ওয়াসেনাত খুবই বিরক্তি নিয়ে অরিএানের দিকে তাকিয়ে আছে।কিন্তু ব্যাটা শয়তান অরিএানের সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই।সে তার নিজের মত গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে। তার ভাব দেখে মনে হবে তার আশেপাশের কোনো ব্যক্তি তো দূর কোনো প্রানিও নেই।ওয়াসেনাত কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে তার হাতে থাকা আইসক্রিমটা খাওয়া শুরু করে।ওয়াসেনাত খুব মনোযোগ দিয়ে আইসক্রিম খাচ্ছে।
বাইজি গৃহের সর্বোচ্চ বৃহৎ কক্ষের রঙ্গমঞ্চে নৃত্য প্রদর্শন করছে বাইজি'রা৷ দু'ভাই ডিভানে আধশোয়া হয়ে প্রমত্তকর রস পান করছে। তাদের কামনীয় দৃষ্টিজোড়া নিবদ্ধ বাইজি'দের উন্মুক্ত কোমড়ের ভাঁজে ভাঁজে।
অরিএান অবাক আসলে অবাক বললে ভুল হবে সে ভয়াবহ ভাবে অবাক তার সামনে ঘটে যাওয়া ঘটনা দেখে।ওয়াসেনাত তার বাবার চাইতে বয়স বেশি হবে এমন একজন পুলিশকে ইট নিয়ে তেড়ে যাচ্ছে। অরিএানের মাথায় এটা আসছে না কেনো এমন করছে।কেনো আবার মারার জন্যে😂এই সামান্য কথা কেনো যে অরিএানের মাথায় আসছে না
শুভর কথা শুনে সবাই একত্রে হেসে উঠল। হেনা তার পিঠে চাপড় মে’রে বলল‚ “ধরা পড়লে তোর উপর গনধোলাই পড়বে এটা নিশ্চিত।”
“তারপর টিভির হেডলাইন হবে‚ গার্লফ্রেন্ডের সাথে সারারাত গল্প করতে গিয়ে ধরা পড়েছিল যুবক শুভ আর সেই গনধোলাইয়ে প্রাণ হারিয়েছে নিস্পাপ সেই ছেলেটি।”
কারণ আয়রা ওর সর্বশক্তি দিয়ে আদিয়াতকে কষে থাপ্পর মেরেছে রাগে ওর পুরো শরীর কাঁপছে।একটা মেয়ের যে এতো রাগ আর এতো শক্তি থাকতে পারে তা আয়রাকে না দেখলে বোঝায় যাবে না। বাসার সবাই আদিয়াতের উপরে খুব রেগে আছে।আর তিয়াশা তো কেঁদেই যাচ্ছে।আম্মুরা সবাই তিয়াশাকে শান্ত করার চেষ্টা করছে।
ছু*রি*টা নিয়ে পালঙ্কের দিকে এগিয়ে গেল নওশাদ। ইচ্ছামতো ছু*রি চালালো শুয়ে থাকা ব্যক্তির শরীরে। নওশাদ ভাবছে নিশ্চয়ই পরীর শরীর এতক্ষণে ক্ষ*ত বি*ক্ষ*ত হয়ে গেছে।
দুই দিন নিনির এমন উদ্ভট ব্যবহার এনোন কে চিন্তিত করে তুলছে। হঠাৎ তার কি হলো? এতোই পরিবর্তন তাও ওই রাতের পর থেকে? নাকি তার উপর কোন জ্বিন ভূত আছর করছে? ল্যাপটপ দেখে দেখে চিন্তা করছে এনোন। তার কাজে মনোযোগ নেই।
প্রতিদিন দুচারটে চড় না খেলে তার পেটের ভাত হজম হয় না তাও মায়ের হাতের। মুখে আঁচল দিয়ে কাঁশতে কাঁশতে মালা বলল,'কতবার কইছি মুখে মুখে তর্ক করবি না। তোর ছোট আম্মা হয়।'
আহ আমার লাগছে ছাড়ুন, ছাড়ুন বলছি। প্লিজ ছাড়ুন ব্যাথা পাচ্ছি। একমনে আকুতি মিনতি করছে মেঘলা। কিন্তু আকাশের কানে কিছুই ঢুকছে না সে টেনে হিচড়ে নিয়ে যাচ্ছে মেঘলাকে….. আকাশ মেঘলাকে ঘরে নিয়ে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দিল আর দরজা লক করে…
ওয়াসেনাত :ওরে চান্দু আপনার নাম তো আর ভেঙ্গাই নাই! তাইলে আপনার এত লাগে কা।ওই পোলারে তো আমি পরিএান এই ডাকমু।দেখি কার বাপের কি??হুু।আরে আপনিতো যানেন না কেনো ওনার নাম পরিএান দিছি।
-' আমি আমার আম্মা'কে খুব ভালোবাসি বাঁশিওয়ালা। আমি আমার আম্মা'কে ঠকিয়ে খুব অন্যায় করছি৷ তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিও বাঁশিওয়ালা,আমি তোমাকে ভালোবাসি কিন্তু আমার আম্মা'কে আর ঠকাতে চাইনা।'
গভীর নিস্তব্ধ রজনী। স্পষ্ট সমুদ্রের গর্জন শুনা যাচ্ছে। চারদিক থেকে শীতল বাতাস এসে ছুঁয়ে দিচ্ছে কয়েকটা মানব শরীর। পাতলা ফিনফিনে শাড়ি পরিহিত রমণী হিম বাতাসে থেকে থেকে শিউরে ওঠছে। শরীরের লোমকূপ দাঁড়িয়ে পড়ছে তার৷ পাশে দাঁড়িয়ে আছে রমণীটির অর্ধাঙ্গ। বউয়ের নাজুক অবস্থা দেখে লম্বাটে দেহখানা গা ঘেঁষে দাঁড়াল।
হঠাৎই একটা কালো ধোঁয়ার কুন্ডলী বাতাসের বেগে ইনায়ার চারপাশে ঘুরতে শুরু করে। বাদুড়গুলো ওকে ছেড়ে দিয়ে দল বেঁধে উড়ে যায় আকাশের দিকে। আবছা আলোয় ঝাঁক বেঁধে উড়ে যাওয়া বাদুড়গুলোকে আরও ভয়ংকর লাগে দেখতে। যেন একঝাঁক মৌমাছি। বরং মৌমাছির থেকেও ভয়াবহ হিংস্র।
মাঝরাত! নিস্তব্ধ পরিবেশ। হঠাৎ ঠোঁটে তীব্র ব্য’থা অনুভব হওয়ায় ঘুম ভেঙে গেলো হুরের। ঘুম হালকা হতেই স্পষ্ট বুঝতে পারলো কেউ তার ঠোঁট নিজের ঠোঁট দ্বারা আঁকড়ে ধরে আছে। আঁকড়ে ধরে আছে বললে ভুল হবে লোক টা অনবরত তার ঠোঁট কামড়ে চলেছে। তীব্র ব্য’থায় গুঙিয়ে উঠলো হুর।
লেকে পাশাপাশি হাঁটছে দুজন। সন্ধ্যার আঁধার প্রায় নেমে এসেছে। সূ্র্য মামা টাটা বাই বাই জানাচ্ছে। চারপাশটাই এখন গোধুলী লগ্নে ঢেকে আছে। “ফুসকা খাবে?” তুর্যের আকস্মিক প্রশ্নে কিছুটা চমকে যায় পরী। নিজেকে সামলে নিয়ে বলে, “না।” “আরে বাহ্! হলো কী আজ?…
পরীর হাত ধরে টেনে কাছে এনে দুজনের দূরত্ব ঘুচিয়ে ফেলে শায়ের। কন্ঠ খাদে নামিয়ে বলে,'ক্ষমা তো চাইলাম পরীজান। আবারো চাইবো??'
টাল সামলাতে না পেরে সোফার ওপর থেকে সজোরে নিচে পড়ে গেলো সাফওয়ান। ওর ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়লো রুমাইশা। পাইলটিং রুম থেকে জোনাস দৌড়ে এসে উত্তেজিত গলায় বলল,
— কারা জানি ফাইটিং জেট থেকে আমাদের জেটের ওপর বুলেট ছুড়েছে।
“বিহান ভাই আমার শাড়ি টা পরা শেষ হলে ভেতরে আসুন প্লিজ পাত্র পক্ষ এক্ষুণি চলে আসবে।” “পাত্র পক্ষ আসবে তাতে তোর সমস্যা টা কি বুঝলাম না দিয়া।পাত্র পক্ষ কি তোকে দেখতে আসছে নাকি বিভা আপুকে।তোর যে এক্সসাইটেডভাব যেনো তোকে দেখতেই আসছে।” বিহান ভাই যে এমন কথাই বলবেন সেটা আমার জানাই ছিলো আগে থেকে।
'কি হয়েছে আরহাম?তুমি এর আগেও কেঁদেছো।হাফসাও কেঁদেছে দেখলাম।মেয়েটা কিছু বলে না।সবকিছু নিজের ভেতর চেপে রাখে।কি হয়েছে দূজনের?কোনো কিছু নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়েছে?বলার মতো হলে বলো আমাকে।'
আরহাম কাঁদোকাঁদো হয়ে মায়ের গলা জড়িয়ে বললেন, 'সি হার্টস মি আম্মু।'
অন্য দিকে আয়রা একটা নদীর পারে বসে আছে।ওকে ঘিরে বসেছে বাকি সবাই।সেই আসার পর থেকেই ওরা একের পর এক প্রশ্ন করেই যাচ্ছে।কিন্তু আয়রার মুখে কোনো কথা নাই।অবশেষে আয়রা বলতে শুরু করলো,,,,