বেদনার পরিপূরক আর আপনসঙ্গি বোধহয় অন্ধকার।একমাত্র অন্ধকারেই বেদনা কে প্রকাশ করা যায়।মনের মাঝে বেদনা,দুঃখ,কষ্ট দানা বাঁধলে তখন অন্ধকার কেই আপন করে নিতে ইচ্ছা করে আমার।আলো আমি সহ্য করতে পারি না।নিজেকে অন্ধকারে মুড়িয়ে নিকশ কালো অন্ধকারে নীল বেদনা ঢেকে ফেলতে ইচ্ছা করে।মনের মাঝে ভয়াবহ যন্ত্রণা হচ্ছে।কিন্তু কেনো হচ্ছে এই যন্ত্রণা।
আবার এলোযে সন্ধ্যা, শুধু দুজনে। চলোনা ঘুরে আসি অজানাতে যেখানে নদী এসে থেমে গেছে…” গানটা শেষ হতেই তিতির বলল, -“উফফ সত্যি খুব ভাল গান আপনি। আর গানটাও এত জোস। একদম পারফেক্ট এখানে এই পরিবেশে।” মুগ্ধ হাসলো আর খেয়াল করলো তিতিরের ভয়েসটা একটু অন্যরকম হয়ে গেছে। একদম ঘুমে জড়ানো।
আগস্টে আমি আঠাশ বছরে পা দিলাম। আমি নিজেকে শামুকের খোলে মধ্যে গুটিয়ে নেই, আমার ঘর থেকে খুব বের হতাম। কলেজ শেষ, রান্না ঘর আর আমার ঘর আমার সব কিছু ছিল। বাইরের জগতের সাথে একরকম বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ছোটমা বাবু আমার চেহারা দেখে খুব চিন্তিত হয়ে পড়েন। মা চলে যাওয়ার পরে আমি যেন কোন কিছুতে আর খুশি খুঁজে পাইনা। সেই সাদা ঘোড়া আর কোনদিন আমার কাছে ফিরে আসবে না, সেটা আমি ভালো ভাবে বুঝতে পেরে গেছিলাম।
বিয়ের সময় হয়ে গেছে…. বাড়ি ভর্তি মেহমান। আকাশ নিজের রুমে রেডি হচ্ছে, আকাশ মেঘলাকে দায়িত্ব দিয়েছে ইরাকে সাজানোর। মেঘলাও মন দিয়ে সাজাচ্ছে। মেঘলার মুখেও হাসি। সে এসব মেনে নিয়েছে। কিন্তু একজন এই বিয়ে একদমি মেনে নিতে পাড়ছে না সেই একজন…
পিউয়ের বুক কাঁ*পে লজ্জায়। ওই দৃশ্য যতবার মনে পড়ে ততবার সে কেঁ*পে ওঠে। হাঁস*ফাঁস করে। ম*রে যাওয়ার মত অনুভূতি হয়।
পিউ চোখ নামিয়ে মৃদূ হাসল।
নাতি স্বপ্ন'কে কোলে নিয়ে বসে ছিল প্রেরণা। দ্বারের বাইরে শাহিনুরের কণ্ঠ পেতেই চমকে ওঠল ,
-'আম্মা ভেতরে আসব?'
স্বপ্ন'কে সখিনার কোলে দিয়ে নড়েচড়ে বসল প্রেরণা।বলল,
-'আসো আসো দাও দেখি আমার বুবু'কে আমার কোলে দাও।'
আরহামের ব্যথিত দৃষ্টিতে চেয়ে রইলেন হাফসার দিকে।সারাদিনের কান্না দেখার পরও কি এখন মন খারাপ দেখতে হবে!উনি কি বুঝেন?উনার মন খারাপে আমার মস্তিষ্ক এলোমেলো হয়ে যায়!আপনার প্রতি ফোঁটা চোখের পানি আমার হৃদয়ের রক্তক্ষরনের সমপরিমাণ যন্ত্রণা!
সময়টা সকাল ১১ টা নাগাদ হবে , পুরো স্ট্যান্ড গাছপালায় ভর্তি থাকায় সূর্যের কিরণ ঠিক মতো এসে পৌঁছাতে পারছে না সেখানে , কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাএীরা আড্ডা দিচ্ছে গাছের নীচে বসে।চারিদিক থেকে গাড়ির হর্নের আওয়াজ ভেসে আসছে। স্ট্যান্ডের নীচের দিকে পার্ক সাইডে স্কুল ইউনিফর্ম পরিহিত বাচ্চাদের ভিড়, তারা নিজেদের মধ্যে
নিমিষেই মনে হলো খানিকটা থুতু আমার পেটে প্রবেশ করলো।ওয়াক থুঃনিজের থুতু তাই ফেলে দেই আমি।আর অন্য একজনের টা ভাবতেই কেমন বমি বমি পাচ্ছে আমার।দৌড়ে গিয়ে উনার জানালা দিয়ে সেকেন্ডে সেকেন্ডে থু ফেলছি আমি।বুঝলাম না ওই অসভ্য মানব টা কি অমৃত পান করেছে।উনার ঠোঁটের কোনায় যেনো মহা প্রশান্তি দুষ্টু হাসি।
দরজা থেকে দুলাভাই খ্যাক করে গলা পরিষ্কার করার শব্দ করতেই বিহান ভাই কেঁপে উঠে আকস্মিক ভাবে উঠে গেলেন ।আমিও দ্রুত উঠে জামা ঠিক করতে করতে এগিয়ে গেলাম।বিহান ভাই গেঞ্জি টেনে ঠিক করে নিয়ে লজ্জায় নিচের ঠোঁট কামড়ে চুলের মধ্য হাত চালিয়ে দিলেন।উনি যে কি ভীষণ লজ্জা পেয়েছেন সেটা উনার চোখে মুখে স্পষ্ট আর ক্লিয়ার।
বাবা চলে যাওয়ার পরপরই পরী মায়ের কাছে যায়। রেহেনা বেগম তখন রাতের রান্না করছিলেন। পরী হন্তদন্ত হয়ে জিজ্ঞেস করে, “আব্বু এসব কী শুরু করেছে মা?” রেহেনা বেগম একবার পরীর দিকে তাকিয়ে আবার রান্নায় মনোযোগ দেন। তরকারী নাড়তে নাড়তে বলেন, “কী…
পরী আর সেখানে সময় নষ্ট করে না। এক প্রকার জোর করেই পরী হাতটা ছাড়িয়ে নেয়। মেহনুবাকে কিছু না বলেই বাড়িতে চলে আসে। তুর্য অসহায়ভাবে পরীর যাওয়ার পথে চেয়ে থাকে। এক সময় ঘন কুয়াশার আড়ালে পরী মূর্ছা যায়। বাড়িতে এসেই নিজের…
মানুষের অল্প ব্যথা তীব্র হয় আপনজনের সান্নিধ্য পেলে। সিমরানেরও ঠিক তাই হলো। প্রথমে ভাই সুহাস পরে সৌধ। দু’জন পুরুষই তার ভীষণ আপন। সুহাস আপন এতে কোনো প্রশ্ন আসে না, সন্দেহও থাকে না৷ আর সৌধ তার মনের মানুষ। বাবা, ভাইয়ের পর যে পুরুষকে সে সবচেয়ে কাছের ভাবে৷ আপন দৃষ্টিতে দেখে।
মাথায় পেইন হয়েছে এমন একটা ভাব ধরে সুয়ে আছি কেননা বিহান ভাই আবার আগের রুপে অবতরণ করেছেন।এখন উনার মাঝে বর বর কোনো ভাব নেই।এখন মামাবাড়িতে যাওয়া মানেই রিস্ক বিহান ভাই সারাক্ষণ বই পড়াবেন না পারলে অনেক অপমান করবেন।
জীবনে অনেক মানুষের বয়ফ্রেন্ড দেখেছি কিন্তু আমার বয়ফ্রেন্ড এর মতো দুনিয়াতে দেখি নি।মনে হয় ওই এক পিছ ই ওপরওয়ালা সৃষ্টি করেছেন।প্রেমিকা পানিতে পড়ে গিয়েছে কোথায় ঝাপ দিয়ে গিয়ে কোলে করে তুলবে সেটা নয় ক্ষিপ্ত নয়নে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে।উনার চাহনি দেখে হৃদপিন্ড কাঁপা শুরু হলো।আমি ভীতু ভীতু নয়নে উনার দিকে তাকালাম।
দরজা খুলে শাওন রুমে ঢুকতেই আমার ভয় লাগতে শুরু হলো। লাগাটাই স্বাভাবিক। কারন কয়েকদিন আগেই আমি আমার বান্ধবীর ফুলসজ্জার গল্প শুনেছিলাম। ওর বিয়ে মাত্র ১০ দিন আগে হয়েছে। ওর বছস ১৫ বছর। আমার চেয়ে ও ১ বছরের ছোটো। ওর নাম তমা।
আধ ঘণ্টা হবে বাড়িতে ফিরেছে তুর্য আর পরী। বাড়িতে এসেই পরী বিছানায় গা এলিয়ে দিয়েছে। জ্বরটা এখনো কমেনি। রেহেনা বেগম বালতি ভর্তি পানি নিয়ে এসে মেয়ের পাশে বসে মাথায় ঢেলে দিচ্ছেন। পরী চোখ বন্ধ করে চুপচাপ শুয়ে আছে। রেহেনা বেগম…
হুর বাদে সবাই খেতে বসেছে।মিস্টার ফরিদ তা লক্ষ্য করে বললেন, -“হুর মামুনী কোথায়! ও খাবে না?” -“না আঙ্কেল আমি ঐ সময় খেয়েছি। আর খাবো না। পেট ভরা আমার। ” হুর পিছন থেকে এসে বললো। ফাইয়াজ হুরের কথা শুনে বিড়বিড় করে বললো, -“একবারেই যেই রা’ক্ষসীর মতো খেয়েছে আর খাবে কি করে!”
কক্সবাজারে চার দিন ভালোই কাটলো। বাড়ি থেকে একাধারে সবার ফোন, ম্যাসেজ এসেছে। আমরা কেউই সেগুলোর জবাব দেই নি। শুধু পরী আপাকে ফোন করে সমস্ত কাহিনী বললাম। চারদিন পর ঢাকায় ফিরে দেখি সবকিছু থেমে আছে। শাশুড়ী মা একা একা কাজ সামলাতে গিয়ে কোমড় ব্যথা নিয়ে বিছানায় চিতপটাং।
বক্ষঃস্থলে শুরু হলো ঢিপঢিপ ঢিপঢিপ আওয়াজ। সম্মুখের গৌরবর্ণের সুশ্রী পুরুষ'টির দৃষ্টিজোড়া কতো মোলায়েম...