এক রাতের রেট কত তোর…?? কাস্টমারের কাছ থেকে এডভান্স নিস নাকি রাত কাটানোর পর কোনটা?
আচমকা এমন কুৎসিত প্রশ্নে মেঘলা অবাক হয়ে
আকাশের দিকে তাকাল।
মেঘলা এতক্ষন তার নতুন বিএফ এর সাথে রেস্টুরেন্ট এ বসে কথা বলছিল তখনি সেখানে আকাশের এন্ট্রি হয়েছে।আকাশ কে দেখে মেঘলার বুক ধুকপুক করছে কারন সে জানে তার সাথে খারাপ কিছু ঘটতে চলছে।ভয়ে ভয়ে সে উঠে দাঁড়াল ভয়ে মেঘলার গলা শুকিয়ে গেছে।
আকাশ কে দেখতে অনেকটা আহত হিংস্র বাঘের মত লাগছে।চোখ দুটি অসম্ভব লাল হয়ে আছে, শক্ত করে হাত মুষ্টিবদ্ধ করে আকাশ, মেঘলার কাছে এসে বলল
না মানে রেট টা জানলে আমার কয়েকটা বন্ধুকেও রাতে পাঠাতাম তোর কাছে। তোর তো একজন দুজনে হয় না তাই। আর তুই যেহেতু দেখতেও ভাল তাই ওরাও মজা পাবে আর তোর ইনকামটাও ভাল হবে।
আকাশের কথা শুনে মেঘলার প্রায় কাঁদোকাঁদো অবস্থা হয়ে গেছে। সে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। চোখ থেকে টুপটাপ পানি পড়ছে তার।
মেঘলাকে কাঁদিয়ে এবার আকাশ মেঘলাকে ছেড়ে তার পাশে বসে থাকা ছেলেটার দিকে তাকিয়ে বলল তা আপনি ওর কত নাম্বার কাস্টমার জানতে পারি? আসলে আপনাকে দেখে তো ভদ্রলোক মনে হচ্ছে তা এত হোটেল থাকতে এখানে কেনো? দেশে কি মেয়ের অভাব যে এটার পিছনেই পড়তে হল?
ছেলেটি অবাক হয়ে বলল আপনি কে? আর ওকে এভাবে বলছেন কেন?
ছেলেটি মেঘলাকে প্রশ্ন করল কি ব্যাপার মেঘলা তুমি কিছু বলছো না কেন? কে উনি?
মেঘলার গলা শুকিয়ে গেছে তার কথা জড়িয়ে যাচ্ছে তাই সে আমতা আমতা করে বলল উনি আ আ আ আমার এএএ…..
কথাটা শেষ হওয়ার আগেই আকাশ মেঘলার গালে ঠাস করে থাপ্পড় বসিয়ে দিল। তাল সামলাতে না পেড়ে মেঘলা মাটিতে পড়ে গেল। আকাশ থাপ্পড় টা এত জোরে মেরেছে যে মেঘলার ঠোঁট ফেটে ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে।
কিন্তু আকাশের সেদিকে লক্ষ নেই সে গিয়ে মেঘলার চুলের মুটি ধরে টেনে তুলে বলল কি বলতে চেয়েছিলি? আমি তোর এক্স তাই না?
এই একটা কথা কান খুলে চুনে রাখ তুই আমার সাথে ব্রকাপ করলেও আমি করি নি কখনো করবোও না তাই আমি কখনো তর এক্স হব না বোঝেছিস? মেঘলার চুল ধরে রেখেই
আকাশ ছেলেটির দিকে অগ্নিদৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল এটা আমার জিএফ ছিল এখনো আছে আর ভবিষ্যতেও থাকবে বোঝেছিস?তাই তোকে যদি আর কখনো মেঘলার দাড়েকাছে দেখি তাহলে তোর কপালে দুঃখ আছে বলে দিলাম।
ছেলেটি হতবাক হয়ে বলল এসবের মানে কি মেঘলা? আর ভাই আপনি যেই হন শুনুন আমি ওর সাথে গত ৭ দিন থেকে রিলেশানসীপে আছি। তাই আপনার সাথে যাই থাকুক সেটা অতীত।
আকাশঃ সে জন্যই তো বল্লাম কত নাম্বার আপনি?আর আপনি হয়ত জানেন না মেঘলা আমাদের বাড়িতেই বড় হয়েছে এখনো সেখানেই থাকে আর আজ থেকে আমার রুমে থাকবে আর কিছু বলতে হবে?
ছেলেটিঃ মেঘলা তুমি কিছু বলছো না কেন?
মেঘলা কাঁদতে কাঁদতে বলল স্যার ছাড়ুন আমাকে। আমি আপনার সাথে থাকতে চাই না উনার সাথে থাকতে চাই।
আকাশঃ তাই নাকি একবার বাসায় চল তারপর বোঝাচ্ছি তুই কার সাথে থাকবি আর কার সাথে থাকবি না?
ছেলেটিঃ আপনার সাথে ওর যতই রিলেশান থাকুক না কেন ও এখন আর আপনার সাথে থাকতে চায় না তাই আপনি একটা মেয়েকে এভাবে হেরেসমেন্ট করতে পাড়েন না আর আমাদের প্রেমেও বাঁধা দিতে পাড়েন না।
আকাশ ছেলেটিকে বলল মনে হচ্ছে তুই এই এলাকার না। এখানকার হলে আকাশের গার্লফ্রেন্ড এর দিকে চোখ তুলে তাকানোর সাহস পেতি না। যাইহোক কোথায় থাকিস জানি না আর জানতেও চাই না। কিন্তু এটা শুনে রাখ মেঘলার পাশে তোকে যদি আর একবার দেখি তোকে এমন জায়গায় রেখে আসব যেখান থেকে আর কোনদিন ফিরে আসতে পাড়বি না সেদিনেই তোর শেষ দিন হবে বোঝেছিস? আকাশ কি সেটা এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখিস তাহলেই বোঝতে পাড়বি। ভালবাবে বলছি ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে যা।
কথাগুলি শেষ করে মেঘলাকে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে আকাশ।
আর হাঁটতে হাঁটতে বলছে কত বার বলেছি অন্যছেলের সাথে মিশবি না কথা বলবি না আমার এসব সহ্য হয় না। তবুও তুই কথা বলতে চাস তাই আমি মেনে নিয়েছি কিন্তু এখন তুই কথা তো কথা একদম প্রেম করা শুরু করে দিয়েছিস। আর কত সহ্য করব আমি? আজ এর সাথে ত কাল তার সাথে। কিভাবে পারিস রে?
রাস্তা থেকে কুড়িয়ে এনে আমার বাবা মা তোকে এত বড় করে তুলেছে। আমি তোকে এত ভালবেসেছি আজ সব কিছুই ভুলে গেছিস তুই। প্রতিদিন কোন না কোন ছেলের সাথে ফস্টিনস্টি করিস তুই কেন রে আমি কোনদিক দিয়ে খারাপ? আর যদি খারাপই হই তাহলে আগে ভালবেসেছিলি কেন? প্রেম করেছিলি কেন? আমাকে নিয়ে খেলা করতে তাই না? আজ সব খেলা শেষ করব আমি বাসায় চল বোঝাব তোকে।
এদিকে এত জোরে হাত ধরায় মেঘলার ব্যাথা লাগছে কিন্তু আকাশের তা ভোখে পড়ছে না।
মেঘলাঃ আহ আমার লাগছে স্যার ছাড়ুন,ছাড়ুন বলছি।প্লিজ ছাড়ুন ব্যাথা পাচ্ছি।একমনে আকুতি মিনতি করছে মেঘলা।
কিন্তু আকাশের কানে কিছুই ঢুকছে না সে টেনে হিচড়ে নিয়ে যাচ্ছে মেঘলাকে…..