আহ আমার লাগছে ছাড়ুন, ছাড়ুন বলছি। প্লিজ ছাড়ুন ব্যাথা পাচ্ছি। একমনে আকুতি মিনতি করছে মেঘলা। কিন্তু আকাশের কানে কিছুই ঢুকছে না সে টেনে হিচড়ে নিয়ে যাচ্ছে মেঘলাকে….. আকাশ মেঘলাকে ঘরে নিয়ে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দিল আর দরজা লক করে…
তিতিরের শরীর প্রচন্ড গরম। চোখগুলো লাল হয়ে আছে, অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছে। ও বোধহয় জ্বরের ঘোরে নিজেকে কন্ট্রোলে রাখতে পারেনি তাই চলে এসেছে। জ্বর কমলে, ঘোর কাটলে তো চলেই যাবে। শুধু শুধু মায়া বাড়াতে এল মেয়েটা! -“এই দাওনা। খাবোতো!” মুগ্ধর ঘোর কাটলো। বলল, -“কি দেব?” -“তোমার ঘুমু ঘুমু ভয়েসটা।”
শাহানা পদ্মজার এক হাতে ধরে নিজের দিকে ফিরিয়ে বললো,' পর পুরুষের কাছে কিতার সাহায্য তোমার পদ্ম?'
পদ্মজা বললো,'আপা,আমি আপনাকে সব বলব। একটু সময় দিন।'
“প্রিন্সেস ডায়নার একটা উক্তি এতদিন ধরে মনের মাঝে পুষে রেখেছিলাম আমি যাকে ভালবাসি সে আমি বাদে বিশ্বের সবাইকে ভালবাসে।” মন খারাপ হয়েছে, ভেঙে পড়েছি,কেঁদেছি ওই কঠিন মানুষ টার জন্য।এতদিন যাকে হৃদয়হীন ভেবেছি সেই মানুষ টা ও কাঁদতে জানে এতটা আবেগপ্রবন ভাবে সেটা আগে জানা ছিলো না।
আধ ঘণ্টা হবে বাড়িতে ফিরেছে তুর্য আর পরী। বাড়িতে এসেই পরী বিছানায় গা এলিয়ে দিয়েছে। জ্বরটা এখনো কমেনি। রেহেনা বেগম বালতি ভর্তি পানি নিয়ে এসে মেয়ের পাশে বসে মাথায় ঢেলে দিচ্ছেন। পরী চোখ বন্ধ করে চুপচাপ শুয়ে আছে। রেহেনা বেগম…
গেস্ট হাউজটা আসলে একটা কটেজের মত। চারদিকে ঘিরে আছে একটা বারান্দা। কটেজে মোট ৪ টি ঘর। প্রত্যেকটি ঘরে দুটো করে বিছানা। আর দুই বিছানার মাঝেও অনেক যায়গা। ফ্লোরিং করার প্ল্যান ছিল বাকিদের। কিন্তু কি থেকে কি হয়ে গেল। কোথায় চলে গেল সাফিরা।
ইকবাল দাঁত কিড়*মিড় করল। দুপাশের চোয়াল মটমট করে ওঠে। চোখের পাশের পেশী গুলো অভ*ঙ্গুর।
অদৃশ্য ভাবে সাদিফের গালে এলোপাথাড়ি থাপ্প*ড় বসাল সে।
ডাইনিং টেবিলে বসে আছে হুর। মিসেস হেনা হুরকে খাবার সার্ভ করছেন। হুরের একটুও খাওয়ার ইচ্ছে নেই। কিন্তু এখন না খেলে মিসেস হেনা উ’ল্টা’পা’ল্টা চিন্তা শুরু করবেন। এমনিতেই তাকে অনেক ক’ষ্টে বুঝিয়েছে হুর যে সে ঠিক আছে এখন।হুর জো’ড় করে খাওয়া শুরু করলো। যতো না খাচ্ছে তারচেয়ে বেশি নাড়ছে।
নিঃস্তব্ধ রাতে মাউথ অর্গানে সুর তুলে ল্যাম্পপোস্টের আলোর পথ ধরে হেঁটে চলা মানবীর দিকে তাকিয়ে আছে টরেন্টোবাসী।তাঁদের মধ্যে বাঙালীরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ।চাকরীর সুযোগ সবচেয়ে বেশী এবং সবচেয়ে বেশী বাঙালী এই টরেন্টো অর্থাৎ এই অন্টারিও প্রভিন্সে বসবাস করে।
-“ও চাঁদ সামলে রাখো জোছনাকে…” গান শেষ হওয়ার পর কিছুক্ষণ দুজনই চুপ! তারপর তিতির বলল, -“এই গানটা আমি কখনো শুনিনি। কিন্তু গানটা খুব সুন্দর।” -“এটা অনেক আগের গান। মান্না দে এর গাওয়া। জানি আজকালকার ছেলে মেয়েরা মান্না দে এর গান শোনে না। কিন্তু আমি আবার ওনার অনেক বড় ফ্যান।
বিভোর ভাই কে জ্বলানোর জন্য রিয়া যে এমন করছে সেটা আমি শতভাগ নিশ্চিত। আমি তো ভাবতাম ওরা ফান ই করে কিন্তু বিভোর ভাই এর হাব ভাবে এটা ক্লিয়ার যে উনি রিয়ার প্রতি সিরিয়াস।রিয়ার ভাব দেখেও তাই মনে হচ্ছে।বিভোর ভাই নিয়াজের দিকে তাকিয়ে বললেন নিয়াজ তুমি না রহমান কাকার ছেলে।
দীর্ঘদিন পর সৌধর কল পায় নিধি৷ যে ছেলেটা এক সময় তার সঙ্গে প্রাণখুলে কথা বলত৷ আজ সে যেন প্রাণ বেঁধে উচ্চারণ করল এক একটা শব্দ। একদিন যার কণ্ঠস্বরের প্রগাঢ় নমনীয়তার স্পর্শ সে পেয়েছে। আজ তার প্রকট রুক্ষতা পেয়ে মনটা কেমন বিষণ্ন হয়ে গেল। স্পষ্টভাষী সৌধ কণ্ঠে কাঠিন্য ধরে বলল, ‘ হ্যালো নিধি? ‘
নিচ তলার কমন ওয়াশ রুম দুইটা,একটা গোসলের জন্য।উনি নিচ তলার ওয়াশ রুম থেকে গোসল করে টাওয়াল পরে আজ উপরেই গেলেন।আমি বেশ অবাক হলাম এ ক'দিন উনি উপরেই যান নি।মনে হচ্ছে রাগ কমে এসেছে অনেক খানি।উনি উপরে গিয়ে মামিকে ডাকছেন
মেঘলা কাঁদতে কাঁদতে বলল সারাদিন কেউ আমার সাথে একটা কথা বলে না আমি সারাদিন একা একা থাকি। আমার একদম ভাল লাগে না😔 একটু টিভি দেখতে এসেছিলাম তাও এখন বন্ধ হয়ে গেল।কেউ আমায় সহ্য করতে পাড়ে না এর চেয়ে গ্রামেই ভাল…
নাবিল যখন আকাশ কে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য ব্যাস্ত ঠিক তখন ইরা আর কিছু গুন্ডা এসে নাবিল আর আকাশ কে ঘিরে ধরল।
ইরাঃ তোদের কারোরি আজ আর এখান থেকে ফিরা হবে না।
মাঝরাত! নিস্তব্ধ পরিবেশ। হঠাৎ ঠোঁটে তীব্র ব্য’থা অনুভব হওয়ায় ঘুম ভেঙে গেলো হুরের। ঘুম হালকা হতেই স্পষ্ট বুঝতে পারলো কেউ তার ঠোঁট নিজের ঠোঁট দ্বারা আঁকড়ে ধরে আছে। আঁকড়ে ধরে আছে বললে ভুল হবে লোক টা অনবরত তার ঠোঁট কামড়ে চলেছে। তীব্র ব্য’থায় গুঙিয়ে উঠলো হুর।
আর এদিকে পুরো একদিন কিছুই না খাওয়া সাফওয়ান আর রুমাইশা ডাইনিং টেবিলে বসে গান্ডে পিন্ডে এক গাদা খাবার খেয়ে শেষ করে টলতে টলতে নিজেদের রুমে চলে গেলো। আর বাকিরা হা হয়ে শুধু দেখলো ওদের খাওয়া৷
বাবা ভাইয়া,আম্মু,কাকিমনিরা সবাই এগিয়ে এলো আমাদের দেখে।মাছ,মাংস,ফল সবাই ধরে এগিয়ে নিয়ে গেলো ভেতরে।আয়রা ছুটে এসে বিহান ভাই এর কোলে উঠলো।বিভোর ভাই শালিকা বলে ডেকে চকলেট ধরিয়ে দিলো হাতে।আয়রা চকলেট পেয়ে ভীষণ খুশি।
-'এভাবে কেন নিয়ে এলেন আমায়?'
জড়তা হীন দৃষ্টি নিক্ষেপ করে প্রশ্নটি করায় কিঞ্চিৎ অবাক হলো প্রণয়। বয়সের তুলনায় একটু বেশিই বড়ো বড়ো লাগছে শাহিনুর'কে৷ কথার মাঝে ভয় নেই, দৃষ্টিতে লজ্জা নেই।
-'আল্লাহ আপনে জানেন না?মেজো আপার দেওরের লগে আপনার বিয়া ঠিক। আহা কি সুন্দর পোলাডা। আপনের লগে অনেক মানাইবো।'
পরী চট করে দাঁড়িয়ে গেল।