লাভার নাকি ভিলেন | সিজন – ২ | পর্ব – ২৭

নাবিল সামিরাকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছে তার সামিরাকে ভালও লাগছে কিন্তু সে জানে সামিরাকে আপন করে নেয়ার কোন রাস্তা তার কাছে খোলা নেই। তাই সামিরা থেকে দুরত্ব বজায় রাখার চেস্টা করছে নাবিল।

সামিরার এটা মোটেও ভাল লাগছে না।

সামিরাঃ আচ্ছা আমাকে কেমন লাগছে বল্লে না তো..

নাবিল নিচ দিকে তাকিয়ে হাঁটছিল সামিরার কথায় তার দিকে তাকিয়ে কিছুটা আনমনা হয়ে বলল হুম ভালই তো লাগছে।

সামিরারঃ এত কষ্ট করে সাজলাম শাড়ি পড়লাম তাও আমাকে ইগনোর করছে এত ডিমান্ড?

সামিরা নাবিলের একদম কাছে এসে বলল
সমস্যা কি তোমার?

নাবিলঃ না মানে আমি…

সামিরাঃ কি আমতা আমতা করছো ভালবাসবা না আমাকে?

নাবিলঃআমরা কোথাও বসে কথা বলি।

সামিরা ঘাপটি মেরে নাবিলের হাত ধরে বলল চলো ওদিকে গিয়ে বসি পার্কের ওই সাইডে অনেক কাপল বসে।

নাবিল সামিরার সাথে যাচ্ছে আর মনে মনে ভাবছে কি করে নিষেধ করব ওকে ও কি বুঝবে আমার কথা? খুব কস্ট পাবে তাই না? ওকে তো আমার ও ভাল লাগে কিন্তু কি করব আমি যে নিরুপায়। একদিকে পুলিশ আমাকে খুঁজছে অন্যদিকে আকাশ।আমার জীবন তো এখন অনিশ্চিত এর মধ্যে সামিরাকে জীবনে জায়গা কি করে দিব।

সামিরা আনন্দের সাথে নাবিলের সাথে গিয়ে বসল।

সামিরাঃ বাদাম খাবে?

নাবিল গম্ভির গলায় জবাব দিল না খাব না…

সামিরাঃ আমার সাথে এমন কেন করছো?আমি কি দেখতে খুব খারাপ?আমাকে যতটা খারাপ ভাবো বিশ্বাস করো আমি তেমন নই আমি কখনো প্রেম করি নি তুমি ঠকবে না প্লিজ আমার সাথে একটু ভালভাবে কথা বলো।

নাবিলঃ আমি তো ভাল ভাবেই কথা বলছি।

সামিরা পাশের একটা কাপল কে দেখিয়ে বলল দেখো ওরা কিভাবে কথা বলছে আর তুমি?তোমার কি আমার সাথে থাকতে ভাল লাগছে না।

নাবিলঃ সামিরা মনের মধ্যে সমস্যা থাকলে কোন কিছুই ভাল লাগে না বুঝেছো।

সামিরাঃ তারমানে সত্যি সত্যি তোমার ভাল লাগছে না…. সামিরা নাবিলের কথায় প্রচন্ড রেগে গেল।প্রথমেই হাতের চুড়ি খোলে ফেলে দিল নাবিল বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছিল কিন্তু সামিরা নাবিলকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে কানের দুল খুলে ফেলেছে লিপস্টিক এবড়ো থেবড়ো করে ফেলেছে ইতিমধ্যে কেঁদেও ফেলেছে।

নাবিলঃ সামিরা কি করছো এসব?শান্ত হও আমার কথাটা শোনো প্লিজ।

সামিরাঃ কি আর শুনব আমি কি পুতুল নাকি আমার ইমোশানের কোন দাম নাই?

নাবিলঃ সামিরা আমার বিষয়টা আগে শোন প্লিজ।

সামিরাঃ আমার কাছে একদম আসবি না বলে দিলাম বলেই কাপড় খুলতে শুরু করল।

নাবিল সামিরার কান্ড দেখে হতবাক হয়ে গেল।
কি করছো তুমি?

সামিরাঃ কার জন্য পড়ব কাপড়? যতটা ভালবাসা নিয়ে পড়েছিলাম এখন ততটাই অসহ্য লাগছে।চাই না এসব সব খুলে ফেলব।

নাবিলঃ তাই বলে লোকজনের সামনে? সবাই বাংলা সিনেমার দৃশ্য দেখছে সামিরা এসব বন্ধ করো।

কে শুনে কার কথা সামিরা কাপড় প্রায় খুলে ফেলেছে আশে পাশের সবাই হা করে সামিরার দিকে তাকিয়ে আছে।

নাবিল এবার সামিরার কথা না শুনে দৌড়ে এসে সামিরাকে ঝাঁপটে ধরে সবার উদ্দেশ্যে বলল এখানে কি সিনেমা হচ্ছে? এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন যে যার কাজে যান প্লিজ।

সামিরাঃ ছাড়… আমাকে কোন অধিকারে জড়িয়ে ধরিস ছাড় বলছি।বলতে বলতে নাবিল কে ধাক্কা দিতে লাগল সামিরা।

এবার নাবিল জোরে চেঁচিয়ে উঠল

নাবিলঃ চুপ একদম চুপ অনেক্ষন ধরে সহ্য করছি আর না নিজের সম্মান নিজে না রাখতে পারলে আমার তো রাখতে হবে নাকি।শাড়িটা পড়ো।

সামিরাঃ তুই পড় আমি পড়ব না।

নাবিলঃ এতখানি মেয়ে আমার সাথে ভাব দেখায়। কি এক অবস্থা। ভালই ভালই বলছি শাড়ি পড়ো।

সামিরাঃ পড়ব না বলছি।

নাবিল নিজেই শাড়িটা নিয়ে পড়াতে শুরু করল।

নাবিলঃ আকাশের বাচ্চা আমাকে কি একটা অবস্থায় ফেললি না পাড়ব এটাকে ছাড়তে না পাড়ব ধরতে। বিড়বিড় করতে করতে সামিরাকে শাড়ি পড়াচ্ছে নাবিল।
মোটামুটি শাড়ি টা কোনমতে গুঁজে দিয়ে নাবিল সোজা হয়ে দাঁড়াতেই সামিরা আবার শাড়িটা খুলে ফেলল।

নাবিলঃ উফফ…. কি করলা এটা?

সামিরাঃ আমি শাড়ি পড়ব না।

নাবিলঃ থাপ্পড় খেতে চাও? আমাকে রাগিয় না সামিরা সামলাতে পারবা না।

সামিরাঃ সর এখান থেকে।

নাবিলঃ ভালবাসা তাই না? আসো ভালবাসি।

নাবিল ভেবেছিল সামিরা মনে হয় এবার শান্ত হবে কিন্তু না সামিরা এগিয়ে এসে বলল এই যে আসলাম ভালবাসো।

নাবিলঃ সামলাতে পারবে…???

সামিরাঃ হ্যা পারব।

নাবিল রাগে এসে সামিরার ঠোঁট ২ টি নিজের দখলে নিয়ে নিল।

সামিরা নাবিলকে ছাড়িয়ে দিয়ে বলল কি করছো এসব?

নাবিলঃ কি করছি? প্রেম করছি এবার পিছাচ্ছো কেন এসো তোমার প্রেমের শখ মিটাই।

সামিরাঃ ছি…. তুমি এত খারাল

নাবিলঃ এটাই তাহলে ভাল উপায় ওর প্রেমের ভুত ছাড়ানোর।নাবিল আবার সামিরাকে একটানে নিজের কাছে এনে ঠোঁটে ঠোঁট মিশিয়ে দিল।

সামিরা ঝামেলা করছিল তাই সামিরাকে একটা গাছে সাথে চেপে ধরে হাত ২ টি ধরে নিজের ইচ্ছামত সামিরার শরীরে ঠোঁট ছোয়াল।
তাও সবার সামনে।

কিছুক্ষন পর নাবিল সামিরাকে ছেড়ে দিয়ে বলল বাসায় চলো আজকেই আমি তোমার বিয়ের ব্যবস্থা করব।

সামিরা বিয়ের কথা শুনে খুশি হল।

নাবিল সামিরাকে টানতে টানতে বাসায় এনে ধাক্কা দিয়ে সোফায় ফেলে দিল।

নাবিলঃ আন্টি আপনার মেয়ের বিয়ে দিন ওর বিয়ের বয়স হয়ে গেছে।

সামিরার মাঃ কি হয়েছে আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না এই তো ভাল মতই গেল।

নাবিলঃ কিছু বলল ন।

সামিরা মুখ তুলে তাকাতেই তার মা অবাক হয়ে গেল সামিরার লিপস্টিক এবড়ো তেবড়ো কাজল ঘেঁটে গেছে ঠোঁটে কিসের দাগ স্পষ্ট। গলায় আর ঘাড়েও লাভ বাইটের চিহ্ন।

সামিরার মাঃ কি হয়েছে মাম্মাম আমাকে বলো জনি কি তোমার সাথে কিছু করেছে?

সামিরা তার মাকে জড়িয়ে ধরে ডুকরে কেঁদে উঠল।

সামিরা নাবিল কে দেখিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলল
ও আমার সাথে…

নাবিলঃ….

সামিরার মাঃ তোমার সাথে কি করেছে?

সামিরাঃ ও আমার সব কেড়ে নিয়েছে মাম্মাম তুমি কি আমার শাড়ির অবস্থা দেখছো না আমার সাথে কি করা হয়েছে বুঝতে পারছো না?

সামিরার মাঃ কি বলছো অরন্য এমন করেছে…??আমি তো বিশ্বাস করতে পারছি না।

সামিরাঃ তাহলে আমি মিথ্যা বলছি?

নাবিলঃ আন্টি সামিরা বিষয় টা যেভাবে বলছে আসলে তেমন নয়।

সামিরার মাঃ ওর অবস্থা দেখে অবিশ্বাসের কোন জায়গা নেই আমি তোমাকে এমন ভাবি নি। তুমি প্লিজ এখান থেকে চলে যাও।

নাবিলঃ…..

সামিরাঃ কি বলছো মা ও চলে গেলে আমার কি হবে? ওকে বলো আমাকে বিয়ে করতে।আর ও যদি সেটা না করে আমি ওকে পুলিশে দিব।

নাবিলঃ সামিরা তুমি একটু বেশিই বাড়াবাড়ি করছো

সামিরার মাঃ ওর কি করা উচিত তুমিই বলো..??

নাবিলঃ আমি আপনাদের কি করে বুঝাব আন্টি? কিছু কথা যে কারো সাথেই শেয়ার করা যায় না।কিন্তু সামিরা পুলিশ ডাকলে আমার সাথে কি ঘটবে তা শুধু আমি যানি (মনে মনে)

যাক গে নিজেই যদি নিজের কপাল পুড়াতে চায় আমার আর কি করার আছে নাবিল কিছুক্ষন চিন্তা করে বলল আচ্ছা আমি বিয়ে করতে রাজি বলে নিজের ঘরে চলে গেল।






নাবিল নিজের ঘরে শুয়ে শুয়ে নিজের জীবনের সমীকরন মিলাচ্ছে।

নাবিলঃ আচ্ছা আমি তো খুন করি নি তাহলে আমি কেন ধরে নিচ্ছি আমার লাইফ শেষ? এই মিথ্যা অপবাদ থেকে আমি নিশ্চুই মুক্তি পাব তাহলে সামিরাকে কেন ফিরিয়ে দিব? ও যেহেতু আমায় চায় আর আমারো ওকে ভাল লাগে তখন ফিরিয়ে দেয়ার প্রশ্নই উঠে না।

হটাৎই নাবিল বাইরে ভাংচুরের শব্দ শুনতে পেল।

নাবিলঃ উফফ এই মেয়েটা এত ছেলেমানুষ কেন বল্লাম তো বিয়ে করব তাহলে আবার কেন ভাংচুর করছে? কথাগুলি ভাবতে ভাবতে বাইরে আসল।
কিন্তু বাইরে আসার সাথে সাথেই নাবিলের মেজাজ খারাপ হয়ে গেল।

কারন ভাংচুর সামিরা না জনির দলের লোকজন করছে একজন সামিরার মাকে ধরে রেখেছে আর জনি সামিরার চুলের মুঠি ধরে আছে।

জনিঃ তোর এত সাহস পার্কে সবার সামনে অন্যছেলেদের সাথে ফস্টিনস্টি করিস? আজ তোর একদিন কি আমার একদিন।কোথায় তোর নাগর ডাক তাকে তার সামনেই তোকে আদর করে যাই।

সামিরাঃ একদম বাজে কথা বলবা না আমি ওকে ভালবাসি।

সামিরা কথাটা বলতেই জনি সামিরাকে থাপ্পড় মারতে গেল।

কিন্তু নাবিল বিদ্যুৎ বেগে এসে জনির হাত ধরে ফেলল।

জনিঃ তুই জানিস তুই কার হাত ধরেছিস?

নাবিল অগ্নিদৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলল কার হাত ধরেছি যানি না তবে তুই আমার হবু বউয়ের হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছিস তাই এবার আমার যা করনীয় তাই করব বলেই জনিকে মারতে লাগল নাবিল।
নাবিলকে সবাই মিলে মারতে চাইলেও পারল না নাবিল সবাইকে মেরে বের করে দিল।

জনি এই প্রথম কারো হাতে মার খেল তাই সে নাবিলকে হুমকি দিয়ে গেল।

সামিরা নাবিলের কার্যকলাপে অবাক হল।

সামিরাঃ তুমি ওদের কি করে মারলে?

নাবিলঃ আমি অনেক কিছুই পারি যা তোমার চিন্তার বাইরে তাই বলেছিলাম আমার সাথে নিজেকে না জুড়তে কিন্তু তুমি তো শুনলে না এখন আর কিছু করার নেই তোমাকেই আমি বিয়ে করব।

সামিরাঃ ভালবাসবে না? শুধু বিয়েই করবে?

নাবিলঃ ভাল সেতো যেদিন প্রথম দেখেছিলাম সেদিনি বেসে ফেলেছি।

সামিরাঃ কি বলছো এসব?

নাবিলঃ আমি ঢং করতে পারি না যা বলি সরাসরিই বলি।হ্যা আমার টাকা পয়সা কোন কিছুরেই অভাব নেই কিন্তু আমি সাধারন কেউ নই জেল পালানো একজন আসামি।
যানি এবার আন্টি বলবে তোমার বিয়ে আমার সাথে দিবে না হয়ত তুমিও বলবে এই বিয়ে তুমি করবে না কিন্তু সেসব শোনার সময় আমার আর নেই। তুমি আমার বউ হচ্ছো এটাই ফাইনাল।সে তুমি চাও আর নাই চাও আমার কিছু আসে যায় না।বুঝাতে পেরেছি? এবার সামনে থেকে সরো বলে চোখ গরম করে নাবিল নিজের ঘরে চলে গেল।

সামিরা আর তার মা ২ জনেই অবাক হয়ে নাবিলের দিকে তাকিয়ে থাকল।





এদিকে
যতই সময় যাচ্ছে আকাশ ততই হিংস্র হয়ে উঠছে। তার একমাত্র কারন হল মেঘলা।

আকাশ যতভাবে সম্ভব মেঘলাকে বুঝানোর চেষ্টা করেছে কিন্তু মেঘলা নিজের জায়গা থেকে এক চুল ও নড়ে নি।সে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে তার জীবনে আকাশের আর কোন জায়গা নেই।

আকাশ মেঘলার এসব মেনে নিতে পারছে আবিরের সাথে মিলামেশা, সারাদিন বাইরে বাইরে ঘুরাঘুরি,পড়াশুনা না করা সবকিছু মিলে আকাশ এতটাই ক্ষেপে গেছে যে যাকে পাচ্ছে ধরে মারছে কারন ছাড়াও যত ধরনের অন্যায় আছে করছে।চাঁদা তুলা বস্তি উচ্ছেদ সবি করছে।

মেঘলা আটকানোর চেস্টা করেছিল কিন্তু আকাশ বলেছে তার যা ইচ্ছা তাই করবে।
তাই মেঘলা আর আকাশকে বাঁধা না দিয়ে নিজে মানুষের জন্য কাজে লেগে পড়েছে আকাশ যে চাঁদা তুলে সেই টাকা মেঘলা আবার ফিরত দেয় নিজের টাকা থেকে বস্তির লোকেদের থাকার ব্যবস্থাও সে আবিরকে দিয়ে করিয়েছে।






দিন এভাবে কাটছে।নাবিল নিজের সাথে ঘটে যাওয়া সব ঘটনা, সবকিছু খুলে বলেছে সামিরার মা কে।সামিরার বাবাও এসেছেন সব শুনে এবং নাবিলের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে সামিরার সাথে নাবিলের বিয়ে দেয়ার সিধান্ত নিয়েছেন তারা।নাবিল ও প্লেন করেছে বিয়ে করে ফিরে আসবে আর নিজেকে নিদোর্ষ প্রমাণ করবে।
একদিকে নাবিলের আর সামিরার বিয়ের দিন এগিয়ে আসছে আর অন্যদিকে আকাশ সবার কাছে খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
এখন আকাশের চেয়ে মেঘলার জনসমর্থন বেশি।যদিও মেঘলা আকাশের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়।মেঘলা আকাশের জুনিয়র একজন কর্মীমাত্র তাই ওকে নিয়ে দলের কেউ তেমন মাথা ঘামায় নি।মেঘলারল্কে যা খুশি করার স্বাধীনতা দিয়েছিল।কিন্তু সামনেই নির্বাচন এমন অবস্থায় হটাৎ করেই একটা ঘটনা ঘটে গেল।যা সবার অবস্থান নাড়িয়ে দিল। খবরটা শুনে আবির আর আকাশ ২ জনেরি পায়ের নিচের মাটি সরে গেল।

কারন মেঘলা এতদিন আকাশের দলের হয়ে কাজ করলেও সে চুপি চুপি বিরোধীদলের হয়ে আকাশের বিপক্ষে নমিনেশন জমা দিয়েছিল আর মেঘলার জনসমর্থন দেখে তাকে নমিনেশন দেওয়াও হয়েছে।এখন আকাশ আর মেঘলা প্রতিদ্বন্দ্বী।

আবিরঃ মেঘলা তুমি কি পাগল হয়ে গেছো? তুমি ভাইয়ের বিরুদ্ধে গিয়েছিলে মানলাম তাই বলে আমার বিরুদ্ধে গিয়ে অন্য দলে নাম দিলে? এবার আমাদের পার্টি থেকে তোমার উপড় আক্রমন হলে কে বাঁচাবে তোমায়?

মেঘলাঃ আমি বাঁচতে চাই তোমায় কে বলল? নিজের হাতে নিজের যত্ন করে ঘরে তুলা ভালবাসাকে কবর দিয়ে কেউ বেঁচে থাকতে পারে?আমিও পারিনি আমি সেদিনই মারা গেছি যেদিন আকাশ আমার বিশ্বাস ভরসা ভালবাসাজে মেরে ফেলেছে।এখন আমি শুধু আকাশের পতন দেখার অপেক্ষা করছি আর কোন চাওয়া বা পাওয়ার কিছু আমার জীবনে নেই।এখন আমি একটা কথায় বিশ্বাসি সেটা হল Do or Die.. বাঁচলে আকাশের অহংকারকে ভেংগে তার উপড় রাজত্ব করেই বাঁঁচব আর মারা গেলে ত গেলাম।

আবিরঃ তুমি ভুল করছো মেঘলা এর ফল ভয়ংকর হবে।

মেঘলাঃ No risk no gain….পাশে থাকলে খুশি হব না থাকতে চাইলে জোর করব না।সিধান্ত তোমার।

আবিরঃ আমি আকাশ ভাইয়ের আদর্শেকে নিজের আর্দশ মেনে এসেছি আমি বেইমানি করতে শিখিনি আমার মন চাইলেও আমি ভাইয়ের বিপক্ষ দলে যেতে পারব না তুমি ফিরে এসো মেঘলা প্লিজ।এতদিন তোমাকে সাপোর্ট করলেও এখন আমি অনুরোধ করছি নিজেকে এত বড় বিপদে মধ্যে টেনে নিয়ে যেও না তুমি সামলাতে পারবে না।

মেঘলাঃ পানিতে ঝাঁপ না দিলে বুঝবে কি করে কে কতটা সাঁতার যানে? আমি যা করেছি ভেবে চিন্তে করেছি।এই ঢেউ সামলে আমি তীরে ঠিক পোঁছাব।
জয় আমার হবেই হেরে যাওয়ার জন্য আমি এখানে আসি নি।আমি ভাইয়ার মুখের হাসিটা আজও ভুলিনি আবির সেই হাসি আমাকে ঘুমাতে দেয় না।আমি আকাশকে কিছুতেই ক্ষমা করতে পারব না ওকে আমি বুঝাব কষ্ট কত প্রকার বেইমানির যন্ত্রনা কতটা অসহ্যকর।সব হারিয়ে আকাশ যখন সর্বশান্ত হবে তখন বুঝবে নাবিল তার জীবনে কি ছিল।

আবির আর কিছু বলল না।




আর কিছুদিন পরেই নির্বাচন ইরা আকাশ প্রচারনায় ব্যাস্ত কিন্তু চারদিকে মেঘলার জয়ধ্বনি। আবির আকাশের সাথে থাকলেও মেঘলার দিকে খেয়াল রাখার চেস্টা করে।
দেখতে দেখতে নির্বাচনেত দিন এগিয়ে এসেছে আর সেই নির্বাচনের দিনেই নাবিল সামিরার বিয়ে তবে নাবিল এখোনো মেঘলার কর্মকান্ডের ব্যাপারে কিছুই যানে না।তাই সে বিয়ে নিয়ে খুব খুশি সামিরার সাথে তার ভাব হয়ে গেছে।নাবিল সামিরাকে মন প্রানে ভালবেসে ফেলেছে। নাবিলের ধারনা বিয়ের পর সে ফিরে এলে সব আবার আগের মত ঠিক হয়ে যাবে।

লেখকের কথা: কি মনে হয় নির্বাচনে কে জিতবে আকাশ নাকি মেঘলা? যে আকাশ নিজের পজিশনের জন্য নাবিলের ভালবাসাকে উপেক্ষা করল সেই আকাশ কি মেঘলার এসব চুপচাপ মেনে নিবে? যদি মেনে না নেয় মেঘলার ক্ষতি করতে চায় নাবিল কি সেই খবর শুনেও শান্তিতে বিয়ের পীড়িতে বসেতে পারবে? নাকি বোনকে বাঁচাতে নিজের ভালবাসাকে বিসর্জন দিয়ে ফিরে আসবে আকাশের মুখোমুখি হতে? যদি চলে আসে জনি কি সেটাএ সুযোগ নিবে না? কি হতে চলেছে মাথা তো আমারি ঘুরতেছে ????

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।