পড়ন্ত বিকালে ব্যাগ পত্র গুছিয়ে রিয়াকে নিয়ে রওনা হলাম মামাদের বাসায়।এখনো রোদের আঁচ কমে নি।উত্তপ্ত রোদে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ট জীবন।কিছুতেই যেতাম না কিন্তু ওই রাক্ষস এর ব্লাকমেইল এর জন্য যাচ্ছি।রিয়া ছাড়া কোথাও যাওয়ার অভ্যাস নেই আমার।তাতে আবার বিভা আপুর বিয়ে সেকারণে রিয়াকে নিয়ে যাওয়াটা আরো বেশী করে।যাওয়ার সময় আয়রা টা কাঁন্নাকাটি করছে বিহান ভাইয়াদের বাসায় যাবো বাধ্য হয়ে আয়রা কেও সাথে নেওয়া।বিহান অন্ত প্রাণ আয়রা।এই পিচ্চি আয়রা কে যত টুকু গুরুত্ব দেন আমাকে যদি তার ছিটাফোঁটা ও দিতেন নিজেকে ধন্য মনে করতাম।এক বিশাল বিরক্তি নিয়ে যাচ্ছি বিরক্তি হাউজে।
অটোতে গেলে পাঁচ মিনিট ও লাগে না মামাদের বাসা। জেলা পরিষদ এর সামনে চকচকা দো’তলা বিল্ডিং টা মামাদের।রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি এমন সময় আলিপ ভাইয়া কে দেখলাম রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে।আমাদের দেখেই নিজে থেকে দাঁড়িয়ে গেলো আলিপ ভাইয়া।স্বভাবসুলভ হাসি দিলেন আমাদের দেখে।
আলিপ ভাইয়া আমার মেজ কাকির বোনের ছেলে।আমার বাবারা তিন ভাই এক বোন।আমার বাবা বড়,মেজ কাকার এক এক ছেলে এক মেয়ে তোহা আর তিয়াস, মেজ কাকাদের সাথেই থাকে আলিপ ভাইয়া।ফুপ্পির এক মেয়ে মেহনুবা আপু।রিয়া আর আমরা একই বাড়িতে থাকি মেজ কাকিরা আলাদা বাড়িতেই থাকে।রিয়ার বাবা এখনো বাড়ি করে নি তাছাড়া বাবা বলেছেন যেহেতু ছেলে নেই তাই তড়িঘড়ি করে এক্ষুনি বাড়ি করার ও দরকার নেই।ছোট কাকু কুয়েত থাকে এই কারনে আরো বেশী করে রিয়া আর আমরা এক সাথেই থাকি।
আলিপ ভাইয়া আমাদের দেখে মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বলে,কি ব্যাপার কোথায় যাচ্ছো তোমরা।?রিয়া বরাবর একটু ফাজিল টাইপের বাড়ি থেকে দুই মিনিট না হাঁটলে অটো ও পাওয়া যাবে না।গা এলিয়ে দাঁত সব গুলো বেরিয়ে দিয়ে আলিপ ভাইয়া কে বলে জানেন আলিপ ভাইয়া আপনাকেই মিস করছিলো দিয়া।তাও ভীষণ মিস করছিলো জানেন।আমি আপনার নাম্বারে ফোন ও দিয়েছিলাম কিন্তু ফোন টা অফ পাচ্ছিলাম।
আলিপ ভাইয়া দৃষ্টিহীন ভাবে কয়েক বার চোখের পলক ফেলে বললো দিয়া আমায় মিস করছিলো এমাজিং ব্যাপার কিন্তু কেনো?..
এই যে ভারী ব্যাগ টা দিয়া ক্যারি করতে পারছিলো না।তাই যদি আপনি একটু হেল্প করতেন দিয়ার ভাল লাগতো খুব।
রিয়ার হাতে একটা চিমটি কেটে বললাম এসব কি বলছিস? রিয়া বিড় বিড় করে বললো একদম ই চুপ আগে ব্যাগ টা পাস করে নেই।বলদ মার্কা একটা হাসি দিয়ে বললাম আলিপ ভাইয়া “হেল্প আস”বলেই রিয়ার দিকে আরেক বিরক্তি নিয়ে তাকালাম।আলিপ ভাইয়া মারাত্মক একটা হাসি দিয়ে বললো দিয়া বললে একটা ব্যাগ ক্যানো তোমাদের ও মাথায় নিয়ে হাঁটতে পারবো।রিয়া বললো না না আলিপ ভাইয়া আমাদের নেওয়া লাগবে না আপাতত এই ব্যাগ টা নিন তাতেই আমরা হ্যাপি।আলিপ ভাইয়া বললো তা কোথায় যাচ্ছো তোমরা।আমি বললাম বিভা আপুর বিয়ে কাল গায়ে হলুদ আপনারা কাকিমনিদের সাথে চলে আসবেন কিন্তু।আলিপ ভাইয়া বললো দিয়া বিহান ভাই এসছেন কিন্তু সাবধান।আলিপ ভাইয়া কে বললাম,ওহ আচ্ছা উনিও এসেছেন তাতো জানতাম না।
অটো তে করে জেলা পরিষদ এর সামনে গিয়ে নামলাম।
“মামাদের বাড়িতে প্রবেশ করার সময় আয়রা ঘ্যান ঘ্যান করছে আমি কোলে উঠবো পায়ে ব্যাথা করছে।আমি আর হাঁটতে পারছি না।”
“আমি একটা ধমক দিয়ে বললাম এই তুই হাঁটলি কখন রে এলাম তো অটো করে তোর জন্য ত্রিশ টাকা খরচ হলো না হলে আমি আর রিয়া হাঁটতে হাঁটতে চলে আসতাম।”
“রিয়া বিরক্ত হয়ে বললো,, দিয়া আমি কিন্তু বিয়ে বাড়িতে ইনজয় করতে এসছি।আয়রার ঘ্যান ঘ্যান আমি সহ্য করতে পারবো না।তুই নিয়ে এসছিস তুই সামলা।ও কেমন ফাজিল তুই জেনে শুনেই এনেছিস কিন্তু।আমি আয়রার কোনো দায়িত্ব নিতে পারবো না বলে দিলাম”
এমনি তে টেনশন মাথায় নিয়ে জমের বাড়ি প্রবেশ করেছি।সকালে ব্রাশ নিয়ে আচ্ছা অপমানিত হয়ে বিকালেই আবার সে বাড়িতেই আসতে হচ্ছে।আয়না ঘ্যান ঘ্যান করেই যাচ্ছে জোর করেই হাঁটিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করলাম।এই টাইমে সবাই হয়তো ঘুমিয়েই আছে।কাউকে দেখা যাচ্ছে না।হয়তো দুপুরে খেয়েই ঘুমিয়েছে সবাই।
রিয়া সোজা বিভা আপুর ফ্ল্যাটে গেলো।দুই মামার দুইটা বাড়ি এক সাথেই করা উঠান একটাই।দুই মামার ফ্যামিলিতে এত্ত মিল।কে কখন কার বাড়ি খাচ্ছে,ঘুমোচ্ছে কোনো কিছুর ই ঠিক নেই।
বিহান ভাই এর আম্মু আমাকে দেখেই হাত থেকে ব্যাগ টা নিয়ে বললো, “দিয়া তোর সাথে ভীষণ রাগ করেছি আমি।”
“আমি বললাম, ক্যানো মামি।?”
“এই যে সকালে না বলে চলে গেলি।পরে বিহান আমাকে হাজার বার অনুরোধ করেছে আম্মু প্লিজ দিয়াকে বুঝিয়ে নিয়ে এসো।আমি ও বলে দিয়েছি তুই ওর সাথে খারাপ ব্যবহার করেছিস তুই যা।তুই দিয়াকে যদি আনতে পারিস তাহলে নিয়ে আয়।না হলে থাক।পরে দেখলাম তোদের বাসার দিকেই গেলো।”
“হ্যাঁ মামি তোমার ছেলের হুকুমের গোলাম আমি।আমাকে ছোট মানুষ পেয়ে যা ইচ্ছা তাই বলে।উনার অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য একটা রিক্সাওয়ালা দেখে পালিয়ে যেতে হবে।”
“তোর কপালে রিক্সাওয়ালা ছাড়া ভালো কিছু ডিজার্ভ করিস বুঝি।”
পেছনে তাকিয়ে দেখি,,ব্লু জিন্স আর এশ কালারের গেঞ্জি পরে দরজায় এসে দাঁড়িয়েছেন বিহান ভাই।উনার কোলে আয়রা গলা জড়িয়ে ধরে আছেন।হঠাত উনাকে দেখে কথা বলা অফ হয়ে গেলো আমার।অসম্ভব সুন্দর আর স্নিগ্ধ লাগছে উনাকে।এর আগেও বহু বার ক্রাশ খেয়েছি উনাকে দেখে।এক বাইশ বছরের যুবক দাঁড়িয়ে আমার সামনে।উনার মাঝে কোনো কিছুর কমতি নেই না আছে ফর্সার কমতি,না আছে স্মার্টনেস এর,যেমন ব্রিলিয়ান্ট, তেমন রাগী, আবার এক মুহুর্তে মানুষের রাগ পানি করে দিতে পারেন।বিহান ভাই এর একটাই সমস্যা নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে পারেন।এমনি তে সবার সাথে হাসি,ঠাট্টা, ফান ভালোই করেন উনি তবে অতিরিক্ত না।কিন্তু উনি রেগে গেলে ভিন্ন কথা এক মহা তান্ডপ শুরু হয়।উনার সমস্যা বেশীরভাগ ক্ষেত্রে উনার মনের কথা বুঝে নিতে হবে। সেটা না হলেই রেগে যাবেন মাঝে মাঝে মামা মামি হাঁপিয়ে যান কি নিয়ে রাগ হলো সেটা ভাবতে ভাবতে।রাগের কারণ কাউকেই বলেন না।পৃথিবীতে আমি একটা মাত্র মানুষ যাকে বিরক্ত আর রাগানোর জন্য হলেও টাইম নষ্ট করেন উনি।
“বিহান ভাই এর দিকে তাকিয়ে বললাম,ক্যানো কি মনে হয় আপনার।”
“আমার মনে হয় তোর মতো অত্যাচারী কে দেখলে নিরীহ রিক্সাওয়ালা মামারা ভয় পাবে।এমন জালিম মেয়ে জেনে শুনে কে বিয়ে করবে শুনি।”
“মামা মানে!আপনার কি মনে হয় মামার বয়সী কেউ আমার কপালে জুটবে।”
“জীবনে প্রথম বার একটা জিনিস অতি সহজেই বুঝে গেলি।তোর ব্রেনের অনেক উন্নতি হয়েছে দিয়া।যাক ফুপ্পির মনের ইচ্ছা এইবার পূরণ হওয়ার মতো একটা চান্স আছে তুই ডাক্তারি তে চান্স পেলেও পেতে পারিস।তবে সব মামা হলেই যে বয়স্ক হবে সেটা নয়।যদই আদিম যুগে ফিরে যাস তাহলে দেখবি,মামা,ভাগ্নে সব একই বয়সী আছে”
“উনার বিরক্তিকর কথা অলরেডি শুরু হয়ে গিয়েছে।ক্রাশ ফ্রাস যা খেয়েছিলাম রাগে উড়ে গেলো।নিজেও খানিক বিরক্তি নিয়ে বললাম,আমি অত্যাচারী হলাম কিভাবে শুনি বিহান ভাই?”
“শুধু কি অত্যাচারী রাজাকার হয়েছিস তুই।১৯৭১ সালে রাজাকার রাও এতটা অত্যাচারী ছিলো না।তুই যেভাবে শিশু নির্যাতন করছিস। তোর নামে শিশু নির্যাতন মামলা দিতেই হবে।কি সংঘাতিক মহিলা তুই।তা না হলে এইভাবে এতটুক ফুটফুট বাচ্চার উপর কেউ নির্যাতন করে।”
“কোন বাচ্চা সাথে সাথে আয়রার দিকে চোখ গেলো আমার।এই আয়রা টা নির্ঘাত উল্টা পাল্টা নালিশ দিছে।চোখ দিয়েই আয়রাকে ভস্ম করতে ইচ্ছা হচ্ছিলো।আয়রার দিকে রাগি রাগি চোখ নিয়ে তাকাতেই বিহান ভাই বলেন,, তুই কি তোর বাপ দাদার মতো হয়েছিস নাকি।রাগ আর হুমকি দেখিয়ে প্রমান লোপাট করতে চাস।”
“কিসের প্রমাণ? ”
“তুই আয়রা কে সারাপথ হাঁটিয়ে নিয়ে এসছিস কেনো?”
“দাঁতে দাঁত চেপে বললাম আয়রা তুই ক’পা হেঁটেছিস। ডাহা মিথ্যা নালিশ দিয়েছিস কেনো?”
“ভাইয়া দেখেছো বকছে।”
“তোর দলের লোক এর মতোই হচ্ছিস তো আয়রা সকালে ডাক্তার দেখানো নিয়ে আম্মুকে মিথ্যা বলেছে আর তুই হাঁটা নিয়ে মিথ্যা বলছিস।মানিয়েছে ভালোই”
“দিয়া ডাক্তার না দেখিয়েও সত্য বলা যায়।আমি কি জানিনা তুই বাড়ি থেকে পালাচ্ছিলিস।তুই তার আগে বল আয়রা কে কোলে নিস নি কেনো”
“ওর ওজন ২০ কেজি আমি কিভাবে কোলে তুলবো।”
“তুই যে ছোট বেলায় হাতি ছিলি ভুলে গেছিস।সারাদিন আমার কোলে আর ঘাড়ে চড়তি।তোর মতো ভারী একটা শাকচুন্নি কোলে নিয়ে আমার হাইট এত কম নইলে আরো একটু লম্বা হতাম।।”
“৬ ফিটের পরেও আরো লম্বা হওয়ার ইচ্ছা আছে আপনার।লম্বা হওয়ার আফসোস মিটে নি আপনার”
“এর বেশী লম্বা হলে মেয়ে পাওয়া যেতো না তাহলে।এত লম্বা মেয়ে নেই কোথাও।সব আমার মতো ৫ ফিট ২ এর মেয়ে দেশে।।।”
“লম্বা ছেলেদের জন্ম হয়েছে খাটো মেয়েদের জন্য।সো মানিয়ে নিতে পারবো।”
মামি কখন বেরিয়ে গিয়েছে খেয়াল ও নেই।আমি উনার অসহ্য কথাগুলো না শুনে নিজেও বেরিয়ে গেলাম।
__________________________________
ছাদে গিয়ে বেত লাফাচ্ছি আমি। আমাকে দেখেই বিভা আপু,বিভোর ভাই,রিয়া আমার কাছে এগিয়ে এলো।বিভা আপু আর বিভোর ভাই খুব ই আদর করেন আমাকে।বিভা আপু বললো দিয়া আমি কিন্তু তোর হাতেই মেহেদী পরবো।আমি বেত লাফাতে লাফাতে বললাম আপু ডোন্ট ওরি আমি সব করবো বিয়েতে।
বিভা আপু রিয়াকে বললো,রিয়া তুই এত ফর্সা হচ্ছিস কিভাবে বলবি।এমনি ফর্সা মানুষ পুরা বিদেশি লাগছে।
বিভোর ভাই রিয়ার দিকে তাকিয়ে বললো রহিম চাচার দোকানে স্পেশাল নাইট ক্রিমের অর্ডার দিয়েছে রিয়া।রিয়া তো অলওয়েল নাইট ক্রিম মাখে।একটা বিজ্ঞাপন দেখতে না জামাইল্লার বউ এত ফর্সা হলো কেমনে।রিয়া সেই জামাইল্লার বউ এর থেকে ক্রিমের নাম শুনেছে।
রিয়া বিভোর ভাই এর দিকে তাকিয়ে বললো,ঠিক বলেছেন কালো মানুষ কি করবো।
বিভা আপু হেসে দিয়ে বললো তোরা এত ফাজিল ক্যানো?
রিয়া ছোট বেলা থেকেই অনেক ফর্সা বিভোর ভাই রাগাতেই এমন বলেছেন।গায়ের রং আমার ই চাপা।
আমাদের আড্ডার মাঝে এসে প্রবেশ করলেন বিহান ভাই।এক হাত পকেটে আরেক হাত দিয়ে ফোন স্ক্রল করছেন।উনার পূর্ণ দৃষ্টি ফোনের দিকে।
ভ্রু কুঁচকে আমার দিকে একবার তাকালেন।ফোন প্যান্টের পকেটে রেখে বললেন, আবির আহমেদ শুভ কোথায়?
বিভোর ভাই বললেন সকালে আসবে বললো।
মেহনুবা আর শুভর মাঝে কি চক্কর চলে।
বিভোর ভাই বললেন ক্যানো?
মেহু শুভ কে ট্যাগ দিয়ে স্টাটাস দিছে ভালো হয়ে যাও মফিজ।আমি চিন্তিত আছি শুভ কতদিন ব্রাশ করে না সেটা নিয়ে।
আবির ভাইয়া কে মামা বাড়ির সবাই শুভ নামেই ডাকে।
দুনিয়ার সব মনে হয় বিহান ভাই এর চোখেই পড়ে।
নিচে থেকে মামি ডাকছে দিয়া একটু নুডুলস করতো মা আয়রার জন্য।আমি একটু কাজে ব্যাস্ত আছি।
নিচে গিয়ে নুডুলস করে আয়রা কে খাওয়ানোর চেষ্টা করছি।আয়রা ছুটতে ছুটতে গিয়ে বিহান ভাই এর রুমে প্রবেশ করলো।আমিও আয়রার পেছনে পেছনে গেলাম।এমন সময় বিহান ভাই ও রুমে প্রবেশ করলেন।
“ঘরে ঢুকেই বললেন,,দেখি ঘরের বুয়া কেমন নুডুলস রান্না করতে পারে।”
“উনার দিকে অগ্নিদৃষ্টি নিক্ষেপ করে বললাম,আমি ঘরের বুয়া।”
“সরি দেখি আমার ঘরের বউ কেমন রান্না করেছে।”
“কি বললেন।”
“দেখলি এইজন্য ঘরের বউ বলতে চাই নি।জানতাম তুই রেগে যাবি।রেগে না গেলে ঘরের বউ ই বলতাম।এলাউ কর রোজ বলবো।”
“একদম ই বাজে কথা বলবেন না।
আয়রা খাবি নাকি রেখে চলে যাবো।”
বিহান ভাই আমার দিকে ঝুকে এসে চোখের দিকে তাকিয়ে বললেন,,
“তোমার আগুন চোখে তাকিয়েছি যতবার
ততবার পুড়েছি তোমার চোখের মায়ায়
তুমি আগুন নিয়ে খেলো
পুড়াও আমাকে তোমার চোখের মায়ায়।আমি পুড়তে রাজি সহস্র বার
তাইতো বারেবার তোমার চোখে আগুন ঝরানোর চেষ্টায় মেতে থাকি।”