ভালবাসার রাজপ্রাসাদ | পর্ব – ১২ | সর্পকন্যের হাতছানি

বাস থেকে নামল অভি, বুকের মাঝে যেন দুমদুম করে কেউ কিল মারছে। তুলির বাড়ির দিকে যত এগোয় তত যেন ওর হৃদপিন্ড কিল মারে ওর বুকের পাঁজরে। মাথা ঝিনঝিন করে অভির, একটা সিগারেট ধরায়, লম্বা একটানে আগা থেকে অনেক টা জ্বলে ওঠে। বুক ভরে ধোঁয়া নিয়ে কিছুক্ষণ বুকের মধ্যে রেখে ছেড়ে দেয়। মাথার ঝিম ভাব যেন একটু কম মনে হয়। সূর্য অনেক আগে পশ্চিমে ঢলে গেছে। রাস্তার আলো একে একে করে জ্বলে উঠছে। রাস্তায় ধিরে ধিরে লোকের ভির বাড়ছে, কারুর বাড়ি ফিরে যাবার তাড়া, কারুর বিকেলের বেড়ানোর পালা, কেউ দোকানে যাচ্ছে। কল্লোলিনী কোলকাতা নিজের মহিমায় রুপের ছটা বিচ্ছুরন করছে।
কলিং বেল বাজাতেই তুলি এসে দরজা খুলল। তুলিকে সামনে দেখে অভি থ। গাড় বাদামি রঙের ঠোঁটে এক অনির্বচনীয় কামনার হাসি। আজ যেন ওকে আগের থেকে বেশি সুন্দরী আর লাস্যময়ী দেখাচ্ছে। পরনের পোশাক ওর ফুটন্ত শরীরকে ঢেকে রাখার চেয়ে যেন বেশি করে উন্মুক্ত করে তুলে ধরেছে। পরনে একটা ছোটো নীল রঙের স্কার্ট, জানুর মাঝে এসে ফুরিয়ে গেছে। পায়ের গোড়ালি থেকে দৃষ্টি উঠতে শুরু করল অভির, বাঁকা পায়ের গুলি যেন চকচক করছে, তারপরে মসৃণ পেলব জানু স্কার্টের নিচে ঢুকে পড়েছে। নাভির অনেক নিচে বাঁধা স্কার্ট এর বেল্ট, পেটের পাশে একটু মেদের মতন ফুলে উঠেছে, আর তাঁর জন্য নাভির চারপাশের গোল পেট যেন একদলা মাখনের মতন দেখাচ্ছে।

নিতম্ব বেশ পুরুষ্টু কিন্তু একটু ছোটো, বয়সের সাথে সাথে বেড়ে উঠবে। ঊর্ধ্বাঙ্গে হাতকাটা বুকে আটা সাদা রঙের গেঞ্জি। নরম বুকের সাথে লিপ্টে আছে আর সুগোল বক্ষ দুটি কে যে ফুলইয়ে দিয়েছে। দুই বক্ষের যেন ছোটো দুই শৃঙ্গ এবং তার ওপরের নুড়ি পাথরের মতন অঙ্গটি বেশ ভালো ভাবে বোঝা যাচ্ছে। মানস চক্ষে অভি দেখতে পায় যে ওর ঊর্ধ্বাঙ্গে ওই গেঞ্জির নিচে কোন অন্তর্বাস নেই। চাপা গেঞ্জি ওর বুকের সাথে এঁটে বসার দরুন বক্ষ বিভাজন যেন ঠিকরে সামনের দিকে বেড়িয়ে পড়েছে। তুলির গায়ের মাদকতা ময় ঘ্রান অভিকে মাতাল করে তুলেছে।
তুলি এই মোহময়ি রুপ দেখে অভির ভেতরের সিংহ পুরুষটি মাথা চাগিয়ে উঠল। এক হাত কোমরে আর এক হাতে একটা গ্লাস নিয়ে দরজার কাছে দাঁড়িয়ে তুলি, ওর দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসছে।
তুলি, “ওইরকম ভাবে আমাকে কি দেখছ? ভেতরে আসবে না আমাকে এখানে দাঁড়িয়েই গিলবে?”
তুলির গলার আওয়াজ পেয়ে অভি যেন জেগে উঠল, এতক্ষণ কি ও স্বপ্ন দেখছিল? না ওই ত তুলি ওর সামনে, কোমর দুলিয়ে চালে এক ছন্দ তুলে হেঁটে চলেছে। হাঁটার তালে তালে, স্কার্ট টা ফুলে ফুলে উঠছে আর কোমল নিতম্বের ওপরে দুলছে। অভির বুকের ভেতর টনটন করে উঠল ওই দৃশ্য দেখে, থাকতে পারছে না অভি, মনে হল এই যেন তুলিকে জড়িয়ে ধরে দু’হাতে, নিংড়ে নেয় ওর কোমল অধরা যৌবন আর পিষে ফেলে নিজের নিচে। খাবলে, পিষে, নিংড়ে, চুষে একাকার করে দেয় ওর কোমল শরীরটাকে। স্কার্ট বার বার নিতম্বের ওপরে দুলছে, অভির একবার মনে হল যেন দুই নিতম্ব দুই হাতের থাবায় নিয়ে টিপে দেয়। গলার কাছে যেন কামলিপ্সা দলা পাকিয়ে উঠল অভির।
অভি কি করছে, রম্ভার বাঁশির তালে তালে এক কালো অন্ধকার গুহার মধ্যে প্রবেস করছে। মোহাবিস্ট অভির মাথায় কি ঠিক কি ভুল কিছুই বোঝার ক্ষমতা থাকে না।
বসার ঘরে ঢুকে তুলি ওকে সোফার ওপরে বসতে বলে, হটাত করে ওর দিকে ঘুরে তাকায় তুলি আর হাতে নিয়ে যায় অভির বুকের ওপরে। অন্য হাতে যে গ্লাস থাকে তাঁর পানীয় ছলকে ওঠে আর অভির জামা ভিজিয়ে দেয়।
তুলি আঁতকে ওঠে, “ইস আমি বড় দুঃখিত। উফ একি হয়ে গেল। দাড়াও দাড়াও, তুমি শার্ট খুলে দাও আমি ধুয়ে আয়রন করে দিচ্ছি তোমার শার্ট।”
অভি ওর বাঁশির তালে তালে দুলছে। বসার ঘরের চারদিকে চোখ বুলিয়ে নেয় অভি, পন্ডিত শিব কুমার শর্মার সন্তুর বাজছে। ঘরের মধ্যে নীলাভ আলো জ্বলছে। গলা শুকিয়ে গেছে অভির, তুলির মোহময় মাধুর্য দেখে।
ঠোঁট লালায় ভিজিয়ে তুলিকে জিজ্ঞেস করল অভি, “তুমি ত বলেছিলে যে তুমি একা নও, কিন্তু কাউকে ত দেখছি না। আমার সাথে কি খেলা খেলছ তুমি?”
তুলি ওর দিকে জিব বের করে এক মাদকতা ময় হাসি দিয়ে উত্তর দেয়, “তুমি ভীতু নও নিশ্চয়, তাই না অভিমন্যু। আমি তোমাকে বলেছিলাম যে আমি একা থাকব না, সুতরাং আমাকে ভয় কিসে, সাথে কেউ আছে চিন্তা নেই। জামা খুলে সোফায় বস, অভিমন্যু।”
জামা খুলে তুলির হাতে ধরিয়ে দিল অভি। তুলির কামতারিত দৃষ্টি যেন অভির বুকের পরে আগুনের ছেঁকা দিয়ে দিল। অভির ঊর্ধ্বাঙ্গে শুধু হাতকাটা গেঞ্জি। সোফায় হেলান দিয়ে বসে পড়ল অভি। শার্ট টা হাতে নিয়ে ধিরে ধরে ঘর থেকে বেড়িয়ে গেল তুলি। বেড়িয়ে যাবার আগে, ওর দিকে ফিরে তাকাল তুলি, তর্জনী ঠোঁটের কাছে এনে একটা ছোট্ট চুমু ছুঁড়ে দিল অভির দিকে। চোখের ভাষা যেন ওকে পুড়িয়ে দিচ্ছে বাসনার আগুনে।
তুলি, “চমকের জন্য তৈরি থাক অভিমন্যু।”
অভি ঘরের চারদিকে চোখ বুলায়। বসার ঘরখানি বেশ সাজান গুছান, দেওয়ালে বেশ কয়েকটা পেন্টিং ঝুলছে, এক দিকের দেওয়ালে একটা বিশাল কাঁচের আলমারি, তাঁর মধ্যে বই থাকে থাকে সাজান। বেশ কিছু কাপ প্লেট সাজান, বসার ঘরের একদিকে খাবার ঘর, খাবারের টেবিলের ওপরে একটা ফলের ঝুরি রাখা, তাঁর মধ্যে বেশ কিছু ফল রাখা। অভি বসে আছে লম্বা সোফার এক দিকে, দুদিকে ছোটো সোফা রাখা। সোফার সামনে একটা ছোটো কাঁচের টেবিল। কাঁচের টেবিলের নিচে কারপেট পাতা। অভি যেখানে বসে আছে তার ঠিক সামনে একটা ঘর, ঘরের দরজায় একটা পর্দা ঝুলছে, মৃদু মন্দ বাতাসে সেই পর্দা দুলছে। মনে হয় তুলির ঘর ওটা।
মাথা ঘুরিয়ে অন্য দিকে দেখল অভি, ঠিক যেখানে বসে আছে তাঁর পেছনে আর একটা ঘর। সেই ঘরের দরজায় একটা পর্দা ঝুলছে। বাকি ঘরে আলো জ্বলছে না কিন্তু পেছনের ঘরের ভেতর থেকে এক ধিমে আলোর আভাস আসছে। সামনের টেবিলে, তিনটে গ্লাস আর এক বোতল ভদকা। পাশে একটা কাঁচের বাটিতে কাজু, কিসমিস, খেজুর আখরোট রাখা। পাশে একটা ছোটো থালায় আদা আর লেবু, তাঁর সাথে স্যালাড সাজান।
অভি চুপ করে একের পর এক ঘটনা বলি অনুধাবন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিছু পরে আরেকটা সিগারেট ধরাল অভি, বুক ভরে একটান দিল সিগারেটে, যত টা ধোঁয়া এক বারে নেওয়া যায় ফুস্ফুসের মধ্যে সব নিয়ে নিল। ধোঁয়া ছাড়তেই দেখতে পেল যে তুলি ওর দিকে ধিরে ধিরে হেঁটে আসছে।
অভি হাতের মুঠি করে মুখের সামনে নিয়ে এক শয়তানি হাসি হাসল। তুলির চোখেও দুষ্টুমির হসি যেন ওকে তারিয়ে বেড়াচ্ছে।
অভি তুলিকে জিজ্ঞেস করল, “তুমি বাড়িতে একা, তাই ত। বাড়িতে আর কেউ আছে বলে আমার মনে হয় না। তোমার বাবা মা কোথায়, অরুনাভ কোথায়?”
তুলি কিছু না বলে অভির সামনে কাঁচের টেবিলের ওপরে বসে পরে। পাদুটি জড় করে অভিরে পায়ের ফাঁকে ঠেলে দেয়। অভির পুরুষ সিংহ মাথা চাগিয়ে টনটন করে ওঠে, নাভির কাছে চিনচিন করে ওঠে। তুলির স্কার্ট আরও উপরে উঠে গেছে, জানুর অধিকাংশ অভির চোখের সামনে মেলে ধরা। দুই পেলব জানু একত্রিত। সামনে ঝুঁকে তুলি অভির জানুর ওপরে হাত রাখে। তুলির তন্বী শরীরের থেকে যেন কামনার আগুনের হল্কা নির্গত হয়, অভি টের পায় সেই আগুনের তাপ। অভির ঠিক চিবুকের নিচে তুলির অনাবৃত বক্ষ বিভাজন, অভি চোখ সরাতে পারছে না ওই নরম বলয়ের ওপর থেকে।
তুলি ফিসফিস করে অভির ঠোঁটের ওপরে উত্তপ্ত নিঃশ্বাস ছেড়ে উত্তর দেয়, “বাবা মা মামার বাড়ি গেছে, আজ রাতে কেউ বাড়ি ফিরবে না।”
তুলি অভির জানুর ওপরে হাত বুলাতে শুর করে, হাঁটু থেকে জানুর মাঝখান অবধি। অভির নাভির তলদেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে, সারা শরীরে কেউ যেন জ্বলন্ত লাভা ঢেলে দিয়েছে।
অভির কি করা উচিত, ঠোঁটের সামনে যে মদিরা মাখা ঠোঁট মেলে রয়েছে, সেখানে কি চুমু দেবে অভি, না নিজেকে সংবরণ করে খেলার পরিণতি দেখবে। অভি শেষ পর্যন্ত নিজেকে সামলে নিল, ওই গাড় বাদামি রসভরা ঠোঁটে চুমু দিল না।
হটাত করে তুলি ওর দান হাতের পাঁচ আঙ্গুল মেলে ধরল অভির মুখের ওপরে আর ধিরে ধিরে আঙ্গুল বুলিয়ে দিল সারা চেহারায়। কোমল আঙ্গুলের স্পর্শে অভির শিরায় উপশিরায় কামাগ্নির দাবানল দাউদাউ করে জ্বলে উঠল। অভির সিংহ যেন মাথা ফুঁরে বন্ধনের ভেতর থেকে প্রবল ভাবে বেড়িয়ে আসার চেষ্টা করছে।
তুলি মধু ঢালা স্বরে বলে, “এক বার বলো তুমি আমাকে ভালোবাসো।”
নিজের অজান্তেই অভি বুক চিৎকার করে উঠল, “হ্যাঁ তুলি হ্যাঁ, সত্যি তোমাকে আমার খুব ভালো লাগে।” কিন্তু কই, অভির ঠোঁটত নরল না, গলা দিয়ে কোন আওয়াজ বের হল না। অভি হতবাক হয়ে সোফায় বসে রইল, গলা যে ওর শুকিয়ে গেছে, কথা বলার ক্ষমতা টুকু হারিয়ে ফেলেছে।
তুলি, “কি চাও তুমি আমার কাছ থেকে? একটা ড্রিঙ্ক বানিয়ে দেব কি?”
স্থানুর মতন মাথা নাড়ল অভি, হ্যাঁ, ওর গলা শুকিয়ে কাঠ, গলায় পানীয় ঢালতেই হবে। কান মাথা কামের তাড়নায় উত্তপ্ত। পান্টের সামনের দিক ফুলে উঠেছে, পরিষ্কার ভাবে সিংহের অবয়াব পরিস্ফুটিত হয়ে উঠেছে।
তুলি কাঁচের টেবিল থেকে উঠে পরে কারপেটের ওপরে হাঁটু গেড়ে বসে পরে। অভি দুহাত মুঠো করে সামনে ঝুঁকে, মাথা হাতের ওপর দিয়ে মাথা নিচু করে বসে থাকে। ভাবতে থাকে যে ও কেন নিজেকে এত টেনে ধরে রেখেছে, ওর সামনে উন্মুক্ত মদিরার পেয়ালা তাও অভি কেন সেই সুরা পান করছে না, কে ওকে সেই সুরা পান করতে বিরত করছে। বন্ধ চোখের সামনে অভির কামুক মন ধিরে ধিরে তুলিকে নগ্ন করল আর সুধা পান করল।
অভি এই খেয়ালে ডুবে, এমন সময়ে এক অতি পরিচিত সুরেলা আওয়াজ কানে এল, “হাই, কেমন আছো?”
ধিরে ধিরে মাথা তুলল অভি, এই আওয়াজ চেনা কিন্তু কার? তুলির নয়, বা পরীর নয়।
সামনের দরজার দিকে চোখ গেল অভির। দরাজায় অভির জন্য আরও কিছু চমক প্রতীক্ষা করছিল। হাঁ করে তাকিয়ে থাকে অভি, চোখের সামনে চুরনির নধর কামত্তেজক শরীর। পরনে একটা হাঁফ হাতা সাদা শার্ট, সামনের অধিকাংশ বোতাম খোলা, গায়ে আর কিছু নেই।
হতবাক অভি হাত মুঠি করে কামড়ে ধরে, স্বপ্নেও ভাবেনি যে চুরনি এখানে থাকতে পারে। ধিরে ধিরে ও পুরো মতলব টা বুঝতে পারল। এই দুই কামনাতারিত নারী, ওকে ওদের রুপের জালে জড়িয়ে নিয়েছে। ওদের বাজানো বাঁশির তালে অভি পা পড়ছে। অভি যেন নিরুপায় স্থানুর মতন বসে হাঁ করে চুরনির দিকে তাকিয়ে।
চুরনির পরনে শার্ট খানা জানুর খাঁজ পর্যন্ত এসে নেমেছে। কোমরের থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত সম্পূর্ণ অনাবৃত, পেছনে সুডৌল নিতম্ব সম্পূর্ণ অনাবৃত। লাস্যময়ী রুপে দাঁড়িয়ে চুরনি, একপায়ে পুর ভর দিয়ে আরেক পা একটু আগে বাড়িয়ে। ডান হাত মাথার ওপরে তোলা, দরজার কাঠ ধরে নিজেকে হেলান দিয়ে রেখেছে, আর বাঁ হাত ভাঁজ করে কোমরে রাখা। মাথার চুল খোলা, বাঁ কাঁধের ওপর দিয়ে সামনে এসে নরম বুকের ওপরে দোল খাচ্ছে। উন্নত বুক দুটি জামার ভেতরে যেন মারামারি করছে, নিজেদের ওই বস্ত্রের বাঁধন থেকে ছাড়ানোর জন্য। পীনোন্নত বুকজোড়া অর্ধ অনাবৃত, বক্ষ বিভাজনের মস্রন ত্বকের ওপরে ঘরের আলো পেছল খেয়ে পড়ছে যেন।
জামার ভেতর থেকে ঠিকরে বেড়িয়ে আসা উন্নত বুকের ওপরে কোন অন্তর্বাস নেই, বুকের ওপরে দুটি নুড়ি পাথর যেন জামা ফুঁরে ওর দিকে তাকিয়ে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। অভির দৃষ্টি নেমে আসে সরু কটিদেশে, তাঁর পরে ফুলে ওঠা নিতম্বদেশ। সবকিছু যেন ওর হাতের তালুর মতন মেলে ধরা ওর চোখের সামনে। অভির শরীরে বারংবার তরিত প্রবাহ বয়ে চলে। কামুকতার চরম দাবানলে ঝলসান চুরনি এক জানুর সাথে আরেক জানু মৃদু মৃদু ঘষে দেয়। ঘর্ষণের ফলে জামা আরও কিছু ওপরে উঠে আসে জানুসন্ধির কাছে। অভির কামুক চোখ যেন দেখতে চেষ্টা করে যে চুরনি নিচে কোন অন্তর্বাস পড়েছে কিনা। 
দু’চোখ ছোটো করে চুরনি অভির দিকে তাকায়, অভির ক্ষুধার্ত দৃষ্টি চুরনির প্রতিটি বাঁক, প্রতিটি রোঁয়া যেন খুবলে নিতে চায়।
তুলি গ্লাসে ভদকা ঢালা থামিয়ে অভির দিকে হেসে জিজ্ঞেস করে, “চমক কেমন লাগল হানি?”
অভি নিজেকে সামলানোর জন্য হাতের মুঠি কামড়ে ধরল। খুব ধিরে ধিরে মত্ত চালে চুরনি অভির দিকে এগিয়ে এল, যেন একটা সারস পাখি অতি সন্তর্পণে মাছের দিকে হেঁটে এগোচ্ছে। জামার নিচের অংশ জানুসন্ধির কাছে দোল খায়, চলার তালে তালে সুডৌল নিতম্ব কেঁপে ওঠে। জামার নিচের ছায়া, চুরনির পরনের লাল অন্তর্বাস আর ঢেকে রাখতে পারেনা। অভির কাছে এসে, অভির পাশের ছোটো সোফার ওপরে বসে পরে চুরনি।
অভি তাকায় চুরনির মুখের দিকে, ঠোঁটে চোখে যেন মদিরা ঢালা হাসি মাখা। নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে চেহারা মাদকতা যেন কয়েক গুন বাড়িয়ে দেয়।
“এটা কি হতে চলেছে?”
চুরনির মুখের দিকে তাকায় অভি।
পাশে বসে চুরনি, এক জানুর ওপরে আরেক জানু উঠিয়ে দেয়। অভি হাঁ করে মসৃণ পেলব জানু দেখে, মসৃণ ত্বক যেন আল অধবুত আলোর ছটা বিচ্ছুরিত করছে। দুই জানুর সন্ধিক্ষণের ফুলে ওঠা অংশ পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। দুই নরম নিতম্ব যেন অভির হাতের পেষণের অপেক্ষা করছে আর কাতর আহ্বান জানাচ্ছে অভি কে, ওই কোমল নিতম্ব নিয়ে খেলা করতে। ঘন অন্ধকার ময় নিতম্বের বিভাজনে চুরনির লাল অন্তর্বাস হারিয়ে গেছে, আর ফুলে ওঠা কোমল নারী সুধার দোরগোড়ায় ত্রিকোণ কাপড় ভাজে ভাজে জড়িয়ে গেছে।
অভির দৃষ্টি চুরনির বুকের দিকে গেল, যেখানে অভি বসে সেখান থেকে চুরনির উন্নত বুকের একদিক পুর পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। পীনোন্নত শৃঙ্গের ওপরে হাল্কা বাদামি রঙের বলয়ের মাঝের গাড় বাদামি রঙ্গের নুড়ি পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। উত্তপ সেই নুড়ি ফুটে উঠেছে ফুলের কুঁড়ির মতন জামা ভেদ করে। অভির লালসা পূর্ণ দৃষ্টি চুরনির প্রতি অঙ্গে লিপ্সার তরল আগুন মাখিয়ে দিচ্ছে যেন।
এক জানুর ওপরে কুনুইয়ে ভর দিয়ে থুতনি রাখে চুরনি, আরেক হাত হাটুর কাছে এনে গোল গোল করে হাটুর ওপরে হাত বোলায়। জানুর ফর্সা ত্বকের নিচে, হাল্কা নীল শিরা দেখা যাচ্ছে। অভির দিকে লালসা মাখানো দৃষ্টিতে তাকিয়ে জিব বের করে ওপরের ঠোঁটে বুলিয়ে নিল চুরনি। বাঁ কাঁধের ওপরে দিয়ে যে চুলের গুচ্ছ সামনে এসে পড়েছে, সেটা একটু দুলে উঠল আর নগ্ন ত্বকের ওপরে আদর করে দিল।
অভি এমন ভাবে তাকিয়ে ছিল চুরনির দিকে যে ও ভুলে গেছে যে তুলিও ওই ঘরের মধ্যে উপস্থিত।
চুরনি ওর দিকে লিপ্সা মাখানো চোখে তাকিয়ে প্রশ্ন করে, “আমাকে দেখে কি অবাক হয়ে গেছ, মিস্টার অভিমন্যু তালুকদার?”
শয়তানি হাসি হেসে অভি উত্তর দেয়, “তা সত্যি চুরনি, আমি স্বপ্নেও ভাবিনি যে তুমি এখানে থাকতে পার।”
চুরনি, “তোমার ওই লিপ্সা মাখানো দৃষ্টি আমাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে খাক করে দিচ্ছে যে। তুমি কি আমাকে তোমার চোখ দিয়েই পুড়িয়ে চাই করে দেবে, হানি?”
কিছু শক্তি সঞ্চয় করে অভি উত্তর দেয়, “এটা কিন্তু ঠিক হচ্ছে না চুরনি।”
চুরনি, “কি ঠিক হচ্ছে না অভি? তুমি আমাকে সেদিন থেকে অবশ করেছ যেদিন থেকে তুমি আমার রুপের মোহে পরেছ। সেই প্রথম রাতে তুমি আমার সামনে হাঁটু গেড়ে গেয়ে উঠলে, আমি তোমার আচরনে কেঁপে উঠেছিলাম। তোমার ওই দুই বলিষ্ঠ বাহুর মাঝে নিজেকে হারিয়ে দিতে চেয়েছিলাম। সত্যি কথা বল আমাকে, তুমি কি এক বারের জন্যও চাওনি আমাকে তোমার আলিঙ্গনে নিতে, একবারের জন্য মনে করনি আমাকে জড়িয়ে ধরতে?”
উফফ একি ভ্রান্তি, অভি যে ওই গান ওই আচরন প্রান প্রেয়সী পরীর জন্য গেয়েছিল।
গলা খাকরে অভি বলে, “না চুরনি ওই গান আমি তোমার জন্য গাই নি।”
চুরনি, “মিথ্যে কথা বোলনা অভিমন্যু। আমি সে রাতে তোমার চোখে প্রেমের আগুন দেখেছিলাম, আর সেই প্রেমের আগুন অন্তত শুচিস্মিতার জন্য ত হতে পারেনা কখন।”
অভি যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচল, যাক তাহলে চুরনি ওর আর পরীর সম্পর্কের বিষয়ে কিছুই সন্দেহ করেনি।
চুরনি তুলির দিকে তাকিয়ে দেখল যে ওর ছোটো বোন ওর প্রলুব্ধকর খেলা দেখছে এক মন দিয়ে।
চুরনি অভিকে জিজ্ঞেস করল, “আমার এক গ্লাস চাই, তোমার ড্রিঙ্ক করতে ত কোন বাধা নেই তাই ত?”
অভি সোফার ওপরে হেলান দিয়ে সামনের দিকে পা ছড়িয়ে বসে পড়ল। ওর বসার ভঙ্গিমায় পুরুষ সিংহের অবয়াব কাপড়ের নিচ থেকে ফুলে উঠল সবার চোখের সামনে। শরীরের দুপাসে হাত মেলে ধরে সোফার মাথার দিকে ছড়িয়ে দিল অভি। চুরনির আর তুলির চোখ অভির পুরুষালি বুকের ছাতি আর বলিষ্ঠ বাহুর ওপরে বিঁধে গেল। অভি তখন খালি গেঞ্জি পরে।
চুরনি, “আমার বোন কে ভাল লাগে তোমার?”
অভি গম্ভির স্বরে উত্তর দেয়, “না, ভাল লাগে না।”
চুরনি, “মিথ্যে কথা বোলনা, অভিমন্যু। তোমার চোখ পরিষ্কার বলছে যে তোমার আমাদের দুজনকেই একসাথে চাই।”
অভি, “না তুমি যা ভাবছ সেটা ভুল ভাবছ।”
চুরনি ওর দিকে একটা গ্লাস বাড়িয়ে দিয়ে বলল, “এক ঢোক গলায় ঢালও অভিমন্যু। পেষা আদা, একটু লেবুর রস, কিছুটা সোডা আর ভদকা। তোমার মনের কথা এখুনি তোমার ঠোঁটে চলে আসবে।”
গ্লাস ধরিয়ে দেবার সময়ে যেন একটু বেশি সময়ের জন্য চুরনির আঙ্গুল অভির হাতের ওপরে থেকে গেল। কোমল আঙ্গুলের স্পর্শ অভিকে যেন আরও মত্ত করে তুলল।
অভি গ্লাসের দিকে তাকিয়ে চুরনিকে প্রশ্ন করল, “রানাঘাটের এক মেয়ে, কি করে এত সুন্দর ড্রিঙ্ক বানাতে শিখল?”
চুরনি এক গ্লাস ভদকা নিয়ে, লাল ঠোঁটের নিচে গ্লাসের গোল অংশে ঠোঁট বুলিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে উত্তর দেয়, “তুমি ভুলে যাচ্ছও অভিমন্যু, আমি কলেজের পড়াশুনা কাকুর বাড়ি থেকে করেছি। আমার ফুটন্ত যৌবনের পাঁচ বছর আমি কোলকাতায় ছিলাম। আমি হোটেল হিন্দুস্তানের ডিস্কওথেকে গেছি।”
বিস্ময়ে হতবাক হয়ে অভি মাথা নাড়ল, একটা মেয়ে কত আকর্ষণীয় হতে পারে আর এখন সে যেন এক সুন্দরী বিষাক্ত সরপকন্যে।
তুলি হাতে একটা গ্লাস নিয়ে দিদির পাশে সোফার হাতলের ওপরে গিয়ে বসেছে। চুরনির হাত ওর পেলব জানুর ওপরে, স্কার্ট উঠে গেছে জানুসন্ধির কাছে, দুই জানুর মাঝের অঙ্গ পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। পরনের আঁটো কাচুলি তুলির বুক ঢেকে রাখতে পারছেনা।
চোখের সামনে দুই নারীর লাস্যময়ী রুপ যেন অভিকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিচ্ছে। ওরা যেন ক্ষুধার্ত অভির জন্য অপেক্ষা করছে, কখন ওই শয়তান হায়না ওদের ওপরে ঝাঁপিয়ে পরে ওদের যৌবন সুধা নিংড়ে নেবে।
চুরনির দৃষ্টি অভির ফুলে ওঠা সিংহের ওপরে নিবদ্ধ, জিব বের করে নিচের ঠোঁটের ওপরে বুলিয়ে নিল চুরনি।
চুরনি, “তুমি তোমার মনের ভাব আমাদের কাছ থেকে লুকাতে পারবে না অভিমন্যু।”
অভি গ্লাসের সব পানীয় টুকু গলায় ঢেলে দিয়ে মাথার চুলের মধ্যে আঙ্গুল দিয়ে আঁচরে নিল। অভি দৃষ্টি চুরনির জানুর ওপরে, মৃদু মৃদু জানু ঘষছে চুরনি, আর ঘর্ষণের ফলে ফর্সা ত্বক উত্তপ্ত হয়ে লালচে রঙ ধরেছে।
চুরনি ওর দিকে চোখ টিপে জিজ্ঞেস করে, “তুমি কি দেখতে চাইছ যে আমি নিচে কি পড়েছি?” অভি হেসে ফেলে যেন ধরা পরে গেছে। চুরনি মৃদু মাথা নাড়িয়ে বলে, “ঠিক ধরেছ, অভিমন্যু। আমি সেই লাল ছোটো বিকিনি পরে আছি যেটা আমাকে সুব্রত গোয়াতে কিনে দিয়েছিল। তোমার ভাসাভাসা চোখের চাহনি আমাকে অনেক আগেই জানিয়ে দিয়েছিল যে তুমি চাও আমি ওই লাল বিকিনি পরে তোমার সামনে আসি।” অভি সোফার অন্যদিকে দেখল, সেখানে ওর কলেজের ব্যাগ পরে আছে। চুরনি থামলও না, “অন্য দিকে দেখে নি হবে অভিমন্যু। তুমি যদি ফুলের কুঁড়ির মধু খেতে চাও তাহলে তোমাকে এই গোলাপের রসও পান করতে হবে।”
চুরনির হাত তুলির জানুর মাঝে চলে গেছে, অল্প অল্প চাপ দিয়ে আদর করছে তুলির জানুর মাঝের অঙ্গ। থেকে থেকে কেঁপে উঠছে তুলি। তুলি ঝুঁকে পরে, চুরনির মুখ খানি তুলে ধরে অভির চোখের সামনে চুরনির ঠোঁটে ঠোঁট চেপে ধরে। দুজনা কিছুক্ষণ নিজেদের ঠোঁট আর জিব নিয়ে খেলা করে। তুলির চুরনির জামার ভেতরে ডান হাত ঢুকিয়ে দিয়ে কোমল বুক চেপে ধরে, আর অল্প অল্প চাপ দিয়ে চুরনিকে অস্থির কএ তোলে। তুলির হাতের তালুর সুখের স্পর্শে চুরনির বুক কাঁপতে থাকে। অভি দেখতে পায় যে তুলি ওর বুকের ওপরে নুড়ি পাথর দুই আঙ্গুলের মাঝে নিয়ে গোল গোল ঘুরিয়ে দেয়, চুরনি আর থাকতে না পেরে তুলির জানু মাঝে হাত জোরে চেপে ধরে।
সেই দৃশ্য দেখে অভির কান লাল হয়ে যায়, হাত পা শক্ত হয়ে আসে, অভি চিৎকার করে, “স্টপ দ্যাট নাও।”
চুরনি চুম্বন টিকে ভেঙ্গে দিয়ে ফোঁস করে ওঠে অভির দিকে, “কেন? তুমি কি ভীতু যে আমাদের দিকে হাত না বাড়িয়ে বসে আছো?”
তুলির হাত নিজের বুকের ওপরে। দুই হাতে নিজের কোমল বুক নিয়ে খেলা করতে শুরু করে দিয়েছে, তুলি। আধাবোঝা চোখ দিয়ে যেন তরল আগুন ঝরে পড়ছে। অল্প অল্প চাপ দিয়ে গোল গোল করে বুকের ওপরে হাত বোলাচ্ছে তুলি, মাঝে মাঝে কাপড়ের ওপর দিয়েই ফুটে ওঠা উত্তপ্ত নুড়ি আঙ্গুলে নিয়ে ঘুরিয়ে চাপ দিচ্ছে। আধা খোলা ঠোঁট থেকে মৃদু শীৎকার নির্গত হচ্ছে।
আস্তে আস্তে চুরনি সোফা ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়, অভির সামনে দুলকি চালে হেঁটে আসে। অভির ছরান পায়ের মাঝে দাঁড়িয়ে পরে। ওর লালসা মাখানো চোখ যেন চুরনির শরীর ঝলসে দিতে চায়। পরনের শার্ট আর চুরনির অন্তর্বাস লুকিয়ে রাখতে পারে না। লাল সেই ত্রিকনা পাতলা অন্তর্বাস, চুরনির নারী গহ্বরের দোরগোড়ায় আঠার মতন লেপটে। অভির নাকে এক চুরনির গা থেকে বের হওয়া এক তীব্র মাদকতা ময় গন্ধ ভেসে আসে। ওর চোখের সামনে উন্মুক্ত চুরনির গোল নরম পেট। চুরনি সোজা অভির চোখের দিকে তাকায়, অভির চোখ চুরনির লাল অন্তর্বাসের ওপরে নিবদ্ধ। দুই জানু এতই পুরুষ্টু আর মাংসল যে জানুসন্ধির মাঝে যেন এক দানা সরষে যাবার জায়গা নেই।
একটানে চুরনি গা থেকে জামা খুলে ফেলে, সারা গায়ে বিন্দু বিদনু ঘাম। লালসার লেলিহান শিখা ওকে অনেক আগেই উত্তপ্ত করে দিয়েছে, এখন শুধু তৃষ্ণা নিবারনের অপেক্ষায়। পেলব নধর শরীরে সম্পূর্ণ নগ্ন, শুধু মাত্র ছোটো লাল অন্তর্বাস চুরনির নারীত্বের দোরগোড়ায় অতি কষ্টে লেপটে আছে। মাথা তুলে তাকাল অভি, বুকের দুই নরম শৃঙ্গের দিকে, তুলতুলে সেই উদ্ধত শৃঙ্গ যেন লিপ্সার হাতছানি দিয়ে অভির দুই হাত কে ডাকছে।
গাড় বাদামি রঙের বোঁটা যেন দুটি রসাল আঙ্গুর ফল। বোটার চারদিকে হাল্কা গোলাপি বৃত্ত আর অতি ক্ষুদ্র রোম লক্ষ্য করল। লম্বা লম্বা শ্বাস নেওয়ার ফলে ঢেউ খেলে যায় উদ্ধত বক্ষ যুগলের ওপরে দিয়ে। অতি পাতলা হালকা লাল এবং নীল রঙের শিরা বোটার চারদিকের বৃত্তের থেকে বেড়িয়ে বুকের গোলাকারের নিচ পর্যন্ত চলে এসেছে। নরম ত্বক যেন মাখনের মতন। 
অভি দৃষ্টি থেমে থাকেনা, নেমে আসে চুরনির তুলতুলে নরম পেটের ওপরে। গোল পেটের মাঝে সুগভীর নাভিদেশ মনে হয় যেন এক সুন্দর মসৃণ মালভূমির মাঝে এক গভীর কুয়ো। অভির কামুক দৃষ্টি লক্ষ করল যে নাভির নিচ থেকে অতি ক্ষুদ্র রোমের এক অতি ক্ষুদ্র রেখা নেমে গেছে তলপেটের দিকে, হারিয়ে গেছে ঠিক অন্তর্বাসের কাছে এসে। তলপেট একটু খানি মাংসল, উত্তেজনায় কাঁপছে তলপেট আর সেই কাপুনির ফলে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র রোম গুলি দুলছে।
অভির দৃষ্টি নেমে আসে জানুমাঝের নারী অঙ্গের ওপরে, লাল ত্রিকোণ কাপরে ঢাকা চুরনির সুখের গহবর। লাল ত্রিকোণ কাপড় আঠার মতন লেপটে নারী অঙ্গে, কোমরের দুপাসে দড়ি দিয়ে বাঁধা, একটু উঁচু করে বাধার ফলে, পাতলা কাপড় দুই পাপড়ির আর গহ্বরের রুপরেখা মেলে ধরেছে। নিচের সেই পাপড়ি দুটি বেশ ফোলা ফোলা আর পাপড়ির চেরায় কাপড় একটু ঢুকে গেছে, চোখের সামনে চুরনির গহ্বরের ছবি দেখে অভি যেন আর থাকতে পারেনা।
সেই গভীর নারী অঙ্গ থেকে এক মাদকতাময় ঘ্রান অভির নাকে এসে লাগে। অভি দেখতে পায় যে লাল ছোটো ত্রিকোণ কাপড়টি নারীগুহার রসে ভিজে লাল রঙটাকে একটু গাড় করে তুলেছে। কাপড় টি এত ছোটো যে অভির বুঝতে অসুবিধে হলনা যে ওর নারী অঙ্গের চারপাস একদম কামান, মসৃণ।
চুরনি অভির মুখের দিকে তাকিয়ে বাঁ হাত নারীগুহার ওপরে নিয়ে আসে। মধ্যমা আর তর্জনী দিয়ে সিক্ত পাপড়ির মাঝে চেপে ধরে ওপর থেকে নিচ পরজন্য বুলিয়ে দেয়। আলত চাপের ফলে পাতলা কাপড় পাপড়ির মাঝে হারিয়ে যায় আর গোলাপি সিক্ত পাপড়ি দুটি বেড়িয়ে পরে অভির কামার্ত দৃষ্টির সামনে।
অভির সারা শরীরে কামনার আগুন, উত্তেজনায় অভি শক্ত হয়ে সোফার ওপরে বসে। কেন জানে না অভি নিজেকে এখন পর্যন্ত ধরে রেখেছে, হাত বাড়িয়ে একবারের জন্য ছুঁতে চেষ্টা করেনি চুরনির কামতারিত পেলব শরীর টিকে।
মৃদু গুসনের ফলে, রসের গতি যেন বেড়ে যায় চুরনির গুহাতে। আঙ্গুল ভিজে ওঠে আর দুই পাপড়ি চকচক করে রসে। ঠোঁটের কাছে দু আঙ্গুল এনে চুষে নেয় নিজের কামরস।
লালসা মাখানো মৃদুকনে বলে চুরনি, “উম্মম্মম্মম আমার রসের স্বাদ কি মিষ্টি, উম্মম আমি যেন পাগল হয়ে যাচ্ছি, অভি।”
চুরনি অভির মেলে ধরা পায়ের ফাঁকে হাঁটু গেড়ে বসে পরে। হাতের তালু অভির জানুর ওপরে ভর করে সামনের দিকে ঝুঁকে পরে। জিন্সের ওপর দিয়ে জানুর ওপরে নিজের কোমল উদ্ধত বুক চেপে ধরে চুরনি। উত্তেজনায় অভির পুরুষ দন্ড ভেতর কাঁপতে থাকে। উত্তপ সেই লৌহ দন্ড যেন ফেটে পড়ছে। তরল আগুন যেন নাভিদেশ থেকে গলগল করে নিচে নেমে যাচ্ছে। চুরনির চোখের কামনার তরল আগুন অভির শরীরের প্রতি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ঝলসে দিচ্ছে যেন। চুরনি ওর হাত চেপে ধরে অভির জানুর ওপরে আর দলে দেয় অভির কোমর পর্যন্ত। কোমল তুলতুলে বুক জোড়া পিষে ধরে অভির জানুর ওপরে। দুপাশ থেকে যেন ফেটে পড়ছে উদ্ধত বুক, উত্তপ্ত আগুন চুরনির শরীর থেকে ছড়িয়ে পরে অভির শরীরে।
অভির উত্তপ্ত পুরুষ শলাকা উঁকি মারে বেল্টের কাছে থেকে, জানান দেয় নিজের অস্তিত্ব।
চুরনি মাথা দুলিয়ে মাথার চুল অভির জানুর ওপরে নিয়ে আসে। এক মাতান গন্ধে ভরে যায় অভির নাক, বুকের মাঝে এক উত্তাল তরঙ্গ দলা পাকিয়ে উঠে আসে।
অভির প্রচন্ড ইচ্ছে করে চুরনিকে কে টেনে কোলের ওপরে তুলে, একটান মেরে কোমরের কাপড় খুলে ফেলে নিজের শরীরের নিচে পিষে ফেলে ঠাণ্ডা মেঝের ওপরে। ঝুঁকে থাকার জন্য চুরনির নিতম্ব একটু লাস্যময়ী রুপে পেছনে উঁচু হয়ে থাকে। চুরনির ফর্সা ত্বক ঘামে চিকচিক করছে, সারা শরীরের কোটি কোটি রোমকুপ উঠে দাঁড়িয়ে পড়েছে।
অভির খেয়াল নেই যে ঘরের মধ্যে আরও এক ক্ষুধার্ত কামতারিত বাঘিনী উপস্থিত। চুরনি ওর কোমরের নিচ থেকে বাকি অঙ্গ বুকের নিচে চেপে ধরে, অসহায় অভি পুরপুরি ওই ক্ষুধার্ত নারীর কাছে সমর্পিত।
বুক চেপে ধরে এগিয়ে যায় চুরনি, বুকের বিভাজন অভির উত্তপ্ত পুরুষাঙ্গর ওপরে চেপে ধরে। অভি সারা শরীর চুরনির নরম বুকের ছোঁয়া পেয়ে কেঁপে ওঠে। হাত মুঠি করে নেয় অভি, চোয়াল শক্ত হয়ে ওঠে।
চুরনি ওর নরম বক্ষ বিভাজনে উত্তপ্ত পুরুসাঙ্গের ছোঁয়া পেয়ে ককিয়ে ওঠে, “উম্মম… কি শক্ত আর গরম গো। আমি যেন তোমার কাছে হেরে যাচ্ছি অভিমন্যু। যখন তুমি আমাকে গ্রহন করবে তখন যে আমি সুখের জোয়ার মরে যাব। তুমি যে আমাকে দুভাগ করে দেবে, উম্মম… এটা যে এখুনি আমার পেটের মধ্যে ঢুকে ধাক্কা মারছে, অভিমন্যু।”
মাথার চুল অভির কোলে দোল খায়। চুরনি ওর কোমল আঙ্গুল নিয়ে আসে অভির গেঞ্জির নিচে, উঠিয়ে দেয় গেঞ্জি, উন্মুক্ত করে অভির পেশি বহুল পেট। থরথর করে কেঁপে ওঠে অভি, সারা গায়ে অস্বাভাবিক ভাবে ঘাম ঝরছে, চুরনি ও উত্তেজনার তাড়নায় দরদর করে ঘামছে।
চুরনির থুতনি অভির পুরুষাঙ্গের মাথার খুব কাছে, চুরনি যেন অভির রসে ভেজা পুরুসাঙ্গের মাথা খোলা চোখে দেখতে পায়, নাকে যেন অভির কামনার ঘ্রান ভেসে আসে।
হটাত করে অভি চুরনির মাথার চুল মুঠি করে ধরে পেছনে ঠেলে দিতে চেষ্টা করে। কিন্তু চুরনি শক্ত করে ধরে থাকে অভির বেল্ট আর সেই জন্য চুরনির নগ্ন নরম বুক পিষে যায় অভির খালি পেটের ওপরে। একে ওপরের নগ্ন ত্বক প্রথম বার ঘষা খায় আর যেন আগুনের স্ফুলিঙ্গ বার হয় দুজনার শরীর থেকে। চুরনি ইচ্ছাকৃত তার ঊর্ধ্বাঙ্গ অভির পেটের ওপর দিয়ে ঘষে বুকের ওপরে নিয়ে আসে। অভির বিকের ওপরে চুরনির ফুটন্ত বুকের তপ্ত বোঁটা যেন পুড়িয়ে দেয় অভির বুক। চুরনি অভির কঠিন তপ্ত শলাকা পেটের ওপরে অনুভব করে।
অভির কলার মুঠি করে ধরে, কাঁধের পেশির ওপরে নখ বসিয়ে দেয় চুরনি, ফোঁস করে বলে ওঠে, “আমার দেহের আগুন কি তুমি বুঝতে পারছ না অভিমন্যু? কেন নিজেকে বেঁধে রেখেছ, ছেড়ে দাও নিজেকে।” অভির চিবুকের সাথে চুরনি চিবুক দিয়ে স্পর্শ করে। জিব বের করে ঠোঁটের ওপরে বুলিয়ে বলে, “আমাকে গ্রহন করো অভিমন্যু, আমাকে সুখের সাগরে নিয়ে চলো। আমাকে পিষে নিংড়ে নিজের বুকে করে নাও।”
চুরনির চুলের গোছা বাঁ হাতে মুঠি করে ধরে থাকে অভি। সারা মুখের ওপরে চুরনির তপ্ত নিঃশ্বাস বইতে থাকে, যেন লাভা দিয়ে ওর মুখে লেপে দিচ্ছে চুরনি। অভি ওর ঝলসান দুই চোখের দিকে তাকায়, উত্তেজনায় অভির শ্বাস ফুলে উঠেছে। চুরনির উদ্ধত নরম বুকের মাংস অভির প্রসস্থ বুকের পেশির ওপরে মাখনের মতন লেপে গেছে।
আর থাকতে না পেরে অভি চোখ বন্ধ করে মাথা পেছন দিকে হেলিয়ে দেয়। চুরনি অভির অনাবৃত বুকের ওপরে তপ্ত ভিজে ঠোঁট ছুঁইয়ে দেয়। চুরনির হাত ওদের দুজনের শরীরের মাঝে এসে, অভির বেল্টের ওপরে চলে আসে। চেষ্টা করে অভির বেল্ট খোলার জন্য। অভি দুচোখ চেপে বন্ধ করে থাকে, সারা গা শিরশিরিয়ে ওঠে যখন অভি ঠাণ্ডা হাওয়া ওর পুরসাঙ্গের লাল সিক্ত মাথার ওপরে অনুভব করে।
আর থাকতে না পেরে চোখ খোলে অভি, তাকিয়ে দেখে ছাদের দিকে। আচমকা সেই ছাদের থেকে দুটি সুন্দর কাজল কালো নয়ন ওর দিকে তাকায়। সেই দুচোখে জল টলটল করেছে। অভির প্রান প্রেয়সীর চোখ, জলে ভরা, গোলাপি গাল বেয়ে অশ্রু ঝরে পড়ছে। প্রেয়সীর লাল ঠোঁট তিরতির করে কাঁপছে এক তীব্র বেদনায়। দুহাত বাড়িয়ে অভির প্রেয়সী ওকে নিজের কোলে ডাকে। ডান হাতের তর্জনীতে এক ফোঁটা রক্ত, সেই রক্তের ফোঁটা যা ওর প্রেয়সী ওকে উপহার দিয়েছিল নাকো তে।
কোনরকম অভি হাত বাড়ায় কলেজের ব্যাগের দিকে। মনে পরে যায় যে কলেজের ব্যাগে সেই ক্যাসেট রেকরডার টা আছে আর তার মধ্যে একটা খালি ক্যাসেট আছে যেটা ও ভেবেছিল এক বন্ধুর কাছে থেকে কিছু জ্ঞান রেকর্ড করবে। অতি সন্তর্পণে অভি ক্যাসেট রেকর্ডারের টেপ বাটন টিপে দেয়। লাস্যময়ি চুরনি নিজে কার্যকলাপে এতই মগ্ন থাকে যে অভির টেপ চালান টের পায়না।
শরীরের শেষ শক্তি টুকু সঞ্চয় করে অভি চুলের মুঠি ধরে চুরনিকে মাটিতে ঠেলে ফেলে দেয়। ডান হাতের উলটো পিঠ দিয়ে চুরনির গালে সপাটে এক চড় মারে। চুরনই মাটিতে ধপ করে পরে গিয়ে ক্ষুধার্ত বাঘিনির মতন অভির দিকে ক্ষুধ চোখে তাকায়। রাগের ফলে শ্বাস বেড়ে যায় আর তার ফলে নগ্ন বুক জোড়া জোরে জোরে ওঠা নামা করতে থাকে অভি ক্ষুধ চোখের সামনে। চুরনির ডান গালে চড়ের দাগ লাল হয়ে ওঠে, রাগে আর হেরে যাওয়ার দুঃখে সারা শরীর ঘামছে।
দিদিকে পরে যেতে দেখে দৌড়ে আসে তুলি, দুহাতে জড়িয়ে ধরে চুরনিকে। অনেকক্ষণ পরে অভি টের পায় যে ঘরের মধ্যে অদের দুজন ছাড়া তুলিও উপস্থিত ছিল
কোমরের বেল্ট টা ঠিক করে গরজে ওঠে অভি, “ইউ বিচ। তোমার এত সাহস হল কি করে আমাকে নিয়ে খেলা করার? তুমি জানতে যে আমি একজনকে ভালবাসি সেটা জেনেও তুমি থেমে থাকনি, কেন?”
চুরনি ক্ষিপ্ত বাঘিনীর মতন ঝলসে ওঠে অভির দিকে, “তোমার চোখের তপ্ত চাহনি আমাকে পুড়িয়ে খাক করে দিয়েছে, সেটা কেন? তুমি যখন একজন কে ভালবাসতে তাহলে আমার দিকে ওইরকম ভাবে তাকিয়ে ছিলে কেন?”
অভি, “সেটা পুরুষের বীর্যের ধর্ম। তাই বলে আমি রাস্তার যে কাউকে যদি দেখি তার মানে এই নয় যে টাকে নিয়ে আমি বিছানায় শুতে চাই।”
চুরনি, “যখন তুমি কাউকে ভালোই বাসতে, তুমি তাহলে তুলিকে নিয়ে ঘুরেছিলে কেন?”
অভি, “আমার জানার খুব দরকার ছিল তোমাদের মতলব। কিন্তু আমাকে একটা কথা বল, তুমি ত বিবাহিতা আর তা সত্বেও আমার সাথে কি করে এইসব করতে পারলে? তোমার বর, সুব্রত এই সব জানে?”
অভিকে অবাক করে চুরনি উত্তর দিল, “হ্যাঁ আমার বর সব জানে। আমার বর জানে তুমি আমার দিকে কি চোখে তাকাও, আমার বর জানে আজ রাতে আমি এখানে।”
মাথার চুল ধরে সোফার ওপরে বসে পরে অভি। ওর চিন্তা ভাবনা সব যেন মাথার মধ্যে গুলিয়ে যাচ্ছে “হা ভগবান, তোমরা স্বামী স্ত্রী কি ধরনের মানুষ? তোমার এই নোংরা কার্যকলাপের জন্য আমি তোমাকে সত্যি মেরে ফেলব।”
চুরনি ফোঁস করে ওঠে, “তোমার অরুন্ধতি কি আমাদের চেয়েও সুন্দরী আর লাস্যময়ী?”
এই নোংরা মেয়ের ঠোঁটে অরুনার নাম শুনে অভি দিগ্বিদিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। অভি আরেক চড় কষিয়ে দেয় চুরনির গালে এবারে আরও জোরে। চুরনির ফর্সা গালের ত্বক লাল হয়ে ওঠে আর গালের ওপরে চার আঙ্গুলের দাগ বসে যায়।
কেঁদে ফেলে চুরনি, তুলি দিদিকে জড়িয়ে ধরে অভিকে কিছু বলতে যায়। অভি ওর মুখের দিকে তাকিয়ে গর্জে ওঠে, তুই চুপ করে বসে থাক, যেখানে আছিস নাহলে তুই চড় খাবি।”
চুরনির দিকে তাকিয়ে বলে, “তোমার ওই জঘন্য ঠোঁটে আমার দেবীর নাম আনবে না। আমি তোমাকে কেটে কুটিকুটি করে কুকুরদের খাওয়াব।”
তুলির দিকে আঙ্গুল তুলে বলে, “তুই জানতিস আমি একজনকে ভালবাসি তারপরেও তোর সাহস হল কি করে যে আমার সাথে খেলা করিস?”
চোখ ফেটে জল বের হয় চুরনির, হেরে যাওয়ার জল। আহত সাপের মতন ফোঁস করে ওঠে, “তোমাকে এই চড়ের দাম দিতে হবে অভিমন্যু।”
অভি চিৎকার করে ওঠে, “তুমি আমার কি করে নেবে?”
চুরনি, “আমি উলুপিদি কে, আমার শাশুড়ি কে, সবাই কে বলে দেব যে আমাকে একা পেয়ে তুমি আমার শ্লীলতাহানি করেছ।”
অভি, “তোমার মতন নোংরা মেয়েছেলে কে কেউ বিশ্বাস করবে না।”
চুরনি, “ওদের সামনে আমি নোংরা মেয়েছেলে নই অভিমন্যু। ওদের সামনে আমি সুন্দরী সতী বউমা। ওরা সবাই আমাকে বিশ্বাস করবে অভিমন্যু, তোমার কথা নয়।”
অভি হাসে, “আমি অনেক আগে থেকে বুঝতে পেরেছিলাম যে তোমরা আমার সাথে কিছু সাংঘাতিক খেলা খেলবে। যে দেবীর নাম তুমি নিয়েছ, সে আমাকে অনেক আগে সাবধান করে ছিল, কিন্তু আমি মস্ত গাধা, আমি তার কথায় কান দেই নি আর তাঁর খেসারত এখন দিচ্ছি।”
মাটিতে পরা জামা টা চুরনির দিকে সুরে দেয় অভি আর তুলিকে বলে ওর জামা নিয়ে আসতে।
চুরনির দু চোখ দিয়ে জল পরে চলেছে, অভির দিকে লাল চোখে ফোঁস করে ওঠে, “আমি প্রতিজ্ঞা করছি যে আমি এই চড়ের বদলা নেব।”
অরুন্ধতির গম্ভির স্বর অভির মাথার মধ্যে আদেশ দেয়, “পারসিয়াস তুমি মেডুসার ঘন অন্ধকার গুহায় ঢুকে পরেছ। তোমাকে লড়ে যেতে হবে না হলে তুমি পাথরের মূর্তি হয়ে যাবে। তোমার তরয়াল বার কর পারসিয়াস আর কেটে ফেল মেডুসার মাথা।”
চুরনি জামাটা কোনোরকমে গায়ে জড়িয়ে ছোটো কাঁচের টেবিলের একপাসে বসে পরে। এর মাঝে তুলি অভির জামা নিয়ে আসে, অভি ছিনিয়ে নেয় জামা আর গায়ে গলিয়ে নেয়।
অভি ব্যাগের ভেতর থেকে ওয়াকম্যান বের করে চুরনির চোখের সামনে দোলায়। ভয়ে চুরনির সারা সারা মুখ ফ্যাকাসে হয়ে যায়। অভি বলে, “আমার কাছে প্রমান আছে, চুরনি। আমাদের সব কথা এই ওয়াকম্যানে টেপ করা। আমি জানতাম আমার সাথে এই রকম কিছু একটা হতে পারে তাই তৈরি হয়ে এসেছিলাম আমি।”
কথা শুনে চুরনি স্থম্ভিত হয়ে যায়, গা হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে আসে ভয়ে। কাতর চোখে অভির দিকে তাকিয়ে থাকে চুরনি। হাত দিয়ে চোখ মুখ মুছে নেয়।
অভি, “চুরনি নিজেকে পাল্টাও নাহলে তুমি বাজারু মেয়েছেলে হয়ে যাবে আর তার পরিণতি হবে বেশ্যালয়ে।”
অভি কথা শেষ করে, ব্যাগ কাছে ফেলে দরজার দিকে পা বাড়ায়, কার্পেটের ওপরে পরে থাকে দুই আহত, বিক্ষিপ্ত নারী। দরজা খুলে বাইরে বের হয় অভি।
পেছন থেকে চিৎকার করে ওঠে চুরনি, “অভিমন্যু, তুমি কি জানো তুমি কে? তুমি অর্জুনের সব থেকে বীর পুত্র, যে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধক্ষেত্রে প্রান হারিয়েছিল। তুমি সাহসী হতে পার, তুমি বীর হতে পার কিন্তু শেষ পর্যন্ত তোমার হার নিশ্চিত, অভিমন্যু। এটা আমার অভিশাপ।”
পেছনে তাকায় না অভি, দরজা বন্ধ করে তুলির বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসে।

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।