-'যদি পুরষত্ব দেখাতে হয় তাহলে আমার হাত খুলে দেখা।'
কবির আদুরে স্বরে বলে,'নাহ,বাঘীনিকে সবসময় খাঁচায় বন্দি করে রাখতে হয়। নাহলে যে আক্রমণ করে বসে। তুমি জানো না বুঝি?'
নওশাদ আফসোসের সুরে বলে,'তোমাকে এভাবে দেখে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে পরী। কতো ভালোবাসলে তুমি শায়ের কে। কিন্ত সে তোমাকে ধোঁকা দিয়ে মোটেও ভালো করেনি।'
-'আমি সব জানতে চাই??তারপর কি হয়েছিল?'
-'মেয়ে হয়ে যদি বাবাকে খুন করার ইচ্ছা পোষণ করো তাহলে আমি বাবা হয়ে কেন পারবো না?'
-'আমি তার সাথে লড়াই করিনি। তাকে তার প্রাপ্যটুকু দিয়েছি। ভালোবাসা নিয়ে নোংরা খেলা আমি পছন্দ করি না।'
পরী শায়েরের বুকে মাথা রাখে। আর শায়ের স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে নিজের তৃষ্ণা মেটায়। এ যেন বহুক্ষণের পিপাসা।
-'আমার হাতে যদি ছুরি থাকতো আর সেটা যদি আপনার বুকে গেঁথে দিতাম তাহলে কেমন হতো মালি সাহেব?'
-'চুপ থাক পরী। অনেক হয়েছে,শুধু শায়েরের জন্য তোকে বাঁচিয়ে রেখেছি। তোকে তো তাড়াতাড়ি শেষ করে দেব।'
পরী গলা উচিয়ে বলে,'বের হন অন্দর থেকে নয়তো লা*শ পড়ে যাবে।'
শেফালি কাচুমাচু করে সামনে এসে দাঁড়াল,'বড় কর্তা আমি কুসুম রে দেখছি বিষ মিশাইতে।'
-'দেখছেন ভাই আপনার মেয়ে এখনই আমাদের মা*রার পরিকল্পনা সেরে ফেলছে। শেফালি না বললে তো আমরা শরবত খেয়েই ম*রে যেতাম।'
ছু*রি*টা নিয়ে পালঙ্কের দিকে এগিয়ে গেল নওশাদ। ইচ্ছামতো ছু*রি চালালো শুয়ে থাকা ব্যক্তির শরীরে। নওশাদ ভাবছে নিশ্চয়ই পরীর শরীর এতক্ষণে ক্ষ*ত বি*ক্ষ*ত হয়ে গেছে।
শায়ের দম ফেলে পরীর দিকে তাকাল। পরী এখনও শায়েরের বুকে মাথা রেখে আছে। শায়ের বলল, 'আপনি কি শুনছেন পরীজান?'
'হুম শুনছি। আপনিও তো টাকার জন্য খু*ন করেছেন।'
তিনদিন পর শায়েরের ফাঁ*সি!! এতকিছু কীভাবে হল? এর মধ্যে হয়তো কোন সত্য লুকানো আছে। সে জিজ্ঞেস করে,'কি বলছো তুমি নাঈম? সত্যি তার ফাঁ*সি? কিন্ত কেন?'