-'দয়া করে বলুন না অতীতের সেই ঘটনা? আমি আপনাদের ভালোবাসার স্বাক্ষী হিসেবে থাকতে চাই।'
-'আমি আপনাকে বলব সব। কিন্ত একটা কথা আপনাকে দিতে হবে। কাউকে কোনদিন সত্যিটা বলতে পারবেন না আপনি।'
এতক্ষণ যে শায়ের চোখের পানি ফেলছিল তা শায়েরের চোখ দেখেই নাঈম বুঝতে পেরেছে। ভেজা ভেজা গলায় শায়ের বলল,'পরীজান!!!'
মুসকান কে দেখে এগিয়ে এলো শায়ের। মুচকি হেসে বলল,'কি রহস্য ভেদ করে এলেন সাংবাদিক মেডাম?'
-'আপনাকে বোঝার সাধ্য পরী ছাড়া কারো নেই। এজন্য আমি ঠিক বুঝতে পারছি না আপনাকে।'
নিজ ঘরে বসে ছটফট করছে পরী। শায়েরের জন্য তার চিন্তা হচ্ছে। নূরনগর গেলে আফতাব যদি শায়েরের কোন ক্ষতি করে দেয়? আফতাব তো চেয়েছিল শায়ের কে হ*ত্যা করতে। একথা ভেবে পরী অস্বস্তি অনুভব করছে।
-'ভুল শেখর সেদিন জীবিত ফেরেনি নূরনগর থেকে।
তার মানে শেখর আগেই আপনাকে ছাড়িয়েছে। সত্যি বলুন।'
-'আপনি কীভাবে জানলেন শেখর মা*রা গেছে?'
শায়ের পুনরায় পরীর শরীর গামছা দিয়ে মুছে দিতে লাগল,'আপনি মৃ*ত্যুকে সহজ ভাবলেও মৃ*ত্যু কিন্ত
এত সহজ নয়।'
-'আমাকে মারা তো সহজ ছিল। তাহলে আমাকে কেন মারতে পারল না কেউ?'
-'ভাই পরীর কথা শুনবেন না। ও এখন সবাইকে সারিয়ে নিচ্ছে যাতে পরে আমাদের উপর আ*ক্র*মণ করতে পারে। আমি সব বুঝতে পারছি। পরী তুই একবার যখন আমাদের জালে এসে পড়েছিস তাহলে তোকে আমরা যেতে দিব না।
-'আপনিও কাজটা ঠিক করেননি। কেন নির্দোষ হয়েও দোষী হলেন? এখন আপনার এই খবর সারা দেশ জুড়ে ছড়িয়ে যাবে।'
সবকিছু একসাথে পাওয়া অসম্ভব। দুনিয়া কে তুমি যা দেবে দুনিয়াও তোমাকে তাই দেবে।'
পরী এত সহজেই জমিদার বাড়িতে চলে গেল? আর কতগুলো মানুষ কে খু*ন করে চলে এল? সবকিছু কি এতই সহজ?