তোমাকে | মুন্নি আক্তার প্রিয়া | পর্ব – ১১

নিকোষ আলো অন্ধকারই পারে দুঃখগ্রস্ত মানুষগুলোর চোখের পানি সবার থেকে আড়াল করতে। এজন্যই কষ্ট পাওয়া মানুষগুলো বোধ হয় অন্ধকারকে এতবেশিই ভালোবাসে। 

পরীর সময়গুলো চলছিল টেনেটুনে। কলেজে যাওয়ার পর ক্লাসে থাকলেও মনটা পড়ে থাকে অন্যত্র। অন্যত্রই বা বলছি কেন! সহজ কথায় বলা যায় তুর্যর কাছে। নিষিদ্ধ এবং অসম্ভব  জিনিসের প্রতি মানুষের চাহিদা বরাবরই বেশি আদিমকাল থেকে। কালের বিবর্তনে অনেককিছু পাল্টে গেলেও পাল্টে যায়নি মানুষের মানসিক চাহিদা। এরপর থেকে যতটা সম্ভব পরী তুর্যকে এড়িয়েই চলত। কিন্তু বেহায়া মন তো পরীর কথামতো চলতে নারাজ।
টানা তিনদিন প্রান্ত আর পরীর দেখা হয়নি। তুর্যর সাথে পরীর যতবার দেখা হয়েছে শুধু চোখাচোখিই হয়েছে। কখনো বা একটু মৃদু হাসি। কথা বলার পরিমাণ কমে গেছে অনেক। বলা ভালো পরী কমিয়ে দিয়েছে। কী দরকার অন্যের মায়ায় জড়ানোর? কেনই বা অন্যের ভালোবাসার মানুষের প্রতি মায়া বাড়াবে। যে যার সাথে ভালো আছে। তাকে তার সাথেই ভালো থাকতে দেওয়া উচিৎ।
.
কলেজের ইউনিফর্ম পরা বিধ্বস্ত অবস্থায় তিথিকে আসতে দেখে প্রান্ত। তিথির চোখমুখ ফুলে আছে। ঝুটি করা চুলগুলোও এলোমেলো হয়ে আছে। সেদিনের পর প্রান্ত অনেকবার কল করলেও তিথি কল তুলেনি অভিমানে। কিন্তু মিছে অভিমান আর কতক্ষণই বা টিকিয়ে রাখা যায়? প্রান্ত তিথিকে ভালোবাসে না তাই কথা না হলেও প্রান্তর বিশেষ অসুবিধা হবে না। কষ্ট! সে তো অনেক দূরের বিষয়। অপরদিকে তিথি! প্রান্ত বলতে যে পাগল তার অভিমান করাটা সাজে না। তাই তো নিজের জেদ আর রাগের সাথে না পেরে প্রান্তর কাছে ফিরে এসেছে। এতদিন মনের ছোট্ট কুঠুরিতে যেই ভালোবাসা অতি যত্মে আত্মগোপন করে রেখেছিল আজ সময় এসেছে প্রান্তকে সব জানানোর। খুব বেশি দেরি করার আগেই প্রান্তকে জানাতে হবে তিথির ভালোবাসার কথা। তিথি ঢুলুঢুলু হয়ে এগিয়ে আসতে থাকে। প্রান্ত তিথির ভালোবাসার কথা জানলেও তিথি জানে না তুর্য যে এই বিষয়ে প্রান্তর সাথে কথা বলেছে। পরীর সাথে রাস্তায় করা সিনক্রিয়েটের জন্য প্রান্তরও বেজায় মেজাজ খারাপ তিথির ওপর। মূলত এজন্যই প্রান্ত বারবার কল করেছিল তিথিকে কোনো রেসপন্স না পাওয়া সত্ত্বেও। দূর থেকে তিথিকে দেখে এবং সেদিনের ঘটনা মনে পড়ে ইচ্ছে করছিল ঠাঁটিয়ে দুটো থাপ্পড় তিথির গালে বসিয়ে দিতে। কিন্তু তিথি ক্রমাগত যখন কাছে আসছিল তখন ওর বিধ্বস্ত মুখটা দেখে প্রান্তর বেশ খারাপই লাগে। তাই রাগের স্থানটা দখল করে নেয় বিষণ্ণতা।
তিথি প্রান্তর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ চুপ থেকে প্রান্তর মুখপানে চেয়ে থাকে। কী ভেবে যেন তিথির মুখ বিকৃতি করে কান্না পায়। আবেগকে আয়ত্ত না করতে পেরে প্রান্তর গলা জড়িয়ে ধরে মাথা রাখে প্রান্তর কাঁধে। বাচ্চাদের মতো শব্দ করে কেঁদে বলে,
“আমি তোমায় ভালোবাসি প্রান্ত। তোমার সাথে আমি অন্য কাউকে সহ্য করতে পারব না।”
প্রান্ত নিশ্চুপ হয়ে থাকে। এমন সিচুয়েশনে কী বলবে বা কী বলা উচিত তা এই চতুর বুদ্ধিসম্পন্ন প্রান্তর মাথায়ও আসছে না। অন্যদিকে তিথি ক্রমাগত কান্না করেই চলেছে। অবশেষে প্রান্ত তিথিকে বলে,
“কান্না থামাও প্লিজ। এভাবে কাঁদছ কেন?”
আগুনে ঘি ঢাললে যেমন আগুনের তেজ বাড়ে তেমনি কান্নার সময়ে কান্নার কথা জিজ্ঞেস করলে যে কান্নার বেগও বাড়ে তা কি জানা নেই? হয়তো জানা আছে। তবুও প্রতিটা মানুষ ঠিক এ কাজটাই করে। তিথির থেকে কোনো উত্তর পাওয়া গেল না। তবে কান্নার পরিমাণ আগের থেকে বেড়েছে। যার ফলস্বরূপ হেঁচকি ওঠে গেছে। একটু পরপর নাক টানছে। চোখের পানি পড়ছে কোনো বাঁধ ছাড়াই।
প্রান্ত বুঝিয়ে শুনিয়ে অনেক কষ্টে তিথির কান্না থামায়। তিথি ভাঙা ভাঙা গলায় বলে,
“সত্যিই আমি তোমায় ভীষণ ভালোবাসি প্রান্ত।”
“বোঝার চেষ্টা করো তিথি। আমি তোমাকে ফ্রেন্ড ছাড়া কখনোই কিছু ভাবিনি। তোমার মনের অনুভূতিও তুমি আগে কখনো জানাওনি আমাকে। এখন আমি একজনকে ভালোবেসে ফেলেছি। আমার কল্পনাজল্পনা এখন সব পরীকে নিয়ে। আমি পারব না তোমায় ভালোবাসতে।”
তিথি কান্না আর ক্ষোভ মিশ্রিত স্বরে বলে,
“তুমি আমায় ভালোবাসবে না?”
“বোঝার চেষ্টা করো…”
তিথি আর কিছু না শুনে, না বলেই স্থান ত্যাগ করে। বাড়িতে গিয়ে ভাঙচুর শুরু করলে রুম থেকে দৌঁড়ে আসে তাহমিনা বেগম। তিথি কান্নারত অবস্থায় ফ্লোরে বসে পড়ে। তাহমিনা বেগম ব্যস্ত হয়ে বলেন,
“কী হয়েছে মা? এত তাড়াতাড়ি কলেজ থেকে আসলি যে? কান্না করছিস কেন তুই?”
কান্না ছাড়া আর কোনো শব্দই করতে পারছে না তিথি। তাহমিনা বেগম তিথিকে বুকে জড়িয়ে বলেন,
“কী হয়েছে আমায় বল।”
“মা! মা প্রান্তকে এনে দাও প্লিজ। আমি প্রান্তকে খুব ভালোবাসি। কিন্তু প্রান্ত যে আমাকে নয় পরীকে চায়।”
এমনিতেই তাহমিনা বেগম পরীর ওপর রেগে ছিলেন। পরী আসার পর থেকেই সব ঝামেলার শুরু হয়েছে বলেই তার ধারণা। পরীর জন্যই তার একমাত্র আদরের মেয়ের গায়ে হাত তুলেছে তুর্য। তবুও তিনি চুপ ছিলেন। কিন্তু এখন মেয়ের কষ্ট যেন মুখ বুজে সহ্যই করতে পারছেন না। সব রাগ, জেদ গিয়ে জমা হয়েছে পরীর ওপর। ক্ষোভ না মেটানো পর্যন্ত তার শান্তি হবে না। তিথি রাগান্বিত কণ্ঠে চেঁচিয়ে বলে,
“আমি পরীকে মেরেই ফেলব! কিছুতেই আমি ওকে প্রান্তর হতে দেবো না। তার আগে তুমি ওদের বাড়ি থেকে বের করো।”
তাহমিনা বেগম তিথির মাথায় হাত বু্লিয়ে বলেন,
“করব মা। ওদের আমি বাড়ি থেকে বের করব।”
তিথি বসা থেকে ওঠে চোখ মুছে বলে,
“এবং সেটা এখনই।”
এরপরই তিথি পা বাড়ায় পরীদের ফ্ল্যাটে। পেছন পেছন আসেন তাহমিনা বেগমও। ফ্ল্যাটে রেহেনা বেগম একা ছিলেন। দুপুরের রান্না শেষ করে মাত্রই গোসল সেরে বেরিয়েছেন।কলিংবেলের আওয়াজ পেয়ে দরজা খুলে দেখতে পান ক্ষুব্ধ হওয়া দুটি মুখ। কোনো কথাবার্তা ছাড়াই তিথি হুরমুড় করে ভেতরে ঢুকে যায়। তাহমিনা বেগমও কোনো কথা না বলে ভেতরে যান। মা-মেয়ের কাণ্ডকারখানা বুঝতে পারছেন না রেহেনা বেগম। তিথি এলএডির পাশে থাকা কারুকাজ করা ফুলদানিটি নিয়ে সজোরে ছুঁড়ে মারে এলএডির দিকে। সামনে যেটা পায় সেটাই উলটেপালটে ফেলে দিচ্ছে নয়তো ভেঙে ফেলছে। ঘটনার আকস্মিকতায় চমকে যায় রেহেনা বেগম। ধমক দিয়ে বলেন,
“এসব কী? ভাঙচুর কেন করছ তুমি?”
তিথি চিবিয়ে চিবিয়ে বলে,
“আমি তো পারলে আপনার মেয়েকেই মেরে ফেলি। কোথায় আপনার মেয়ে? আমি তো ওকে খুনই করে ফেলব।”
“সমস্যা কী তোমার? কী করেছে পরী?”
“কী করেছে? আপনার মেয়ের তো একজনের সাথে প্রেম করে পোষায় না। আমার ভাইর সাথেও প্রেম করে এখন আবার ধরেছে আমার প্রান্তকে। কেমন চরিত্রহীন মেয়েকে পেটে ধরেছেন?”
“মুখ সামলে কথা বলো বেয়াদব মেয়ে। নয়তো তোমার জিভ টেনে ছিঁড়ে ফেলব আমি। তোমার মতো দুই দিনের মেয়ের থেকে আমি আমার মেয়ের ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট নেব? জন্মের পর থেকে আমি ওকে দেখে আসছি। মানুষ করেছি নিজে। কাজেই আমি ভালো করেই জানি আমার মেয়ে কেমন।”
এ যাত্রায় তাহমিনা বেগম পরী ও রেহেনা বেগমকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে,
“দুদিনের মধ্যে বাড়ি ছেড়ে চলে যাবেন। আর আপনার মেয়েকে বলে দেবেন প্রান্তর থেকে দূরে থাকতে। এরপরও যদি কথা না শোনে তো ফলাফল খুবই ভয়াবহ হবে বলে রাখলাম।
চল তিথি।”
তাহমিনা বেগম তিথিকে নিয়ে চলে যাওয়ার পর রেহেনা বেগম ডুকরে কেঁদে ওঠে। কখনো যে এভাবে কারো কাছে অপমানিত হতে হবে এটা কল্পনায় ভাবেননি তিনি। তবে তিনি ভালো করেই জানেন পরী এমনকিছু করেনি।
—————-
তিনটার দিকে কলেজ ছুটি হয়েছে। বাড়ি ফিরতে ফিরতে পৌনে চারটা বেজে গেছে। ঘেমে ভিজে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরতেই দেখতে পায় এলোমেলো অবস্থা। সোফায় মাথা ঠেকিয়ে বসে আছে রেহেনা বেগম। পাশেই বসে আছেন পরীর বাবা গম্ভীর মুখে। পরী ব্যাগটা কাঁধ থেকে নামিয়ে জিজ্ঞেস করে,
“ঘরের এই অবস্থা কেন মা?”
রেহেনা বেগম কোনো উত্তর দেন না। বাবা বলেন,
“তোকে কতবার ফোন করেছি আমি আর তোর মা?”
“আব্বু আমি ক্লাসে ছিলাম। ফোন সাইলেন্ট ছিল। এই অবস্থা কেন? ঝগড়া করেছ তোমরা?”
“আমরা ঝগড়া করতে যাব কেন? বাড়িওয়ালী আর তার মেয়ে এসে ঘরের এই অবস্থা করে গেছে। তোর মাকে গালাগালি করে শাসিয়ে গেছে।”
রাগে শরীরের রক্ত যেন গরম হয়ে গেছে পরীর। এত বড় কাণ্ড কী করে করতে পারে একটা শিক্ষিত পরিবার!
“এতকিছু হয়ে গেছে? তুমি এসে কিছু বলোনি?”
“কী বলব ওদের? বাড়িওয়ালা আসুক। তারপর যা কথা বলার বলব।”
“কথা বলবে মানে কী? যে যেমন তার সাথে তেমনই করতে হয় জানো না?”
“খবরদার! কোনো রকম ঝামেলা পাকাবি না তুই।”
পরী নিরুত্তর হয়ে ব্যাগ থেকে ফোন বের করে বাবার দিকে তাকিয়ে বলে,
“ওরা এসে আমার মাকে গালাগালি করবে। শাসিয়ে যাবে। ঘরের জিনিস ভাঙচুর করবে আর আমি চুপচাপ বসে থাকব? আমি স্যরি আব্বু। তোমার এই কথা তো আমি রাখতেই পারব না। ভদ্রতার খাতিরে চুপ করে ছিলাম মিথ্যা অপবাদ দেওয়া সত্ত্বেও। কিন্তু আর নয়। ওরা ওদের লিমিট ক্রস করে গেছে। ওদের সমস্যা যদি শুধু আমাতেই সীমাবদ্ধ থাকত তাহলে আমি কিছুই বলতাম না। কিন্তু ওরা আমার মা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। এ অন্যায় তো আমি সহ্য করব না।”
“পরী…”
পরী কোনো কথা না শুনেই দ্রুত বের হয়ে বাহির থেকে দরজা লক করে দেয়। এরপর কয়েকজন ছেলে ক্লাসমেট আর মেহেনুবাকে কল করে। রাগে শরীর কাঁপছে পরীর। মেহেনুবা সঙ্গে সঙ্গে আসলেও বাকিদের আসতে সময় লাগে মিনিট দশেক। ছেলেরা তিনজন আছে। পরী মেহেনুবাকে বলে দিশানকে নিয়ে বাহিরে যেতে। বাকিটা ওরাই দেখবে। তুর্যদের ফ্ল্যাটে গিয়ে কলিংবেল বাজানোর পর দরজা খুলে দেয় তিথি। তিথির রাগে চোখমুখ লাল হয়ে যায় পরীকে দেখে। আর পরীর শিরায়, রগে, রগে রাগ বেড়েই চলেছে। পরী তিথিকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে। মেহেনুবা পরীর কথামতো দিশানকে বাহিরে নিয়ে যায়। পরী আর কোনো কথা না বলেই টেবিলের ওপর থেকে কাঁচের গ্লাস দুটো নিয়ে এলএডির দিকে ছুঁড়ে মারে। তাহমিনা বেগম কিছু বলতে গেলে পরীর বন্ধু সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। এরপর পরী বাকি গ্লাস নিয়ে নিয়ে ফ্লোরে ছুঁড়ে মারে। টেবিলের কাঁচটা তুলে দেয়ালের দিকে ছুঁড়ে মারে। টুকরা টুকরা হয়ে কাঁচ এদিক-সেদিকে ছড়িয়ে পড়ে। সোফার পাশেই একটা ব্যাট ছিল সেটা ছুঁড়ে মারতে যায় দেয়ালে টাঙিয়ে রাখা ফটোফ্রেমের দিকে। কিন্তু সেখানে তুর্যর হাসিমাখা মুখটা দেখে পরীর হাত থেমে যায়। ব্যাটটা ছুঁড়ে মারে ভাঙা এলএডির দিকে। 
তাহমিনা বেগমের সামনে দাঁড়িয়ে বলে,
“আপনি একজন মা। মেয়ের ভালো চাইবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাই বলে মেয়ের অন্যায়গুলোকে প্রশ্রয় দেবেন? আপনি তো শিক্ষিতা মহিলা। কী করে পারলেন আমার মাকে গালাগালি করতে? বস্তি থেকে ওঠে এসেছেন?”
তাহমিনা বেগম রাগে ফুঁসে পরীকে গালি দেয়। পরী বলে,
“আর একটা গালি যদি দিয়েছেন তাহলে আমি ভুলে যাব আপনি আমার বয়সে বড়।”
পরী এবার তিথির মুখোমুখি দাঁড়ায়। চোখে আগুনের ঝিলিক। পরী ডান হাতের তর্জনী তুলে শাসিয়ে বলে,
“এখন চুপ করে দাঁড়িয়ে আছো কেন? আমার অনুপস্থিতিতে ঘরের সবকিছু ভাঙচুর করে এসে নিজেকে শেরনী ভেবেছ? আমাকে দেখো! তোমার উপস্থিতিতেই তোমার ঘরের বেহাল অবস্থা করে দিয়ে দিলাম। তুমি তাকিয়ে তাকিয়ে শুধু দেখলে। বিশ্বাস করো, আমার কোনো ইচ্ছাই ছিল না এসব ঝামেলার। তুমি যদি আমার সাথে সমস্যা নিয়ে কথা বলতে তাহলে পানি এতদূর গড়াতো না। যা হয়েছে সেটা শুধুমাত্র তোমার কর্মের জন্যই হয়েছে। আর আজ আমি যা করলাম সেটা আমার মাকে অপমান করার জন্য করেছি। আমি যতটা ভালো ততটাই খারাপ। আমাকে রাগালে ফলাফল কতটা খারাপ হবে কল্পনাও করতে পারছো না। ভালোবাসা পাওয়ার জন্য মানুষ এত নিচুস্তরে নামে না। ভালোবাসা মানে বোঝো তুমি? যাক, এসব তোমার বিষয়। আমি শেষবার একটা কথা পরিষ্কার বলে দিচ্ছি, আমার পরিবারের দিকে হাত বাড়িয়ো না ভুলেও। আর হ্যাঁ, তোমরা নাকি আমার কী না কী করবে? ওপেন চ্যালেঞ্জ করে গেলাম। পারলে কিছু করে দেখাইও।”

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।