লেখক মৌসুমী আক্তার

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ১

“বিহান ভাই আমার শাড়ি টা পরা শেষ হলে ভেতরে আসুন প্লিজ পাত্র পক্ষ এক্ষুণি চলে আসবে।” “পাত্র পক্ষ আসবে তাতে তোর সমস্যা টা কি বুঝলাম না দিয়া।পাত্র পক্ষ কি তোকে দেখতে আসছে নাকি বিভা আপুকে।তোর যে এক্সসাইটেডভাব যেনো তোকে দেখতেই আসছে।” বিহান ভাই যে এমন কথাই বলবেন সেটা আমার জানাই ছিলো আগে থেকে।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ২

মানুষ মানুষকে এতটা অপমান কিভাবে করতে পারে তা ওই হৃদয়হীন মানুষ টাকে না দেখলে জানতাম না।আগে যদি জানতাম উনি বাড়িতে আসছেন তাহলে আমি কিছুতেই যেতাম না।উনি বাড়িতে নেই বলেই তো গেছিলাম।আমাকে বিরক্ত করতে না পারলে তো উনার পেটের ভাত ই হজম হয় না।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৩

যেখানে বাঘের ভয় সেখানে রাত পোহায় যার ভয়ে আম্মুকে বলে ডাক্তার দেখানোর নামে মিথ্যা বুলি আওড়ালাম সেই বিহান ভাই এর সাথেই রাস্তায় দেখা।বাধ্য হয়ে আবার ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরেই এলাম।আমার জীবনের সব থেকে বড় সমস্যার নাম বিহান ভাই যাকে মনে মনে সহস্রবার গালি বকা দিয়েছি অথচ সে আমার সামনে এলে আমার রিতীমত

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৪

পড়ন্ত বিকালে ব্যাগ পত্র গুছিয়ে রিয়াকে নিয়ে রওনা হলাম মামাদের বাসায়।এখনো রোদের আঁচ কমে নি।উত্তপ্ত রোদে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ট জীবন।কিছুতেই যেতাম না কিন্তু ওই রাক্ষস এর ব্লাকমেইল এর জন্য যাচ্ছি।রিয়া ছাড়া কোথাও যাওয়ার অভ্যাস নেই আমার।তাতে আবার বিভা আপুর বিয়ে সেকারণে রিয়াকে নিয়ে যাওয়াটা আরো বেশী করে।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৫

খাঁনবংশে জন্ম গ্রহন করা টা বোধহয় মস্তবড় অন্যায় হয়েছে আমার। বংশের মানুষ একটু রগচটা টাইপের আছে।এখনো তারা পলিটিক্স এ জড়িত।মারামারি কাটাকাটি এগুলা তাদের নিত্যদিনের স্বভাব।বংশের নাম খাঁন বলেই রাজাকারের বংশের উপাধি দিয়েছেন বিহান ভাই।তার উপর আবার পলিটিক্স এ জড়িত উভয় মিলে আমাকে এই রাজাকার কথাটা শুনতে হয়।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৬

বেদনার পরিপূরক আর আপনসঙ্গি বোধহয় অন্ধকার।একমাত্র অন্ধকারেই বেদনা কে প্রকাশ করা যায়।মনের মাঝে বেদনা,দুঃখ,কষ্ট দানা বাঁধলে তখন অন্ধকার কেই আপন করে নিতে ইচ্ছা করে আমার।আলো আমি সহ্য করতে পারি না।নিজেকে অন্ধকারে মুড়িয়ে নিকশ কালো অন্ধকারে নীল বেদনা ঢেকে ফেলতে ইচ্ছা করে।মনের মাঝে ভয়াবহ যন্ত্রণা হচ্ছে।কিন্তু কেনো হচ্ছে এই যন্ত্রণা।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৭

সমগ্র কাজিন গুষ্টির সামনে মান সম্মান এর বারোটা বাজিয়ে দিলেন বিহান ভাই।কি জানি সবাই আমাকে কোন চোখে দেখছে।কোনো কথা না বলে ওখান থেকে উঠে চলে গেলাম আমি লজ্জায়। বিয়ে বাড়ি মানেই আনন্দ উল্লাস আর আমেজের শেষ নেই।একদিকে হলুদের জন্য উঠানেই প্যান্ডেল সাজানো হয়েছে।বাড়ির ছেলেগুলো সেখানেই বিজি।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৮

“ফাইট্টা যায় বুকটা ফাইট্টা যায় আমার বন্ধু যখন বউ লইয়া আমার বাড়ির সামনে দিয়া রঙ্গ কইরা হাইট্টা যায়।” বিহান ভাই মনে হয় কিছুক্ষণের জন্য মনে হয় হ্যাং হয়ে গেলেন।চারদিকে যত মানুষ ছিলো সবার এটেনশন গানের দিকে চলে গেলো।বিভা আপুর ফ্রেন্ড বলে উঠলো কোন ক্ষ্যাতের ফোনের রিংটোন রে এইটা।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৯

গভীর রাতে ফ্লোরে সুয়ে আছি প্রায় সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে হঠাত মনে হলো কেউ আমার হাত স্পর্শ করলো।হঠাত ঘুমের মাঝে হাত স্পর্শ করাতে কেঁপে উঠলাম আমি।চিৎকার দিতে যাবো এমন টাইমে আমার মুখে হাত দিয়ে চেপে ধরলেন বিহান ভাই।আমার মুখে হাত দেওয়া অবস্থায় আমার হাত ধরে মধ্যরাতে ডেকে তুলে নিয়ে এলেন।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ১০

ব্রিজ থেকে ফেরার সময় দেখলাম গাছের আড়ালে কিছু একটা নড়াচড়া করছে।সেই আত্মা ভেবে বিহান ভাই এর হাত শক্ত ভাবে ধরলাম আমি।বিহান ভাই আমাকে বলেন ওয়েট কর নিশ্চয় শুভ,তিয়াশ,বা বিভোর কারো সাথে লাইন মারছে।আমি বললাম ওই আত্মা ও হতে পারে।বিহান ভাই আমাকে বলেন তুই গিয়ে ঘুমিয়ে পড় বাকিটা দেখতেছি।তারপর কি হলো জানিনা।