লেখক লামিমা তানহা

ফ্লোরেনসিয়া – ৩১

সিয়া শান্ত হয়।ধীরে ধীরে ওর মুষ্টিবদ্ধ করে ফেলা হাত দুটো হালকা হয়ে আসে।শীতল হয়ে আসে দু'চোখের দৃষ্টি।এদুয়ার্দোর ঠোঁটের কোণে খেলে যায় পৈশাচিক মৃদু হাসি।

ফ্লোরেনসিয়া – ৩২

ধীরে ধীরে সময় গড়ায়।রাত গভীর হয়।টেবিলের উপর মৃদু আলোয় মোমবাতি জ্বলে।চেয়ারে পিঠ ঠেকিয়ে চোখ বুজে নেয় সিয়া।হঠাৎ দরজার বাইরে বারান্দার দিকে থেকে কারো কন্ঠস্বর শুনতে পায়

ফ্লোরেনসিয়া – ৩৩

তার দুষ্ট আত্মা উচ্চস্বরে আওয়াজ করে হাসে।ব্যঙ্গ কন্ঠে বলে,,, -এর আগে আমি তোমার চোখে অন্য কোনো মেয়ের জন্য এতোটা সম্মান দেখিনি।যাদের সাথে তুমি রাত্রিবাস করেছিলে।

ফ্লোরেনসিয়া – ৩৪

এদুয়ার্দোর চোয়াল শক্ত হয়ে আসে।নিজের মায়ের ব্যাপারে কোনো ছেলে এরকম খারাপ ধারনা কিভাবে পোষণ করতে পারে?সে হাত দু'টো মুষ্ঠিবদ্ধ করে নেয়।আব্রাহাম পুনরায় বলতে শুরু করে,,,,

ফ্লোরেনসিয়া – ৩৫

জনাব, আমাকে বাঁচান। ওর চিৎকার শুনে লোক তিনটে আরও সতর্ক হয়ে যায়। দু'জন উপরের দিকে তাকায়। অকস্মাৎ গাছ থেকে লাফিয়ে পড়েন ক্রিসক্রিংগল। ক্রসবো ধরে রাখা লোকটাকে একটা মারাত্মক আক্রমন করে বসেন।

ফ্লোরেনসিয়া – ৩৬

উয়াসওয়াভার মেয়ের বাবা কে ছিলো জানতো না কেউ। অনেকেই ধরে নিতো ওটা যোসেফ স্যাভেরিনের ঔরসজাত মেয়ে। আবার কেউ বা প্রচন্ড ঘৃণা থেকে বলতো,ওটা জারজ সন্তান।

ফ্লোরেনসিয়া – ৩৭

ইনায়ার চিত্ত পুলকিত হয়। আর্নির ভয় আরও দ্বিগুন বেড়ে যায়। ইনায়ার একহাত খামচে ধরে আতংকিত কন্ঠে জিজ্ঞেস করে,,, - কি প্রয়োজন ছিলো এই পি'শাচটার সাথে দ্বন্দ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার? ও ইনায়া, সিয়াকে বারণ করো না। বারণ করো ওকে।

ফ্লোরেনসিয়া – ৩৮

উলের সুয়েটারের নিচে লুকিয়ে রাখা ক্রুশ লকেট'টা ইনায়া বাম হাতে শক্ত করে চেপে ধরে। আব্রাহামের সেদিকে খেয়াল নেই। সে কেবলই ধীরপায়ে হাঁটে। ইনায়া তাকে অদৃশ্য মায়াজালে টানছে। কেনো এতো মায়া এই মেয়েটার মুখশ্রীতে? শুধু কি মায়া? আছে নির্মলতা। আব্রাহামের মনে হয়, পবিত্রতার প্রতীক সে।

ফ্লোরেনসিয়া – ৩৯

আমি কি বেঁচে আছি এখনো? নাকি ম'রে গেছি? এখানে এতো অন্ধকার কেনো? এটা কি কোনো সমাধি? ম'রে গেছে ভেবে মার্কসের দুঃখের শেষ নেই। এতো তাড়াতাড়ি ম'রতে চায়নি সে। তবুও কেনো এরকম হলো? বাঁচার জন্য কতই না চেষ্টা করেছিলো।

ফ্লোরেনসিয়া – ৪০

খোলা জানালা দিয়ে হুড়মুড়িয়ে কামরায় প্রবেশ করা বাতাসের ফলে দোদুল্যমান লন্ঠনের আলো নিভু নিভু হয়ে আসে। ডানদিক থেকে ভেসে আসা অদৃশ্য কন্ঠের কথাগুলো সিয়া উৎকর্ণ কানে শোনে। মেয়েটা বলে,