এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা – সিজন ২ | পর্ব – ১৭

কাজিনদের একটা মারাত্মক সমস্যা হলো যে যাকে ইচ্ছা তাকে পঁচাবে এটা যেনো কাজিন গত এক অধিকার।নিজেরা নিজেদের পঁচাবে অথচ বাইরের কেউ কিছু বললে ছাড় দিয়ে কথা বলবে না।হ্যাঁ এটাই ভালবাসা কাজিনদের।আমাদের কাজিনদের মাঝে আবার দল ভাগ আছে যেমন বিভোর ভাই আমার সাপোর্ট এ সব সময়।বিহান ভাই আমার বিপক্ষে অবস্থান করেন। বিহান ভাই রিয়া আর মেহু আপুর সাপোর্ট এ থাকে।তাছাড়া সব গুলা ছেলেকে পঁচানোর ওস্তাদ বিহান ভাই।কাজিন দের আড্ডার বস উনিই গুরুগম্ভীর বিহান ভাই।

বিভোর ভাই আর রিয়ার ঝগড়া শুনে তর তর করে নিচে নেমে এলাম আমি আর বিহান ভাই।

“বিহান ভাই বিভোর ভাই এর মায়ের দিকে তাকিয়ে বললেন,কাকিমণি রিয়া ঠিক ই বলেছে, রিয়া যা বলছে বিভোর সেগুলোই বলেছে।আপনার কষ্ট দেখে বিভোর এর ভাল লাগছে না আপনার জন্য একটা বউমা চাইছে বিভোর।”

আমরা ফ্যামিলির সবাই যথেষ্ট ফ্রি মাইন্ডের।সবাই সবার সাথে প্রচুর ফান করি কেউ কিছু নিয়ে মাইন্ড করি না।সবাই অনেক ফ্রেন্ডলি।মামি রা,কাকি মনিরা আমাদের বেষ্ট ফ্রেন্ড বলা চলে।

“বিভোর ভাই এর আম্মু বললেন,ওর চাকরি না হলে কোনো বিয়ে হবে না।মাস্টার্স শেষ করে সারাদিন শুধু ফোন চাপাচাপি কাজ, ওর বিয়ের জন্য শর্ত প্রজোয্য যেদিন চাকরি হবে সেদিন বিয়ে দিবো।”

‘বিভোর ভাই বিভা আপুকে বললো,আপু তোমার হবু বর কে বলো আমার জন্য জবের ব্যাবস্থা করতে।না হলে বিয়ে করে কিন্তু তার বাড়িতে গিয়ে উঠবো।”

“আমি ই এখনো যেতে পারলাম না আর তুই বউ নিয়ে যাবি।দেখা গেলো তোর বউ ই রেখে দিলো।”

“তোমার হবু বর যে পরিমান উইক তোমার প্রতি জীবনেও অন্য কারো দিকে তাকাবে না।”

“তোকে বলেছে তাইনা?অসভ্য কোথাকার।”

বিহান ভাই আবার বললেন,বিভা আপু বিভোর কিন্তু বিয়ের জন্য পাগল হয়ে গিয়েছে কিছু করো।

এরই মাঝে বিভা আপুর হবু বর কল দিয়েছে।এক মাস আগেই এনগেজমেন্ট হয়েছে বিভা আপুর।শীত গেলেই বিয়ে হবে।বিভা আপু আর মামি আমাদের আড্ডার মাঝ থেকে চলে গেলো।

“আমি চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে বললাম এমন মিথ্যা ধর্মে সইবে না বিহান ভাই।”

“সকালে তো নামাজ ও পড়িস নি এখন ধর্ম টেনে কথা বলছিস ষ্টুপিড। ”

“বিভোর ভাই বললেন,এই বিহান একদম দিয়ার বিপক্ষে কথা বলবি না,তাহলে তোর নামে বধু নির্যাতন এর কেস দিবো।”

“কি অভিযোগ লিখবি।”

“লিখবো তোর চরিত্র খারাপ,আমার বোন কে রেখে পাশের বাসার ভাবির সাথে পরকিয়া করিস।”

“ছিঃ শুনেই গা গোলাচ্ছে।রিয়া তুমি বলোতো এই অভ্যাস কার আছে।”

“কার আবার বিভোর ভাই এর।সে কথা কি আর মুখে বলা লাগে বিহান ভাই।”

“রিয়া আমার নামে অপবাদ দিলে তোমাকে বিয়ে করে বছরে বছরে জমজ বাচ্চার জন্ম দিবো।”

“আপনার মতো উল্লুক কে বিয়ে করছে কে?আবার বাচ্চার পর্যন্ত চলে যাচ্ছেন।”

“হুম শ্বাশুড়ি কে কথা দিবো তার মেয়ের পেট খালি রাখবো না।”

“রিয়া বললো দেখলেন বিহান ভাই বিভোর ভাই আমাকে কত খারাপ কথা বলছে।”

“বিহান ভাই বাকা চোখে বিভোর ভাই এর দিকে তাকিয়ে বললেন,রিয়া বিভোর তো ক্যারেক্টার লেস এজন্য এসব কথা বলে।আর হ্যাঁ ও কিন্তু তোমাকে বিভিন্ন উপায়ে পটানোর চেষ্টা করছে।ভুলেও ওর ফাঁদে পা দিও না।চিটিং বাজ একটা।”

এমন সময় মারুফা খালা এসে বললো,ভাবি তোমাদের ডাকছে ভেতরে এসো।মারুফা খালা আমার মামিদের ভাবি বলে ডাকে।এ বাড়িতে মামিদের হাতে হাতে কাজে সাহায্য করেন উনি।তবে কেউ সেভাবে কাজের মহিলার চোখে দেখে না উনাকে।আমরা সবাই খালা ডাকি উনাকে।

ভেতরে যেতেই মামি ডেকে বললো রিয়া এসে থেকে উঠানে দাঁড়িয়ে আছো কেনো মামনি।এসো ভেতরে এসো।এমন সময় রিয়ার ফোনে মেহু আপুর ফোন।রিয়া ফোন রিসিভ করে বললো মেহু আপু আমি তো বিহান ভাই দের বাসায়।ওপাস থেকে মেহু আপু বললো, আমি আর তোহা বিহান ভাই দের বাসার সামনে।দিয়ার বাসর ঘরের গল্প শুনতে একাই চলে গিয়েছিস।রিয়া ফোন কেটে দিয়ে বললো,মেহু আপু আর তোহা আপু ও এসছে।বিহান ভাই কি বিরক্ত হলেন ওদের কথা শুনেই কপাল কুচকে ফেললেন।কিছুক্ষণের মাঝেই মেহু আপু আর তোহা আপু ও উপস্হিত।বাসা পাশাপাশি হওয়াতে ছোট বেলা থেকে এ বাসায় সবার যাতায়াত সচরাচর।মামি নাস্তা খেতে দিলে সবাই নাস্তা খেয়ে আড্ডা দিতে বসলাম।মেহু আপু বললো,বিহান ভাই দিয়া আর ঝগড়া করে নিতো?উনার ভ্রু কুচকানো উত্তর ঝগড়া আবার করে নি,আগে ছিলো ভয়ঙ্গকর বেয়াদব মহিলা,আর এখন হয়েছে ভয়ঙ্কর বিবাহিত অসভ্য বেয়াদব মহিলা।আমি আশ্চর্য হয়ে উনার দিকে তাকালাম।না মানে উনি আমাকে ঠিক আর কি নামে ডাকবেন।তোহা আপু বললো,বিহান ভাই কাল রাত কেমন কাটলো।বিহান ভাই উঠে হাঁটা দিয়ে বললেন,তোমাদের যেভাবে কেটেছে আমার ও সেভাবে কেটেছে।কথাটা বলেই উনি উঠে উনার রুমে চলে গেলেন।আমি জানি এসব প্রশ্নের উত্তর কখনোই দিবেন না।অন্যদের সামনে উনি সম্পূর্ণ ভিন্ন একজন মানুষ অথচ আমাকে দুনিয়ার অসভ্য কথা বলেন।

তোহা আপু আর মেহু আপু আমাকে বললো,দিয়া বিহান ভাই তো রাগী, খিটখিটে মানুষ কাল ও কি তেমন ছিলেন নাকি রোমান্টিক হয়ে গেছিলেন।না মানে এক্ষুনি বিহান ভাই কথার উত্তর না দিয়েই উঠে গেলেন।আমরা জানি বিহান ভাই কাউকে কিছুই বলবেন না।

আমি বিভোর ভাই এর দিকে তাকিয়ে লজ্জায় উঠে চলে গেলাম।বিভোর ভাই আমার ভাইয়ের সমান।উনার সামনে এসব কথা উচ্চারণ হলে লজ্জায় আমার মাথা নিচু হয়ে যায়।আমি ছুটে পালালাম।বিভোর ভাই বললেন রিয়া আর আমার ফুলসজ্জার গল্প শোনাবো কথা দিলাম কেউ মন খারাপ করো না।রিয়া চোখ রাঙিয়ে হাঁটা দিলো।আমি বাইরে এসে উঠানে দাঁড়িয়ে মেহু আপু, রিয়া আর তোহা আপুর সাথে প্রায় একঘন্টা কথা বলে রুমের দিকে গেলাম।বাইরে থেকে বিহান ভাই ফোনে কথা বলছেন তাই আমি দাঁড়িয়ে গেলাম।

‘বিহান কি অবস্হা ভাই কেমন আছিস?’

‘ভাল আছি,কি অবস্থা তোদের?’

&আরে ভাই তোরা ছাড়া ভাল থাকি কিভাবে,আছি মহা ঝামেলায়,অদ্রির বাসা থেকে বিয়ের চাপ দিচ্ছে।এইদিকে আমার বাসা থেকে পাশ না করলে বিয়ে করাবে না।’

‘পাশ তো একদিন না একদিন করেই যাবি,তার জন্য কি ভালবাসা হারিয়ে যাবে।ভালবাসা এত সহযে পাওয়া যায় না ভাই প্রয়োজনে কৌশল অবলম্বন কর।’

‘কিভাবে?’

‘বিয়ে করে সোজা বাড়িতে বউ নিয়ে গিয়ে বলবি এইযে তোমাদের বৌমা।মেনে না নিলে শ্বশুরবাড়ি ঘর জামাই থাকতে এগ্রিমেন্ট এ সাইন করে দিচ্ছি।’

‘এতে কি কাজ হবে।’

‘আরে বিয়ে কর এমনি মেনে নিবে।’

‘তারপর ভাবির কি অবস্হা কেমন আছে?’

‘হ্যাঁ ভাল আছেন তিনি।’

‘রোমান্স কেমন চলছে ভাবির সাথে।’

‘তিনি একদম ই ছোট মানুষ, এইসব রোমান্স টোমান্স বুঝে না।’

‘তুই বুঝালেই বুঝবে।’

‘আমি চাই না ও এইটুকু বয়সে এসবে আসক্ত হোক।ওর বয়স টা বড্ড কম।একবার এসবে ঢুকে গেলে আর বেরোতে পারবে না।’

‘এর সাথে বয়সের কি সম্পর্ক,আর মেয়েরা একটু বেশী বোঝে তুই একবার ট্রাই করে দেখ।এটা কোনো আসক্তি না ভাই এটা হলো প্রেম।’

‘এটাই সমস্যা ভাই,একেতো পুচকি একেবারেই পুচকি।আর মেয়েদের মন থাকে অনেক ইমোশনাল। মেয়েরা যাকে ট্রাস্ট করে ভালবাসে মন দিয়ে দেয় তাকেই নিজের হাজবেন্ড ভাবতে শুরু করে।আমার উইকনেস জেনে গেলে ও সারাক্ষণ আমি আমি করতে থাকবে।এই বয়সে যদি সব সময় প্রমালাপ করি তাহলে ওর ধ্যান জ্ঞান সব সময় প্রেমের দিকে থাকবে।মেয়েদের এই ইন্টার লেভেল মারাত্মক খারাপ বয়স,চোখে থাকে রঙিন চশমা।তার উপর আবার যদি অতিমাত্রায় রোমান্স করি, ওর মন এসবে ঢুকে গেলে ওর আর লেখাপড়া হবে না।আমি চাই এখন যেমন আছে এমন ই থাকুক। আগে ওর লেখাপড়া করতে হবে।না হলে ফিউচারর আমার পাশে নিজেকে ওর নিজের কাছে বেমানান মনে হবে।যদিও ওকে নিয়ে আমি কিছুই ভাবি না,ওর গায়ের রং,ওর বয়স,ওর হাইট, ওর যোগ্যতা, মানুষ কি বললো আই ডোন্ট কেয়ার ভাই তোরা তো ভাল করেই জানিস ও মানে আমার কাছে পুরো পৃথিবী। এই ইনোসেন্ট অবুঝ পিচ্চি কেই আমার চাই।বাট ফিউচারে ওর নিজের কাছে খারাপ লাগুক এটা আমি চাই না।ওর জীবনে খারাপ লাগা আসুক এটা আমি হতে দিবো না।ও যেনো ফিউচারে আমার পাশে দাঁড়িয়ে নিজেকে নিজে ছোট না ভেবে বরং এটা বলতে পারে আমি আমার হাজবেন্ড এর যোগ্য।আমার পরিবার বা আমি ওকে সব সময় মাথায় তুলে রাখলেও সমাজের নোংরা মাইন্ডের মানুষগুলো ওকে বার বার মনে করিয়ে দিবে তোমার হাজবেন্ড ডাক্তার আর তুমি কি করো।আসলে ওর মানসিক শান্তির কথা ভাবতে ভাবতে পৃথিবীর কোনো কিছুই ভাবার সময় পাই না আমি।’

‘ভাবি কি তোর মনের খবর জানে।একটু হলেও জানানো উচিত।ভালবাসার কথা জানলেই যে লেখাপড়ার ক্ষতি হবে এমন টা কিন্ত না বিহান।তোর মনের কথা জানলে ভাবি আরো খুশি হবে।লেখাপড়ায় মন দিতে পারবে।’

‘না জানেনা,আসলে লেখাপড়া ক্ষতি নিয়ে ভাবতাম ওর এস.এস.সি এর আগে।এখন আর ওটা বেশী ভাবি না।ভালবাসা বেশী প্রকাশ করি না,আর বেশী প্রকাশ করতেও নেই। প্রকাশ করলে শুনেছি ভালবাসা সস্তা হয়ে যায়।ও যদি আমার ভালবাসা প্রকাশের পর আমাকে ছুড়ে ফেলে।তাহলে আমি কখনো ওর অবহেলা সহ্য করতে পারবো না।’

‘আর কত বিহান, কবে জানবে?সঠিক মানুষের কাছে প্রকাশ করলে ভালবাসা কখনো সস্তা হয় না বরং বাড়তে থাকে।’

‘যতদিন না নিজে থেকে বুঝে নিবে ততদিন কিছুই বোঝাবো না।’

‘বুঝলেও কি তোকে বলার সাহস পাবে।’

‘পিচ্চি যে, নইলে ঠিক ই বুঝে নিতো।’

‘তোর মনের কথা না জানালে ভাবি যদি অন্য দিকে চলে যায়।’

‘এ বাঁধন বড় শক্ত বাঁধন, সাত জনমেও আমাকে ছেড়ে যেতে পারবে না।’

তুই যেভাবে ভাবিকে রাগিয়ে দিস,বেচারি ভাল বলে সহ্য করে।অন্য কেউ হলে এতদিনে কি করতো তার ঠিক নেই।’

‘কি করবো সিরিয়াসলি ভাই আমার ওকে বিরক্ত না করলে ভাল লাগে না।ও চুপ চাপ থাকলেও ভাল লাগে না।ও রেগে যাবে, ঝগড়া করবে কেঁদে দিবে তবেই আমার ভাল লাগে।’

‘বিহান ভাবির সামনে তোর সম্পূর্ণ অন্য এক রুপ, কিন্তু ভাবি যদি বুঝতো তুই তাকে কতটা ভালবাসিস আনন্দে কেঁদেই দিতো।’

‘সে হলো রাগকন্যা, সারাক্ষণ রাগে ফুঁসবে কিন্তু প্রকাশ করতে পারবে না।আর সাথে কাঁন্না তো আছেই।’

ভাই ফোন রাখছি,আমার নিউ কাজের মহিলা দরজায় এসে দাঁড়িয়ে আছে।দেখি উনার কি চাই শুনে নেই।উনি কি আমায় কাজের মহিলা বললেন।আমি সাথে সাথে রেগে উনার দিকে তাকালাম।

–রেগে প্রশ্ন করলাম আপনি কি আমাকে কাজের মহিলা বললেন?

–উনি আমার থেকে দ্বিগুন রেগে গেলেন,হঠাত উনার চোখ রক্তজবার মতো হয়ে গিয়েছে।আমার দিকে ভীষণ রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললেন,কারো ব্যাক্তিগত কথা লুকিয়ে লুকিয়ে শোনা কোন ধরনের অসভ্যতা দিয়া।এত চিপ মাইন্ডের কেনো তুই?

–আমি আপনার কোনো কথা শুনছিলাম না।

–জাস্ট সাট আপ।নেক্সট টাইম যেনো এমন অভদ্রতা আমি না দেখি।ইন ফিউচার আমার রুমে আসলে নক করে আসবি।আমি সব সময় ফ্রি থাকি না, অনেক প্রাইভেট কাজ, প্রাইভেট কথা বলি ফোনে।সেগুলো বাইরের কেউ শুনুক আমি সেটা একদম ই পছন্দ করি না আন্ডারস্ট্যান্ড।

–আপনি তো এতক্ষণ হেসেই কথা বলছিলেন,আমাকে দেখে এমন করছেন কেনো?আমি কি করেছি বিহান ভাই।আমার চোখে পানি ছলছল করছে।

–জাস্ট সাট আপ,আই সে সাট আপ।তোর চোখে পানি কেনো?আমার সামনে একদম ই কাঁদবি না।আমি কি তোকে মেরেছি কাঁদছিস।ভ্যা ভ্যা করে কাঁদলে একটা থাপ্পড় দিবো।

–চোখের পানি মুছে বললাম আপনার প্রেমালাপ আমি শুনছিলাম না ওকে।

কাউকে কিছুই না বলে আম্মুদের বাসায় চলে এলাম আমি।সারারাস্তা ভেবেছি সামান্য ফোনের কথা শোনার জন্য এতটা রিয়্যাক্ট কেনো করলেন উনি।আমি আর একদিন ও যাবো না ও বাড়িতে।উনি উনার প্রেমিকাকে এতটায় ভালবাসেন তার সম্পর্কে কথা শুনে ফেলেছি বলে এত বাজে ব্যাবহার করলেন।

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।