শুনতে পেলো শারমিনের গেঙানিও৷ ঘাড় কাত করে শারমিনের দিকে তাকালো। করুণ কন্ঠে বললো,
-' তুমি আর আমি আরো কিছুকাল বাঁচতে পারতাম শারমিন। '
গোঙাতে গোঙাতেই শারমিন অলিওরের মুখে থুতু ফেললো। সঙ্গে সঙ্গে পলাশ শারমিনের গালে ঠাশিয়ে এক থাপ্পড় মারলো।
অরিএন হতভম্ব হয়ে চিলেকোঠা থেকে বেড়হয়ে এসে একটা চেয়ার টেনে বসে পড়ে ।তার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না ওযাসেনাত তার সাথে এমন ভয়ঙ্কর একটা কাজ করেছে।ইশশশ কি মারাত্মক ব্যাপার.. ভাবতেই অরিএানের গলা শুকিয়ে আসছে।এখন তার প্রচণ্ড পানি খেতে ইচ্ছে করছে। শুধু খেতে না তারতো মাথায় ডালতেও ইচ্ছে করছে।অরিএান এখনও আগের
ইনায়ার চিত্ত পুলকিত হয়। আর্নির ভয় আরও দ্বিগুন বেড়ে যায়। ইনায়ার একহাত খামচে ধরে আতংকিত কন্ঠে জিজ্ঞেস করে,,,
- কি প্রয়োজন ছিলো এই পি'শাচটার সাথে দ্বন্দ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার? ও ইনায়া, সিয়াকে বারণ করো না। বারণ করো ওকে।
মৃদুল গফুর মিয়াকে নিয়ে স্কুলের দিকে আসছিল। দূর থেকে দেখতে পেল মাঠের মানুষজন অস্থির হয়ে আছে। সে গফুর মিয়াকে বললো,'
আব্বা, আপনি আসেন। আমি আগে যাইতাছি।'
সতর্কতা: এই গল্পটির মধ্যে কিছুটা প্রাপ্তবয়স্ক কন্টেন্ট এর দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে, যদিও সরাসরি কোনো অশ্লীলতা নেই তবুও নিজ দায়িত্বে গল্পটি পড়ার অনুরোধ রইলো।
কেমন দেখতে হবে সেই শুচিস্মিতা যে ওকে কোলে নিয়ে ছোটো বেলায় অনেক খেলা করেছে, শীতের রাতে ওকে জড়িয়ে ধরে ঠাণ্ডা থেকে বাঁচিয়েছে। এই সব ভাবতে ভাবতে অভি একসময়ে ঘুমিয়ে পড়ল।
আকাশ মেঘলাকে ভালবাসে কিনা এই নিয়ে এতদিন মেঘলার মনে যথেষ্ট সন্দেহ ছিল কিন্তু আজ এভাবে লিপস্টিক মুছার পর সব সন্দেহ উবে গেছে। ভালবাসা ছাড়া এভাবে একটা মেয়েকে টাচ করার মত ছেলে আকাশ নয় এটা ভেবে মেঘলার খুব আনন্দ হচ্ছে। এদিকে…
নাঈমরা নিজেদের ব্যাগ গুছিয়ে নিয়েছে। পালক কে নিয়ে এখনই শহরে রওনা হবে সবাই। পালকের বাবা মা শহরে থাকেন। ওখানেই দাহ করা হবে পালককে।কোন মুখে ওরা পালকের বাবা মায়ের সামনে দাঁড়াবে তাই ভেবে পাচ্ছে না ওরা।
কে বলে ছেলেরা কাঁ’দে না! এই যে ফাইয়াজ কাঁ’দ’ছে। অ’ঝো’র ধারায় কাঁ’দ’ছে। ফাইয়াজের চোঁখের পানি হুরের নাক মুখ ছুঁয়ে যাচ্ছে। হুরের নিজেরও চোখ থেকে একধারে পানি পড়ছে। এতক্ষন তার মনে হচ্ছিলো সব টা তার চোঁখের সামনে ঘটছে। ফাইয়াজের জীবনে যে এমন কোনো ঘটনা থাকতে পারে তার ধারণাও ছিলো না হুরের।
স্বাক্ষরের গলার আওয়াজ পেয়ে তন্দ্রা পেছন ফিরে তাকাল। এরই মাঝে লোকটা গোসলও সেরে ফেলেছে! এতোক্ষণ তন্দ্রা ঘরটাকে ঘুরে ঘুরে দেখছিল। স্বাক্ষরের ঘরে তার খুব একটা আসা হয় না। একেবারেই যে আসা হয় না তা না‚ মাঝে মাঝে আসে।
সময় প্রবহমান, সময় কারোর জন্য থেমে থাকে না। নবীনবরণ অনুষ্ঠানের পর কেটে গেছে বেশ কয়েক দিন, এই কয়েক দিন সুদেষ্ণারা কেউ কলেজ যায়নি । তার অব্শ্য কারন আছে , চনন্দননগর কলেজে সেকেন্ড সেমিষ্টার এর পরীক্ষা চলছিলো তাই সুদেষ্ণাদের ছুটি ছিলো কাল থেকে আবার কলেজ যাবে। সেকেন্ড সেমিষ্টার এর পর সুদেষ্ণাদের
একসময় নীরবতা ভেঙে মুগ্ধ বলল -“ভাবছো আমি খুব খারাপ?” -“না।” -“তাহলে? কথা বলছো না, দূরে বসে আছো! এসবের কারন কি?” -“কই?” মুগ্ধ তিতিরের কাছে এগিয়ে ওর হাতটা ধরতেই তিতির আচমকা সরে গেল। মুগ্ধ বলল, -“ভয় কেন পাচ্ছো?” তিতির ভাবলো সত্যিই তো, ও কেন ভয় পাচ্ছে! বলল, -“কই নাতো!
শাহিনুর সুদূরপ্রসারী এক ভাবনার অতল গহ্বরে তলিয়ে গেছে। আর শারমিন তার সর্বাঙ্গে দৃঢ়তা বজায় রেখে এক পা দু'পা করে এগিয়ে গেলো কক্ষের ভিতরে থাকা একটি কাঠের আলমারির সামনে।
মেয়েটা ওভাবে কেন বলল? কোন অপরা*ধে? জেনে-বুঝে ওর কোনও ক্ষ*তি আদৌ কি করেছে? আর কেনই বা ওমন ফুটফুটে মেয়েটা আত্মহ*ত্যা করতে যাচ্ছিল? আচ্ছা, ধূসর ভাইয়ের সাথে কিছু হয়েছে কী!
অরিএান অবাক আসলে অবাক বললে ভুল হবে সে ভয়াবহ ভাবে অবাক তার সামনে ঘটে যাওয়া ঘটনা দেখে।ওয়াসেনাত তার বাবার চাইতে বয়স বেশি হবে এমন একজন পুলিশকে ইট নিয়ে তেড়ে যাচ্ছে। অরিএানের মাথায় এটা আসছে না কেনো এমন করছে।কেনো আবার মারার জন্যে😂এই সামান্য কথা কেনো যে অরিএানের মাথায় আসছে না
তারপর হাফসাকে বসিয়ে ওর পেটের মাঝে আলতো করে স্পর্শ করলেন আরহাম।উনার চোখেমুখে খুশি চকচক করছে।ফ্লোরে হাটু গেড়ে বসেছেন আরহাম। হাফসার পেটে আস্তে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে আগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন করলেন, 'একটু কি অনুভব করা যায় তাকে?'
পিছাতে পিছাতে দেয়ালে পিট ঠেকে গেল আমার। উনি আমার অনেক কাছাকাছি চলে এসেছেন। আমি পাশ কাটিয়ে চলে যেতে চাইলাম সাথে সাথে উনি বা হাত দেয়ালে রেখে আমাকে আটকে দিলেন। উনি গম্ভীর মুখে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে।
অন্ধকার কোন ঘর থেকে কারো বিভৎস চিৎকার ভেসে আসছে। মস্তবড় এক গুদাম ঘরের বিলাসবহুল এক রুমে বসে আছে আশমিন। তার পাশের ই কোন রুম থেকে কারোর আর্তনাদ ভেসে আসছে। সোফায় বসে হাটুতে দুই হাত ভর দিয়ে পা নাচিয়ে যাচ্ছে আশমিন। সানভি ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে আছে আশমিনের দিকে।
সন্ধ্যা হতে না হতেই তিতিরের জ্বর মারাত্মক পর্যায়ে চলে গেল। ওকে ডাক্তারের কাছে নিতে হবে। কিন্তু ও কিছুতেই যেতে চাচ্ছে না। উল্টোপাল্টা কথাবার্তা বলছে। অবশেষে মুগ্ধ ওকে জোর করে তুলে নিয়ে গেল। ডাক্তার দেখে বলল, ‘ভাইরাস জ্বর। এন্টিবায়োটিকস দিচ্ছি। চিন্তা করবেন না ঠিক হয়ে যাবে।’
"….আপনি অনেক ভারী।” আমি চোখ ছোট ছোট করে অভিযোগের সুরে বললাম। শাওন আমার কাছ থেকে সরে উঠে দাড়িয়ে কপাল কুচকে আমার দিকে তাকালো। আমিও উঠে বসলাম। শাওন কিছু বলতে যাবে এমন সময় ওর ফোন বেজে উঠল। – হ্যা সুমনা। আমি আড় চোখে তাকালাম।
এনোনের মুখ শক্তপোক্ত হয়ে যায় পকেট থেকে হাত সরিয়ে নিনির কাছে এগিয়ে আসতে আসতে বলল,, সাহস তো তোমার অনেক বেশি দেখি, দাঁড়াও কি করি তোমার সাথে দেখ।” নিনি চমকে উঠে তাকে এগিয়ে আসতে দেখে বুঝতে পারলো সে অতিরিক্তই বলে ফেলেছে। নিনি পিছাতে পিছাতে ঘাবড়ে বলল,,