয়েশা ওদের অপেক্ষাতেই ছিলেন।
এক সমুদ্র প্রেম

এক সমুদ্র প্রেম – ৫৪

ধূসর ঝড়ের গতিতে বাইরে এলো। বিধ্বস্ত লাগছে ওকে। সারা শরীর ঘামে জবজবে। বুকের মধ্যে দা-মামা বাজছে আ*তঙ্কের। উদ্ভ্রান্তের মত ছুটে গেটের কাছে এলো সে। মনে পড়ল বাইক ফেলে যাচ্ছে। আবার পার্কিং লটের দিক পিছু দৌড়াল । ওর এত তাড়াহুড়ো দেখে দারোয়ান তটস্থ ভাবে গেট সরিয়ে দিলেন দুদিক।
বাইজি কন্যা

বাইজি কন্যা | পর্ব – ৫৬

আনমনেই হেসে ফেলল প্রণয়। কাঁধে চেপে রাখা গামছা দিয়ে ঘর্মাক্ত মুখমণ্ডল মুছলো। হাতে থাকা পলিথিনের ভেতরে গরু মাংসের তরকারির দিকে এক পলক তাকিয়ে আবার হাঁটা ধরল।

প্রেমালিঙ্গণ | পর্ব – ১৮

তন্দ্রা মুখ ভেংচি কে’টে স্বাক্ষরের পা টিপে দিতে শুরু করল। মিনিট পাঁচেক পর স্বাক্ষর তন্দ্রাকে নিজের কাছে টেনে নেয়৷ কপালে উষ্ণ ওষ্ঠদ্বয় ছুঁয়ে দিয়ে‚ গাঢ় আলিঙ্গনে লেপ্টে রইল দুজনে।
এক সমুদ্র প্রেম

এক সমুদ্র প্রেম – ৫

সম্পূর্ণ নিস্তব্ধ বাড়ি। অথচ বসার ঘর মানুষজনে ভর্তি। সামান্যতম জায়গা হয়ত ফাঁকা! রাত প্রায় দশটা বাজে। এক ঘর মানুষের মধ্যে গম্ভীর চোখমুখ নিয়ে বসে আছেন বাবা আর চাচ্চুরা। তাদের ঠোঁটে বিন্দুমাত্র হাসি নেই। মেজো চাচ্চুর হ*তাশ,বি*ধ্বস্ত মুখভঙ্গি। আমার বাবা যতটা গর*ম,শ্বশুর মশাই ঠিক ততটাই নরম আর শান্ত গোছের।

ইট পাটকেল | পর্ব – ৪২

আশমিন সত্যি সত্যি ই অক্সিজেন মাক্স খুলে নূরের ঠোঁটে চুমু খেলো। নূর হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইলো আশমিনের দিকে। আশমিন সেদিকে পাত্তা না দিয়ে মাক্সটা আবার ঠিকঠাক লাগিয়ে দিলো। নূরের কপালে চুমু খেয়ে মুচকি হেসে বললো, — চিন্তা করো না।

A Destination Wedding | পর্ব – ২

পরের দিন আমি ভার্সিটিতে যাওয়ার জন্য ঐশিদের জন্য আমাদের বাসার মোড়ে অপেক্ষা করছিলাম।এমন সময়ই একটা গাড়ি খুব স্পিডে আমার সামনে দিয়ে যাচ্ছিলো আর রাস্তার পাশে থাকা সব কাঁদা আমার জামায় লেগে গেলো।আমি খুব রেগে ঐ গাড়িটার দিকে রাস্তা থেকে একটা ইটের টুকরো নিয়ে ছুড়ে মারলাম।ওমনি গাড়ির পেছনের কাচ ঠাসসসসসসস!!!করে ফেটে গেল।

অপেক্ষা – মাহা আরাত | পর্ব – ৫৩

এ মুহুর্ত গ্লাসের বাইরে দৃষ্টি আদওয়ার।দূর আকাশের তেজি তারকা এতই ঝলমল করছে যে তাদের বড় এক অংশ এখান থেকেই গুণা যায়।একটা তারা হুট করেই মিলিয়ে গেলো।দৃষ্টি ঘুরিয়ে আরহামের দিকে তাকালো আদওয়া।আরহাম পাশে বসলে বুঝালো,তারাগুলো গুনে দিতে।সে তাঁরা গুনলো,আরহাম ঠায় তাকিয়েই রইলেন।

ত্রিধারে তরঙ্গলীলা | পর্ব – ৭৩

কুয়াশাচ্ছন্ন ভোর৷ অর্ধাঙ্গিনীকে নিয়ে পরিপাটি হয়ে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ল সৌধ। ড্রাইভিং সিটে বসেছে সে। পাশে সিমরান৷ সৌধর চোখে স্টাইলিশ সানগ্লাস। পরনে ধূসর বর্ণের শার্ট, কালো প্যান্ট এবং শার্টের ওপর কালো রঙের কোটি ব্লেজার। সেই কিশোরী বয়স থেকে সৌধর স্মার্টনেস, গেটআপ আর ব্যক্তিত্বে ভীষণ দুর্বল সিমরান৷
এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা – সিজন ২ | পর্ব – ১৩

"তোকে ভালবাসি, এক পৃথিবী সমান ভালবাসি। এই পৃথিবীতে বড় একটা নোটিস লাগাবো।যেখানে লিখে রাখবো এই পিচ্চি টা আমার মানে আমার।এই পিচ্চিকেই লাগবে আমার।এই আনম্যাচিউর, কম বোঝা পিচ্চিকেই চাই আমার।পিচ্চির শহরে অন্য কারো প্রবেশ নিষিদ্ধ। এই নিষিদ্ধ শহরে থাকবে শুধু আমার বসবাস।"

ইট পাটকেল | পর্ব – ৮

আব্বুর গাড়ির ড্রাইভারের খোঁজ পেয়েছো অমি? — পাইনি ম্যাম।লোকটা হয়তো দেশে নেই।তার গ্রামের বাড়িতে খোজ নিয়ে জানতে পারলাম তার পুরো পরিবার ওইদিনের পর থেকে নিখোঁজ। কোথাও তাদের পাওয়া যায় নি। — মন্ত্রী সাহেব এসেছেন? — না ম্যাম।তবে রাস্তায় আছে।কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসবে। — ঠিক আছে।