গাঙিনীর পাড়েই গাঙচিল নামক ছোট্ট ক্যাফেটার ভেতরে গোল টেবিলের চার আসনের তিনটা আসন দখল করলো মেহেনূর,তনিমা আর শান্ত।অবশিষ্ট খালি আসন খানি আপাতত শান্তর স্যুটের দখলে।অবয়ব দেখে দূর থেকে মনে হচ্ছে উক্ত আসনে একজন গলা কাটা সাহেব বসে আছে!শান্ত জানতো না এখানে তনিমাও আসবে।এই মেয়ে ওইদিন যা জ্বালান জ্বালিয়েছে ওকে,তারপর দ্বিতীয়বার ওর মুখ না দেখার প্রতিজ্ঞাই করেছিল মনে মনে।কিন্তু এখানে এসে তনিমাকে দেখে শান্ত ভীষণ অবাক হয়।তবে মেহেনূর সবটা সামলে নিয়েছে।সামনা-সামনি বসে আছে শান্ত আর তনিমা।শান্তর ডানে আর তনিমার বামে অর্থাৎ দুজনের মাঝখানে মেহেনূর বসে আছে।মেহেনূর একবার শান্তকে দেখছে তো আরেকবার তনিমাকে দেখছে।দুজনেই দুই কাজে ব্যস্ত।শান্ত ল্যাপটপে কিছু কাজ করছে।অবশ্য মেহেনূরের সায় নিয়েই কাজ করছে।আর তনিমা মনের আনন্দে ফোনে সেলফি তুলছে।ফাঁকে ফাঁকে শান্তর অগোচরে ওরো টুকটাক ছবি তুলে নিচ্ছে।মেহেনূর চোখ গোলগোল করে তাকায় তনিমার দিকে।মেহেনূরকে ওইভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে তনিমা মেকি হেসে ফোনটা টেবিলের উপর রেখে দেয়।
– ভাইয়া আপনার কাজ হয়েছে?
বিনয়ের সাথে জিজ্ঞাস করলো মেহেনূর।শান্ত ল্যাপটপের দিকে দৃষ্টি রেখেই মৃদুস্বরে বললো,
– এইতো প্রায় শেষ।
মেহেনূর আর কিছু বললো না।তনিমার ফোনটা হাতে নিয়ে সময়টা দেখে নিলো।সাড়ে পাঁচটা বাজে।সন্ধ্যায় ওকে আবার এয়ারপোর্টে যেতে হবে।রাওনাফরা কক্সবাজার থেকে চলে আসছে।ছয়টায় ওঁদের ফ্লাইট ল্যান্ড করবে।
– বলো কি বলতে ডেকেছো।
শান্ত ল্যাপটপটা বন্ধ করে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে কথাটা বললো।তনিমার চোখ চকচক করে উঠলো,চোখে মুখে লাজুকতা।শান্ত আঁড়চোখে একবার তাকালো তনিমার দিকে।তবে আজ ওর কাছে তনিমাকে একটু অন্যরকম লাগছে।ওইদিনের তুলনায় আজকে ছটফটানি ভাবটা অনেক কম।আসার পর থেকে একবারও তনিমার গলার স্বরটা অবধি শুনতে পেলো না।ব্যাপারটা একটু খটকা লাগলো শান্তর কাছে।মেহেনূর স্মিত হেসে বললো,
– আসলে ভাইয়া কথাগুলো একটু পার্সোনাল।
– সমস্যা নেই।তুমি বলো কি বলতে চাও।
– ভাইয়া আপনার ফ্যামিলিতে কে কে আছে?
– দাদাজান,বাব- মা,আমি আর আমার একটা ছোট ভাই আছে।এইতো আমাদের পাঁচ সদস্যের পরিপূর্ণ আর সুখী পরিবার।
– কিন্তু আমার তো পরিপূর্ণ মনে হচ্ছে না।পরিপূর্ণ হতে হলে তো আরো সদস্য প্রয়োজন!
মেহেনূরের কথা শুনে মুচকি হাসলো শান্ত।মেহেনূরও মৃদু হাসে। তনিমার অপলক দৃষ্টি স্থির শান্তর উপর।শান্ত মুখের হাসি প্রসারিত করে বললো,
– আমার ভাই ওহি,ও এখনো অনেক ছোট।সবে ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছে।তবে আমার জীবন পরিপূর্ণ হতে খুব বেশি একটা দেরি নেই!আমার জীবনে দাদাজানের কথাই শেষ কথা।দাদাজানই আমার আইডল,বেস্ট ফ্রেন্ড।আমিও তাঁর কথাই মানি।দাদাজান আমার জন্য মেয়ে পছন্দ করেছেন।উনার কোনো এক বন্ধুর নাতনি।উনার ইচ্ছা সেই মেয়েকেই আমার বউ হিসেবে দেখতে চান।আমিও তাঁর এই ইচ্ছাটাকে অপূর্ণ রাখতে চাই না।আর তাই দাদাজানের পছন্দ করা মেয়েকেই বিয়ে করতে যাচ্ছি।অবশ্য আমি এখনো মেয়ে দেখি নি।দাদাজান তাঁর নাম, ঠিকানা আমাকে কখনোই বলে নি।আমি জানতে চায় নি।তবে,দাদাজানের মুখে শুনেছি সে নাকি যতেষ্ট সুন্দরী।দাদাজানের কাছে তার যতটুকু বিবরণ শুনেছি তাতেই আমার কল্পনার রাজ্য সাজিয়েছি।আমার কল্পনা রাজ্যে সেই আমার সম্রাজ্ঞী।বাস্তবেও তাকেই আমার জীবন সঙ্গিনী হিসেবে মনে করি।আমরা আজই……
শান্ত কথা বন্ধ করে দিয়ে বিস্মিত হয়ে তনিমার দিকে তাকায়।কারণ তনিমা হুট করেই টেবিলে ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়েছে।শান্তর বলা কথাগুলো হজম করার মতো শক্তি তনিমার নেই।কলিজাটা অজানা ভয়ে বার বার মোচড় দিয়ে উঠছে।চোখ ঘোলাটে হয়ে এসেছে।যেকোনো সময় ভারী বর্ষণ হলে হতেও পারে!তনিমা এখানে আর একমুহূর্তও থাকতে পারবে না।শরীরটা ক্রমশ দূর্বল, অসাড় হয়ে আসছে।কাঁপাকাঁপা হাতে টেবিলের উপর থেকে ফোনটা হাতে নিয়ে এক পলক তাকায় শান্তর দিকে।শুকনো একটা ঢোক গিলে ধীর কন্ঠে বললো,
– মেহেনূর আমি আসছি।
কথা বলেই বেড়িয়ে যায় তনিমা।।তবে তনিমার এইরূপ আচারণে মেহেনূর মোটেও অবাক হয় নি।কারণ মেহেনূর তনিমার মনের অবস্থাটা বুঝতে পারছে।মেয়েটা জীবনের প্রথম কাউকে ভালোবাসলো।আর যাকে ভালোবাসলো তাঁকে ভালোবাসি বলার আগেই দূরে চলে গেলো।অন্যকারো হয়ে গেলো।শান্ত অবাক হয়ে জিজ্ঞাস করলো,
– ওর আবার কি হলো?
– তনিমা আপু আপনাকে ভালোবাসে।
মেহেনূরের শীতল কন্ঠ নীরব চাহনি।বিস্ফোরিত চোখে মেহেনূরের দিকে তাকিয়ে আছে শান্ত।মেহেনূর স্মিত হাসলো।হয়তো শান্তর চোখে কিছু প্রশ্ন ঠাওর করতে পারছে ও।ধীর কন্ঠে বললো,
– আমিও তাঁকে বলেছি,ওইটুকু সময়ে ভালোবাসা হয় না।কিন্তু সে আমার কথা মানতে নারাজ।আমার সামনে ভালোবাসার যুক্তি দাঁড় করিয়েছে।ওটা নাকি ক্ষনিকের মোহ বা ভালো লাগা নয়,ভালোবাসা।জোর গলায় বলেছে,সে ভালোবাসে আপনাকে।যদিও আমার এখন এই কথাটা বলা কতটুকু যুক্তিযুক্ত হবে জানি না তাও বলছি,তনিমা আপু আপনাকে সত্যিই খুব ভালোবেসে ফেলেছে ভাইয়া।যাইহোক,ভাগ্যে যা আছে তাই হবে।মানুষ তো আর ভাগ্যের লিখন খণ্ডাতে পারে না।প্রত্যাশিত কিছু ঘটলে যেমন আলহামদুলিল্লাহ বলতে হয় ঠিক তেমনি অপ্রকাশিত কিছু ঘটলে সেটার জন্যও শুকরিয়া আদায় করতে হয়,সন্তুষ্ট থাকতে হয়।কারণ,আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন।
– হ্যাঁ।
শান্তর ক্ষীণ স্বরের জবাব।মেহেনূর ফের বললো,
– আপনি ব্যস্ত মানুষ, তাও আপনার মূল্যবান সময় থেকে একটু সময় বের করে কষ্ট করে এত দূর আমাদের জন্য এসেছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।আর আপনার নতুন জীবনের জন্য শুভকামনা। আসি ভাইয়া,ভালো থাকবেন।
– মেহেনূর শোন!
মেহেনূর চলে আসার জন্য উঠে দাঁড়াতেই শান্তর কথায় পুনরায় চেয়ারটা দখল করে বসলো।আগ্রহী কন্ঠে বললো,
– জ্বি ভাইয়া বলুন।
– তনিমা কি এই বিষয়টা নিয়ে একটু বেশিই সিরিয়াস?
– হয়তো বা!আসলে প্রথম প্রেম তো!তবে আপনি টেনশন করবেন না।তনিমা আপু অনেক ভালো আর সুন্দর মনের একজন মানুষ।উনি আর যাই করুক অন্তত টিনএজের মেয়েদের মতো ঘরে বসে কান্নাকাটি করবে না।হয়তো একটু মন……..
ফোনের রিংটোনের শব্দে থেমে যায় মেহেনূর।ব্যাগ থেকে ফোনটা হাতে নিয়ে এক পলক দেখে নিয়ে ফের তাকায় শান্তর দিকে।মেহেনূরের চোখে বিস্ময় দেখে শান্ত ফিচেল হেসে বললো,
– কে?তনিমা?
– হ্যাঁ!
– কলটা রিসিভ করে লাউড স্পিকারে দাও।
মেহেনূর শান্তর কথা মতো কলটা রিসিভ করে লাউড স্পিকারে দেয়।ওপাশ থেকে তনিমার ঝাঁঝালো কণ্ঠে শোনা গেলো,
– তোমার ওই সো কল্ড শান্ত ভাইয়াকে বলে দিও,ছ্যাঁকা খেয়ে ডজন ডজন টিস্যু বক্স ফুরানোর মেয়ে এই তনিমা না।জীবনে অনেকেই একটু আধটু ছ্যাঁকা টেকা খায়।দূর্ভাগ্যবশত আমিও সেই দলে পড়ে গিয়েছিলাম এখন থেকে ঠিক পাঁচ মিনিট আগে!কিন্তু এখন আমি একদম পারফ্যাক্ট আছি।দাদু মাত্রই কল করছিলেন।বললেন,আমাকে আজকে সন্ধ্যা বেলায় পাত্রপক্ষ দেখতে আসছে।হয়তো আজ এনগেজমেন্টও করে ফেলতে পারে।এখন ওই শান্তকে বলে দিও,আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই বিয়ের পিঁড়িতে বসছি আমি।
রাগে গজগজ করতে করতে কলটা কেটে দিলো তনিমা।তনিমা ক্যাফের বাহিরেই দাঁড়িয়ে আছে।ওখান থেকে স্পষ্ট শান্ত আর মেহনূরকে দেখতে পাচ্ছে ও।তনিমা এটাও দেখতে পেয়েছে মেহেনূর ওর কলটা স্পিকারে দিয়ে শান্তর আর ওর সামনে ধরে রেখেছে।আজকে ওকে দেখতে আসছে এটা ঠিক কিন্তু এনগেজমেন্টের কথাটা তনিমা শান্তকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলেছে।হারামজাদা ছেলে!এইভাবে ওর মনটা এক নিমিষেই ভেঙেচুরে গুড়িয়ে দিলো?শান্তকে বকাবকি করছে সাথে ওর চোদ্দগুষ্টির নামও উদ্ধার করছে!পর ক্ষনেই তনিমার স্মরণ হয়,রাগের মাথায় বলে তো দিয়েছে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই বিয়ের পিঁড়িতে বসছে।কিন্তু পাত্র যদি পছন্দ না হয়?তখন?
মেহেনূর চোখ বড়বড় করে হাতে থাকা ফোনটার দিকে তাকিয়ে আছে।শান্তর মনে হচ্ছে কয়েক সেকেন্ড আগেই এখানে টর্নেডো এসে নৃত্য করে গেছে!
– যে মেয়ের কন্ঠে এমন ঝাঁঝ,তাকে আদৌ কোনো ছেলে বিয়ে করতে চাইবে তো?
– আলবাত চাইবে।মেয়ে দেখতে শুনতে মাশাল্লাহ,তাঁর ব্যাকগ্রাউন্ড ভালো।তনিমা আপু মনের দিক থেকেও খুব নরম,কোমল।রেগে গেলে ম্যাক্সিমাম মানুষ ওই টোনেই কথা বলে!এখন তনিমা আপুও আপনার উপর রেগে আছে বিধায় ওইভাবে কথা বললো।
– আচ্ছা মেহেনূর আমি আসি কেমন,ভালো থেকো।
– জ্বি অবশ্যই ভাইয়া।
____________________
ভাদ্রের আকাশে পূর্নিমার রূপালী চাঁদটা ঠিক তনিমার মাথার উপর।ছাদের কার্নিশ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা তনিমার পড়নে গোল্ডেল সুতোয় বুনা গাঢ় লাল জামদানী শাড়ি।বাদামী বর্ণের চুলটা ঘাড়ের উপর ঢিলে খোঁপা করা।সামনের বেবি হেয়ারগুলো বাতাসের তালে তালে সায় দিয়ে খুব বিরক্ত করছে ওকে।আঙুলের ভাঁজে টেনে কানের পৃষ্ঠে গুজে দিয়েছে বার কয়েক।বাতাসের স্রোতে গাঁ ভাসাতে কানের পাশ থেকে বার বার উঁকি দিয়ে বেড়িয়ে আসতে চাইছে অবাধ্য কেশরীর দল।
– যারা মুক্ত হয়ে উড়তে চায় তাদেরকে জোর করে আটকে রাখতে নেই,মুক্ত করে দিতে হয়!
আবারো কানের পাশে চুল গুটানোর জন্য উদ্যত হয় তনিমা।আচমকায় আগন্তুকের বলা উক্ত কথাটা কর্ণগোচর হতেই হকচকিয়ে যায় তনিমা।চটজলদি হাত নামিয়ে নেয়।পরমুহূর্তেই কিছু একটা ভেবে ফের একই কাজ করতে গেলো তনিমা।কিন্তু সেটা করার আগেই নিজের পিঠের উপর চুল গড়িয়ে পড়তেই চমকে উঠলো।বিস্ফোরিত চোখে তাকায় আগন্তুকের দিকে।পরমুহূর্তেই দৃষ্টি সড়িয়ে নেয় অদূর অন্ধকারে।পুরুষালি শক্ত হাতের আলিঙ্গনে আবদ্ধ হতেই আঁতকে উঠলো তনিমা।নিঃশ্বাস আটকে দাঁড়িয়ে আছে ও।এই মানুষটার সাথে সাথে ঘটনাটাও যে তনিমার কাছে অপ্রত্যাশিত।নিজেকে ছাড়ানোর জন্য ছটফট করতেই আলিঙ্গনের মাত্রা আরো শক্ততর হতে লাগলো।নিরুপায় হয়ে হাল ছেড়ে দিয়ে শক্ত হয়ে দাঁড়ায় তনিমা।
– কংগ্রেচুলেশন মিসেস শান্ত!
কানের কাছে ফিসফিস করে বলা কথাটা কর্ণকুহরে প্রবেশ করতেই আরেক দফায় আঁতকে উঠলো তনিমা।মনে হচ্ছে রগে রগে শীতল তরল বিশিষ্ট কিছু তীব্র ভাবে ছুটাছুটি করছে।বুকের ভেতর হওয়া ধুকপুক আওয়াজটা হয়তো ওর শরীর ভেদ করে পিছনের মানুষটার কাছ অবধি পৌঁছাচ্ছে অনায়াসেই।কানের লতিতে উষ্ণ ঠোঁটের পরশ পেতেই তড়িৎ বেগে শান্তর আলিঙ্গন থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিলো তনিমা।এই স্পর্শের অনুভূতি বলে বুঝাবার নয়।শান্তর প্রত্যেকটা স্পর্শে ছিল শিহরণ জাগানো অনুভূতি।লজ্জা আর ভয়ের সাথে এক আকাশ সমান অভিমান খুব করে চেপে ধরেছে তনিমাকে।শান্ত এগিয়ে গিয়ে আবারও তনিমাকে পিছন থেকে শক্ত করে চেপে ধরলো।অসহায় কন্ঠে বললো,
– সরি ক্যাটবেরি!
বিস্ময়ে ঘাড় কাত করে ছলছল চোখে শান্তর দিকে তাকায় তনিমা।শান্ত তনিমার কাঁধ ধরে ওর দিকে ফেরায়।তনিমা মাথা নিচু করে নেয়।শান্ত ঝুঁকে তনিমার মুখটা এক পলক দেখে নেয়।তনিমা কাঁদছে!শব্দহীন কাঁন্না গুলো খুব ভয়ংকর হয়!তনিমার থুতনি ধরে ওর মুখটা উপরে তুলতেই পুনরায় একই কাজ করে তনিমা।শান্ত স্মিত হেসে তনিমার দু’গাল হাতের মুঠোয় আবদ্ধ করে নেয়।অশ্রুসিক্ত আঁখিদুটি মেলে শান্তর দিকে তাকায়।শান্ত ফিচেল হেসে বললো,
– আরে পাগলি আমি কি জানতাম এই তুমিই আমার অদেখা সেই তুমি!আমার মনের রানী।আমাদের মিলনটা হয়তো এইভাবেই হওয়ার ছিল।তোমার অগোচরে আমি আর আমার অগোচরে তুমি।
চলবে…