লেখক লামিমা তানহা

ফ্লোরেনসিয়া – ১

বাদুড়গুলো নিজেদের দাঁত খিচিয়ে সমবেত মানুষগুলোকে হঠাৎই আক্রমন করে বসে। এই দিনটা ছিলো কিয়েভে নিজেদের উপস্থিতি জানান দেওয়ার সূচনা। ওগুলো কি ছিলো? একদল অতৃপ্ত আত্মা নাকি কতগুলো পিশাচ সত্ত্বা?

ফ্লোরেনসিয়া – ২

আকাশটা মেঘাচ্ছন্ন। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছে। আজকের এই বৃষ্টিই জানান দিলো বর্ষাকাল এসে গেছে। এতে বেশ ভালোই হয়েছে। শীত আর বর্ষা এই দুই ঋতুতে এদুয়ার্দো বেশ আনন্দ অনুভব করে। ছোট ভাই আব্রাহামকে সাথে নিয়ে নানান রকম এডভেঞ্চারে বেরিয়ে পড়ে। তার ভাইটাও হুবুহু তার মতই। প্রকৃতি প্রেমি। আব্রাহামের অবশ্য আরও একটা নেশা আছে।প্রেমের নেশা। তার জীবনে প্রণয়িনীর অভাব নেই। তবুও সে মাঝে মাঝে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে মনের দুঃখ প্রকাশ করে বন্ধুদের কাছে।

ফ্লোরেনসিয়া – ৩

দু'পায়ের ধারালো নখের আঁচড়ে ইনায়াকে ক্ষত-বিক্ষত করে ফেলে। সূঁচালো দাঁতে কামড়ে ধরে ওর গায়ে। ইনায়া ভীত কন্ঠে পরপর দু'বার বীভৎস চিৎকার দিয়ে উঠে ডাকে, - দাদু!

ফ্লোরেনসিয়া – ৪

হঠাৎই একটা কালো ধোঁয়ার কুন্ডলী বাতাসের বেগে ইনায়ার চারপাশে ঘুরতে শুরু করে। বাদুড়গুলো ওকে ছেড়ে দিয়ে দল বেঁধে উড়ে যায় আকাশের দিকে। আবছা আলোয় ঝাঁক বেঁধে উড়ে যাওয়া বাদুড়গুলোকে আরও ভয়ংকর লাগে দেখতে। যেন একঝাঁক মৌমাছি। বরং মৌমাছির থেকেও ভয়াবহ হিংস্র।

ফ্লোরেনসিয়া – ৫

- জ্বিনা। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো রহস্যটা খুঁজে বের করার। - চেষ্টা নয়। আমি দু'দিনের মধ্যে এর রহস্য জানতে চাই। কথাটা বলে ঝড়ের বেগে কোথাও চলে যায় এদুয়ার্দো। নিষ্প্রভ চোখে তাকিয়ে থাকে অ্যাভোগ্রেডো।

ফ্লোরেনসিয়া – ৬

যুবতী দু'জন কামরার বাইরে বেরিয়ে গেল। পামেলা উঠে দাড়াল। পা টিপে টিপে কোমর দুলিয়ে হাঁটতে শুরু করল। পাতলা ফিনফিনে শর্ট গাউনে তাকে আবেদনময়ী লাগছিল। এই দুর্গে এসেছে একমাস হলো। এর মাঝে দু'বার রুলারের কাছাকাছি থাকার সৌভাগ্য হয়েছিলো।

ফ্লোরেনসিয়া – ৭

তাছাড়া গুহায় তো কেউ ছিলো না। তাহলে এই মুহূর্তে ওর হাত ধরে আছে কে? - কোনো র'ক্তচোষা পি'শাচ নয়তো! ভাবতেই সিয়ার পুনরায় পিলে চমকে গেলো। এদুয়ার্দোর পেছন থেকে কিচ শব্দ করে উঠল। এদুয়ার্দো মনে মনে ভাবল

ফ্লোরেনসিয়া – ৮

মুখের উপর তুলতুলে কিছুর স্পর্শ পেয়ে সিয়ার ঘুম ভেঙ্গে গেল। কিচ নিজের লেজ দিয়ে ওর মুখে সুরসুরি দিচ্ছিলো। সিয়া চোখ মেলে তাকাল। মশালের আলোয় আলোকিত গুহার চারদিকে নজর বুলাল।

ফ্লোরেনসিয়া – ৯

ক্রিসক্রিংগল থমকালেন। ভয়ংকর ভাবে চমকালেন। পায়ের কাছ থেকে কিচকে কোলে তুলে নিলেন। কিন্তু কিচ ছটফট করতে শুরু করল। মনে হলো ও কিছু বলতে চায়ছে। ক্রিসক্রিংগল উদ্বিগ্ন হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, - কিচ! সিয়া কোথায়?

ফ্লোরেনসিয়া – ১০

সিয়া জানালার কাচ ঈষৎ ফাঁক করে উঠোনের দিকে তাকায়। মুহূর্তেই ওর শরীরের সমস্ত রক্তবিন্দু হিম হয়ে যায়। প্রশস্ত কালো কুচকুচে ডানার একটা বিশালাকৃতির প্রাণী আর্নির গলা চেপে ধরে। যার ঠোঁটের ফাঁক গলিয়ে ধারালো দু'টো শদন্ত বেরিয়ে আসে। ভয়ংকর দেখতে প্রাণীটা আর্নির ঘাড়ে নিজের ঠোঁট চেপে ধরে।