বিস্ময়কর ভালবাসা
গতবছর সেপ্টেম্বর এর শেষের দিকে ইউনিভার্সিটি তে এডমিট হই। কলেজ জীবন শেষে ইউনিভারসির্টি এর জীবনের শুরুটা একটু অন্যরকম অনুভূতি নিজের মধ্যে কাজ করছিল। ইউনিভারসির্টিতে কলেজ জীবন এর থেকে একটু নিয়মিতভাবেই যাতায়েত করতাম। ক্লাস ও করতাম মনোযোগ দিয়ে ইচ্ছে ছিল। ইউনিভারসির্টির টপার স্টুডেন্ট এর তালিকার প্রথমে আমার নাম থাকবে। প্রথম পরিক্ষার ঠিকই টপার হয়েছিলাম। তারপর থেকে ভালই চলতে থাকে। কিন্তু একদিন ক্লাস শেষ করে বাসায় ফিরব বলে ক্লাস থেকে বের হয়ে ডিপার্টমেন্ট এর সামনে আসতেই বৃষ্টিরকোণা গুলো আমার সঙ্গে খেলা করতে শুরু করল। কিন্তু সেই মুহূর্তে বাসায় যাওয়ার খুবই জরুরিতলব ছিল। আজ আম্মু একটু তাড়াতাড়িই বাসায় ফিরতে বলেছিল। কিন্তু বৃষ্টিপাত এর জন্য সেটা আর সম্ভবপর হল না। অতপর আম্মুকে ফোন দিলাম বৃষ্টি হচ্ছে প্রচন্ড আসতে পারব না। আম্মু বলল ঠিক আছে। আম্মুর কথা শুনে একটু সস্থির এর নিশ্বাস ফেললাম। এরপর ব্যাগ থেকে সানজুর আর্ট অফ অয়ার বইটা বের করে পড়তে শুরু করলাম। বই পড়তে পড়তে হঠাৎ আমার চোখ গিয়ে পড়ে আমার পায়ের দিকে আর আমার পা দেখে বিস্মিত হয়ে যায়। কারণ আমার পায়ের সামনে একটি মেয়ের পা ছিল। এজন্য ঘাঢ় উচু করে তাকিয়ে দেখি আমার সামনে একটি মেয়ে দাড়িয়ে আছে। মেয়েটির গঠনরূপ অনেক মোটা এবং হাতে একটি সাদাগোলাপ। এছাড়াও লম্বায় ৫ফুট ২ইঞ্চি এবং দেখতে অসম্ভব সুন্দরী।
.
মেয়েটি আমাকে জিজ্ঞেস করল কেমন আছেন?
-ভাল আছি, কিন্তু আপনাকে তো ঠিক চিনতে পারলাম না?
-আমি আপনাদের ডিপার্টমেন্ট এর একজন।
-ওহ! আচ্ছা। আপনাকে কখনো দেখিনি তো আমাদের ডিপার্টমেন্ট এ?
-আসলে আমি কিছুদিন আগে এডমিট হয়েছি। আর আমি এখানে নতুন এসেছি। আচ্ছা আপনি তো এখান কার স্থানীয় তাই না?
-জ্বি হ্যাঁ।
-আচ্ছা আপনার নাম টায় তো যানা হলো না?
-হৃদয়। আপনার নাম কি?
– মোহনা।
-অসম্ভব সুন্দর আপনার নামটা।
-আপনার নামটাও কিন্তু বেশ ভাল। আচ্ছা আপনি কি আপনাদের শহরটা কি আমাকে ঘুড়িয়ে দেখাবেন?
-কথাটা শুনে নিঃস্তব্ধ হয়ে গেলাম। কি বলব ভেবে পাচ্ছি না।
-এই যে মিঃ রোমিও স্ট্যাচু হয়ে গেলেন যে কিছু বলেন?
-আজীব! আচ্ছা আপনি আমাকে রোমিও বললেন কেন?
-আপনি যেইভাবে চিন্তায়মগ্ন ছিলেন। তখন আমি ডিকশনারিতে রোমান এর অর্থটা দেখলাম রোমিও আছে। এজন্য রোমিও বলেই সম্মধন করেছি।
-আর আপনার নামের অর্থ সব নদীর কূল মিলিয়ে মোহনা! ঠিক আছে। আমাদের শহরটা আপনাকে নিয়ে ঘুড়ে বেড়িয়ে দেখাব। আচ্ছা আপনার বাসা কোথায় বললেন না তো?
-আমাদের বাসা খুলনা। আপনাদের? -রংপুর।
-আর আপনি কি আমার বন্ধু হবেন? খুব ভাল বন্ধু? -আবশ্যই। কিন্তু সর্ত আছে। আপনি অথবা তুমি করে বলতে পারবে না। কারণ বন্ধুত্তের মাঝে এসব আপনি,তুমি মানায় না।
-ঠিক আছে। আর তোকে তাহলে আজকের শুভ দিনে আমাদের নতুন বন্ধুত্তের জন্য সাদাগোলাপ টা তোকে নিরদ্ধায় গ্রহণ করতে হবে।
-এসব ফুল নিতে পারব না। আর সাদাগোলাপ কেন?
-কেন নিতে পারবি না। আর না নিলে তোর সাথে কোন কথা নেই। আর সাদাগোলাপ পবিত্রার প্রতীক এজন্য আমি কারো সাথে প্রথম বন্ধুত্ত করলে। তাকে সাদাগোলাপ দেই।
-ব্যাস! তোর এসব থিওরি আমার বুঝে লাভ নেই। তাহলে তোর হাত থেকে সাদাগোলাপটা আমার হাতে স্থানবদল কর।
-আচ্ছা এই নে।
-খুশি তো এবার?
-হ্যাঁ অনেকটা।
-আচ্ছা বল এবার কোথায় যাবি? বৃষ্টি তো থেমে গেছে।
-হোস্টলে যাব। আর তুই?
-বাসায় যাব।
-আচ্ছা তাহলে বাসায় চলে যা। আগামীকাল আবার দেখা হবে।
-আচ্ছা।
এই বলে ও ক্যাম্পাস এর মধ্যে দিয়ে হোস্টল এর দিকে চলে গেল। আর আমি বাসায় উদ্দেশ্য রওনা দিলাম।
.
অতপর বাসায় ফিরে ওয়াশ রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে রুমে গিয়ে বসা মাত্রই আম্মু এসে হাজির। চোখ গিয়ে পড়ল দরজার পাশে। আম্মু দরজার পাশে দাড়িয়ে আছো কেন ভিতরে আসো। আম্মু এগিয়ে এসে বলল কিরে তোকে না আজ একটু আগে বাসায় আসতে বলেছিলাম। আর আজ এত দেড়ি করে বাসায় ফিরলে যে? আম্মু তোমাকে বললাম না, যখনি বের হব। তখনি বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। আর আজ বাইক নিয়ে যায়নি। এজন্য আসতেও পারিনি। আমি অন্তরস্থল থেকে দুঃখিত আম্মু এবার একটু তোর সেই মুচকি হাঁসিটা হেঁসে চলে যাও রুম থেকে ঘুমাব। অবশেষে আম্মু মুচকি হেঁসে বলল পাগল ছেলে আমার। আবশ্যই আম্মু আমি’ত তোমার কাছে পাগল ছেলেই আর বন্ধু-বান্ধব অন্যদের কাছে অদ্ভুত ছেলে। হঠাৎ করে মনে হল সুন্দরীর ফোন নাম্বারটা নিতে ভুলে গিয়েছি। তখন মনে হলো ধুরত্যারি আমার দ্বারা কোন কাজ এ ঠিক মত হয় না। অতপর রাতের খাবার না খেয়েই দরজা লক করে ঘুমিয়ে পড়লাম।
.
পরদিন প্রভাতে ঘুম ভাঙতেই দরজা খুলতেই দেখি আম্মু আমার দরজার সাথে মাথা হেলিয়ে সুয়ে আছে । আমি এ দৃশ্য দেখে আশ্চর্য়্য হয়ে গেলাম। আম্মুকে ডেকে উঠালাম আর জিজ্ঞেস করলাম। তুমি কি সারারাত এখানেই এভাবে ছিলে? হ্যা! আর তোকে রাতে এতো ডাকাডাকি করলাম। তুই তো কোন সাড়াশব্দও করলি না। তোকে ডাকতে ডাকতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম বু্ঝতেই পারিনি । আর তুই এমন না খেয়ে কখনোই ঘুমিয়ে পড়বি না। তুই যানিস না, তোকে না খাইয়িয়ে আমি কখনো খাইনা। আমি আম্মুর কথাগুলো শুনে আম্মুকে জড়িয়ে ধরে কান্না করলাম। আম্মু তুমি আর কখনো এভাবে আমাকে ডাকতে গিয়ে দরজার পাশে থাকবে না। আচ্ছা তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও দুজনে একসঙ্গে নাস্তা করব। পৃথিবীতে মায়ের ভালবাসার মত আর কোন নিঃশ্বার্থ ভালবাসা হয় না। প্রতিটা মা’ এ তার সন্তানকে আত্মা দিয়ে ভালবাসে। আবশেষে আম্মুর সাথে নাস্তা করে। ইউনিভারসির্টির উদ্দেশ্য বাইক নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম। ভারসির্টিতে ঢুকেই দেখি সুন্দরী আমাকে বাংলা ডিপার্টমেন্ট এর সামনে থেকে হৃদু…হৃদু… বলে চিৎকার করছে। কাছে যেতেই জিজ্ঞেস করলাম। চিৎকার করছিস কেন? আগে বল তুই গতকাল তোর ফোন নাম্বার আমাকে না দিয়ে চলে গেলি কেন?
প্রশ্নটা শুনে স্ট্যাচু! হয়ে গেলাম। তার মানে সুন্দরীও আমার কথা ভেবেছে। অতপর নাম্বার দিলাম আর ওর নাম্বার আমি নিলাম। এরপর দেখি ও আমার নাম্বার রোমিও হৃদু নামে সেভ করল। দেখে ভীষণ আশ্চর্য়্য হয়েছিলাম। কিছু না বলে ওর নাম্বার আমি মোহনা সুন্দরী নামে সেভ করলাম। তারপর বললাম চল ক্লাস যাই। মোহনা বলল চল…
তুই গিয়ে ক্লাসে বস আমি বাইক গ্যারেজ এ রেখে আসছি । তারপর ক্লাস রুমে গিয়ে দেখি আজ তেমন কেউ আসেনি। এজন্য ক্লাস রুম থেকে বের হয়ে এসে ক্যাম্পাসে গিয়ে বসলাম আর মোহনা এসে বলল চলল দোস্ত আজ তুমি আমাকে তোদের শহরটা ঘুড়িয়ে দেখাবি। আচ্ছা চল। আমি গ্যারেজ থেকে বাইক নিয়ে আসছি। আর মোহনা বলল থাম থাম আমি উঠে নেই। কোথায় উঠবি? কোন তোর বাইকে। পাগল না মাথা খারাপ আমার তোকে তুলব আমার বাইকে! তোকে বাইকে নিলে আমার বাইক জান্টুস খুব কষ্ট পাবে, বোধ হয় তোর ওজন সহ্য করতে পারবে না। মোহনা আমার কথা শুনে রেগে বম হয়ে গেল। তারপর বললাম আচ্ছা উঠে বস। অবশেষে বাইক জান্টুস কে কষ্টসাধ্য হলেও। মোহনা সুন্দরীকে নিয়ে ঘুড়তে বেড়িয়ে পড়লাম। আমাদের শহরটায় বেশ কিছু দর্শণীয় স্থানে নিয়ে গিয়ে দেখালাম। আর আমি প্রচন্ড স্পিডে বাইক চালাই, এজন্য মোহনা বলল প্লিজ ধীরে চালা আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। আমি ওর কথা শুনে প্রচন্ড ভয় পেলাম তৎক্ষাণিক বাইক রাস্তার এক পাশে দাড় করিলাম। জিজ্ঞেস করলাম তোর কি হয়েছে এমন করছিস কেন? দোস্ত আমার হার্ট এর সমস্যা আছে। তুই যেভাবে বাইক চালাচ্ছিস এটা দেখে প্রচন্ড ভয় করছিল আর খুব ঘামছিলাম। বিষয়াদি বুঝতে পেরে সরি বলাম। আর বাইক ধীরে চালানো শুরু করলাম। যেভাবে সরকারি চাকুরীজীবীরা বাইক চালায় ঠিক সেই ভাবে।
.
আর এভাবেই চলতে থাকে
মোহনা সুন্দরীর সাথে মেলামেশা। আর আগের চেয়ে কথোপকথন ও বেশি চলতে থাকে। এভাবেই ৬ মাস পার হয়ে যায়। প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরিক্ষা শেষ হল। এবার মোহনা ওর বাসায় চলে যাবে, এজন্য আমি বাস টারমিনাল পযর্ন্ত ওকে ছেড়ে দিয়ে চলে আসলাম। এরপর থেকে মুঠোফোন এ আমাদের যোগাযোগ।
এক সপ্তাহপর…….
মোহনা ফোন দিয়ে বলল আমি খুব অসুস্থ! কথাটা শুনে মনের মধ্যে মোচড় দিয়ে উঠল। আমার সেই মুহূর্তে তেমন কিছু বলার পরিস্থিতে ছিলাম না। হাত থেকে ফোনটা পড়ে গেল। কিছুক্ষণ নিঃস্তব্ধ সময় কাটানোর পর ফোনটা তুলে দেখি ফোনের স্কিনটা ফেটে গেছে, কিছুই দেখা যাচ্ছে না ।
.
দুদিন পর মার্কেটে গিয়ে নতুন একটি ফোন কিনে সিম কার্ড লাগিয়ে ফোন দিলাম মোহনা কে কিন্তু ফোন ধরছিল না কেউ! অনেকবার ফোন দেওয়ার পর ফোন ধরল। আমি বললাম ফোন ধরছিলে না কেন? ওপাশ থেকে বলল ভাইয়া আমি মোহনার ছোট বোন মিতি আপু আপনার বিষয়ে সব আমাকে বলেছে। আর আপুর অবস্থা এখন অনেক খারাপ রাজশাহী মেডিকেল এ এডমিট আছে। আপু আপনার কথা অনেক বলেছে , আপনি যত শীঘ্রই সম্ভব চলে আসুন। অতপর বাইক নিয়েই রাজশাহী মেডিকেল এর উদ্দেশ্য রওনা শুরু করলাম। বাইকের স্পিড মিটারে তাঁকিয়ে দেখি ১৪৩! এতো স্পিড এ কথনো বাইক চালিয়েছি কিনা সন্দেহ! হঠাৎ সামনে একটি বাস হুট করে ব্রেক কষল। আমিও ব্রেক কষে দেখি আমার ব্রেক কাজ করছে না। আমি গিয়ে বাসের পিছনে মেরে দিলাম… তারপর কি হয়েছিল মনে নেই।
.
জ্ঞান ফিরে দেখি আমি হসপিটাল এর বেডে সুয়ে আছি । আম্মু আমার জ্ঞান ফেরা দেখে আনন্দে চোখের জল ফেলছে। আজ আমার ৩দিন পর জ্ঞান ফিরল। আমার ডান পায়ে একটু আঘাত পেয়েছি, এছাড়া তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। আপতত ১ মাস বিশ্রাম এ থাকতে হবে এবং হসপিটালে এডমিট থাকতে হবে। অবশেষে একমাস পর মোহনার কথা মনে পরল। আর এতোদিন ভুলেই গিয়েছিলাম মোহনার কথা!!! অতপর আম্মুর নিকট থেকে আমার ফোন নিয়ে মোহনার নাম্বারে ফোন দিলাম। রিসিভ করল মিতি! মিতির কন্ঠ কেমন যানি শুনাচ্ছিল। জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে? মিতি কাদো কাদো কন্ঠ এ বলল আপু আর নেই! স্টোক করেছে। আপনার সাথে যেদিন কথা বলেছিলাম সেদিন সন্ধ্যায় আপু স্টোক করেছে।
.
কথাটা শোনার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। প্রচন্ড ভেঙে পড়ি। সব কিছু অস্থির লাগছিল, মনে হচ্ছিল সুখের প্রতিমুখ চিরতরে হারিয়ে ফেলেছি! পরক্ষণে মনে হলো আমাকে এই অবস্থান স্থানতর করতে হবে। এজন্য কিছু বন্ধুর সাথে ঢাকা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। ঢাকা গিয়ে মনটা আনন্দে প্রফুল্লিত হয়ে উঠেছিল। কিন্তু আবার আশ্চর্য়্য হয়ে গেলাম। এবার খুব বেশি সক পেয়েছিলাম। কারণ মোহনা কে দেখে আর চিন্তা হচ্ছিল মোহনা তো আর বেচে নেই। তাহলে এটা কে? কি করব বুঝতে পারছিলাম না। এজন্য বন্ধুদের সাথে পরামর্শ করলাম আর বিস্তারিত কথা বললাম কি করা যায়। সবাই বলল ওর সাথে গিয়ে কথা বল।
অবশেষে মনের মাঝে অফুরন্ত সাহসী মনবল নিয়ে সামনে দাড়ালাম।
-কেমন আছো মোহনা?
-দুঃখিত! আমাকে বলছেন?
-হ্যাঁ! কেন তুমি আমাকে চিনতে পারছ না? আমি তোমার রোমিও হৃদু।
-কি বলছেন এসব? আপনি পাগল নাকি?
-সত্যিই তুমি আমাকে চিনতে পারছ না?
-না!
-তাহলে এসব ফটোগ্রাফ কি মিথ্যা? (মোহনার সাথে আমার কিছু ফটোগ্রাফ ছিল। সেগুলো বের করে দেখালাম)
-ওয়েট…ওয়েট! আপনার বাসা কি রংপুরে?
-হ্যাঁ ।
-আপনি রাজশাহী ইউনিভারসির্টিতে পড়েন?
-হ্যাঁ।
-সব বু্ঝতে পেরেছি।
-কি?
-আপনি যার ফটোগ্রাফ দেখালেন, তার নাম মহুয়া জাহান মোহনা। আমার মামাত বোন। আর আমরা দুজনে দেখতে প্রায় একই রকম। আর কিছু পার্থক্য আছে । সেগুলো আপনি বোধ হয় খেয়াল করেনি।
-সত্যিই কিছু বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। জিজ্ঞেস করলাম কেমন পার্থক্য?
-আপনি আপনার মুঠোফোনে যে ফটোগ্রাফ গুলো দেখালেন সেগুলো খেয়াল করেন। আর দেখেন ওর ডান হাতে একটা তিল আছে এছাড়াও ওর ঠোঁটের নিচে বাম দিকে তিল আছে। আর আমার তেমন কোন তিল এ নেই।
আমি সব কিছু মিলে দেখলাম সবকিছু ঠিকই বলছে। মানুষের মাঝে এতোমিল থাকে। কখনো বিশ্বাস করতে পারিনি। আর সত্যিই নিজের অজান্তেই অনেক ভালবেসে ফেলেছিলাম। যা কখনো মুখ ফুটে বলতেও পারিনি। কিছু কথা বোধহয় না বলায় থেকে যায়। জীবনভর শুধু সেই না বলা কথার আক্ষেপ! নিজেকেই যন্তনার অর্থৈ পথে সুমুদ্রে এর স্রোতের মত ঢেউ এর মত চলতে থাকবে প্রবাহমান।