রাতের খাবার টেবিলে পরী অভির কানে কানে বলে, “আজ রাতে যদি ড্রিঙ্ক করেছ তাহলে কিন্তু আমার কাছে শুতে দেব না বলে দিচ্ছি।”
অভি কাতর মিনতি করে, “প্লিস হানি, একটা ছোটো করে, তারপরে আমি তোমার আলিঙ্গনে ধরা দেব।”
পরী বিরক্ত হয়ে বলে, “কে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, আমি না ভদকা?”
অভি, “অবশ্যই তুমি, বেবি।”
পরী, “তাহলে, খাওয়ার পরে সোজা ঘরে চলে আসবে, না সিগারেট না ভদকা।”
নাক কুঁচকে কাতর মিনতি জানায় অভি। পরী রেগে গিয়ে ওর দিকে লাল চোখ করে বলে, “যা ইচ্ছে করো গিয়ে, আমি চললাম শুতে।”
তাড়াতাড়ি খাওয়া সেরে, রিতিকা আর অরুনাকে নিয়ে ঘরের দিকে চলে যায়। যাওয়ার আগে রিতিকা সুপ্রতিমদার দিকে কটমট করে তাকিয়ে জানিয়ে যায় যে পরীর মতন ওর অভিপ্রায় একই। কল্যাণীরা খাওয়া শেষ করে ওদের দিকে তাকিয়ে হেসে শুতে চলে যায়।
সুপ্রতিমদা অভির দিকে তাকিয়ে ভুরু নাচিয়ে বলে, “ভায়া, বেড়াল রেগে গেলে কিন্তু মাটিতে আঁচর কাটে।”
অভি, “ত কি হয়েছে, বেড়াল মারতে হলে গায়ে শক্তি ত চাই নাকি।”
সুপ্রতিমদা, “তোর বেড়াল কিন্তু আমার বেড়ালের চেয়ে বেশি রেগে আছে রে। রাতে তোর হালত খারাপ করে দেবে।”
অভি, “আমার ম্যাও আমি সামলে নেব শালা, তুই তোর ম্যাও কি করে সামলাবি তাই ভাব।”
অভি নিজেকে বলে যে, প্রেয়সীকে উত্যক্ত করে লাভ নেই। ঘরের মধ্যে মৃদু নীলচে আলো ঘরে একটা অপরূপ রোম্যান্টিক শোভার আবহাওয়া তৈরি করেছে। পরী কম্বল গায়ে বিছানায় শুয়ে পড়েছে। দরজার দিকে মুখ ফিরে অভির জন্য অপেক্ষা করে একপাসে হয়ে শুয়ে আছে পরী, ঠোঁটে লেগে আছে এক অধভুত মিষ্টি হাসি। ডান হাত ভাঁজ করে মাথার নিচে রাখা, উন্মুক্ত মসৃণ ফর্সা হাত। মাথার চুল মাথার পেছনে হাত খোঁপায় বাঁধা বালিশের ওপরে এলিয়ে পরে আছে।
ঘরের মৃদু নীলচে আলো ওর ত্বকের ওপর যেন পিছলে যাচ্ছে। বাম হাত মুঠি করে কম্বলটিকে আঁকড়ে ধরে আছে উন্নত বুকের কাছে। কম্বলে ঢাকা দেহের অবয়াব দেখে মনে হয় যেন সাদা সমুদ্রের ওপরে এক মত্ত ঢেউ। উঁচু কাঁধ, সরু হয়ে নেমে এসেছে পাতলা কোমরে তারপরে ফুলে উঠেছে সুগোল নিতম্বদেশ। বাম পা ডান পায়ের সামনে রাখা, যার জন্য দেহের অবয়াব দেখে মনে হয় যেন এক জলপরী শুয়ে অভির দিকে প্রেমাগ্নির চাহনি নিয়ে তাকিয়ে।
নাকের ডগা লাল, গাল গোলাপি। মুখে প্রসাধনির লেশ মাত্র নেই, কানে দুল নেই, হাতে চুরি নেই। কাজল কালো, বাঁকা ভুরু জোড়া যেন ওকে উত্যক্ত করে জিজ্ঞেস করছে, কি ওই রকম ভাবে দেখছ? কোমল লাল ঠোঁট জোড়া অল্প খোলা, তার মাঝে ঝিলিক মারে মুক্ত সাজান দাঁত। চেহারায় এক সুন্দর আলক ছটা।
অভির নাকে ভেসে আসে পরীর মাদকতাময় জুঁই ফুলের সুবাস। সেই সুবাস সারা ঘরের বাতাসে ছড়িয়ে আছে আর অভিকে মাতাল করে তুলেছে। অভি পরীর চোখের ভাষা বুঝতে চেষ্টা করে, “প্রেয়সী কি বাঘিনীর মতন ক্ষিপ্ত, না মাছরাঙার মতন অপেক্ষা করছে মাছ ধরার জন্য?”
অভি বিছানার পায়ের দিকে বসে, ওর দিকে তাকিয়ে পায়ের ওপরে হাত রাখে। কম্বলের ওপর দিয়ে, বাম পায়ের গুলির ওপরে আদর করে দেয়।
পরী গম্ভির সুরে ওকে বলে, “তাড়াতাড়ি হাত পা ধুয়ে শুতে এস, আমি খুব ক্লান্ত, আমার খুব ঘুম পাচ্ছে।”
গম্ভির গলার আওয়াজ শুনে অভি একটু ঘাবড়ে যায়। পরী বালিশের ওপরে মাথা গুঁজে চোখ বন্ধ করে নেয়। অভি ভাবে, “একি হল? প্রেয়সী কেন ওর সাথে ভালো করে কথা বলছে না?”
সামনে ঝুঁকে পরে জুতো খুলতে যায় অভি, পরী পেছন থেকে ওর শিরদাঁড়ার নিচে পায়ের বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে মৃদু খোঁচা মারে। নখের আঁচরের অনুভুতি অভির শরীরে বিদ্যুতের শিহরণ ছড়িয়ে দেয়। অভি মাথা ঘুরিয়ে পরীর দিকে তাকায়, পরী সঙ্গে সঙ্গে কম্বলের মধ্যে পা টেনে নিয়ে চোখ বন্ধ করে পরে থাকে। অভি কম্বলের নিচের দিক পায়ের ওপর থেকে সরিয়ে দিয়ে পায়ের পাতার তলায় তর্জনী দিয়ে আঁচর কেটে দেয়। পরী মোচর দিয়ে উঠে, খিলখিল করে হেসে ফেলে।
অভি ওর হাসি শুনে বিছানার ওপরে লাফ দিয়ে উঠে পরীকে বলে, “আমার সাথে দুষ্টুমি করা হচ্ছে, বেবি?”
পরী ওর বুকের ওপরে পা রেখে ঠেলে দিয়ে বলে, “তাড়াতাড়ি বাথরুমে গিয়ে পরিষ্কার হয়ে এস।”
অভি, “তারপরে?”
পরী, “তারপরে আর কি, তারপরে ঘুমিয়ে পড়ব।”
অভি হাফ প্যান্ট হাতে নিয়ে বাথরুমে ঢুকে পরে। প্রেয়সীর হাসি আর গালের লালিমা ওর ভেতরের জমে থাকা প্রেমের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। প্রেয়সীকে বিছানায় বেশিক্ষণ অপেক্ষায় রাখা উচিত নয়। চোখের উষ্ণ লালিমার ছটায় অভির বুঝতে দেরি হয়নি যে চাতকের ন্যায় প্রেম বারির জন্য অপেক্ষা করছে প্রেয়সী। যেন এক জলপরী সমুদ্র থেকে উঠে এসে ওর বিছানায় শুয়ে প্রেম বারির জন্য কাতরাচ্ছে। কোনোরকমে স্নান সেরে, দাড়ি কামিয়ে বাথরুম থেকে বেড়িয়ে আসে অভি। ঘরে ঢুকে অবাক হয়ে যায়, বিছানায় পরী নেই।
দরজা অল্প খোলা, কম্বল এলোমেলো হয়ে পরে আছে বিছানার ওপরে। অভি ঠিক বুঝে উঠতে পারেনা, হল টা কি? এত রাতে পরী ওকে একা ছেড়ে আবার কোথায় চলে গেল। ঘরের বাল্ব জ্বালিয়ে দরজার দিকে এগিয়ে যায় বাইরে দেখতে যে গেল কোথায় পরী।
যেই মাত্র দরজা খুলেছে, তখনি পরী অভিকে পেছন থেকে এসে কোমরের দুপাস দিয়ে হাত বাড়িয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। নগ্ন পিঠের ওপরে চেপে ধরে নরম বুক। বুকের ওপরে রাখে হাতের তালু, পিঠের শিরদাঁড়ার ওপরে চেপে ধরে গাল। উষ্ণ দেহের স্পর্শে মনে হয় যেন পরীর মাখনের মতন পেলব শরীর ওর পিঠের ওপরে গলে মাখামাখি হয়ে যাচ্ছে। অভি দরজা বন্ধ করে সামনে ঝুঁকে, পরীকে পিঠের ওপরে তুলে নেয়। পরী ওর পিঠের ওপরে ভার দিয়ে মাতি থেকে পা ভাঁজ করে তুলে নেয়।
প্রেমঘন সুরে কানে কানে বলে, “খুঁজে পেলে না ত আমাকে।”
অভি, “ছিলে কোথায়?”
পরী ওর বাম বুকের ওপরে হাত চেপে বলে, “আমি এখানে ছিলাম, তুমি দেখতে পাওনি।”
বিছানার দিকে হেঁটে যায় অভি, পরী ওর পিঠের ওপরে ঠোঁট চেপে ধরে চুমু খেতে শুরু করে। তপ্ত ঠোঁটের পরশে অভির দেহে বিদ্যুতের সঞ্চার হয়। বাঁ দিকে একটু ঝুঁকে পরে, পরীকে বিছানার ওপরে শুইয়ে দেয় অভি। পরী বিছানার পায়ের দিকে বসে, পেছন দিকে ঝুঁকে যায় কুনুইয়ের ওপরে ভর দিয়ে। তার ফলে পীনোন্নত বুক জোড়া হিমালয়ের সুউচ্চ শৃঙ্গের মতন আকাশের পানে ঠেলে ওঠে। পরীর পরনে সিল্কের স্লিপ, কাঁধ, উপরি বক্ষ, বুকের খাঁজের অধিকাংশ অনাবৃত। পরনের রাত্রিবাস অনেক ছোটো, কোনোক্রমে শুধু মাত্র জানুর মাঝ পর্যন্ত নেমে এসেছে।
জানুর মসৃণ ত্বকের ওপরে ঘরের আলো পিছল খেয়ে পড়ছে। সেই দৃশ্য দেখে অভির সিংহ ভেতরে ভেতরে মাথা উঁচু করে জেগে ওঠে, তলপেটের কাছে যেন তরল আগুন দলা পাকিয়ে মোচর দেয়। পরী অনুধাবন করে অভির তপ্ত চাহনি, যেন ওর অনাবৃত জানু, বুক, কাঁধ জ্বালিয়ে দিচ্ছে। নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে প্রেমঘন চাহনি নিয়ে তাকায় উদ্দাম অভির দিকে। অভি পরীর দিকে ঝুঁকে পরে ওর নরম কোমর হাতের মাঝে চেপে ধরে। কোমল নারী মাংস তপ্ত আঙ্গুলের স্পর্শে যেন গলে যায়।
অভি নিজের শরীর টেনে নিতে চায় পরীর দেহের ওপরে, কিন্তু পরী ওর ডান পা ভাঁজ করে অভির বুকের ওপরে চেপে ধরে। পরীর হাঁটু অভির চিবুক ছুঁয়ে যায় আর পায়ের পাতা অভির নাভির কাছে ছুঁয়ে যায়। অধভুত সেই স্পর্শে অভির সারা দেহে কাঁটা দিয়ে ওঠে। অভি যত চেষ্টা করে পরীর দিকে ঝুঁকতে, পরী ততই যেন ঠেলে দেয় অভিকে, দুজনে যেন প্রেমের এক খেলায় মেতে ওঠে। দুজনের চোখে ঝরে প্রেমের ঘন তরল আগুন।
পরীর রাত্রিবাস জানু ছাড়িয়ে কোমর পর্যন্ত উঠে আসে। সুগোল ফর্সা ডান নিতম্ব অনাবৃত হয়ে যায় ঠেলাঠেলির খেলায়। পরী রাতে শোয়ার সময়ে অন্তর্বাস পড়তে ভালবাসেনা, অভির মাথায় সেই চিন্তা আসতেই অভির চোখ চলে যায় পরীর জানুসন্ধির দিকে। রাত্রিবাস উঠে গেছে ঠিকই কিন্তু অতি সন্তর্পণে ঢেকে রেখেছে পরীর জানুসন্ধির নারীঅঙ্গ। প্রেমের মত্ত ক্রীড়ায় দুজনের শ্বাস বর্ধিত হয়ে ওঠে। অভি ঠেলে দেয় পরীর ডান জানু, পরীর উন্নত বুকের ওপরে।
পরী দুষ্টু হেসে জিজ্ঞেস করে, “ওই রকম ভাবে কি দেখছ, সোনা?”
অভি, “আমি আমার জলপরীকে দেখছি, যে সাগর থেকে উঠে আমার বিছানায় শুয়ে আমার প্রেমের জন্য কাতরাচ্ছে।”
পরী বড় বড় চোখ করে অভির মুখের দিকে তাকিয়ে বলে, “তাহলে দেরি কেন করছ? জলপরীকে কোলে তুলে আবার সাগরের জলে ছেড়ে দাও।”
অভি, “সাগরের জলে যে অনেক ভয়ঙ্কর মাছ আছে। আমি ত আমার জলপরীকে বুকের মাঝে রাখতে চাই।”
অভির পেটের ওপরে পরীর কোমল নিতম্বের ছোঁয়া লাগে, সেই সুখের স্পর্শে অভির মনে যেন ওর আগ্নেয়গিরি এখুনি ফেটে পড়বে। অভি ফিসফিস করে জিজ্ঞেস করে, “এই স্লিপ টা কবে কিনেছ, আগে দেখিনি ত।”
পরী, “অনেক দিন আগে কিনেছি, সেই এপ্রিলে যখন তোমার বাড়িতে এসেছিলাম।”
অভি ওর শরীরের ওপর থেকে ভার হাল্কা করে আর সেই সঙ্গে সঙ্গে পরী পেটের ওপরে মাথা নিচু করে বিছানার ওপরে শুয়ে পরে। নরম বালিস আঁকড়ে ধরে মুখ লুকিয়ে নেয় তুলোর মধ্যে। কামনার আগুনে জ্বালায়, শ্বাসের গতি বেড়ে যায়, দ্রুত ওঠানামা করে পরীর পিঠ, যেন বুকের মাঝে এক বিশাল ঝড় বয়ে চলেছে।
সিল্কের সেই ছোটো রাত্রিবাস পরীর সুগোল নিতম্ব ঢেকে রাখতে পারেনা। নরম সুগোল দুই নিতম্ব আর নিতম্বের মাঝের গভীর সরু খাঁজ পুরপুরি অভির কামতারিত চাহনির সামনে অনাবৃত। নিম্নাঙ্গে পরনে কোন অন্তর্বাস নেই।
অভি পরীর মেলে ধরা পায়ের দুপাশে হাত রেখে সামনের দিকে ঝুঁকে পরে, বাম পায়ের গুলির ওপরে তপ্ত শ্বাস ছাড়ে। ডান হাত নিয়ে যায় পরীর অনাবৃত ডান পায়ের গুলির ওপরে আর ধিরে ধিরে আদর করতে শুর করে, পায়ের গোড়ালি থেকে হাঁটুর পেছনের ভাঁজ পর্যন্ত। আদরের ছোঁয়ায় পরীর উত্তপ্ত শরীর মোচর দিয়ে ওঠে, মৃদু শীৎকার ওঠে ওঠে পরী।
অভি মুখ নামিয়ে আনে পরীর জানুর পেছনে, রাত্রিবাস না সরিয়ে কাপড়ের ওপর দিয়ে, জিবের ডগা দিয়ে বৃত্তাকারে ভিজিয়ে দেয় পরীর নরম নিতম্ব। ভিজে ওঠা রাত্রিবাস লেপটে যায় পরীর তপ্ত নিতম্বের ত্বকের ওপরে, বারংবার কেঁপে ওঠে কোমল নিতম্ব দুটি। আলতো করে চেপে ধরে ঠোঁট পরীর নিতম্বের ওপরে।
পরী মৃদু কনে শীৎকার করে ওঠে, “ম্মম্মম্মম্মম……… অভি… সোনা…”
অভি মাথা উঠিয়ে দেখতে চেষ্টা করে পরীর মুখের দিকে, পরী মাথা গুঁজে রাখে বালিশের ওপরে। নিতম্বের ওপরে ছোটো ছোটো চুমুতে ভরিয়ে দিয়ে অভির ঠোঁট উঠে আসে, শিরদাঁড়ার শেষ প্রান্তে, যেখানে শিরদাঁড়া আর নিতম্ব মিলেছে। ঠোঁট চেপে ধরে শিরদাঁড়ার শেষ প্রান্তে, ভিজিয়ে দেয় রাত্রিবাসের কাপড় মুখের লালায়। নগ্ন বুকের নিচে চেপে ধরে কোমল নিতম্ব, পিষে দেয় পরীকে বিছানার সাথে আর বুকের নিচে। পায়ের পাতার ওপরে পরী অনুভব করে অভির তপ্ত শলাকা। কামনায় প্রজ্বলিতে দেহ মুচরে ওঠে কঠিন পরশ পেয়ে। অভির বুকের নিচে যেন প্রেয়সীর সাপের মতন শরীর বারে বারে মোচর দেয় আর অভির শলাকাকে বারেবারে উত্যক্ত করে তোলে।
পরী অভির নামে ঠোঁটে এনে মৃদু শীৎকার করে ওঠে, “অভিইইইইই… আমাকে মেরে ফেললে যে হানি…”
বিছানার ওপরে চেপে ধরা বুক, দুপাশ থেকে ফেটে বেড়িয়ে পরে, পরীর মুখ তখন বালিসে গোঁজা। রাত্রিবাস পিঠের দিকে অর্ধেকটা উন্মুক্ত, পুরো কাঁধ আর পিঠের অধিকাংশ অনাবৃত, লিপ্সা মাখানো অভির চোখের সামনে।
অভি আরও ঝুঁকে পরে পরীর পিঠের ওপরে চুমু দিতে শুরু করে। ঘাড়ের নিচ থেকে শুরু করে, শিরদাঁড়ার ওপর দিয়ে যে টুকু অনাবৃত, সেই টুকু অংশে চুমুতে ভরিয়ে দেয় অভি, আর জিবের ডগা দিয়ে বৃত্তাকারে দাগ কেটে দেয়। তপ্ত শ্বাসে পরীর সারা দেহে কাটা দিয়ে ওঠে। ভিজে গেছে পিঠ অভির তপ্ত লালায়। মাঝে মাঝে অভি পরীর পিঠের নরম মাংস দাঁতের মাঝে নিয়ে আলত করে কামড়ে দেয়, জিব পুর বের করে চেটে দেয় শিরদাঁড়া। পরীর মুখ লাল, গায়ে ঘাম। অভির জিবে লাগে নোনতা স্বাদ।
বাম কুনুইয়ের ওপরে ভর দিয়ে পরীর বাম দিকে শুয়ে পরে অভি, কুনুই ছুঁয়ে যায় পরীর বাম বক্ষের পাশে। ডান হাতে পরীর মাথার চুলের বাঁধন খুলে দেয়। মুঠি করে ধরে নেয় পরীর মাথার পেছনের চুল আর ধিরে ধিরে নখের ডগা দিয়ে আঁচরে দেয় মাথা। পরী পাগল হয়ে ওঠে অভির উষ্ণ আদরের ছোঁয়ায়।
অভি সামনে ঝুঁকে মরালী গরদানে তপ্ত শ্বাস ছাড়ে। পরীর কোমরের ওপরে অভি ওর ডান পা উঠিয়ে দেয়, হাঁটু দিয়ে চেপে ধরে নিতম্ব আর পায়ের পাতা দিয়ে বুলিয়ে দেয় জানুর পেছন দিকে। ধিরে ধিরে অভির পা, জানু থেকে ওপরে উঠে যায় আর রাত্রিবাস সরে যায় নিতম্বের ওপর থেকে। পরী ওর বাম নিতম্বের পাশে অভির তপ্ত শলাকার পরশ অনুভব করে, মনে হয় যেন কঠিন কোন গুঁড়ি ওর কোমলতাকে চেপে ধরে পেষণ করছে।
ঘাড়ের পেছনে ঠোঁট চেপে ধরে অভি। চোখ দুটি শক্ত করে বন্ধ করে মাথা ওঠায় পরী, চিবুক রাখে বালিশের ওপরে আর বিছানার মাথার দিকে মুখ। ঠোঁট জোড়া অল্প খোলা, আর সেই তপ্ত ঠোঁট জোড়ার ভেতর থেকে তপ্ত শ্বাস বয়ে চলে অবিরাম। ঘাড়ের পেছনে দাঁত দিয়ে আলতো করে চেপে দেয় অভি। দাঁতের আদরের পরশে পাগল হয়ে ওঠে পরী। বুকের ওপরে শক্ত কফ্রে চেপে ধরে বালিশ, যেন নরম তুল দিয়ে ভরিয়ে দেবে কোমল উন্নত বুক জোড়া।
পরী এবারে তপ্ত শ্বাস ছেড়ে শীৎকার কর ওঠে, “আআআআআ… তুমি যে আমাকে একদম পাগল করে দিলে অভি…”
পরীর মাথার পেছনে নাক ডুবিয়ে চুলের ঘ্রান বুকে টেনে নেয়। নগ্ন বুক চেপে ধরে পরীর অনাবৃত পিঠের ওপরে। কানে কানে বলে, “বেবি, তুমি এত রসাল, যে আমি তোমার সারা শরীর চুমু খেলেও সেই রস ফুরাবে না। তোমার দেহের প্রতি রোম কুপের থেকে নির্গত রস যে কত মধুর তা বলে বুঝাতে পারবনা বেবি।”
পরী, “আমি ত একটা কুঁড়ি ছিলাম সোনা, তোমার ছোঁয়ায় আমি সিক্ত ফুটন্ত রসে ভরা হয়ে উঠেছি।”
অভি, “আলো কি বন্ধ করে দেব, বেবি?”
পরী, “আমি জানিনা, তোমার যা ইচ্ছে করে সেটা করও। আজ আমার কিছু বলার নেই অভি। আজ তুমি আগের থেকে অনেক অনেক বেশি দুষ্টুমি করছ, সোনা।”
ডান হাত দিয়ে পরীর ডান কাঁধ থেকে রাত্রিবাসের পাতলা বাঁধন নামিয়ে দেয়। কাঁধ একটু নড়িয়ে অভিকে সাহায্য করে যাতে রাত্রিবাস খুলে আসে। চিবুক দিয়ে বাম দিকের রাত্রিবাসের বাঁধন নামিয়ে দিতেই পরীর শরীর মোচর দিয়ে ওঠে। অভির মাথায় খেলে যায় যে আজ রাতে ও তাঁর প্রেয়সীর অপরূপ দেহ সুধা দুচোখ ভরে পান করার সুযোগ পাবে, অনেক দিন ধরে অভির অভিপ্রায় আজ রাতে সফল হবে। আসন্ন সুধা পানের চিন্তায় যেন বুকের মাঝে উত্তাল ঢেউ দোলা দেয়।
ফিস ফিস করে পরীকে জিজ্ঞেস করে, “সোনা আর কি সুধা লুকিয়ে আছে তোমার দেহে?”
অভির আঙ্গুল পরীর বাজুর ওপরে আলতো করে আঁচর কাটে। মৃদু কনে বলে পরী, “তুমি যা চেয়েছিলে, সেই বাগান আমি পরিষ্কার করে দিয়েছি।”
কথাটা বলতে গিয়ে পরীর কান লাল হয়ে যায় লজ্জায়, চোখ দুটি লজ্জায় আরও শক্ত করে চেপে নেয়। গাল লাল, সারা শরীর যেন আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ওই কথা বলার সময়ে। অভি চাপা চেঁচিয়ে ওঠে, “উউউউউ… বেবি…”
পরী শেষ পর্যন্ত অভির কথা রেখে জানুমাঝের কুঞ্চিত ঘাসের বাগান পরিষ্কার করে দিয়েছে। ডান হাত দিয়ে পরীর নিতম্বে আলতো করে চাঁটি মারে অভি, মৃদু হাতের চাপে, নরম মাংসে ঢেউ খেলে যায়।
কানের কাছে মুখ নামিয়ে বলে, “দুষ্টু পরী আমাকে আজ রাতে সত্যি সত্যি মেরে ফেলবে যে।”
পরী প্রেমের ঘোরে ককিয়ে বলে, “তোমার ছোঁয়ায় আমি পুরো পাগল হয়ে গেছি, আমি আর তোমাকে কি মারব, সোনা।”
অভি নিতম্বের দিকে দেখে একবার তারপরে, ধিরে ধিরে রাত্রিবাস উঠিয়ে দেয় নিতম্বের ওপর থেকে। ধিরে ধিরে ঘরের আলোয় অনাবৃত হয় কোমল সুগোল ফর্সা নিতম্ব। মসৃণ ত্বকের ওপরে যেন আলো পিছলে যায়। আঙ্গুলের নখ দিয়ে বৃত্তাকারে আঁচর কাটে নরম নিতম্বের ত্বকের ওপরে। বারে বারে কেঁপে ওঠে সুপুষ্ট নিতম্ব দুটি আর ঢেউ খেলে যায় নরম মাংসের ওপরে। পরী আর থাকতে না পেরে বালিশে ঠোঁট চেপে অভির নাম ধরে ডাকে। অভির নিখের ছোঁয়ায় নিতম্বের কাপুনি যেন আরও বেড়ে যায়, মনে হয় যেন বৃষ্টিতে ভিজে এক জোড়া নরম খরগোস ঠাণ্ডায় কাঁপছে।
অভি বিছানা থেকে নেমে পরীর পায়ের কাছে বসে পরে, রাত্রিবাস নিচের থেকে টেনে নামিয়ে দেয়। পরী শরীরকে আলতো করে মুচরে, অভিকে সাহায্য করে গায়ের থেকে কাপড় খানি খুলে ফেলতে। অভির চোখের সামনে পেটের ওপরে শুয়ে প্রেমের আগুনে থরথর কাপে প্রেয়সীর উন্মুক্ত দেহ পল্লব। পা জোড়া এঁকে ওপরের সাথে শক্ত করে চেপে ধরা, মনে হয় যেন মাঝখান থেকে একটি ঘাসের পাতাও যেতে পারবে না। প্রেমের কাপনে বানংবার দেহের ওপরে ঢেউ খেলে যায়। অভি এই প্রথম বার প্রান প্রেয়সীকে জন্মদিনের পোশাকে দেখে। এই কামার্ত দেহ পল্লব যে কোন মুনি ঋষির ধ্যান ভঙ্গ করে দিতে পারে।
অভি পরীর দুপা ধরে ধিরে ধিরে চিত করে শুইয়ে দেয়। পরী মাথার বালিস শক্ত করে ধরে থাকে, অতিব লজ্জায় দুচোখ চেপে বন্ধ করা। অভির চোখ যায় পীনোন্নত বুকের দিকে। হিমালয়ের সুউচ্চ শৃঙ্গের মতন বুক জোড়া আকাশের দিকে উঁচিয়ে, আর শৃঙ্গ ওপরে বসে থাকা তপ্ত গাড় বাদামি রঙের নুড়ি। সেই বুকের দিকে চোখ গেল অভির, বুকের মাঝের উত্তাল তরঙ্গকে শান্ত করে নেয় অভি, প্রেমের সাগরে ডুব দেওয়ার আগে আরও কিছু খেলা বাকি তাঁর প্রেয়সীর সাথে। দৃষ্টি চলে যায় ফর্সা কোমল বুকের দিকে, ব্রিন্তের চারদিক থেকে নেমে আসে অতিব হাল্কা নীলচে আর লালচে শিরা উপশিরা।
বুকের নিচ থেকে নাভি পর্যন্ত সরু হয়ে নেমে আসে মধ্যচ্ছদা, যেন কোন সরু পাহাড়ি নদী, সেই নদী যেন নাভিদেশে এসে মিশে গেছে। গোল পেটের নিচে একটু ফুলে উঠে অতিব সুন্দর বাঁক নিয়ে নেমে গেছে ফোলা তলপেট। উত্তেজনায় কাঁপছে পরীর তলপেট। পরী যেন আর থাকতে পারছে না অভির উত্তপ্ত চাহনির সামনে, বারে বারে শরীর মুচরে উঠছে।
অভির দৃষ্টি কেন্দ্রীভূত হয় জানুসন্ধিখনে। পরীর জানুসন্ধি ফুলে বেঁকে হারিয়ে গেছে চেপে ধরা দুই জানুর মাঝে। অতিব যত্নে সাজান সেই নারীত্বের সুখের দোরগোড়া, রোমের লেশ মাত্র নেই।
পরনের কাপড় খুলে ফেলে অভি, কঠিন সিংহ অবশেষে ছাড়া পেয়ে লাফিয়ে ওঠে। অভি ঝুঁকে পরে পরীর জানুর ওপরে আর জিবের ডগা দিয়ে বৃত্তাকারে আদর করতে থাকে জানুর ওপরে। ধিরে ধিরে ঠোঁট ওপরে নিয়ে আসে অভি।
পরীর অর্ধ ফাঁক করা ঠোঁটের ভেতর থেকে বেড়িয়ে আসে একটা আওয়াজ, “আআআআ… পারছিনা… সোনা…”
বাম পা ভাঁজ করে নেয় পরী আর নারীসুখের গহ্বর অভির দৃষ্টির সামনে উন্মুক্ত হয়ে যায়। অভির নাকে ভেসে আসে জোরালো এক ঘ্রান, জিবের ডগা পরীর জানুর মাঝে নিয়ে আদর করে চেটে দেয়।
চোখের সামনে উন্মুক্ত পরীর সুখের স্বর্গদ্বার। এত সুন্দর করে পরিষ্কার করে রেখেছে যে, সেই দ্বার দেখে মনে হয় যে, উল্টান একটি ত্রিভুজের মাঝে অতিব সরু এক নদী।
সেই গোলাপ ফুলের পাপড়ির কোমলতা বুঝতে অভির দেরি লাগেনা। প্রেমের বারিতে সিক্ত হয়ে উঠেছে দুই পাপড়ি আর অল্প অল্প বেড়িয়ে সিক্ত করে তুলেছে বাইরেটা। পরীর সারা শরীর কেঁপে ওঠে এই ভেবে যে অভির আগুন ঝরান চাহনি ওর নারীত্বের দোরগোড়ায় কেন্দ্রীভূত আর পুড়িয়ে ওকে ছারখার করে দিচ্ছে। অল্প ঠোঁট খুলে তপ্ত শ্বাস ছাড়ে পরীর নারীত্বের ওপরে, পরীর দেহ প্রচন্ড ভাবে কেঁপে ওঠে তপ্ত শ্বাসের পরশে। কামাতুর অভির চোখের সামনে সেই মালভূমির দ্বার অল্প অল্প কাঁপতে থাকে।
অভি দু’হাত বাড়িয়ে বুকের ওপরে নিয়ে এসে, থাবা মেলে দুই বক্ষ হাতের মুঠোয় নিয়ে আলতো করে পিষে দেয়। হাতের তালুর নিচে চেপে ধরে তপ্ত শৃঙ্গের নুড়ি। পরী, বুকের ওপরে অভির উত্তপ্ত হাতের পেষণে কামপাগল হয়ে ওঠে। অভি ঝুঁকে পরে জানু মাঝে, জিব বের করে চেপে জানুমাঝের ধরে সিক্ত মালভুমি, চেটে নেয় পরীর মধু।
কামপাগল পরীর শরীরে তীব্র কামনার আগুন ঝলসে যায়। থাকতে না পেরে বালিসে মাথা দাপাতে শুরু করে পরী। পরীর দেহ ধনুকের মতন বেঁকে ওঠে, উঁচু হয়ে ওঠে বুক আর পেট, মাথা বেঁকে নিচে নেমে আসে। দু’হাত দেহের দুপাশে ছড়ান, বিছানার চাদর মুঠিতে খাচে ধরে। ধিরে ধিরে জিব দিয়ে পরীর মধু চাটতে শুরু করে অভি, মাঝে মাঝে সেই সরু ঝরনা ধারার ফাটলে জিব ঢুকিয়ে দিয়ে পাগল করে তোলে পরীকে। বারংবার কেঁপে কেঁপে উঠে তীব্র শীৎকার করে ওঠে পরী, সারা শরীরে বিন্দু বিন্দু ঘামের দানা ফুটে ওঠে, বেঁকে, মুচরে, দুমড়ে যায় পরীর কোমল নধর দেহ পল্লব। বারেবারে মাথার পেছন দিয়ে বালিসে মারে।
অভি ওর মালভূমির ঝরনা ধারা ছেড়ে, পরীর সিক্ত কমনীয় দেহ পল্লবের ওপরে উঠে আসে। পরী জানু ফাঁক করে আহবান জানায় অভির উত্তপ্ত কামাতুর দেহ খানি। মালভুমির ঝরনা ছেড়ে অভির সিক্ত জিব উঠে আসে ওপরে, ঠিক ওর নাভিদেশের কাছে গোল করে জিবের ডগা বুলিয়ে দেয়, আদরের চোটে পাগল হয়ে ওঠে পরী। জিবের ডগা দিয়ে নাভির ভেতর চেটে দেয় আর অভি দাঁত ফাঁক করে আলতো কামর বসিয়ে দেয় নাভির ওপরে থলথলে পেটে।
পরী ওর ঠোঁটের ওপরে পেট চেপে ধরে শীৎকার করে ওঠে, “সোনা, আমাকে আর পাগল করো না, আমি মরে যাব যে।”
পরীর কাতর শীৎকার উপেক্ষা করে ঠোঁট দিয়ে চেপে ধরে পরীর নাভিদেশ। ক্ষণিকের জন্যেও পরী চোখ খোলেনা, অভি জানে চোখ খুলে প্রেমের খেলা খেলতে ওর আরও সময় লাগবে।
জানুমাঝে অভির তপ্ত কঠিন পুরুষ দন্ড মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে, পরীর জানুমাঝের কোমল মাংসে বারেবারে ধাক্কা মারে। পরী অনুধাবন করে যে অভির তপ্ত শলাকা ওর নারীসুখের দোরগোড়ায় প্রবেশ করার জন্য উন্মুখ হয়ে প্রতীক্ষা করছে। দুই হাঁটু ভাঁজ করে দুপাশে মেলে ধরে পরী, অভি নিজের নিচের অঙ্গ চেপে ধরে পরীর জানুমাঝে। পরীর দেহ পল্লবের দুপাশে হাত দিয়ে ভর করে সামনে ঝুঁকে জিবের ডগা দিয়ে পরীর মধ্যচ্ছদার ওপর দিয়ে বুলিয়ে দেয়, সাথে সাথে মুখের লালা ভিজিয়ে দেয় তপ্ত ত্বক।
পরী ঠোঁট জোড়া ছোটো গোল আকার করে, শ্বাস নিতে থাকে, ঘাড় বেঁকে গেছে পেছনের দিকে। উমত্ত পরী, জানু দিয়ে চেপে ধরে অভির শরীর আর পা উঠিয়ে আনে অভির কোমরের উপরে। শিরদাঁড়ার ওপরে গোড়ালি দিয়ে চাপ দেয় আর অভির কঠিন শলাকার সম্পূর্ণ বহিরাঙ্গ পিষে যায় পরীর সিক্ত পাপড়ির ওপরে। পরী পা দিয়ে অভির কোমর চেপে ধরে বারেবারে আহবান জানায় ওর দেহ কে গ্রহন করতে, ওকে পাগল করে দিতে, নিয়ে যেতে সুখের স্বর্গোদ্যানে।
অভির কঠিন শলাকার মাথা কোমল সিক্ত নারীসুখের পাপড়ি মাঝে ছুঁয়ে যায়, অল্প ফাঁক হয়ে যায় পাপড়ি জোড়া। ক্ষীণ প্রবেশ করে অভি পরীর শরীরে। নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে পরী। অভি সামনে ঝুঁকে পরে ডান বুকের কঠিন নুড়ি দাঁতের মাঝে নিয়ে নেয়, প্রথমে আলত করে দাঁতে চাপ দেয় অভি, কিছু পরে ঠোঁট দিয়ে চেপে ধরে কোমল সুগোল বক্ষ আর চুষে নেয় মধুর নুড়ি। পরীর হাত উঠে আসে অভির মাথার ওপরে, দশ আঙ্গুলে খামচে ধরে মাথার চুল, মাথা চেপে ধরে নরম বুকের ওপরে। জানু মাঝে পরী বুঝতে পারে যে অভির শলাকা কিঞ্চিত ওর সুখের গুহার ভেতরে প্রবেশ করেছে।
অভির মাথা আরও এগিয়ে যায়, চলে আসে পরীর মুখের ওপরে। গোলাপের পাপড়ির মতন লাল ঠোঁট চেপে ধরে ঠোঁট দিয়ে, নিচের ঠোঁট ঠোঁটের মাঝে নিয়ে চুষে দেয় অভি। পরীর সারা মুখে অভির তপ্ত শ্বাস বয়ে যায়। পরী ওর নিচের ঠোঁট নিজের থথের মাঝে নিয়ে আলতো কামর বসিয়ে দেয়। জিব বের করে ঠোঁটের ওপরে বুলিয়ে দেয় অভি। পেশি বিহুল বুকের নিচে পিষে যায় কোমল তুলতুলে বক্ষ জোড়া। হাতের ওপরে হাত বুলিয়ে দুহাতের দশ আঙ্গুল মিলে যায়, দুজনেই হাত চেপে ধরে একে ওপরের, সাপের মতন পেচিয়ে যায় একে ওপরের আঙ্গুল।
শেষ পর্যন্ত পরী আর থাকতে না পেরে, কোমরে মোচর দিয়ে ঠেলে উপরে অথাবার চেষ্টা করে আর সেই সময়ে অভিও ওর ডাকে সারা দেয়। মিলেমিসে একাকার হয়ে যায় দুই দেহ। নারীসুখের দ্বার খুলে যায়, আহবান জানায় উম্মত্ত কঠিন সিংহকে, থেমে থাকেনা অভির সিংহ, ধিরে ধিরে প্রবেশ করে পরীর জানুমাঝের সুখের দ্বারের ভেতরে। মাখনের মাঝে যেন এক তপ্ত ছুরি কেতে ঢুকে পরে। সিক্ত দেয়াল চেপে ধরে শলাকার ত্বক, উষ্ণ মধু ভিজিয়ে দেয় কঠিন অঙ্গ।
পরী অভির নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে থাকে যতক্ষণ অভির সিংহ প্রবেশ করে ওর ভেতরে। গলে মিশে একাকার হয়ে যায় দুই কপোত কপোতী, ধিরে ধিরে বিচরন করে সুখের স্বর্গোদ্যানে। বারে বারে সুখের হরিত মালভুমির ওপরে ঘুরে বেড়ায় দুজনে, একে ওপর কে সাপের মতন জড়িয়ে ধরে সারা বিছানার ওপরে গড়াতে থাকে।
অভির চুরান্ত সময়ে পরীর বুকের ওপরে দাঁত বসিয়ে দেয়, পরী ওর পিঠে দশ আঙ্গুলের নখ দিয়ে আঁচর কেটে দেয়, পিঠের ত্বক আঁচরে যায়। অভির বারি মিলিত হয় পরীর সুধার সাথে। অনেক দিনের উন্মুখ অপেখার পরে অভির প্রেয়সী, প্রানের জুঁই ফুল স্বমহিমায়, ফুটে ওঠে স্পিতি নদীর তীরে।