আমার কিছু দুরত্বেই আকাশের নিথর দেহ টা পড়ে আছে আমি আর কিছু ভাবতে পারছি না মাথা যেন ভারি হয়ে গেছে হাত পা জমে গেছে অনেক কস্টে নিজেকে কন্ট্রল করে অশ্রুমাখা চোখে আকাশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আমি।
আকাশ কি করে এত বদলে গেল সেটা বুঝার ক্ষমতা মেঘলার হয় নি।সেই হিসাব মিলানোর চেস্টাও মেঘলা করছে না।
মেঘলা কাঁদতে কাঁদতে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিল।
ইরার মুখে বিজয়ের হাসি মেঘলাকে প্রথম আঘাতটা ইরাই করল....!!
মেঘলা আকাশের হাতে মার খেলেও এমন মারের সাথে পরিচিত না এক একটা আঘাতে মেঘলা মৃত্যু যন্ত্রনা অনুভব করছে।
হটাৎ করেই ইরা বলে উঠল এবার তোমায় কে বাঁচাবে মেঘলা?
মেঘলা নামটা শোনার সাথে সাথে কেউ যেন ২২০ ভোল্টের শক খেল।
আর যেই মেয়েটিকে আকাশ ভাইকে মারার চেষ্টা করল তার জন্যেই বা আকাশ ভাইয়ের এত টান কেন থাকবে...??
সেদিন পালানোর সময় নাবিলকে ভাই কে গুলি করা হয়েছিল আর সেটা নিউজ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল প্রথমে নিউজে শুটের কথা বলা হলেও পরে সেটা আড়াল করা হয়েছিল কারন এটা বললে পুলিশের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হবে।
আবিরের কথাগুলি শুনে আকাশ বাকরুদ্ধ হয়ে গেল....
আবিরঃ এবার লক্ষি মেয়ের মত ঘুমাও আর কখনো যেন রাজনীতির কথা মুখে না শুনি বলে আবির চলে গেল।
মেঘলাঃ ফাউল ছেলে দেখ এবার আমি কি করি রাতেই আমি এখান থেকে পালাব।
নাবিলঃ যা খুশি করুন বাঁধা দিচ্ছি না তো।
শ্রেয়া জনিকে ফোন দিল আর নাবিলের সামনেই সব বলল।
নাবিলঃ মুচকি হেসে সামিরাকে কোলে নিয়ে হাঁটতে লাগল।
মেঘলাঃ আ আমি খারাপ ড্রেস পড়ি নি তো।কেন করল এমন?
আকাশঃ ভালই তো হয়েছে কাঁদছিস কেন? এটা তো মজা পাওয়ার মত বিষয় তুই মজা পাস নি?
মেঘলা অবাক হয়ে আকাশের দিকে তাকাল...
মেঘলা দরজা খুলতেই ভেজা কাপড়েই মেঘলাকে টেনে বাইরে নিয়ে আসল আকাশ।
আকাশঃপাগল হয়ে গেছিস নাকি?এত রাতে এতক্ষন ধরে কেউ ভিজে?
কি ভেবেছিস পানি ঢালেই পরপরুষের ছোঁয়া মুছে যাবে নাকি?