পিউয়ের ওষ্ঠযূগল ঠকঠক করে কাঁ*পছে। ভ*য়ার্ত দুটি আঁখি ধূসরের র*ক্তাভ চেহারায়। ফর্সা মানুষ কাঁ*দলে, হাসলে,লাল হতে দেখেছে সে। কিন্তু শ্যামলা বর্নেও ধূসর লালিত হয়, অতিরিক্ত ক্ষো*ভে। নিঃশ্বাসে পায় হিঁসহিঁস শব্দ।
ঘড়িতে রাত ১২:৫৬ । অনেকক্ষণ যাবৎ ফোনটা বেজেই চলেছে, তিতিরের হাত পা কাঁপছে। ফোন ধরার সাহস হচ্ছেনা। অবশেষে থাকতে না পেরে ধরেই ফেলল, – হ্যালো – যাক, অবশেষে দয়া হলো ফোনটা ধরার। – আসলে আমি ফোনের কাছে ছিলাম না। তাই ধরতে পারিনি। – আর সেদিন যে সারারাত কল দিলাম
পুরো বাড়ি ঘুরে দেখছিলো হুর, লিয়া আর হৃদ। বড়োরা বসার রুমে কথা বলছে। মিস্টার ফরিদ তাদের কে বললো বাড়ি ঘুরে দেখতে। বড়ো দের কথার মাঝে তারা বসে বসে বোর হচ্ছিলো বুঝতে পেরে ফরিদ সাহেব তাদের বাড়ি ঘুরে দেখতে বলেছে। বাড়ির বাইরের অংশ যতটা না বড় ভেতরের অংশ তার দ্বিগুন বড় বলে
মেঘলা আকাশের প্রতি অনেক রেগে গেছে তাই সেও মানা করল না।
নাবিল মেঘলার রুম দেখিয়ে দিল। মেঘলা নিজের ঘরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিচে নামতে যাচ্ছিল খাবার খাওয়ার জন্য তখনি দেখল আকাশ নাবিল আবির সামিরা সবাই দরজায় দাঁড়িয়ে আছে।
ভার্সিটিতে আজ প্রথম বর্ষের স্টুডেন্টদের নবীন বরণ হচ্ছে। কালো রঙের লং গাউন পড়েছে তন্দ্রা। ইলোরা শাড়ি পড়তে বলেছিল। শাড়িতে খুব একটা কমফোর্টেবল ফিল আসে না তন্দ্রার। তাই সে ইলোরার কালো শাড়ির সাথে মিলিয়ে কালো গাউন পড়ল।
কিছুক্ষণ পর কলিং বেল বাজলো।হাফসা কলিং বেলের শব্দে বারান্দায় বেরোলো।দোতলা থেকে দেখছে আশেপাশে কোনো ম্যাড নেই।কলিং বেল বেজেই যাচ্ছে। দরজা কেন কেউ খুলছে না।মায়ের শরীর ভালো না,তাই শুয়ে আছেন।ওষুধ খেয়ে ঘুমালে উনি লম্বা ঘুম দেন।কিন্তু আপু তো গিয়ে খুলতে পারেন।আর সার্ভেন্ট?সবাই গেল কোথায়?
আশমিন কে হসপিটালে সিফট করা হয়েছে।খুব গোপনে ট্রিটমেন্ট করা হচ্ছে আশমিনের। অমি এখনো নিজের ঘোর থেকে বেরিয়ে আসতে পারে নি। নূর এমন কিছু করবে তা স্বপ্নে ও ভাবতে পারেনি সে।সানভি চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে বারান্দায়। শূন্য দৃষ্টিতে অপারেশন থিয়েটারের দিকে তাকিয়ে আছে। আমজাদ চৌধুরী কেউ জানায়নি।
পিউয়ের বুক কাঁ*পে লজ্জায়। ওই দৃশ্য যতবার মনে পড়ে ততবার সে কেঁ*পে ওঠে। হাঁস*ফাঁস করে। ম*রে যাওয়ার মত অনুভূতি হয়।
পিউ চোখ নামিয়ে মৃদূ হাসল।
সারারাতে তুর্য একটুও ঘুমায়নি। ভোরের আলো যখন ফুঁটতে শুরু করেছে তখনই তুর্য রুম থেকে বেরিয়ে গেছে। সামনের ঘরের বারান্দায় রাখা চেয়ারে বসে বৃষ্টি ভেজা প্রকৃতি দেখছিল। আস্তে আস্তে সমস্ত অন্ধকার কাটিয়ে আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করে।মোরগ ডাকা শুরু করেছে। বাড়ির…
বিছানায় কোলবালিশ জড়িয়ে শুয়ে আছে স্বাক্ষর। বারবার ফোনের দিকে তাকাচ্ছে। রাতের সাড়ে বারোটা বাজতে চলল। স্বাক্ষর বিছানায় শুয়েই এপাশ ওপাশ করছে। ঘুম আসছে না। বউয়ের সাথে সাথে ঘুমও আজ পালিয়েছে। কই বিয়ে করেছে বউ নিয়ে থাকবে বলে। তা না করে দুজনে আলাদা আলাদা ঘরে অবস্থান করছে। মি. ইলিয়াস মাহমুদ কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।
পরী আপাও দুই তিন দিনের ছুটি নিয়ে পলাশবাড়ী চলে এলো। মা খুব খুশি হলেন। আপার কারণে আমার আরও কয়েকদিন থাকা হলো। নাবিদ অবশ্য রেগে যায় তাতে। ও দুদিনের ছুটি নিয়ে আমাদের নিতে আসতে চায়। আমি আজ না কাল, কাল না পরশু করে আরও পাঁচ দিন বেশী থাকি।
হাসপাতাল চত্তরে মানুষের ঢল নেমেছে। আশমিনের দলের কয়েকশ লোক এসে জমা হয়েছে সেখানে। সবার চেহারায় তীব্র ক্ষোভ বিদ্যমান। সাধারণ জনগণ ও এসেছে। অনেকে এসেছে তামাশা দেখতে।আবার অনেকেই প্রিয় নেতার খারাপ সময়ে ছুটে এসেছে তাকে একটু শান্তনার বানী শোনাতে। অমি, সানভি আশিয়ান, বাহাদুর সবার অবস্থা ভয়ংকর খারাপ।
সেসময়টা ছিলো খুব প্রাণবন্ত, জীবন্ত । আমরা সবাই মিলে ট্যুরে যাওয়ার প্ল্যান করলাম। ফায়েজ বললো সিঙ্গাপুরের কথা, জয় বললো লন্ডন, কিন্তু আমি আর ইভানান ঠিক করলাম দেশের ভেতরে কোথাও ঘুরার। ফায়েজ বললো ওর নানা বাড়িটা খুব সুন্দর। সেখানে পুরনো জমিদার বাড়ি, একটা লেক, একটা পার্ক আর জিন বাড়ি
শায়ের দম ফেলে পরীর দিকে তাকাল। পরী এখনও শায়েরের বুকে মাথা রেখে আছে। শায়ের বলল, 'আপনি কি শুনছেন পরীজান?'
'হুম শুনছি। আপনিও তো টাকার জন্য খু*ন করেছেন।'
(গত রাতের ঘটনা) – ” ছাড়ুন আমাকে। লাগছে আমার।” শাওন ওর আঙুল দিয়ে আমার ঠোঁটের লিপস্টিক মুছে দিল। আমি ওনাকে ধাক্কা দেবার চেষ্টা করে বললাম, “শাওন দা প্লিজ ছাড়ুন আমাকে।” *শাওন দা* কথাটা শুনা মাত্র শাওনের খেয়াল হলো যে এটা সুইটি না।
চামেলি যেন আকাশ থেকে পড়ল। মাথায় হাত দিয়ে বলল,'আল্লাহ গো!!হেরে চিনো না তুমি? সালমান শাহ,অনেক বড় নায়ক হেয়।'
আজ বিহান ভাই আর আমার মাঝে কোনো দূরত্ব নেই।মনে হচ্ছে মনের খুব কাছাকাছি চলে এসছি আমরা।ছাদে সবার আড্ডার মাঝে বার বার চোখাচোখি হচ্ছে আমাদের।কাজিন রা সবাই মিলে অনেক আনন্দ করছিলাম আমরা।কিছুক্ষণ পরেই কেক কাটবো আমরা।নিচ থেকে বিভোর ভাই এর আম্মু ডাকলেন কারা যেনো এসছে বাড়িতে।
সবকিছু একসাথে পাওয়া অসম্ভব। দুনিয়া কে তুমি যা দেবে দুনিয়াও তোমাকে তাই দেবে।'
হাতমুখ ধুয়ে সাদাফ ঘরে এসে দেখলো মশারির এক কোণা খুলে মেয়েটিকে বসতে দিয়েছে নুরু মিয়া। আর সে বসেছে একসাথে করে রাখা প্লাস্টিকের ডবল চেয়ারে। গামছায় হাত মুখ মুছতে মুছতে সে বললো, “কত এনেছো?” “যা পাওনা আছো, তার চেয়েও বেশি।” “বেশির দরকার নেই। ন্যায্যটুকু হলেই চলে। দাও…” নুরু
লিখন পদ্মজার যাওয়ার পানে তাকিয়ে থাকে। তার অশ্রুসজল চাহনি। তবে বুকে প্রশান্তি। জীবনের খরতাপ দহনে মায়াময় পদ্মজার কণ্ঠ,একটু দেওয়া সময় তার বুকে প্রশান্তির ঢেউ তুলেছে।