-' ভাবিজান, এ যাত্রায় ঐ বেশ্যার বাচ্চা বাঁইচা গেলো। কিন্তু চিন্তা করবেন না ওর সঙ্গে আমি জবরদাস্ত ফাইট করেই ছাড়বো। নারী'জাত কে কীভাবে শায়েস্তা করতে হয় তা এই পলাশ খুব ভালো করেই জানে।'
সকাল সকাল গাড়ি ছুটে চলেছে গোয়াইনঘাটের পথে। শহর ছেড়েছে অনেকক্ষণ। গোয়াইনঘাট থেকে নৌকায় করে যাবে বিছনাকান্দি। মুগ্ধ ড্রাইভ করতে করতে বলল, -“একটা সুপুরুষ ছেলের সাথে কিস করতে করতে একটা মেয়ে ঘুমিয়ে পড়তে পারে আমি আগে জানতাম না। তাও আবার দাঁড়ানো অবস্থায়!” তিতির মন খারাপ করে বলল, -“আর কত পচাবে?” -“আজীবন
এই সু তুই কলেজের ভিতরে না গিয়ে বাইরে কী করছিস ? অনুরে সামনের দিকে দেখ , আমি যা দেখছি তুইও কী তাই দেখছিস ? সুদেশনার কথায় অনুরীমা সামনের দিকে তাকায় , চমকে ওঠে সে । এ কী দেখছে ?? তারপর সুদেশনার দিকে তাকায় তার চোখের
বেলা গড়িয়ে ঘড়িতে তিনটে বাজে তখন , মেইন ক্যামপাস একদম শান্ত হয়ে আছে । শুধুমাত্র গানের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। ক্যামপাসে উপস্থিত সবাই , এমনকি হিমাদ্রও হা’ করে স্টেজের দিকে চেয়ে আছে । স্টেজে তখন এক কেশবতী “ ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায় ” গানে নাচতে ব্যস্ত । সে কারোর দিকে তাকাচ্ছে না
আবার উচ্চস্বরে হেসে ওঠে বিন্দু। ওর হাসিতে মুখরিত হয় এই কুয়াশাময় সকাল। খেজুর গাছের উপর থেকে মহেশ মেয়ের হাসির শব্দ শুনে হাঁক ছাড়ে,'কি রে মা কার লগে কথা কইয়া হাসোস??'
নিমিষেই মনে হলো খানিকটা থুতু আমার পেটে প্রবেশ করলো।ওয়াক থুঃনিজের থুতু তাই ফেলে দেই আমি।আর অন্য একজনের টা ভাবতেই কেমন বমি বমি পাচ্ছে আমার।দৌড়ে গিয়ে উনার জানালা দিয়ে সেকেন্ডে সেকেন্ডে থু ফেলছি আমি।বুঝলাম না ওই অসভ্য মানব টা কি অমৃত পান করেছে।উনার ঠোঁটের কোনায় যেনো মহা প্রশান্তি দুষ্টু হাসি।
লেকে পাশাপাশি হাঁটছে দুজন। সন্ধ্যার আঁধার প্রায় নেমে এসেছে। সূ্র্য মামা টাটা বাই বাই জানাচ্ছে। চারপাশটাই এখন গোধুলী লগ্নে ঢেকে আছে। “ফুসকা খাবে?” তুর্যের আকস্মিক প্রশ্নে কিছুটা চমকে যায় পরী। নিজেকে সামলে নিয়ে বলে, “না।” “আরে বাহ্! হলো কী আজ?…
নিরব যাওয়ার সাথে সাথেই মেঘলা বিছানার উপড়ে দাঁড়িয়ে বলল এই যে জল্লাদ টাইপের লোকজন সবাই শোন এখানে এখন থেকে কোন রকম মারামারি হবে না সবাই সবাইকে ভালবাসবে।আমি খুবি লক্ষি মেয়ে তাই এসব মারামারি পছন্দ করি না।
লতিফার খুব ঘাম হচ্ছে। সে বিড়বিড় করে বললো,' তোমারে দেইখা আমার ডর লাগতাছে পদ্ম।'
লতিফার কথা পদ্মজার কানে আসতেই পদ্মজা হাসলো। বললো,' তুমি কখনো খুন করোনি?'
ঝড় আসার ঠিক আগ মুহূর্তে চারপাশ যেমন নিরবতায় ছেয়ে থাকে ঠিক তেমনই পরিবেশ এখন। তাহমিনা বেগমের এতদিন চুপচাপ থাকার কারণটাও সম্পূর্ণ স্পষ্ট। তিনি বাইরের মানুষজনকে জানাতে চান না পরীর প্রতি তার অসন্তুষ্টি। কিন্তু পরীকে তিনি বুঝিয়েছেন। পরীর জায়গা তার মনের…
ঘুমন্ত শাহিনুরকে পাঁজাকোল করে বিরতিহীন হেঁটে চলেছে প্রণয়। তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে বুকে মুখ গুঁজে তপ্ত নিঃশ্বাস ছাড়ছে মেয়েটা৷ প্রতিটি নিঃশ্বাস একদম প্রণয়ের বুকের মধ্যখানে গিয়ে ঠেকছে।
ধুলাময়লা ধুয়ে সতেজ হয়ে উঠেছে প্রকৃতি।দিঘীর পাড়ে কয়েকটুকরো কাঠে আগুন জ্বালিয়ে আগুন পোহাচ্ছি আমরা দুজনে।দুইটা গাছের মাঝ বরাবর আগুন জ্বালিয়ে দুই সাইডের দুইটা গাছে হেলান দিয়ে পিঠ ঠেকিয়ে বসে আছি দুজনে।দুজনের চোখের দৃষ্টি দুজনের দিকেই আছে।দিঘীতে অনেক লাল লাল শাপলা ফুটে রয়েছে বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়ে শাপলা গুলো গোসল করে তাদের রুপ যেনো
লাশটি নৌকায় তুলতেই পূর্ণা ভয়ে কুঁকড়ে গেল। মোর্শেদের পাশ ঘেঁষে বসে। তার মনে হচ্ছে চারিদিক থেকে প্রেতাত্মারা তাকিয়ে আছে। যে কোনো মুহূর্তে ঝাঁপিয়ে পড়বে। ঘাড় মটকে দেবে। ঘাড় মটকানোর কথা ভাবতেই পূর্ণার ঘাড় শিরশির করে উঠল। ‘ভূত,ভূত’ বলে চেঁচিয়ে উঠে।…
চোখের কোণার থেকে অশ্রুজল গড়িয়ে পড়তে লাগল কান্না ভেজা ভাঙা কন্ঠে বলল,, “আপনি যদি এখনি না আসেন তাহলে আমি এই অন্ধকারে সিঁড়ি থেকে নেমে নিজের ক্ষতি করে ফেলবো” আবারো সেই নিরবতা। নিনি অধৈর্য হয়ে রাগে শব্দ করে উঠলো।
চনন্দননগরের যান্ত্রিক শহরে শুরু হলো আবার নতুন দিনের সূচনা । আজকে সোমবার আর এই দিনে স্কুল কলেজ যাওয়ার একটু বেশিই তাড়া থাকে । পুরো সপ্তাহটা চলবে এবার ব্যাস্ততায়। ছুটির দিন গুলো অনেক তাড়াতাড়ি কেটে যায় বোঝাই যায় না । প্রতিদিনের মতো আজকেও স্ট্যান্ডে প্রচুর ভিড়
সুখ, দুঃখ, প্রাপ্তি, অপ্রাপ্তি মিলিয়ে বিবাহিত জীবনের অনেকগুলো দিন পেরিয়ে গেছে। সুহাস, নামীর বিয়ের বয়স আট বছর। আইয়াজ, ফারাহর চার। সৌধ, সিমরানের দু’বছর পূর্ণ হবে আগামী সপ্তাহে। ওদের বন্ধুমহলের সকলেই সফল। ক্যারিয়ার, সংসার নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত। একজন যাও বাকি ছিল তারও বিয়ের সানাই বাজতে চলেছে।
মুগ্ধ-তিতির আলো ফুটতেই মানে ৫ টার দিকে রওনা দিয়েছিল। ৩ ঘন্টা হাটা আর প্রায় ১ ঘন্টা বাস জার্নির পর ওরা থানচি পৌঁছেছিল। থানচি গেস্ট হাউজে ঢুকেই মুগ্ধ রিসিপশনের দিকে গেল। পিছন পিছন গেল তিতির। ঘড়ির কাটা ছিল তখন ৯ টার আশেপাশে।
আমি ভয়ে একটা ঢোক গিয়ে বললাম,”আপনাকে আপনার মায়ের দিব্যি একদম ফেলবেন না।”
শাওন ভ্রুকুচকে বলল,”what!”
আমি এদিক ওদিক তাকিয়ে বললাম, আমাকে নামান।
হাসপাতাল চত্তরে মানুষের ঢল নেমেছে। আশমিনের দলের কয়েকশ লোক এসে জমা হয়েছে সেখানে। সবার চেহারায় তীব্র ক্ষোভ বিদ্যমান। সাধারণ জনগণ ও এসেছে। অনেকে এসেছে তামাশা দেখতে।আবার অনেকেই প্রিয় নেতার খারাপ সময়ে ছুটে এসেছে তাকে একটু শান্তনার বানী শোনাতে। অমি, সানভি আশিয়ান, বাহাদুর সবার অবস্থা ভয়ংকর খারাপ।
সাফওয়ান বাইরে বের হওয়া মাত্রই ক্যামেরার ক্লিকের শব্দে চারদিক ছেয়ে রইলো, কোনো জনমানুষের কন্ঠস্বর সেখানে শোনা গেলো না। এই অত্যান্ত সুপুরুষ ব্যাক্তিটাকে দেখেতেই লেগে গেলো সবাই৷