যে চিঠি নিয়ে এত বড় একটা ইতিহাস হয়ে গেলো সেই চিঠি আসলে বিহান ভাই নয় বিভোর ভাই এর ছিলো।বিভোর ভাই এর মুখটা ফ্যাকাসে বর্ণ ধারণ করেছে।কারণ বিভোর ভাই ও শতভাগ নিশ্চিত ছিলেন যে ওই চিঠিটা বিহান ভাই এর ই হবে।
রাফসান আসায় রুনিয়া খুশি হলেন অনেক। হলরুমে সোফায় রাফসান কে বসতে দিয়ে তিনি শাফিন কে বললেন রুমাইশা কে গিয়ে ডাকতে৷ শাফিন ওর রুমে পড়ছিলো। মায়ের আদেশ পালন করে সে গেলো রুমাইশা কে ডাকতে।
স্পেশাল ফোর্সের প্রধান পুলিশ কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্য আফতাব হোসেন কে জিজ্ঞেস করলো তাদেরকে সাহায্য করা লোকটার ব্যাপারে, কিন্তু আফতাব হোসেন কিছুই বলতে পারলো না, কোথাও সে লোকটার টিকি পাত্তাও পেলোনা ওরা।
বিন্দু হুড়মুড়িয়ে উঠে বাইরে এলো সম্পানকে কথা শেষ করতে না দিয়েই জোরে বলল, 'তোমারে না কইছি এমন কথা কইবা না? তারপরও ক্যান এমন কথা কও বারবার?আর মরার কথা কইবা না কইয়া দিলাম।'
রাত গভীর হচ্ছে। একে-অপরকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে ঘুমাচ্ছে ওরা৷ গভীর রাত। সুখসুখ তন্দ্রায় যেন বিমোহিত একাত্মায় দুই শরীর৷ শ্রান্তিহর সৌধর বুকে মুখ লুকিয়ে সিমরান৷ ধীরেধীরে খিদের ভাব হয়। পেটটা চুঁইচুঁই করে৷ ঘুম ছুটে যায় আকস্মিক। সুঠামদেহী পুরুষটি তার বলিষ্ঠ একজোড়া হাত দিয়ে বউকে গভীর বন্ধনে আবদ্ধ করে রেখেছে। ঘুমাচ্ছে বেঘোরে।
-'আমি তার সাথে লড়াই করিনি। তাকে তার প্রাপ্যটুকু দিয়েছি। ভালোবাসা নিয়ে নোংরা খেলা আমি পছন্দ করি না।'
মুখের উপর তুলতুলে কিছুর স্পর্শ পেয়ে সিয়ার ঘুম ভেঙ্গে গেল। কিচ নিজের লেজ দিয়ে ওর মুখে সুরসুরি দিচ্ছিলো। সিয়া চোখ মেলে তাকাল। মশালের আলোয় আলোকিত গুহার চারদিকে নজর বুলাল।
এনোনের মুখ শক্তপোক্ত হয়ে যায় পকেট থেকে হাত সরিয়ে নিনির কাছে এগিয়ে আসতে আসতে বলল,, সাহস তো তোমার অনেক বেশি দেখি, দাঁড়াও কি করি তোমার সাথে দেখ।” নিনি চমকে উঠে তাকে এগিয়ে আসতে দেখে বুঝতে পারলো সে অতিরিক্তই বলে ফেলেছে। নিনি পিছাতে পিছাতে ঘাবড়ে বলল,,
গেস্ট হাউজের বিল মিটিয়ে, আর্মি ক্যাম্পে এন্ট্রি করে তারপর নৌকার ঘাটে গেল ওরা। নৌকা খুঁজছিল মুগ্ধ। হঠাৎ কোত্থেকে এক ছেলে দৌড়ে মুগ্ধ দাদা মুগ্ধ দাদা করতে করতে এল। তাকে দেখেই মুগ্ধর সেকি আনন্দ। তিতির বুঝলো না এই পাহাড়ী ছেলেটার সাথে এমন কি সম্পর্ক মুগ্ধর! কাছে আসতেই তাকে জড়িয়ে ধরে বলল, […]
ঠাসসস শব্দে কেঁপে উঠলো রুম।আম্মুর হাতের পাঁচ আঙুল আমার গালে লেগে গেলো।আম্মুর যথেষ্ট বকাবকিতেও মন ভরে নি।তার ধারণা তার মেয়ে অন্য জগতে প্রবেশ করেছে।তার মেয়ে এমন মানুষদের সাথে ফোনে কথা বলে তারা ভিডিও কলে অশালীন জিনিস দেখায়।
আমি ফ্লোরেনসিয়া,
জন্মেছিলাম এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে। আমার আশৈশব কেটেছে কাস্ত্রোরুজের শান্তিপূর্ণ মনোরম পরিবেশে। গ্রামের মানুষগুলো খুব সহজ-সরল আর মিশুক প্রকৃতির ছিলো। কখনো নিজেদের মধ্যে দাঙ্গা, কলহ বা হাঙ্গামায় জড়াতো না।
ট্রেনের বগিতে হেঁটে সামনে এগোচ্ছে আমির। তার এক হাতে লাগেজ অন্য হাতে পদ্মজার হাত। শক্ত করে ধরে রেখেছে,যেন ছেড়ে দিলেই হারিয়ে যাবে। পদ্মজার মুখ নিকাবের আড়ালে ঢেকে রাখা। সে এদিকওদিক তাকিয়ে আমিরকে প্রশ্ন করল,’খালি সিট রেখে আমরা কোথায় যাচ্ছি?’ ‘কেবিনে।’…
ওয়াল ঘেষে দাঁড়িয়ে আছি আমি আমার হাত শক্ত ভাবে চেপে ধরে দাঁড়িয়ে আছেন বিহান। উনার মুখশ্রির অদলে বেশ পরিবর্তন সেই রাগি ভাবটা আর নেই।আমি উনার থেকে নিজেকে ছড়ানোর চেষ্টা করছি।নিঃসন্দেহে বিহান ভাই একজন শক্ত পক্ত শক্তিশালী মানুষ উনার থেকে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা যে বৃথা চেষ্টা তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
বাবা চলে যাওয়ার পরপরই পরী মায়ের কাছে যায়। রেহেনা বেগম তখন রাতের রান্না করছিলেন। পরী হন্তদন্ত হয়ে জিজ্ঞেস করে, “আব্বু এসব কী শুরু করেছে মা?” রেহেনা বেগম একবার পরীর দিকে তাকিয়ে আবার রান্নায় মনোযোগ দেন। তরকারী নাড়তে নাড়তে বলেন, “কী…
আকাশঃ মেঘলা এই মেঘলা… হারামজাদি কুটনি বুড়ি উঠ বলছি…. এত ডাকার পরেও মেঘলার ঘুম ভাংগার নাম নেই কিছুক্ষন পর আধো আধো ঘুমে মেঘলা চোখ খুলে তাকাল কিন্তু কি হচ্ছে বুঝতে পারছে না। আকাশঃ উঠ বলছি…. মেঘলাঃ এই তো শোয়েছি এখুনি…
বোনের ভালোবাসার গভীরতা হৃদয় দিয়ে মেপে নেয়। বিলম্বহীন জড়িয়ে ধরে দুহাতে। পিউ পালটা আকড়ে ধরল।
পুষ্প ওমনভাবেই আবদার করল,
' আজ থেকে আমার সাথে ঘুমাবি? '
' আচ্ছা।'
'প্লিজ বোন আমি না তোর ভাই।আমাকে রিয়ার সাথে রিলেশন করিয়ে দে প্লিজ।আমার ভীষণ ভালো লাগে রিয়াকে।বাট রিয়া আমাকে খারাপ মনে করে।ওর ধারণা আমি ফ্লার্টিং এর প্রিন্সিপাল। '
আকাশের রঙ আজ পরিষ্কার। গাছে গাছে নতুন ফুল ফুটেছে ৷ ফুটবেই তো আজ যে বসন্ত! বসন্তকাল জুড়েই তো নানা রঙের ফুল ফলালির ঘ্রাণে মাতোয়ারা হয়ে ওঠা। রাস্তায় লাল ফুল বিছিয়ে পড়ে আছে। প্রকৃতি নতুন রঙে সেজেগুজে নবাবী ভঙ্গিতে হাসলো যেনো। আহা! এই সুন্দর রূপে ডুবিয়েই ছাড়বে সবাইকে।
নিধি চমৎকার একটি মেয়ে৷ প্রবল আত্মমর্যাদা সম্পন্ন একজন নারী৷ ওর সম্পর্কে বিয়ের আগে এমনই ধারণা ছিল অর্পণের৷ বিয়ের পর সেই ধারণায় চিড় ধরতে শুরু করলেও ধারণাটি পুরোপুরি মিথ্যে প্রমাণিত হয়নি৷ কিছু ভুল, মানসিক দ্বন্দ্ব মেয়েটাকে গুলিয়ে ফেলেছিল৷ আঘাত এনেছিল ব্যক্তিত্বে৷ যা নিয়ে সংশয়ে ছিল অর্পণ। আজ সে সংশয় পুরোপুরি কেটে গেছে৷
-'আমাকে নিয়ে ভাবতে আপনাকে হবে না।'
-'আপনাকে নিয়ে ভাবছি না আমি। নিজেকে নিয়ে ভাবছি। কেউ দেখে ফেললে আমারই বিপদ।'
-'ওসব কথা থাক। বিন্দুকে কারা মেরেছে?'
-'আমি সত্যিই জানি না। আমাকে জানার অধিকার আপনার বাবা দেয়নি।'
বিষ্মিত হলো পরী। বলে,'মানে?ভাল করে বলুন।'