-'দেখতেই তো পাচ্ছি ভয়ে কাঁপছেন।'
-'ভয়ে না শীতে কাঁপছি।'
বলতে বলতে শায়ের ওপর পাশ দিয়ে পালঙ্কে উঠে বসে। পরী মুখ ঘুরিয়ে শুয়ে পড়ল।
ওয়াসেনাত প্রচণ্ড বিস্মিত চোখে তার বাবার কথা শুনছে আর ভাবছে তার বাবার মাঝে হঠাৎ রণচণ্ডী রানী কিভাবে ভর করেছে? তার ধারনা মতে রণচণ্ডী মেয়ে তাই এটা মেয়েদের মধ্যে বেশি ভর করে কিন্তু তার বাবার মধ্যে যে কিভাবে এল সে বুঝে উঠতে পারছে না। ওয়াসেনাতের বাবা এবার রিতিমত ঘর কাপাঁনো চিৎকার
বিয়ে হয়ে যায় আমার এবং শাহিনের। আমি হয়ে যাই কারো ঘরনি, কারো অর্ধাঙ্গিনী। বিয়ের অনুষ্ঠানে অলিওরের পরিবারের কাউকে দেখা যায়নি।
ইরা ভাবতে লাগল কিভাবে মেঘলাকে সরানো যায়… । । । এদিকে আকাশের চাচাত বোনের বিয়ে, চাচা চাচী সহ বোন, সবাই বিদেশে থাকে কিন্তু সব আত্নীয় স্বজন দেশে থাকে তাই বিয়েটা আকাশদের বাসা থেকে হবে। জাস্ট ২ দিন পর বিয়ে তাই…
নওশাদ এগিয়ে নিজেও খুজতে লাগল। কুসুম জুম্মান কে চোখ মেরে বলল,'পরী আপার কত শখের নূপুর টা। যে পাইয়া দিব তারে পরী আপা মনে হয় পুরস্কার দিবো। চল জুম্মান ভাল কইরা খুঁজি।'
কি অদ্ভুত আর অধ্যাতিক কথা উনার।উনি ইচ্ছা করেই বাইক এলোমেলো চালানো শুরু করলেন।উনার এই ইচ্ছাকৃত বাইক এলোমেলো চালানোর বিরুদ্ধে ও কিছু বলতে পারছি না।দ্রুত উনার কোমর জড়িয়ে ধরলাম আমি,উনাকে ধরা ছাড়া আর কোনো উপায় ও নেই।উনার পেটের কাছের হুডির কাপড় জোরে খামচে ধরলাম।বাধ্য হয়েই উনাকে আষ্টে পিষ্টে কোমর সহ জড়িয়ে ধরে বসতে হলো আমাকে।অবশেষে বাইক তার গন্তব্য পৌছালো।
গতকাল ও আয়েশার সাথে কয়েক বার কথা বলতে গেছে। কিন্তু আয়েশা গুটিকয়েক কথা ছাড়া আর কিছুই বলেননি।
তাছাড়া আজ সকালে রাফসানের সাথে আয়েশা এই সব বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। সাফওয়ানের এমন কাজে রাফসান ও প্রচন্ড রেগে আছে।
একটা মানুষের মুখের প্রতিটা স্পিলিং এতটা ইমপ্রেসিং কিভাবে হতে পারে বুঝিনা।কথা বলার এটিটিউড ধরণ সব কিছুই আলাদা।নাকি আমার কাছেই উনার সব কিছু এমন স্পেশাল লাগে।
"আমি হাতের মুষ্টি খুলে উনার সামনে ধরলাম।হাতের মাঝে শিউলি ফুল গুলো সুবাস ছড়াচ্ছে।ফুল গুলো আস্তে করে ফেলে দিতেই উনি আমার হাতের নিচে নিজের হাত ধরে ফুল গুলো নিজের হাতে নিয়ে বললেন এবার বস।ভালভাবে জড়িয়ে ধরে বস।ছোট মানুষ কোথায় পড়ে গিয়ে দাঁত ভাঙবি।"
"পড়ে গেলেও আপনাকে ধরবো না।"
শাওন আমার পাশে এসে দাড়িয়ে আমার কপালে হাত দিল। সাথে সাথে আমি ছিটকে দূরে সরে গেলাম আর গায়ে চাদর টেনে নিয়ে বললাম,”টাচ করবেন না একদম আমাকে।”
শাওনকে দেখে মনে হলো না যে ও আমার কথায় পাত্তা দিল।
তুর্য দাঁতমুখ খিঁচে বলে, “শালা বললে কেন?” “একশো বার বলব। এভাবে গাড়িতে তুললেন কেন?” “তো কীভাবে তুলব? কোলে করে?” “আপনার কোলে চড়তে আমার বয়েই গেছ।” তুর্য আর কথা না বলে কামড় দেওয়া হাত ডলতে থাকে। আর একটু পরপর রেগে তাকায়…
দরজার কাছে তাকাতেই দেখলাম দরজা বন্ধ করা। এটার কি মানে?
আর উনি এত যে ঘুমাচ্ছেন! উনি কি আজ অফিস যাবেন না, নাকি?
আমি শাওনের কাধে হাত দিয়ে নাড়িয়ে বললাম, “এইযে শুনছেন! উঠুন এখন আর আমার ওড়নাটা দয়া করে ছাড়ুন।”
ফ্রেস হয়ে একটু বসেছিল হুর এমন সময় ফোনের মেসেজ টোন বেজে উঠলো। ফোন টা হাতে নিতেই বুঝতে পারলো ফাইয়াজের মেসেজ। হালকা হেসে মেসেজ ওপেন করতেই একটা শুকনো ঢোক গিললো হুর। মেসেজে লেখা ছিলো, ~ আর মাত্র কিছু সময় মাই ডিয়ার মিসেস। তারপর সারাজীবনের জন্য আমার ব’ন্দি’নী হয়ে যাবে। প্রস্তুত থেকো।
“এত জলদি কিসের! শো ত মাত্র শুরু!” বলেই শাওন হেটে এগিয়ে আসতে লাগল। আমার সামনের ছেলেটাও রেগে শাওনের দিকে এগিয়ে গেল। কিন্তু পরে তার আর খবর পাওয়া গেল না। কারন এক ঘুষিতে ভয়ে সে কাচুমাচু হয়ে ফ্লোরে পরে আছে।
সময় কারো জন্য অপেক্ষা করেনা।সময় বহমান খরস্রোতার মতো।দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেছে একমাস।এই এক মাসে ইভা আর আরিয়ানের সম্পর্কের বেশ ভালোই উন্নতি হয়েছে।কারণ আমরা সবাই আরিয়ানকে অনেক বুঝিয়েছি যে ওও ইভার সাথেই ভালো থাকবে।তবে দিন শেষে আরিয়ান আমার জন্য একটু হলেও কষ্ট পায়।যতই হোক আমি ওর প্রথম ভালোবাসা বলে কথা।
(গত রাতের ঘটনা) – ” ছাড়ুন আমাকে। লাগছে আমার।” শাওন ওর আঙুল দিয়ে আমার ঠোঁটের লিপস্টিক মুছে দিল। আমি ওনাকে ধাক্কা দেবার চেষ্টা করে বললাম, “শাওন দা প্লিজ ছাড়ুন আমাকে।” *শাওন দা* কথাটা শুনা মাত্র শাওনের খেয়াল হলো যে এটা সুইটি না।
ঘুম পাগলী মেয়েটা হঠাৎ ঘুম বিমুখ হয়ে পড়েছে৷ রাত যত বাড়ে বুকের বা’পাশের চিনচিনে ব্যথাটুকু ততই তীব্র হয়৷ বক্ষঃস্থল জুড়ে আশ্চর্যজনক এক অশান্তি বইতে থাকে সর্বক্ষণ। যে অশান্তি তাকে না ঘুমোতে দেয় আর না প্রত্যাহিক জীবনের কোনো কাজে মন বসাতে দেয়। মন কেবল ক্ষণে ক্ষণে ডুকরে ওঠে, দীর্ঘশ্বাস ফেলে একটি আফসোসে।
কন্যা বিদায়ের পর নিজ ঘরে বিশ্রাম নিচ্ছিল সুজা চৌধুরী। এমন সময় বাড়ির কাজের লোকদের হট্টগোল শুনতে পেল। তানজিম চৌধুরী স্বামীর মাথা টেপা স্থগিত রেখে মাথায় কাপড় তুলে বেরিয়ে এলেন। বারান্দার রেলিং ঘেঁষে দাঁড়িয়ে উঁচু গলায় বললেন, ‘ এই তোরা চুপ করবি? কর্তা বিশ্রাম নিচ্ছে।‘
কাজের চক্করে পড়ে রুমাইশা ফোন টা চেক করার সময় পেলো না৷ কিন্তু কাজ করতে গিয়ে ভুল করতে লাগলো শুধু। মন টা ওর এদিকে নেই৷ মাথায় অনেক অনেক চিন্তা কিলবিল করছে। কোনো কাজ ঠিক মতো হচ্ছে না।
কনফারেন্স রুমে মুখোমুখি বসে আছে আশমিন আর নূর।তার পাশেই আমজাদ চৌধুরী অমি আর সানভি বসে আছে। সবার মুখে চিন্তার ছাপ থাকলেও নূর স্বাভাবিক ভাবে কিছু একটা ভেবে যাচ্ছে।আজ সকাল থেকেই শেয়ারবাজারে তাদের শেয়ারের রেট কমছে।এভাবে চলতে থাকলে কোম্পানি অনেক বড় লসের মুখে পড়বে।