সিরিজ অফিডিয়ান

একটি অন্যন্য গল্প সিরিজ #অফিডিয়ান। এই গল্পটির প্রতিটা পর্ব পাঠক রোমাঞ্চ অনুভব করবে। এই কাহিনীতে একটি অস্বাভাবিক মানবের বিদ্ধস্ত জীবন কিভাবে একটি স্বাভাবিক মানবী পরির্বতন করে সেই ব্যাপারে পাঠক জানতে পারবে। এক কথায় গল্পটি পাঠক/পাঠিকাদের জন্য নতুন দরজা খুলে দিয়েছে।

অফিডিয়ান | পর্ব – ৬১

হঠাৎ তার অ্যাপার্টমেন্টের দরজায় নক পড়লো। লোক টা খাওয়া থামিয়ে দরজায় নক দেওয়া ব্যাক্তি টাকে ভেতরে আসার অনুমতি দিলো। আর তখনি অ্যাপার্টমেন্টের ভেতর হন্তদন্ত হয়ে প্রবেশ করলো দুজন যুবক। ঢুকেই তাদের ভেতর থেকে একজন লাঞ্চরত ব্যাক্তি টার উদ্দ্যেশ্যে ইংরেজিতে বলে উঠলো, — ম্যাথিউ আপনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বস।

অফিডিয়ান | পর্ব – ৬২

সাফওয়ান প্রথমে নিজের হাত দিয়ে কয়েকবার ধাক্কা দিলো ঢাকনা টায়, কিন্তু কাজ হলো না। এদিকে নোংরা পানির সংস্পর্শে এসে রুমাইশা বার বার হাচি দিচ্ছে। সাফওয়ান কে আগের থেকেও বেশি শক্ত করে আকড়ে ধরে রেখেছে ও। পানি টা থেকে গন্ধ আসছে বিচ্ছিরি, রুমাইশার গা গুলাচ্ছে, কিন্তু কিছুই করার নেই।

অফিডিয়ান | পর্ব – ৬৩ | প্রথমাংশ

টাল সামলাতে না পেরে সোফার ওপর থেকে সজোরে নিচে পড়ে গেলো সাফওয়ান। ওর ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়লো রুমাইশা। পাইলটিং রুম থেকে জোনাস দৌড়ে এসে উত্তেজিত গলায় বলল, — কারা জানি ফাইটিং জেট থেকে আমাদের জেটের ওপর বুলেট ছুড়েছে।

অফিডিয়ান | পর্ব – ৬৩ | দ্বিতীয়াংশ

পেছন থেকে হারবার্টের ছেলেরা এসে কতদূর পৌছেছে তা জানে না সাফওয়ান। কখন না জানি ওরা নাগাল পেয়ে যায় ওর আর ওর প্রাণপ্রিয় স্ত্রীর! সাফওয়ান খুবই দ্রুততার সাথে আশেপাশে গিয়ে কোনো এক জায়গা থেকে এক বোতল পানি নিয়ে এক প্রকার ছুটে এলো আবার গাড়ির কাছে।

অফিডিয়ান | পর্ব – ৬৪

পরমুহূর্তেই রুমাইশাকে ভয়ের চুড়ান্ত সীমায় নিয়ে গিয়ে গুহা গুলোর ভেতরের সবচেয়ে বড় গুহা টা থেকে নিজের মাথা বের করলো বিশাল এক পাইথন, যার আকার দেখে রুমাইশার চোখ উলটে যাওয়ার জোগাড়। দানবের মতো গুহার ভেতর থেকে একটু একটু করে বের হয়ে আসছে সেটা৷

অফিডিয়ান | পর্ব – ৬৫

মেহমান রা সব বাড়ির ছাদের দিকে এগোচ্ছে৷ সেখানে চিলেকোঠার রুমের পাশের ফাকা জায়গাটাতে স্টেজ তৈরি করা হচ্ছে, রাতের জন্য৷ গায়ে একটা সাদা রঙা পাঞ্জাবি পরে রাফসান সেসবের তদারকি করছে৷

অফিডিয়ান | পর্ব – ৬৬

রুমাইশা কে জড়িয়ে ধরে বসে আছে আয়েশা। তার চোখের কোণে পানির রেশ। মাঝে মাঝেই আচলের কোণা দিয়ে চোখের কোণ টা মুছে নিচ্ছেন তিনি। শামসুল আর ইশতিয়াক দুজনে এক জায়গায় বসে আছেন, ওনাদের কোলে সাদমান আর শাহমীর।

অফিডিয়ান | পর্ব – ৬৭

কাল রাতের ঘটনার পর কেউ আর ছাদে ঘুমায়নি। সবাই যার যার কামরায় গিয়ে ঘুমিয়েছে। ডাক্তার এসে আফসানা কে চেক আপ করে বলেছিলেন যে প্যানিক অ্যাটাক হয়েছে তার। কিছু ওষুধ দিয়েছেন আর বলে গেছেন বেশি বেশি চিন্তা করে মাথায় চাপ প্রয়োগ না করতে।

অফিডিয়ান | পর্ব – ৬৮

বরপক্ষ কে স্টেজের সামনে রাখা চেয়ারে বসতে দেওয়া হলো। রুমাইশা, আফসানা আর বাচ্চারা গিয়ে প্রথমে এক জায়গাতে বসলো। আর ওদের পাশে এসে বসলো আন্টি মহল। শাফিনের কাজিন গুলা সব কনের সাথে ফট্যোশ্যুট করতে চলে গেছে।

অফিডিয়ান | পর্ব – ৬৮

বরপক্ষ কে স্টেজের সামনে রাখা চেয়ারে বসতে দেওয়া হলো। রুমাইশা, আফসানা আর বাচ্চারা গিয়ে প্রথমে এক জায়গাতে বসলো। আর ওদের পাশে এসে বসলো আন্টি মহল। শাফিনের কাজিন গুলা সব কনের সাথে ফট্যোশ্যুট করতে চলে গেছে।