মানুষের অল্প ব্যথা তীব্র হয় আপনজনের সান্নিধ্য পেলে। সিমরানেরও ঠিক তাই হলো। প্রথমে ভাই সুহাস পরে সৌধ। দু’জন পুরুষই তার ভীষণ আপন। সুহাস আপন এতে কোনো প্রশ্ন আসে না, সন্দেহও থাকে না৷ আর সৌধ তার মনের মানুষ। বাবা, ভাইয়ের পর যে পুরুষকে সে সবচেয়ে কাছের ভাবে৷ আপন দৃষ্টিতে দেখে।
আমি একটু পরে বসার ঘরে যাই, বসার ঘরে পা দিতেই আমার পা মেঝেতে আটকে যায়। বসার ঘরের দেয়ালে একটা বিশাল পেন্টিং ঝুলছে, পেন্টিং টা সক্রেটিসের। সেই পেন্টিঙ্গের এক কোনায় সই করা “অভিমন্যু, 1991.” ছোটমা সেই পেন্টিঙ্গের সামনে দাঁড়িয়ে একমনে সেই দিকে তাকিয়ে থাকেন। সবার চোখ আড়াল করে চোখ মুছে নেন ছোটমা। বুঝতে কষ্ট হয়না যে মায়ের মন তাঁর পুত্রের জন্য কেঁদে উঠেছে। আমি চুপচাপ সরে এলাম সেখান থেকে।
প্রচন্ড মন খারাপ নিয়ে আজ কলেজে গেলাম মুখে হাসি নেই মনের মাঝে গুমট কালো মেঘ জমেছে।ভাইয়াকে ভীষন মিস করছি ছোট বেলা থেকেই ভাইয়া ছাড়া কোথাও গিয়ে থাকিনি।আজ তিনটা মাস ভাইয়া ছাড়া আছি।এই শহরের অলি গলিতে ভাইয়াকে খুজে চলেছি কিন্তু কোথাও ভাইয়ার দেখা পাই নি আমি।আর কোনদিন কি দেখা হবে না আমাদের।
মুখের উপর তুলতুলে কিছুর স্পর্শ পেয়ে সিয়ার ঘুম ভেঙ্গে গেল। কিচ নিজের লেজ দিয়ে ওর মুখে সুরসুরি দিচ্ছিলো। সিয়া চোখ মেলে তাকাল। মশালের আলোয় আলোকিত গুহার চারদিকে নজর বুলাল।
অর্ক বিষন্ন মনে এনজিও থেকে বেড়িয়ে সোজা মেহেনূরদের বাড়িতে চলে আসে।তারপর ওখান থেকে রাওনাফকে নিয়ে এয়ারপোর্টে চলে যায়।
আগস্টে আমি আঠাশ বছরে পা দিলাম। আমি নিজেকে শামুকের খোলে মধ্যে গুটিয়ে নেই, আমার ঘর থেকে খুব বের হতাম। কলেজ শেষ, রান্না ঘর আর আমার ঘর আমার সব কিছু ছিল। বাইরের জগতের সাথে একরকম বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ছোটমা বাবু আমার চেহারা দেখে খুব চিন্তিত হয়ে পড়েন। মা চলে যাওয়ার পরে আমি যেন কোন কিছুতে আর খুশি খুঁজে পাইনা। সেই সাদা ঘোড়া আর কোনদিন আমার কাছে ফিরে আসবে না, সেটা আমি ভালো ভাবে বুঝতে পেরে গেছিলাম।
ভোরবেলা উদয়িনীর কল পেলেন সোহান খন্দকার। সিমরানের জ্বর হয়েছে। আরো একদিন কক্সবাজারে কাটানোর কথা থাকলেও মেয়ের ভয়াবহ জ্বর হওয়াতে ফিরে আসছে উদয়িনী৷ ভোর ছ’টায় রওনা দিয়েছে তারা। এখন বাজে ছ’টা পয়তাল্লিশ। স্ত্রীর ফোনকল পেয়ে সোহান খন্দকার ঘামতে শুরু করলেন। মেয়ের জ্বর নিয়ে সে দুশ্চিন্তা করছেন না। স্ত্রী এমবিবিএস ডক্টর।
হটাৎ করেই ইরা বলে উঠল এবার তোমায় কে বাঁচাবে মেঘলা?
মেঘলা নামটা শোনার সাথে সাথে কেউ যেন ২২০ ভোল্টের শক খেল।
প্রচণ্ড সুশীল প্রকৃতির মেয়ে নামী। আর পাঁচটা মেয়ে রূপ, সৌন্দর্যের দিক দিয়ে তাকে পেছনে ফেলতে পারলেও গুণের দিকে পারবে না। এই মেয়েটি দারুণ মেধাবিনী। শুধু পুঁথিগত বিদ্যাতেই সে সীমাবদ্ধ নেই। বিজ্ঞানের ছাত্রী হলেও সাহিত্যের প্রতি রয়েছে নিবিড় ঝোঁক। পড়াশোনার ফাঁকে ঠিক সমরেশ, রবীন্দ্রনাথ, কাজী নজরুল, শরৎচন্দ্র ইত্যাদি বহু লেখকের বই পড়ে নেয়।
বিয়ের সময় হয়ে গেছে…. বাড়ি ভর্তি মেহমান। আকাশ নিজের রুমে রেডি হচ্ছে, আকাশ মেঘলাকে দায়িত্ব দিয়েছে ইরাকে সাজানোর। মেঘলাও মন দিয়ে সাজাচ্ছে। মেঘলার মুখেও হাসি। সে এসব মেনে নিয়েছে। কিন্তু একজন এই বিয়ে একদমি মেনে নিতে পাড়ছে না সেই একজন…
আশমিন সত্যি সত্যি ই অক্সিজেন মাক্স খুলে নূরের ঠোঁটে চুমু খেলো। নূর হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইলো আশমিনের দিকে। আশমিন সেদিকে পাত্তা না দিয়ে মাক্সটা আবার ঠিকঠাক লাগিয়ে দিলো। নূরের কপালে চুমু খেয়ে মুচকি হেসে বললো, — চিন্তা করো না।
মুগ্ধর মনে হলো রাস্তার দিকটায় কেউ নেই, কারন কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। শুধু জঙ্গলের ভেতর থেকে শুকনো পাতায় পা ফেলার ঝুপঝাপ শব্দ আসছিল। বেশ কিছুক্ষণ পর পায়ের আওয়াজটা কাছে চলে এল। আবার কথোপকথন শোনা গেল। তার মানে ওদের দলের সর্দারটা জঙ্গলে ঢোকেনি, এখানেই ছিল।
দিশান আর তুর্যর হাসি দেখে রাগে পরীর শরীর রিরি করছে। এইদিকে কুকুরটার ভয়ে কিছু বলতেও পারছে না। আর কুকুরটাও! একদম ফাজিলের হাড্ডি। পরীর ওড়না মুখে দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। একদিকে ওদের ওপর রাগ অন্যদিকে কুকুরটার ভয় সব মিলিয়ে জমে গেছে পরী।…
“আমি জানি তুমি শাওনের সাথে ভাল নেই। তাই প্লিজ তুমি শাওনকে ছেড়ে দেও, I will marry you and believe me, you will be happy with me.” সৌরভ বলে উঠল।
শাওন অতিরিক্ত রেগে নিজের ফোন কান থেকে নামিয়ে আবার কানে দিলো। মিটিং এর সবাই শাওনের দিকে হা করে তাকিয়ে রইল।
সে বুঝতে পারছে না কী হতে চলেছে। শঙ্কিত সে। গোপনে ঢোক গিলে একবার আমিরকে আরেকবার পদ্মজাকে দেখলো। পদ্মজা বললো,'কেমন আছেন?'
মৃদুলের অস্বস্তি হচ্ছে। সে দ্রুত জবাব দিল,'ভালো আছি ভাবি। কোনো সমস্যা হইছে?'
নাবিল যখন আকাশ কে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য ব্যাস্ত ঠিক তখন ইরা আর কিছু গুন্ডা এসে নাবিল আর আকাশ কে ঘিরে ধরল।
ইরাঃ তোদের কারোরি আজ আর এখান থেকে ফিরা হবে না।
হকচকিয়ে গেলো রুমাইশা। ভয়ে হাতে ভর দিয়ে বিছানার এক কোণায় সরে গিয়ে আয়েশা কে কল দেওয়ার জন্য ফোনের সুইচ টিপলো ও,
'এ কি! ফোনের নেটওয়ার্ক নেই কেন! কি হলো নেটওয়ার্কের, একটু আগেও তো ছিলো!"
কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের জাঁকজমক আয়োজন করা হয়েছে। বড় বড় বক্সে বিয়ের গান-বাজনা বাজছে। গেট ধরার পর্ব শেষ হলে সবাই গিয়ে ভেতরে বসে। তুর্য সেই পরীদের বাড়ি থেকে শুরু করে এখনো পর্যন্ত পরীর সাথে সাথেই আছে। পরীর সাথে দু’দণ্ড মন খুলে…
ভ্যাম্পায়ার'রা রসুনের সংস্পর্শে আসা তো দূরের কথা, রসুনের গন্ধও সহ্য করতে পারে না। ওরা রসুনের কথা চিন্তা করলেই অস্থির হয়ে উঠে। প্যানিক এ্যাটাকের শিকার হয়।
বাড়িতে আমাদের দুই ভাই বোনের বিয়ে সীমাহীন হাসি আনন্দের মাঝ দিয়ে শুরু হলো বিয়ের সানাই।বাবা আমাকে ডেকে নিয়ে বিহান ভাই এর হাতে হাত ধরিয়ে দিলেন।এক পশলা সুখ যেনো গায়ে হাওয়া দিয়ে গেলো আমার।গহীন অন্ধকার থেকে ঝলমলে আলো এসে পড়লো মনের আঙিনায়।আমার সাথে বার বার কি হচ্ছে কিছুই বুঝলাম না। যেটা হচ্ছে সেটাই […]