শুভ কে অশুভ করতে এত সকালে উঠেছিস তাইনা?দশ মিনিট জাস্ট দশ মিনিটে রেডি হ।বই নিয়ে আয় তোকে আজ বই পড়াবো বলেই ওয়াশ রুমে গিয়ে দরজা আটকে দিলেন।আর বাইরে এসে এসব উদ্ভব ভাষা শুনলে এখন থেকে আছাড় মারবো অত্যাচারি বংশের বারান্দায় গিয়ে পড়বি।
হঠাৎ তার অ্যাপার্টমেন্টের দরজায় নক পড়লো। লোক টা খাওয়া থামিয়ে দরজায় নক দেওয়া ব্যাক্তি টাকে ভেতরে আসার অনুমতি দিলো। আর তখনি অ্যাপার্টমেন্টের ভেতর হন্তদন্ত হয়ে প্রবেশ করলো দুজন যুবক। ঢুকেই তাদের ভেতর থেকে একজন লাঞ্চরত ব্যাক্তি টার উদ্দ্যেশ্যে ইংরেজিতে বলে উঠলো,
— ম্যাথিউ আপনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বস।
ফাতিমা করুণ চোখে লিখনের দিকে তাকান। চোখে চোখ পড়তেই লিখন হাসার চেষ্টা করল। তার দৃষ্টি এলোমেলো। কী বলবে খুঁজে পাচ্ছে না। আমির চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়। ‘আব্বা আসছি’ বলে জায়গা ত্যাগ করে। শব্দর আলী মজিদ মাতব্বরকে প্রশ্ন করলেন,’মজা করছেন?’ মজিদ…
হঠাৎ করে টান দেয়ায় ছি’টকে এসে কারোর বুঁকের সাথে বাড়ি খেলো হুর। চোঁখ বন্ধ করে তার বুঁকেই মাথা রাখলো সে। জোরে জোরে শ্বাস টানতে লাগলো।হুশ আসতেই বুঝতে পারলো সে কারো বক্ষপিঞ্জরে আবদ্ধ। মানুষ টা তাকে আষ্টেপৃষ্ঠে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে। যেনো বুঁকের মধ্যে পুরে নিতে চায়।
অভি বাস থেকে নামতেই ওর মা ওকে এককোনে ডেকে নিয়ে যায়। মায়ের ডাক শুনে অভির ত আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হয়ে যাবার যোগাড়। বুকের মাঝে এক ঝড় ওঠে, মা কি বুঝতে পেরে গেল নাকি ওর আর পরীর হৃদ্যতা?
....
এই ভাবে এই দুই প্রেমিক যুগল বিয়ের বন্ধনে বেঁধে যায়।
অভি মনে মনে ভাবে, “আমি খালি হাতে এসেছিলাম কিন্তু অনেক কিছু নিয়ে যাচ্ছি। আমার ভালবাসা, আমার পরী।”
অপরাধ ক্ষমা করবেন। আপনি হয়তো ভুলে যাচ্ছেন, এই মেয়েটার জন্যই সম্পূর্ন বদলে গেছেন এস্টীম রুলার। তিনি এখন কোনো মেয়ের দিকে ফিরেও তাকান না।____হিমানো সহাস্যে কথাটা বলে।
গমগমিয়ে বৃষ্টির আওয়াজ রোজকার মতো আজ আর স্নিগ্ধ মোহময় হয়ে ধ্বনিত হচ্ছে না। বৃষ্টির ফোঁটা গুলো শোনাচ্ছে কোনো এক কিশোরীর আর্তনাদের ন্যায়। এমনটাই অনুভূত হচ্ছে কাঁচের তৈরি আবদ্ধ কক্ষে।
নীল আর কালো রং মানেই আমার কাছে শুভ্র প্রেমের রং।যে রং আমার মন ভালো করে দেয়,যে রং মনের কোনে সুপ্ত অনুভূতির সংমিশ্রণ সৃষ্টি করে।।এই দুইটা রং এ আমার বেশীর ভাগ ড্রেস আর জিনিস পত্র।যেখানেই যায় পছন্দ হিসাবে এই রং দুইটা পছন্দ করি।
কারণ আয়রা ওর সর্বশক্তি দিয়ে আদিয়াতকে কষে থাপ্পর মেরেছে রাগে ওর পুরো শরীর কাঁপছে।একটা মেয়ের যে এতো রাগ আর এতো শক্তি থাকতে পারে তা আয়রাকে না দেখলে বোঝায় যাবে না। বাসার সবাই আদিয়াতের উপরে খুব রেগে আছে।আর তিয়াশা তো কেঁদেই যাচ্ছে।আম্মুরা সবাই তিয়াশাকে শান্ত করার চেষ্টা করছে।
তুলির আজ স্কুল বন্ধ তাই সে ড্রইং রুমে তার প্রিয় কার্টুন দেখছে। তন্দ্রা নীল রঙের লং জামা পড়ে ফ্রেশ হয়ে নিয়েছে। হিজাব করার মাঝেই‚ মিসেস তাহেরা ঘরে এলেন। তন্দ্রার দেরি হচ্ছে বলে তিনি ডাকতে এলেন। টেবিলে খাবারও বেড়ে এসেছেন ম্ব্যের জন্য।
আমি বাসের মধ্যে কখন ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম টেরই পাইনি, অনু আর স্নেহার ডাকে যখন ঘুম ভাঙ্গল তখন পাশে তাকিয়ে দেখি সেই সুদর্শন পুরুষটি নেই । আমার পাশের সিট ফাঁকা । আমি যেনো কোনো ঘোরের মধ্যে ছিলাম „„„ একবার ফাঁকা সিটের দিকে তাকাচ্ছি তো একবার ওদের দিকে… এই এরকম হ্যাবলাকান্তর মতো তাকাচ্ছিস
পিউ ছুটে এসে লুটিয়ে পরল বিছানায়৷ চিরাচরিত সেই সিনেমায় হিরোয়িনদের মত ঝাঁপ দিলো এক প্রকার। বালিশটা বুকে চেপে হাঁস-ফাঁস করে উঠল। ধূসর ভাই ওর ঠোঁটে চুমু খেয়েছেন? এখনও স্তম্ভিত ফিরছেনা ওর। একটু আগের সবকিছু সত্যিই ঘটেছে? উনি নিজে থেকে কাছে এসেছিলেন? পিউয়ের মাথা চক্কর কাটছে বিশ্বাস- অবিশ্বাসের মাঝখানে ঝুলে।
'কি হয়েছে আরহাম?তুমি এর আগেও কেঁদেছো।হাফসাও কেঁদেছে দেখলাম।মেয়েটা কিছু বলে না।সবকিছু নিজের ভেতর চেপে রাখে।কি হয়েছে দূজনের?কোনো কিছু নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়েছে?বলার মতো হলে বলো আমাকে।'
আরহাম কাঁদোকাঁদো হয়ে মায়ের গলা জড়িয়ে বললেন, 'সি হার্টস মি আম্মু।'
ফাইয়াজ ফোনে মেসেজ করা লোকেশনে পৌঁছাতেই দেখলো অনেকগুলো লোক গা’ন হাতে গোডাউন ঘেরাও করে দাঁড়িয়ে আছে। ফাইয়াজ গাড়ি থেকে বেরিয়ে ধীর পায়ে গোডাউনের দিকে এগোতে লাগলো। দরজার সামনে পৌঁছতেই দুইজন মিলে তার শরীরে ত’ল্লা’শি চালালো। কোনো রকমের অ’স্ত্র না পেয়ে তারা প্রবেশ পথ খুলে দিলো।
এনোনের মুখ শক্তপোক্ত হয়ে যায় পকেট থেকে হাত সরিয়ে নিনির কাছে এগিয়ে আসতে আসতে বলল,, সাহস তো তোমার অনেক বেশি দেখি, দাঁড়াও কি করি তোমার সাথে দেখ।” নিনি চমকে উঠে তাকে এগিয়ে আসতে দেখে বুঝতে পারলো সে অতিরিক্তই বলে ফেলেছে। নিনি পিছাতে পিছাতে ঘাবড়ে বলল,,
আকাশঃ তুই কি বলিস কোনটা ভাল হবে এখানে পড়া নাকি বিদেশে?
নাবিলঃ আমি ইচ্ছা মেঘলার পরিক্ষার পরে আমি মামা হব।
নাবিলের এমন উত্তরে আকাশ মেঘলা ২ জনেই অবাক হল আকাশ হেসে দিল আর মেঘলা লজ্জা পেল।
সতর্কতা: এই গল্পটির মধ্যে কিছুটা প্রাপ্তবয়স্ক কন্টেন্ট এর দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে, যদিও সরাসরি কোনো অশ্লীলতা নেই তবুও নিজ দায়িত্বে গল্পটি পড়ার অনুরোধ রইলো।
কেমন দেখতে হবে সেই শুচিস্মিতা যে ওকে কোলে নিয়ে ছোটো বেলায় অনেক খেলা করেছে, শীতের রাতে ওকে জড়িয়ে ধরে ঠাণ্ডা থেকে বাঁচিয়েছে। এই সব ভাবতে ভাবতে অভি একসময়ে ঘুমিয়ে পড়ল।
দু'হাতে নিজের চুল খামচে ধরে চিৎকার করে কথাগুলো বললো অঙ্গন। এ পর্যায়ে প্রণয় বিচলিত হয়ে প্রশ্ন করলো,
-' তুই কাল নেশা করেছিলি? '
হাতমুখ ধুয়ে সাদাফ ঘরে এসে দেখলো মশারির এক কোণা খুলে মেয়েটিকে বসতে দিয়েছে নুরু মিয়া। আর সে বসেছে একসাথে করে রাখা প্লাস্টিকের ডবল চেয়ারে। গামছায় হাত মুখ মুছতে মুছতে সে বললো, “কত এনেছো?” “যা পাওনা আছো, তার চেয়েও বেশি।” “বেশির দরকার নেই। ন্যায্যটুকু হলেই চলে। দাও…” নুরু
তোমরা আকাশ নিয়ে তর্ক শুরু করলে কেন? আকাশে চাঁদ, সূর্য, নক্ষত্র সবারই স্থান হয়। আকাশের হৃদয় বিশাল বুঝলে সে কাউকে নিরাশ করে না।