এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা – সিজন ২ | পর্ব – ১৪

প্রচন্ড ঠান্ডায় থর থর করে কাঁপতে কাঁপতে বিছানা ছেড়ে উঠলাম আমি।নরমালি এত সকালে ঘুম থেকে উঠি না আমি।সকাল আটটার আগে সেভাবে ঘুম থেকে ওঠাই হয় না।শিতের সকালে আলসেমির জন্য নামাজ ও মিস হয়ে যায় প্রায় দিন,এটা নিয়ে আম্মুর কম বকা ও খেতে হয় না।আমার আম্মু তার জীবনে অনেক ইবাদত করেছে এখনো করে যাচ্ছে।আম্মুর কথা যায় হোক নামাজ ছাড়া যাবে না।

মারুফা খালার হাতে বই আর খাতা।খাতা আর বই নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন আমার সামনে।

“আমি সন্দিহান ভাবে খালার দিকে তাকিয়ে বললাম, এগুলো কি খালা।”

“এগুলো বিহান বাবা দিয়েছে দিয়া মা।তোমাদের বাড়ি থেকে সকালে ভোরে গিয়ে তোমার বই নিয়ে এসছে বিহান বাবা।তোমার কিছু ড্রেস ও নিয়ে এসছে।টেবিলের উপর লাল হলুদ মিক্সড একটা গাউন ও রাখা আছে।মারুফা খালা আমার দিকে তাকিয়ে মিট মিট করে হাসছেন।”

“আমি ভ্রু ইশারা করে বললাম হাসছো কেনো খালা।”

“তুমি এটা কিভাবে শাড়ি পরেছো দিয়া মা।”

“মজা নিচ্ছো খালা তুমি।আমি কি শাড়ি ভাল পরতে পারি বলো।”

“মারুফা খালা বললেন,আমার মনে হয় বিহান বাবা এটা খেয়াল করেছে তুমি শাড়ি পরতে জানোনা খুব ভাল করে।এইজন্য ই তো সকালে উঠে তোমার ড্রেস নিয়ে এসছে আর টেইলার্স এ ফোন করে বললো,আজ কিছু ড্রেস বানাতে দিবে যেনো ইমারজেন্সি ডেলিভারি দিয়ে দেয়।ইমারজেন্সি পেমেন্ট না কি তাই দিয়ে দিয়েছে।”

–মারুফা খালার কথা শুনে চোখ ইয়া বড় হয়ে গেলো আমার।উনি আমার জন্য এত কিছু ভেবেছেন বাবাহ।আবার আশে পাশের মানুষ গুলো যে আমাকে খারাপ কথা বলছিলো সেটা নিয়েও চেতে আছেন উনি।এই একটা জায়গা আদর্শ স্বামির মতো কাজ করেছেন উনি।সব কিছুই ঠিক ছিলো মাঝখানে উনার ওই প্রেমিকা থাকতে গেলো কেনো।কোন রাক্ষ সী, ডাই নি মহিলা আমার ফিউচার সতীন আল্লাহ জানে।এই প্রেমিকা ফ্রেমিকা না থাকলে একটা কথা ছিলো।দিয়ারে দিয়া তুই এত নির্লজ্জ ক্যানো রে!রাগ কেনো নিজের ভিতরে ভয়ানক ভাবে পুষে রাখতে পারিস না।বিহান কে উপর উপর স্বামি বলে মানবো না মানবো না করিস আবার বিহানের প্রেমিকা নিয়ে ভেতরে ভেতরে মারাত্মক জেলাস তুই।বিহান না তোকে কথায় কথায় শ্বশুরের মেয়ের কথা বলে।তুই কেনো আবার বিহানের সামনে গেলে সব ভুলে যাস।বিহানের প্রতি এত দূর্বল হস না ভুলেও না।বিহানের পাল্টি নিতে সময় লাগবে না একটুও।এই কেয়ার করবে, এই তোকে নিয়ে সিরিয়াস হয়ে পড়বে ভাবটা এমন করবে সব যেনো তোকেই বলছে কিন্তু আসলে সে তার প্রেমিকা কে কি বলবে তার রিহার্সাল করে যায় তোর সাথে।তাছাড়া বিহান আর পাঁচটা ছেলের মতো নয় যে হুট হাট যাকে তাকে ভালবাসবে।ওর মন কঠিন পাথরের মতো কেউ মরে গেলেও গলবে না।তুই যদি বিহান কে ভালবেসে মরেও যাস ও নিজে থেকে ভাল না বাসলে তোর মৃত্যু কেনো পৃথিবীর কোন কিছু ওর মন গলাতে পারবে না।দিয়া বি সিরিয়াস বিহান সব সময় তোকে ইউজ করে।সবার অগোচরে প্রেমিকসুলভ আচরণ করেই তোকে মনে করিয়ে দেয় এগুলো তোর জন্য না তার প্রেমিকার জন্য।বিহান কিন্তু তোকে কোনদিন তোকে বলে নি সে তোকে ভালবাসে,ডিরেক্ট ইনডিরেক্ট কোনভাবেই বলে নি।তবে তার হাবে ভাবে মাঝে মধ্য মনে হয়েছে তার সব ফিলিংস অনুভূতি তোর জন্য আর যখন ই তুই বিশ্লেষণ করে জানতে চেয়েছিস তখন ই সে তার ফিলিংস আর অনুভূতির প্রতিটি লাইন ঘুরিয়ে পেচিয়ে বলেছে এগুলো তোর জন্য নয় আমার ওয়ান লি ওয়ান শ্বশুরের মেয়ের জন্য।দিয়া ভেবে দেখ,সেই ছোট বেলা থেকে তোর বিহান ভাই নিজে হাতে তোকে তোকে A.B.C.D, অ,আ,ই,ঈ হাতে কলমে শিখিয়েছে।ছোট বেলায় তোর টিচার ছিলো বিহান।তুই যেটুকু মেধাবী সেটা বিহানের গাইড লাইনে,রাস্তায় ছেলেদের সাথে কথা বলা ছেলে বন্ধুর থেকে দূরে রাখা নিজের ভাই এর থেকে বিহান ই বেশী করেছে।এক প্রকার নিজের ফ্যামিলির মতো সেইফ রেখেছে।সেই ছোট বেলা থেকে শাষনে রেখেছে যার ভয়ে আজ ও কোনো ছেলের সাথে কথা বলতে সাহস পাস না।টিভি সিরয়াল এর হিরোদের থেকে বিহান কে বেশী কিউট আর হ্যান্ডসাম লাগে বলে ছোট বেলা থেকে বিহানের পাশে পাশে বেশী ঘুরতি আর বিহানের দিকে তাকিয়ে থাকতি।ছোট বেলায় ভাবতিস বিহান ভাই মুভি করতে পারে না কোয়েল মল্লিক এর সাথে। বিহান ছোট বেলায় কত কোলে নিয়েছে তোকে।নাক টিপেছে,গাল টেনেছে,কান ধরে উঠবস করিয়েছে।গুরুগম্ভীর ছেলেটা ছোট বেলা থেকেই মারাত্মক রাগী হওয়া সত্ত্বেও তোকে প্রশ্রয় দিয়েছে বেশী।কেউ তার খেলার জিনিস ধরলে সব ভেঙে গুড়িয়ে দিলেও তুই নিলে চোখ রাঙানি দিতো ভ্যা ভ্যা করে কেঁদে দিতিস তুই আর বিহান বলতো মাফ চাই দিয়া তুই আরো নে প্লিজ তবুও চোখের পানি ফেলিস না।তোর কাঁন্না দেখলে খারাপ লাগে।সেই ছোট বেলা থেকে বিহান তোকে বিভিন্ন ভাবে বুঝিয়েছে তুই কত গুরুত্বপূর্ণ বিহানের কাছে।বিহান নিজে তোকে যা ইচ্ছা বকাবকি করে কিন্তু অন্য তোকে কিছু বললে পৃথিবী উল্টাপাল্টা রিয়্যাক্ট করে।কোনো ছেলে সংস্পর্শে আসলে বিহান মারাত্মক অগ্নিচোখে তোর দিকে তাকিয়ে কয়েক দিন করে কথা বলে নি,তুই হাতে পায়ে ধরে কথা বলেছিস।বিহান নিজের সমস্ত কাজে বুঝিয়েছে তুই অনেক দামী বিহানের কাছে, এর এই ভাবনা থেকে ছোট বেলা থেকেই বিহানের প্রতি আকৃষ্ট তুই।বিহান নিজে কায়দা করে তোকে বিহান কে ভালবাসতে বাধ্য করেছে অথচ শেষ কালে কিনা বিহান তোকে ভালোই বাসলো না।স্ট্রেইট বলে দিলো তার শ্বশুরের মেয়ে ছাড়া তার জীবনে কেউ নেই।কি প্রয়োজন কারণে অকারণে পিচ্চি ডেকে হার্ট এ আঘাত করার।এই বিহান তোকে এক প্রকার স্যাকা দিয়েছে দিয়া।সেই পিচ্চি কালে যখন বিহান কে লজ্জার মাথা খেয়ে তোর অনুভূতি কথা জানালি সে কিনা বললো তোর এখন হামাগুড়ি দেওয়া বয়স।এই বিহান কে কখনো ক্ষমা করবি না দিয়া।সেদিন যখন তোর ক্লাসমেটের ভাই মেরিণ ইঞ্জিনিয়ার কলেজে এসে তোকে দেখেই ক্রাশ খেয়ে সিদ্ধান্ত নিলো তোর বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিবে। তুই যখন বিহান কে অপমান করে বললি আপনি শুধু আমাকে অপমান করেন আপনার থেকে মেধাবী ছেলে বিয়ে করবো,বাবার কাছে রুশা আপুর বিয়ে হলেই প্রস্তাব দিবে। বাবা ও রাজি হবেন ছেলে যখন ইঞ্জিনিয়ার আরো ইতালি থাকে। তখন দেখবেন জামাই নিয়ে রেগুলার ফেসবুকে কাপল পিক পোস্ট করবো। আপনার অত্যাচার আর সহ্য করবো না।তার পর ই বিহান কায়দা করে চিঠির ধান্দা করে তোকে বেকায়দায় ফেলে কোথায় নিয়ে আসলো।কোথায় বিহানের থেকে মুক্তি চেয়েছিলি অন্যকে বিয়ে করে সেখানে ভাগ্যর পরিহাসে সেই বিহানের চার দেওয়ালে বন্দি আজ তুই।বিহান কতটা ভয়াবহ ভাব দিয়া।এই চিঠির ধান্দা নিশ্চয়ই বিহানের ই ছিল,কিছু না কিছু তো করেই ছিলো।এর কি একটায় কারণ তোকে সারাজীবন জালানোর জন্যই এত অভিনয়।বিয়ে টাও ইচ্ছা করেই করেছে।বিহান যে ছেলে সে বিয়ে না করলে কারো সাধ্য ছিলো না।সেখানে আমি বিয়েতে না করলেও বিয়ে করে নিলো।আমাকে সারাজীবন বিরক্ত করতেই কি এত আয়োজন উনার।

উনার প্রেমিকা কি জানে উনি বিবাহিত পারসন এখন।

মনে মনে কিছুক্ষণ কথা বলে,ব্রাশ করে টেবিলে রাখা গাউন পরে বেরিয়ে গেলাম।আমার কি এটা কোনো রোগ নাকি সমস্যা এটাই বুঝি না।যে কথা গুলো উনাকে বলতে পারিনা সেগুলো মনে মনে বলি সারাক্ষণ। নিজের সাথে নিজে আর কতকাল বকবক করে কাটাবো।এতগুলো কথা নিজের মনের সাথে নিজেই বকবক করলাম।কেননা এগুলো বলার সাহস উনাকে নেই আমার।

অনেক কুয়াশা পড়েছে আজ,এ বাড়িতে মামি আর মারুফা খালা ছাড়া আর কেউ ওঠে নি।এই ঠান্ডায় আরামে সবাই ঘুমোচ্ছে আর আমি কিনা এ বাড়ির নতুন বউ ঘুম থেকে উঠে প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছি।আহা কি সুন্দর প্রতিপরমেশ্বর স্বামি আমার।এই প্রাইভেট টা উনি ই আজ ঠিক করেছেন।
বাইকের হর্ণে কান ঝালা পালা করে তুলছেন উনি।একভাবে কেউ হর্ণ দেয়।দো’তলার বেলকনি থেকে দাঁড়িয়ে দেখি রাস্তায় বাইকে বসে আছেন উনি।বাড়ির সাথেই রাস্তা তাই বাড়ি থেকে রাস্তার সব কিছুই দেখা যায়।আমি মামির থেকে বিদায় নিয়ে দ্রুত রাস্তায় গেলাম।উঠানে পড়ে থাকা শিউলি ফুল থেকে কয়েক টা ফুল তুলে নিলাম নিজের হাতে।

উনার পরণে কালো জিন্স, গায়ে এশ কালারের হুডি,পায়ে কালো সু, মাথায় হেলমেট,আবার চাঁদর ও জড়ানো আছে গায়ে।কালো বাইকের উপর শীতের সকালের সব থেকে সৌন্দর্য মনে হয় ভর করেছে।

–নিমিষেই ভাবনার জগত থেকে বেরিয়ে এলাম আমি।উনাকে নিয়ে কেনো ভাবি আমি।একদম ই আর ভাববো না আমি।

–আমার দিকে ভ্রু টান টান করে তাকিয়ে বললেন,বাইকে ওঠ।

ও বাড়ি থেকে আমার ড্রেস এনেছে শীতের কাপড় তো আনে নি।এইদিকে নিজে শীত কে প্রতিরক্ষা করতে হ্যান্ড গ্লাভস ও পরেছে।

কোনো কথা না বলে কাঁপতে কাঁপতে বাইকে উঠলাম।

উনি বললেন,”ভাল ভাবে ধরে বস দিয়া।”

বাইক স্টার্ট দিয়ে এক মিনিট পরেই বাইক থামিয়ে বললেন,মৃগে রুগির মতো কাঁপছিস কেনো?আর হাত মুষ্টিবদ্ধ রেখেছিস তাহলে ধরবি কিভাবে।হাত খোল বলছি আর আমাকে ভালভাবে ধরে বস।

এই ঠান্ডায় উনার কথা আরো বিরক্ত লাগছে আমার।কোনো উত্তর দিলাম না আমি।

“উনি নিজের গায়ের চাঁদর খুলে আমাকে দিয়ে বললেন,এটা গায়ে জড়িয়ে নে।এইভাবে শীতের কাপড় না পরে ঠান্ডা বাঁধিয়ে কে গৃহবধু নির্যাতনের মামলা দিতে চাস দিয়া।এই বুদ্ধি টা কি তোর দাদী দিয়েছে তোকে।”

“সব সময় বাবাকে,দাদাকে, কাকা দের টানেন এখন বলেন তোর মা দিয়েছে এই বুদ্ধি।নিজের ফুপ্পির কথা বলুন।”

“আমার বংশের কোনো মেয়ে এমন ধুরন্ধর না।সে বিহানের ফুপ্পি।আমাদের রক্তে কোনো সমস্যা নেই ভেজাল ও নেই।”

“কেনো আমাদের রক্তে ভেজাল আছে।”

“সিওর আছে।তোদের রক্তে অনেক ভেজাল।”

“আপনাদের রক্ত লাল আর আমাদের রক্ত কি গোলাপি”

“না রাজাকার এর রক্ত।কেরোসিন মিক্সড।”

“সারারাত বিরক্তিকর কথা বলে মন ভরে নি আপনার।দিনের বেলা বাড়িতে সুযোগ পাবেন না তাই বাড়ির বাইরে নিয়ে এসছেন তাইনা।”

“বেশী বকবক না করে হাত খোল আর ভালভাবে ধরে বস।চাইলে জড়িয়ে ধরতে পারিস।আই ডোন্ট মাইন্ড পিচ্চি।”

“আমি হাতের মুষ্টি খুলে উনার সামনে ধরলাম।হাতের মাঝে শিউলি ফুল গুলো সুবাস ছড়াচ্ছে।ফুল গুলো আস্তে করে ফেলে দিতেই উনি আমার হাতের নিচে নিজের হাত ধরে ফুল গুলো নিজের হাতে নিয়ে বললেন এবার বস।ভালভাবে জড়িয়ে ধরে বস।ছোট মানুষ কোথায় পড়ে গিয়ে দাঁত ভাঙবি।”

“পড়ে গেলেও আপনাকে ধরবো না।”

“না ধরার ফলে পড়ে গেলে কিন্তু তুলে এনে বাইকের পেছনে দড়ি দিয়ে বেঁধে নিয়ে যাবো মাইন্ড ইট।”

“সব ই তো বুঝলাম উনার মতো মানুষ ফুল দিয়ে কি করবেন।ভেরি আশ্চর্য ব্যাপার।”

“উনার কাধে হাত দিয়ে বসে বললাম,এত ব্যাস্ততার মাঝে প্রাইভেট ঠিক করলেন আমাকে নিয়ে যাচ্ছেন কিভাবে।”

উনি বাইকে থামিয়ে বললেন,,

No one is too much busy in this word we all have same 24 hours
Its all about priorities..

( (আসসালামু আলাইকুম পাঠক পাঠিকার প্রতি রইলো অনেক ভালবাসা, শ্রদ্ধা, আর স্নেহ।আমার বয়সে বড়, ছোট অনেক ধরণের মানুষ ই গল্প পড়েন।আমি কমেন্ট চেক করি,কমেন্ট দেখেই একজন লেখিকা বুঝতে পারে পাঠক-পাঠিকার কাছে কতটা গ্রহন যোগ্য হচ্ছে।এই উপন্যাস এ কিন্তু তেমন কোনো জটিল কাহিনী নেই।সিজন ওয়ান এ ছিলো না,তাই এটাই ও থাকবে নাএই উপন্যাস পাঠক-পাঠিকার ভাল লাগে বিহান-দিয়ার খুনসুটি, এটা লেখার একটায় কারণ পাঠক পাঠিকার মন ভাল হয়।দিয়াকে নিয়ে দুই একজনের যে অভিযোগ দিয়া অতিরিক্ত ইনোসেন্ট হয়ে গিয়েছে।তাদের বলছি আপাতত এমন না থাকলে গল্পের ভাল লাগা কমে যাবে।লেখিকার উপর ভরসা রাখুন ধীরে ধীরে সব কিছুই পাবেন।আমাকে আমার মতো এগোতে সাহায্য করুণ,তবে আমার লেখনির ভুল গুলো শুধরে দেওয়ার দায়িত্ব আপনাদের। সেটা ভালবেসে করলে আমি অনেক খুশি হবো)

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।