পাথরের বুকে ফুল | পর্ব – ১৫

ওয়াসেনাত রাস্তার পাশে দাড়িয়ে আছে আর তার সাথে রিমি।ওয়াসেনাত প্রচণ্ড বিরক্ত ভঙ্গিতে রিমির দিকে তাকিয়ে আছে।কারন একটাই রিমির আজাইরা বকবক।যা ওয়াসেনাতের মোটেও পছন্দ হচ্ছে না।ওয়াসেনাতের এখন ইচ্ছে করছে রিমির মুখে কস্টিভ লাগিয়ে দিয়ে বলতে এবার বল কত কথা বলতে পারিস।কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্যি ওয়াসেনাতের কাছে এমন কিছুই নেই। তাই রিতিমত বিরক্তের সাথে রিমিকে না মনে রিমির কথাকে হজম করছে।রিমির কথা মনেই পরিএান মানে অরিএান। ক্লাস শেষ করে ওয়াসেনাত রাস্তায় দাড়াতে না দাড়াতে রিমি তার অরিএানকে পরিএান করতে এসে দাঁড়িয়ে পরেছে।যা ওয়াসেনাতের মোটেও পছন্দ হচ্ছে না। ওয়াসেনাতের মাথায় এখন অন্য ব্যাপর ঘুরপাক খাচ্ছে এবং ব্যাপরটার কারনে তার মুড অসম্ভব রকমের খারাপ। তাই সে রিমিকে কোনো জবাব দিচ্ছে না।এখন যদি তার মুড ভালো থাকতো তবে সে রিমিকে আচ্ছা করে কিছু ঝাঁজালো কথা শুনিয়ে দিতো।

ওয়াসেনাত রাস্তা দিয়ে হাটছে।সে আজ হেটে হেটেই বাসায় যাবে বলে ঠিক করেছে।কারন একটাই তার মুড।একটা ব্যাপর ভেবে ওয়াসেনাত অবাক। বিগত ২মাস ধরে যবে থেকে অরিএানের সাথে তার পরিচয় হয়েছে একদিনও অরিএান ওয়াসেনাতের ভার্সিটির সামনে এসে অপেক্ষা করা মিস দেয় নি।কিন্তু আজ দিয়েছ।এমনকি তার বাসার সামনেও আসে নি আজ।ব্যাপারটা আসলেই অবাক হওয়ার। তবে ওয়াসেনাতের মাথায় এখন অন্য একটা ব্যাপার নিয়েই বেশি অবাকতায় ভুগছে। ওয়াসেনাত কিছুক্ষণ আগের কথা ভাবছে।

***
ভার্সিটির ক্লাস শেষে ওয়াসেনাত গেটের সামনে দাড়াতেই এক মহিলা তার সামনে এসে দাড়ায়।ওয়াসেনাত মহিলার পা থেকে মাথা পর্যন্ত একাবার দেখে নেয়।বুঝাই যাচ্ছে মহিলাটি খুবি সুন্দর এবং রুচিশীল। ওয়াসেনাত ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে তবে কিছু বলে নি।মহিলাটি নিজের থেকেই বলে উঠে…………..
__তোমার নাম কি ওয়াসেনাত
__হুম।কেনো আন্টি কিছু কি প্রয়োজন??
__না না তেমন কিছু না।তবে একটা কথা বলার ছিলো।
__হুম বলুন
__তুমি আসলেই খুব সুন্দর
__এটাই বলার ছিলো??(অবাক হয়ে)
__না। তুমি যে ছেলেটার সাথে ঘুড়া ফিরা করো তাকে কি তুমি চিনো।

ওয়াসেনাত এমন কথা শুনে ভাবছে এই মহিলা কিভাবে এত কিছু যানে।মহিলা আবার বলে উঠে……….
__তার সম্পর্কে সব কিছু কি তুমি যানো???
__আপনি কিভাবে আমাকে চিনেন??আর আমি কার সাথে ঘুরি এটা কিভাবে জানলেন।
__যা বলছি তার উওর দেও।এত প্রশ্ন করবে না(রাগি গলায়)

ওয়াসেনাত বড়দের সাথে বেয়াদোপি করে না।কিন্ত তার এই মহলিকে ইচ্ছে করছে কিছু কথা শুনিয়ে দিতে।পাগলটাগল নাকি।তবে পোষাক দেখে তো খুব বড় লোকই মনে হচ্ছে। বড় লোক হলে হবে।কিন্তু তাই বলে এমন আজগোবি কথা বলার মানে কি।ওয়াসেনাতকে চুপ থাকতে দেখে মহিলা বলে উঠে………..
__তুমি কি খুব ভাবুক টাইপের মেয়ে??
__না তেমন না।তবে..
__যাই হোক তুমি ওই ছেলেকে যেমন মনে করো সে তেমন না।
__মানে
__সেটা তুমি খুঁজে নেও তবে ওই ছেলে যে কি তা যানার পরে সম্পূর্নটা জানার জন্যে আমাকে তোমার প্রয়োজন হবে।এটা আমার কার্ড যোগাযোগ করবে।তবে যদিও আমি যানি তুমি যোগাযোগ অবশ্যই করবে তবুও বলেছি।নেও।

ওয়াসেনাত কিছু বুঝে উঠার আগেই মহিলাটা গাড়িতে উঠে হাওয়া।ওয়াসেনাত কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে তার হাতের কার্ডের দিকে তাকায়।সেখানে গোটা গোটা অক্ষরে লেখা
অমিতা চৌধুরী। তারপর থেকেই ওয়াসেনাতের মাথায় এই একটা কথাই ঘুড়ছে।

রিমিঝিমি বৃষ্টি পরছে।ওয়াসেনাত তার হাতটা বারিয়ে বৃষ্টির ফোটাগুলো ধরার চেষ্টা করছে।এই সময় ওয়াসেনাতের তার দাদির একটা কথা খুব মনে পড়ছে।তিনি বলতেন বৃষ্টির প্রথম ফোটাগুলো ছুঁয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করলে তা আল্লাহ বেশি শুনে।ওয়াসেনাত এই কথাটা সেই ৭বছর থেকে মেনে এসেছে।এমনকি সে এর ফলও পেয়ে এসেছে।ওয়াসেনাতের এখনও কিছু দোয়া করতে ইচ্ছে করছে তবে কি দোয়া করবে ভেবে পাচ্ছেনা।তাই সে শুধু বৃষ্টির ফোটাগুলো ছুঁয়ে দিচ্ছে আর সরু রাস্তা ধরে হাটছে।হঠাৎ ওয়াসেনাতের পাশে কেউ দোড়ে এসে দাঁড়িয়েছে।ওয়াসেনাত চট জলদি তার দিকে তাকালো।অরিএানকে দেখেই ওয়াসেনাত ভ্রু গুলো কিন্চিত উঁচু করে কিছুক্ষণ তাকিয়ে আবার সামনের দিকে তাকিয়ে হাটা শুরু করে।কেনো যেনো তার এখন এই লোকটার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করছে না।তবে এমন হওয়ার কারন কি তা ওয়াসেনাতের যানা নেই।আজ কাল এমন অনেক কিছুই ওয়াসেনাতের সাথে ঘটে যা ওয়াসেনাতের যানা থাকে না।

ওয়াসেনাতের হাটার গতির সাথে তাল মিলিয়ে অরিএানও হাটছে। তার সাদা শার্ট বৃষ্টিতে ভিজে চৌচির অবস্থা। শরীরের প্রতিটি স্থান দেখা যাচ্ছে। তবে তাকে খারাপ লাগছেনা।এক কথায় অসাধারণ লাগছে।অরিএান এবার ওয়াসেনাতকে বলতে শুরু করে………
__আসলে আমার মিটিং ছিল।তাই আজ তোমার সাথে দেখা করতে পারিনি।যাই হোক চলো।তুমি ভিজে যাচ্ছ তো।এভাবে ভিজলে ঠান্ডা লাগবে।তাই বলছি চলো।

ওয়াসেনাত অরিএানের কথার তেমন কোনো জবাব দিলো না।শুধু শীতল চাহনি নিক্ষেপ করলো।যা অরিএানের বুকে তীরের মত গিয়ে লাগে।সাথে সাথে তার বুক অজানা ভয়ে ধুক করে উঠে।সে আবার ওয়াসেনাতকে বলে………
__তোমার কি কিছু হয়েছে।

ওয়াসেনাত এবারও জবাব দিলনা।সে পূর্বের নেয় হাটা শুরু করে।কেনো যেনো তার এখন এই লোকটাকে বিরক্ত লাগছে। তার ইচ্ছে করছে অরিএানকে একটা ধাক্কা দিয়ে পাশের ডাকটা খোলা ড্রেইনে ফেলে চুবিয়ে নিতে নিতে বলতে কারো যখন কথা বলতে ইচ্ছে করে না তাকে এভাবে বিরক্ত করতে নাই।চুপ যা শালা।তবে কেনো যেনো তার মুখ দিয়ে কথাই বের হচ্ছে না।তার মনে হচ্ছে কথা বলা আসলেই ওয়াল্ডের বেস্ট কষ্টের কাজ।তার মাথায় শুধু ঘুড়ছে।কি এমন জিনিস আছে এই লোকের জিবনে যা সে যানে না।তবে এমন অনেক কিছুই থাকতে পারে তবে তাতে তেমন interest নেই কিন্তু মহিলাটা এমন কি বলতে চাচ্ছিল। ওয়াসেনাতের কেনো যেনো মনে হচ্ছে ব্যাপারটায় সেও জরিয়ে আছে। তাই তার এত ভাবনা।

অরিএান ওয়াসেনাতের কার্যকলাপ দেখে প্রচণ্ড রকমের অবাক এই দুইমাসে ওয়াসেনাতের এমন অনেক কিছুই তাকে অবাক করেছে তবে এভাবে কখনো ওয়াসেনাত চুপ করে থাকে নাই। কিন্তু আজকে তার হাব ভাব দেখে মনে হয় তার পাশে যে একজন লোক আছে এটাই সে যানে না।ভাবটাই এমন যে অরিএানের একটা কথাও তার কানে ডুকছে না।অরিএান এবার প্রচণ্ড রেগে ওয়াসেনাতের হাতের বাহু ধরে তাকে রাস্তার এক পাশে এনে দাড় করায়।ওয়াসেনাত একটু অবাক হয় তবে বিচলিতো না।তাই শান্ত চাহনি দিয়ে তাকিয়ে আছে। তার ভেজা ভেজা চোখ বেয়ে বৃষ্টির ফোটা পড়ছে। অরিএান রাগি গলায় বলে উঠে……..
__সমস্যটা কি কথা বলছোনা কেনো।আর এভাবে বৃষ্টিতে ভিজার মানে কি যদি অসুখ হয় তখন কি হবে।যানো কিছু। এই তোমার কি হয়েছে বলো তো। তুমি কি অসুস্থ??আমাকে বলো?? এই তুমি কি ব্যাথা পেয়েছে??পেতেও পারো যা উদাসীন মেয়ে তুমি।নাকি কারো সাথে আবার পাঙ্গা লেগেছ।কোনো ছেলে কি কিছু বলেছে।আমাকে বলো।হাত পা ভেঙ্গে দিবো।আই সয়ের।
__আপনি কে বলেন তো????(শান্ত ভাবে)

অরিএানের সব কথা এবার গলায় আটকা পড়েছে। সে ভিতু ভিতু চোখে ওয়াসেনাতের দিকে তাকায়। সাথে সাথে আবার চোখ নিচে নামিয়ে ফেলে।ভয়ে ভয়ে কাপাকাপা গলায় বলে উঠে……..
__এটা কেমন প্রশ্ন?? 😔😕
__নরমাল প্রশ্ন যাকে বলে ইজি কোইশান। কেনো আপনি বুঝতে পাড়ছেন না।
__তুমি তো যানো আমি কে তাহলে এই প্রশ্ন কে……..
__না আপনি নিজেকে যেমন দেখান তেমন কিন্তু আপনি নন।কিছু তো আছে যা আমি যানি না।কিন্তু কি তা যানা নেই।আপনিকি বলবেন।
__কেকক বললেছে তোতোমাকেক এগগুলো?
__এমন কাপঁছেন কেনো আমি তো কাপাঁর মত কিছু বলিনি যাই হোক। ব্যাপারটা কি তা আমি পরে খুঁজে নিবো।ভালো লাগছে না আমি যাই।

কথাটা বলেই ওয়াসেনাত আবার হাটা ধরলো কিন্তু অরিএান একটা কথাও আর বলে নি।ব্যাপারটা ওয়াসেনাতকে ব্যাপক ভাবে ভাবাছে।আর অরিএানের ভয়াত্নক মুখ দেখেও ওয়াসেনাতের সন্দেহ হচ্ছে কিছু তো আছে।কিন্তু কি?অরিএান একবারও ওয়াসেনাতকে আটকাতে চায়নি।কিভাবে আটকাবে তার কানে তো একটা কথাই বাজছে। আমি খুঁজে নিবো।সত্যিকি খুঁজে নিবে। সত্যিটা জানলে ওয়াসেনাত তার সাথে যদি আর কথা না বলে, না ঘুড়ে, না বিরক্ত করে তবে তো সে দম বন্ধ হয়ে মারা যাবে।তবে আসল কথা হলো কে বলেছে ওয়াসেনাতকে বা ওয়াসেনাত কেনো তাকে সন্দেহ করছে। কেনো।কিছুই তার মাথায় ডুকছে না।

ইহান আজ ২মাস কোমায় আছে।সেদিনের পার্টি থেকে সে আর বাড়ি ফিরতে পারেনি।তার আগেই কেউ তাকে উড়াধুনা দিয়ে হস্পিটালে পাঠিয়ে দিয়েছে।তার একটা হাত খুব বেশি জখম হয়েছে।তবে হাত এখন ভালো আছে।কিন্তু সে কোমাতেই আছে।

ওয়াসেনাত ভিজে চুপচুপি হয়ে বাসার বেলটা চাপে সাথে সাথে কাজের মেয়েটা দরজাটা খুলে দেয়।ওয়াসেনাত ভিতরে ডুকতেই অবাক তার মা সোফায় মুখ মলিন করে বসে আছে। কিন্তু কেনো ব্যাপারটা তার মাথায় ডুকছে না।তাই পা টিপে টিপে মায়ের কাছে যাচ্ছিল।কিন্তু তার আগেই ঘূর্ণিওমান গতিতে কে যেনো তাকে জড়িয়ে ধরে।ব্যাপারেটা বুঝতে তার তেমন সমস্যাও হলো না।এবং তার মায়ের ব্যাপারটাও এবার তার মাথায় এসেছে।ওয়াসেনাতের দম বন্ধ হয়ে আসছে তবুও সে কিছু বলছে না।যদিও তার এখন সামনের ব্যক্তিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে কোমড় ভাঙ্গতে ইচ্ছে করছে তবে সে এমন কিছুই করবে না।

ওয়াসেনাত অনেক কষ্টে নিজেকে ছাড়িয়ে নেয়।হুম সে যাকে ভেবেছে সেই এসেছে।সামনের ব্যক্তিটি ওয়াসেনাতের ফুফু।এক বিশাল কুটনি টাইপের মহিলা।তার সাথে সাথে তার মেয়েটাও।ওয়াসেনাতের ৫ মাসের ছোটো।তবে ওয়াসেনাত থেকে দুই ক্লাস নিচে পড়ে।এরা যেখানে থাকে সেখানে টিভির প্রয়োজন নেই।ড্রামা তো এরাই করে।

ওয়াসেনাত বারান্দায় তার গোল চেয়ারে পাগুলো গোল করে বসে আছে।আর এক দৃষ্টিতে বৃষ্টি দেখছে।তার এখন ইচ্ছে করছে বৃষ্টির প্রতিটি ফোটা একটা কোটাতে ভোড়ে নিজের কাছে রেখেদিতে।হঠাৎ হঠাৎ তার এমন ইচ্ছের কোনো কারন মিলাতে পারে না সে।তার ভাই আসিফ একটা কফির মগ তার দিকে এগিয়ে দিয়ে চলে যায়।সে ভাবে তার এই ভাইটা একটু আলাদা চিকনা চাকনা, গভীর মায়ার মুখশ্রী,শ্যাম রং এ বেস সুন্দরই দেখতে লাগে তাকে।ওয়াসেনাত এবার উঠে দাড়ায়। হাত গুলো বারিয়ে সে বৃষ্টির বিন্দু কনা গুলো ধরছে আর ভাবছে।আসলেই লোকটাতে প্রচুর রহস্য আছে।তবে যাই থাকুক তাকে যানতে হবে।

অরিএানও কফির মগ হাতে কাঁচের ব্যালকুনিতে দাড়িয়ে আছে।এখন আর সে হোটেলে থাকে না।তার নিজের কাঁচের তৈরি বাড়িটাতে থাকে।সাথে তার দাদা আর রিমনও থাকে।অরিএান একটা সুইচ চাপতেই ব্যালকুনিটার হাপ কাচ খুলে যায়।অরিএান নিজের হাত বের করে বৃষ্টির ফোটাগুলো ছুয়ে ছুয়ে ভাবছে এই বৃষ্টি কি তার জন্যেই হচ্ছে। হতে পারে তার মাটির তৈরি ঘর টাকে নিজের পানি ধারা ভেঙে পেলতেই এই বৃষ্টির আভিরভাব।অরিএানের কেনো যেনো খুব ভয় করছে।অরিএান নিজের হাতগুলো নাড়াতে নাড়াতে ভাবছে ওয়াসেনাতও নিশ্চুই এই ভাবেই বৃষ্টিগুলোকে নিজের কোমল হাতের ছোঁয়া দিচ্ছে। হুম হয় তো তোরা কি লাকিরে বৃষ্টি ইসসস যদি বৃষ্টি হতাম তবে কি ওয়াসেনাত নিজের কোমল হাতের ছোঁয়া দিতো।হয় তো।কথাগুলো ভেবে অরিএান হাসে।কারো ছোঁয়া পেয়ে অরিএান ঘুড়ে তাকায়……
__ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আল্লাহ সব ঠিক করে দিবে।তুই তোর মনের কথা ওকে বলে দে।অনেক তো হলো।

অরিএান কিছু বলল না। সে আবার বৃষ্টিতে হাত ভিজেতে শুরু করে।আর ভাবে হুঁ এবার বলবে।হুঁ সে বলবে সে তার ফুলকে কতটা চায়।সে তার ফুলকে বুকে সাজাতে চায়।এটা সে বলবেই।তা না হলে যদি দেরি হয়ে যায় তবে।ভাবতেই কেমন যেনো লাগছে অরিএানের………………………🍁🍁

চলবে……………………….🍁

ওয়াসেনাতের কার্যকলাপ বা কথা বলা কি আপনাদের কাছে নেকামি বা আলতু পালতু লাগে???আর আমি কি আলতু পালতু লেখে part গুলো পার করছি বলে আপনাদের মনে হয়??যদি মনে হয় বলবেন।আমি কারোর খুশির কারন হতে না পারলেও কারো বিরক্তির কারন হতে চাই না।আর আমি আগেই বলেছি আমি সংক্ষেপ গল্প লেখতে পারিনা।আসলে আমি সংক্ষেপ কিছু লেখতেই পাড়ি না। এমনকি পরীক্ষার সৃজনশীল লেখতে গেলেও আমি অনেক লুজ পেইজ নি।আর হে এই কথা গুলো একজনে বলছে।তাই আপনাদের মতামতও চাই।আমি যানি অনেকে আমার গল্পের জন্যে রাত জাগে। তাদেরকে আমি কি বলবো বুঝতে পারি না।শুরু যানি আমি আপনাদের জন্যেই লেখি।আপনাদের রাত জাগানোর জন্যে আমি বুকের বা পাশ থেকে sorry বলছি।আর অনেক ধন্যবাদ এত ভালোবাসার জন্যে। love you all……………🍁

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।