পরদিন সকালে মেঘলা কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা হল। বাসে মেঘলা দাঁড়িয়ে আছে হটাৎ লক্ষ্য করল কেউ একজন তার ঘাঁ ঘেঁসে দাঁড়িয়ে আছে। ছেলেটি ক্রমশো তাকে পিছন থেকে আঁশটে পিশটে জড়িয়ে ধরছে। মেঘলা সিধান্ত নিয়েছে এবার ছেলিটিকে একটা থাপ্পড় মারবে. মেঘলা যখন…
একসময় নীরবতা ভেঙে মুগ্ধ বলল -“ভাবছো আমি খুব খারাপ?” -“না।” -“তাহলে? কথা বলছো না, দূরে বসে আছো! এসবের কারন কি?” -“কই?” মুগ্ধ তিতিরের কাছে এগিয়ে ওর হাতটা ধরতেই তিতির আচমকা সরে গেল। মুগ্ধ বলল, -“ভয় কেন পাচ্ছো?” তিতির ভাবলো সত্যিই তো, ও কেন ভয় পাচ্ছে! বলল, -“কই নাতো!
“প্রিন্সেস ডায়নার একটা উক্তি এতদিন ধরে মনের মাঝে পুষে রেখেছিলাম আমি যাকে ভালবাসি সে আমি বাদে বিশ্বের সবাইকে ভালবাসে।” মন খারাপ হয়েছে, ভেঙে পড়েছি,কেঁদেছি ওই কঠিন মানুষ টার জন্য।এতদিন যাকে হৃদয়হীন ভেবেছি সেই মানুষ টা ও কাঁদতে জানে এতটা আবেগপ্রবন ভাবে সেটা আগে জানা ছিলো না।
জোসনা মাখা চাঁদ সেদিন ও সাক্ষি ছিলো আমাদের ভালবাসার আজ ও সাক্ষী আমাদের ভালবাসার।এইজন্যই বুঝি চাঁদের সাথে আমার এত ভাব।এই সেই দিনটা যেদিন সবার আড়ালে বিহান ভাই এর সাথে আমার বিয়ে হয়েছিলো।এই দিন টা আমার জীবনের সব থেকে দামি একটা দিন।
“মুহিতের সাথে কাল রাতে আমার খুব ঝগড়া হয়েছে। আমি ওকে ফেসবুক‚ মেসেঞ্জার‚ ইন্সটাগ্রাম সব জায়গা থেকে ব্ল’ক করে দিয়েছি। ওর নাম্বারও ব্ল’ক করে দিয়েছি।”
“তাহলে মুখটাকে প্যাঁচার মতো করে বসে আছিস কেন?”
“এখন যদি অন্য কোনো মেয়ের পিছে ঘুরে?”
আরহাম তাজওয়ার একবার আহমাদের দিকে তাকালেন। অতপর রাদের দিকে তাকিয়ে বললেন, 'নেভার এভার।নাউ সি ইজ মাই ওয়াইফ।আমার অনুমতি ব্যতীত আপনি তাকে পাওয়া তো দূরের কথা উনার ছায়াটুকুও দেখতে পারবেন না।ঝামেলা আমার মোটেও পছন্দ নয়।আই রিকুয়েস্ট ইউ আপনি উনাকে ভুলে যান।উনি আপনাকে চান না।উনি খুশি থেকেই স্বইচ্ছায় আমাকে বিয়ে করেছেন।'
সৌধর গাড়ি এসে থামল সদর হাসপাতালের সামনে। সুহাস ত্বরিত গাড়ি থেকে নেমে দৌড় লাগাল৷ সৌধ মুখে মাস্ক পরে অপেক্ষা করতে লাগল ওদের ফিরে আসার৷ সে নিজে আর নামল না৷ দেখা গেল কেউ চিনে ফেললে বাবা, ভাইকে জানিয়ে দেবে। আর তারা রাগারাগি করবে একা একা বের হওয়ায়।
সুনসান নিরবতা চারিদিকে। রাত গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। পদ্মজা তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষা করছে কখন রুম্পা চোখ খুলবে। বিভোর হয়ে ঘুমাচ্ছে। পদ্মজা নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে বসে আছে। দরজায় কেউ টোকা দিতেই পদ্মজা সাবধান হয়ে গেল। রুম্পার নিরাপত্তা নিয়ে তার মন অস্থির…
ঠাসসস শব্দে কেঁপে উঠলো রুম।আম্মুর হাতের পাঁচ আঙুল আমার গালে লেগে গেলো।আম্মুর যথেষ্ট বকাবকিতেও মন ভরে নি।তার ধারণা তার মেয়ে অন্য জগতে প্রবেশ করেছে।তার মেয়ে এমন মানুষদের সাথে ফোনে কথা বলে তারা ভিডিও কলে অশালীন জিনিস দেখায়।
হালকা হালকা আলোর মাঝে চুপ হয়ে বসে আছে প্রানেশা। মনের অসংখ্য প্রশ্নগুলোকে দমিয়ে অপেক্ষা করছে রেয়ানের মতো দেখতে বহুরূপীর। এক ঘন্টা হলো প্রানেশাকে রুমে এনে বসানো হয়েছে। পরিবেশ ঠান্ডা হলেও ভারি শাড়ি পড়ে শ্বাস ছাড়তেও নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে প্রানেশার। খট করে আওয়াজ হতেই প্রানেশা দরজার দিকে তাকালো।
সাফওয়ান সোজা হয়ে বসে গলা খাকারি দিয়ে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে গম্ভীর গলায় বলল,
— সে কথা পরে বলছি, আগে বল তুই আমার ল্যাবের খোজ পেলি কিভাবে, আর ল্যাবের ভেতরে প্রবেশ করলি কিভাবে?
“একদম পরীর মতো লাগছে রে তোকে। নোসপিনটা দারুণ মানিয়েছে৷”
“ভাইয়া তো কাল রাত থেকে তোর সাথে দেখার করার জন্য ছটফট করছে।”
শিরিনের কথায় তন্দ্রা লজ্জা পেল। আজ তার বেশ লজ্জা লজ্জা পাচ্ছে। তাকে আরও লজ্জা দেওয়ার জন্য হাসনা বলল‚
”কী দিয়ে জাদু করলি রে ভাইকে?”
স্তব্ধ হয়ে টেলিভিশনের সামনে বসে আছেন আয়েশা, শামসুল আর রাফসানেরা। সাফওয়ান আহমেদ নাম টা শোনা মাত্রই বুক কেঁপে উঠেছে ওদের সবারই। হতচকিত হয়ে একে অপরের দিকে তাকাচ্ছে ওরা বার বার৷ রাফসানের যেন দম আটকে আসছে।
বাবার শ্বশুর যখন দাদাশ্বশুর আমার ডান পাশে বসে আছে আমার মা, আর আমার বাম পাশে বসে আছে আমার বাবা। আর আমি অসহায়ের মত বাবা মার মাঝখানে বসে আছি। বাবা আমার মুখ তার দিকে ঘুরিয়ে বললো, –শুন, মামাতো বোন আর…
বাবা চলে যাওয়ার পরপরই পরী মায়ের কাছে যায়। রেহেনা বেগম তখন রাতের রান্না করছিলেন। পরী হন্তদন্ত হয়ে জিজ্ঞেস করে, “আব্বু এসব কী শুরু করেছে মা?” রেহেনা বেগম একবার পরীর দিকে তাকিয়ে আবার রান্নায় মনোযোগ দেন। তরকারী নাড়তে নাড়তে বলেন, “কী…
হুর বাদে সবাই খেতে বসেছে।মিস্টার ফরিদ তা লক্ষ্য করে বললেন, -“হুর মামুনী কোথায়! ও খাবে না?” -“না আঙ্কেল আমি ঐ সময় খেয়েছি। আর খাবো না। পেট ভরা আমার। ” হুর পিছন থেকে এসে বললো। ফাইয়াজ হুরের কথা শুনে বিড়বিড় করে বললো, -“একবারেই যেই রা’ক্ষসীর মতো খেয়েছে আর খাবে কি করে!”
গভীর রাত। ধরণিতল বৃষ্টিতে ভিজে চুপ চুপ। থেকে থেকে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। সুহাস ঘুমোচ্ছে বেঘোরে। তার এক হাত নামীর কাঁধ আঁকড়ে, এক পা কোমরে তোলা। বউকে ঠিক কোলবালিশের ন্যায় আঁকড়ে ঘুমোচ্ছে সে৷ ক্ষণে ক্ষণে মুখের ভারিক্কি, উত্তপ্ত নিঃশ্বাস এসে ছুঁয়ে দিচ্ছে নামীর ঘাড়ে এবং কানে। সুহাস গভীর ঘুমে থাকলেও নামীর ঘুম গভীরতায় পৌঁছায়নি।
বিয়ে হয়ে যায় আমার এবং শাহিনের। আমি হয়ে যাই কারো ঘরনি, কারো অর্ধাঙ্গিনী। বিয়ের অনুষ্ঠানে অলিওরের পরিবারের কাউকে দেখা যায়নি।
বলিষ্ঠ শরিরে শুভ্র পাঞ্জাবি জড়িয়ে নিজেকে পরিপাটি করছে আশমিন। পাঞ্জাবীর উপর কটি পরে শেষ বারের মতো নিজেকে দেখে নিলো সে। আজ নির্বাচন।সারাদিন ব্যস্ত থাকবে সে। ড্রেসিং টেবিলে থেকে চোখ সরিয়ে মেয়েদের দিকে তাকালো আশমিন। সুখ পাখি তার দিকে তাকিয়ে মুখ দিয়ে অদ্ভুত শব্দ করছে।
ফারানের সাথে হুরের পরিচয় প্রায় ছয় মাসের। এই ছয় মাসে হুরের পাগ’লামির শেষ ছিলো না। সেইদিন এর ঘটনার পর হুর খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারে ফারানের পুরো নাম ফারান আহমেদ। সে পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার। তাদের ভার্সিটির নতুন দালান তৈরির কাজে সে প্রায় প্রায় ভার্সিটি তে আসে।