সব বুকের সাথে চে*পে রুদ্ধশ্বাস সমেত, ছু*ড়ে ফেলল বিছানায়। ফ্লোরের গুলো তুলে, সোজা হয়ে, কোমড়ে হাত দিয়ে জোরে জোরে নিঃশ্বাস টানল। অথচ,ওষ্ঠপুটের সবদিকে জ্বলজ্বল করছে হাসি। ধূসর ভাইয়ের সাথে প্রথম বার ঘুরতে যাচ্ছে সে। এই একটি কথাই তাকে পৃথিবী সমান সুখ পাইয়ে দিতে যথেষ্ট।
প্লেনে অরুনা আর পরী পাশাপাশি বসে, করিডোরের অন্য দিকে অভি। অরুনা জানালার ধারের সিটে বসে হাতের ওপরে মাথা রেখে একমনে জানালার বাইরে তাকিয়ে থাকে। পরী একটা সুন্দর সবুজ রঙের সালোয়ার পড়েছিল। পরী প্রথম বার প্লেনে চাপে কিন্তু সেই উৎসাহ ছাপিয়ে ওর মনের ভেতরে অরুনার চিন্তা বেশি করে ভর করে। সকালের খাবার দিয়ে যায় এয়ারহোস্টেস, পরী খাবারের বহর দেখে অভির দিকে তাকায়। অভি ওকে জানায় যে ও এক্সিকিউটিভ ক্লাসে ভ্রমন করছে।
আমি উনার দিকে তাকিয়ে আস্তে করে নিচে নামার চেষ্টা করলাম।উনার দিকে তাকিয়ে থাকার জন্য পায়ের দিকে খেয়াল করতে না পারায় খাটের কর্ণারে এসে পড়ে যেতেই উনি হাতে ধরে ফেললে আমাকে।উনি দুই হাতে পাজা কোলে উঁচু করে ধরে আমার মুখের কাছে মুখ এনে বললেন,সাবধানে আসবে তো?এক্ষুণি পড়ে যেতে।
মাত্র কয়েকদিন আগেই ত আমরা দুইজন দুইজনকে সহ্য করতে পারতাম না। আর এখন দুইজন দুইজনকে ছাড়া থাকতে পারিনা। সময়ের ব্যবধানে কতটা পরিবর্তন এসে গেছে! ভেবেই অবাক লাগে। আমি ওনাকে পেয়ে সত্যিই অনেক খুশি। কারণ আমি ওনার মত একজনকে পেয়েছি।
ওদের ঘোড়া দু'টো কি পক্ষিরাজ ঘোড়া? যেন চোখের পলকে অদৃশ্য হয়ে গেল।
ইনায়া একহাতে শক্ত করে ঘোড়ার লাগাম টেনে ধরল। অন্যহাতে শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে নিজের ঘোড়াটাকে অনবরত চাবুক আঘাত করল।
অর্ক বিষন্ন মনে এনজিও থেকে বেড়িয়ে সোজা মেহেনূরদের বাড়িতে চলে আসে।তারপর ওখান থেকে রাওনাফকে নিয়ে এয়ারপোর্টে চলে যায়।
হঠাৎ তার অ্যাপার্টমেন্টের দরজায় নক পড়লো। লোক টা খাওয়া থামিয়ে দরজায় নক দেওয়া ব্যাক্তি টাকে ভেতরে আসার অনুমতি দিলো। আর তখনি অ্যাপার্টমেন্টের ভেতর হন্তদন্ত হয়ে প্রবেশ করলো দুজন যুবক। ঢুকেই তাদের ভেতর থেকে একজন লাঞ্চরত ব্যাক্তি টার উদ্দ্যেশ্যে ইংরেজিতে বলে উঠলো,
— ম্যাথিউ আপনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বস।
গত দুদিন ধরে সাফওয়ান বাড়ির বাইরে। ফোন বন্ধ করে রেখেছে। কোথায় আছে ও কাউকে বলেনি। রুমাইশা চলে যাওয়ার পর থেকে ও কিছুই খায়নি৷ রুনিয়া আর আয়েশা সব রকমের জোর জবরদস্তি করেও কিছুই খাওয়াতে পারেনি ওকে৷
একটা মানুষের মুখের প্রতিটা স্পিলিং এতটা ইমপ্রেসিং কিভাবে হতে পারে বুঝিনা।কথা বলার এটিটিউড ধরণ সব কিছুই আলাদা।নাকি আমার কাছেই উনার সব কিছু এমন স্পেশাল লাগে।
দিয়া আজ সাদা আর পিংক কালার মিক্সড করা শাড়িটা পরবা প্লিজ।রোজ তো থ্রি পিছ পরাই দেখি আজ শাড়ি পরা দেখতে মন চাইছে বলতে পারো এটা আমার আবদার।উনার ফোন টা কেটে ছুটে আলমারির কাছে এলাম।আলমারির উপরে ওয়ালে উনি আমার গালে হলুদ লাগাচ্ছেন সেই ছবিটা টাঙানো।ছবিটা রোজ দেখি আমি ছবিটা কত জীবন্ত।
মেঘলা কাঁদতে কাঁদতে চোখমুখ ফুলিয়ে ফেলেছে। অনেক্ষন কাঁদার পর সে নিচে আসল। সবাই খুব মজা করছে কেউ মেহেদি পড়তে ব্যস্ত অনেকেই আবার নাচ প্র্যাকটিস করছে। সুমি বারবার মেঘলাকে বলল মেহেদি পরতে কিন্তু মেঘলার এসব ভাল লাগছে না। সে ঘরের এক…
আকাশের মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে সে পাগলের মত মেঘলাকে খুঁজতেছে কিন্তু মেঘলার কোন খোঁজ নেই — আকাশ আর নাবিল অনেক খুঁজেও যখন মেঘলাকে পেল না হতাশ হয়ে ফিড়ে আসছিল তখন নাবিল দেখল একটা মেয়ে রাস্তায় বসে বসে বাদাম…
পাঁচ বছর পর,,,,,,
পাঁচ বছর পর আয়রা ফিরে আসে ওর জন্মভূমি বিডিতে।তবে এই আয়রা আর ছোট নেই।সে এখন নাম করা ফ্যাশন ডিজাইনার।ওও বিডিতে ফিরে একটা হোটেল বুক করে সেখানেই থাকতে লাগে।
বাচ্চা পেটে আসার পর থেকেই মুনতাহার মনে শুচিবায়ু রোগটি বাসা বেঁধেছে। সব কিছুতেই খুঁতখুঁতে ভাব। সব কিছুতেই সে আঁষটে গন্ধ পায়।
তখনি হঠাৎ কপালে কারো উষ্ণ ঠোঁটের ছোঁয়া পেতে হৃৎপিণ্ড ধক করে ওঠলো।বুকের ভেতরটা দ্রীম দ্রীম শব্দে বেজে উঠলো।আরহাম পরম আবেশে চোখ বুজে নিলেন।এ যেনো উমায়েরের কাছ থেকে পাওয়া সবচেয়ে দামি উপহার।হাফসা সাথে সাথে সরে গিয়ে গুটিসুটি মেরে রয়।আরহাম কিছুক্ষণ মুচকি হেসে তাকে আবারো কাছে টেনে নিলেন।
‘প্রাণ, যদি শোনো। আমি একজন খুনী, তাহলে তুমি কী আমায় ঘৃণা করবে!’ কথাটা ভীষণভাবে আকুতিভরা টলটলে শোনালো প্রানেশার কানে৷ প্রানেশা সুফিয়ানের ঠিক বাম পাশে হাঁটুতে মাথা দিয়ে নির্বিকার ভঙ্গিতে বসে ছিলো। খুনের কথা শুনে প্রানেশার হয়তো এই মূহুর্তে আতংকিত হয়ে চেচামেচি করে ওঠার কথা অথচ সুফিয়ানের মায়া চোখের উপর
ভোরের স্নিগ্ধ আলোকরশ্মি চোখে পড়তেই ঘুম ভেঙে যায় নিধির৷ ক্ষণকাল ব্যয় করে মস্তিষ্ক সজাগ করে। পাশে তাকিয়ে দেখে অর্পণ ঘুমিয়ে৷ বুকের মাঝে অনিরূপকে আগলে নিয়ে। নিষ্পাপ শিশুটি বাবার বক্ষদেশে কী নির্ভার, প্রশান্তিময় ঘুম ঘুমাচ্ছে৷ দৃষ্টিজোড়ায় মুগ্ধতা ছড়িয়ে পড়ে। স্মিত হেসে মুগ্ধ দৃষ্টিদ্বয় ফিরিয়ে নেয় নিধি৷ ত্বরিত খোলা চুলে হাত চালায়।
লেকে পাশাপাশি হাঁটছে দুজন। সন্ধ্যার আঁধার প্রায় নেমে এসেছে। সূ্র্য মামা টাটা বাই বাই জানাচ্ছে। চারপাশটাই এখন গোধুলী লগ্নে ঢেকে আছে। “ফুসকা খাবে?” তুর্যের আকস্মিক প্রশ্নে কিছুটা চমকে যায় পরী। নিজেকে সামলে নিয়ে বলে, “না।” “আরে বাহ্! হলো কী আজ?…
রুমাইশাদের বাড়ির পাশ থেকে বিশ পচিশ হাত দুরত্ব রেখে মেইন রোড চলে গেছে।
ভেজা জামা কাপড় গুলো হাতে নিয়ে শামসুলের সাথে রাস্তা থেকে নেমে বাড়িতে ঢুকলো রুমাইশা। আয়েশা ওদের অপেক্ষাতেই ছিলেন।
-'তোর সাহস তো কম না আমাকে শাসাস!!ভয় দেখাস আমাকে??সেদিনের পুচকে মেয়ে। জীব টেনে ছিড়ে ফেলব তোর বাপ ও কিছু বলবে না।'
-'পরীর কলিজায় হাত দেবেন এতো বড় কলিজা আপনার??ওই কলিজায় তলোয়ার চালাতে পরীর হাত কাঁপবে না। সাবধান,আপনাকে কিন্ত পরী ছেড়ে দিবে না।'