বাদল দিনের মতো করে বৃষ্টি ঝরছে শহর জুড়ে। হঠাৎ বৃষ্টিতে এলোমেলো হয়ে গেল মানুষ জন। অনাকাঙ্খিত কোন কিছুই ভাল না। যেটা এই বৃষ্টি প্রমাণ করে দিচ্ছে। ফল ফলাদির দোকানিরা তাদের জিনিস পত্র ঢাকতে ব্যস্ত। হাসপাতালের সামনেই সারিবদ্ধ ভাবে ফলের দোকান রয়েছে। কেননা রোগীর জন্য ফলের বিশেষ প্রয়োজন। আত্মীয়রা দেখতে আসলে ফল নিয়েই আসে। দোকানিরা কুল হারালো বৃষ্টির জন্য। ফলমূল বৃষ্টি থেকে আড়াল করার চেষ্টা করতে লাগল সবাই। এমনি সময় পুলিশের জিপ টা থামল। নুরুজ্জামান বৃষ্টি মাথায় তাড়াহুড়ো করে হাসপাতালের ভেতরে চলে গেল। ওনার সাথে মুসকান ও এসেছে। নাঈম তার চেম্বারে বসে রোগী দেখছে। এসময়ে পুলিশ দেখে সবাই স্বাভাবিক ভাবেই নিল। কারণ দেশে খু*ন খা*রাবি অহরহ ঘটছে। হাসপাতালে পুলিশের আসাটা স্বাভাবিক।
নাঈমের ডাক এলো তাকে নুরুজ্জামান জরুরী তলব করেছেন। তবে এতে তার ভাবান্তর নেই। সামনের রোগীকে প্রেসক্রিপশন লিখে বিদায় করে দিয়ে নুরুজ্জামান কে ভেতরে ডাকে। নাঈম হেসে তাকে বসার জন্য বলে। সাথে মুসকান কে দেখে অবাক হল না সে। নাঈম বলল,’আমি জানতাম আপনি আসবেন।’
কথাটা সে নুরুজ্জামান কে উদ্দেশ্য করেই বলে। নুরুজ্জামান কথার পিঠে জবাব দেয়,’কীভাবে জানলেন যে আমি আসব?’
-‘আমার মনে হয় আপনি যে জন্য এসেছেন সেই বিষয়ে কথা বলাই ভাল।’
নুরুজ্জামান ঝেরে কাশলেন,’সেহরান শায়ের, যার ফাঁ*সি আগামীকাল রাত এগারোটা পঁয়তাল্লিশে হওয়ারকথা ছিল। কিন্তু আজ জানতে পারলাম যে খু*ন গুলোর দায়ে তাকে ফাঁ*সি দেওয়া হচ্ছে সেই খু*ন গুলো সে করেনি। আরেকটা বিষয় হচ্ছে আপনি সবটাই জানতেন। তাহলে কেন বলেননি আমাদের? আর পরীও যে মারা গেছে সেটাও বলেননি। কেন? আর কি কি লুকানো আছে সেটা আপনি বলুন।’

নাঈম এক পলক মুসকানের দিকে তাকিয়ে আবার নুরুজ্জামানের দিকে তাকাল,’আজকে দেখছি আমাকে বাকিটুকু বলতে হবে। দেখুন আমি চেয়েছিলাম শায়ের নিজের মুখেই সব বলুক। সে যে কতটুকু বলবে সেটাও আমি জানি। হ্যা আমি জানি শায়ের ওই খু*ন গুলো করেনি। পরীর দুই মা আর কাজের মেয়ে দুজনকে বাঁচানোর জন্য শায়ের নিজের ঘাড়ে দোষ নিয়েছে। পরী শায়েরের সম্পর্কে আপনি যতটুকু জানেন আমি তার থেকেও বেশি জানি। ওরা একে অপরের পরিপূরক। ভালোবাসার প্রতিযোগিতা সর্বক্ষণ দুজনের মধ্যে চলে। তাই পরীর কথাটা শায়ের ফেলতে পারেনি। আর আমিও তাই চুপ ছিলাম।’
নুরুজ্জামান রুষ্ঠচিত্ত কন্ঠে বলে,’এতে আপনিও অন্যায় করেছেন জানেন কি?’

-‘তাহলে অন্যায় আমি করেছি। যদি আপনি শাস্তি দিতে চান তো পারেন।’
-‘আপনি এটা বলুন যে পরীর দুই মা ভাই আর কাজের মেয়ে দুটো এখন কোথায় আছে? আমি নিশ্চিত আপনি জানেন ওরা এখন কোথায়?’

মৃদু হাসে নাঈম,’শায়ের বোধহয় জানত যে এরকম প্রশ্নের মুখোমুখি আমাকে হতে হবে। সেজন্য ওদের দায়িত্ব টা প্রথমে আমাকে দিলেও পরে সে নিজে ওদের সরিয়ে দেয় অন্য কোথাও। তবে এই মুহূর্তে আমি সত্যিই কিছু জানি না।’

মুসকান কে সাথে করে নুরুজ্জামান আবার থানার উদ্দেশ্যে রওনা হল। নাঈমের কাছে আর কোন প্রশ্ন আপাতত তার কাছে নেই। পরে মনে পড়লে আবার আসা যাবে। ইতিমধ্যে শায়েরের ফাঁ*সি বাতিল হয়েও গেছে। উপরমহলে শায়েরের বলা কথাগুলোর রেকর্ড পাঠানো হয়েছে। আবার নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন উপর থেকে। গাড়িতে বসে মুসকান বলল,’ওই হ*ত্যা*কান্ডের তিনবছর পর শায়ের কে গ্রেফতার করেন আপনারা। আর বাকি তিনবছর শায়ের কারাবন্দি হয়ে ছিল। তারপর ফাঁ*সির হুকুম আসে। হিসেব টা কেমন জানি অন্যরকম হয়ে গেল না?’
-‘শায়ের কে ধরার পর দুইবছর ধরে ওর তদন্ত চলে। আইন এতই সহজ নাকি? শায়েরের ফাঁ*সির দিন আরো আগেই নির্ধারিত হয়েছিল। কিন্তু শায়েরের ইচ্ছা অনুযায়ী কালকের দিন ঠিক করা হয়।’

-‘শায়েরের ইচ্ছা অনুযায়ী!!’
-‘এটাই তার শেষ ইচ্ছা ছিল। আর মৃ*ত্যুর আগে আসামীদের শেষ ইচ্ছা পূরণের নির্দেশ আদালত দিয়ে থাকে। শায়েরের ইচ্ছাটা অদ্ভুত ছিল। তবুও এক বছর পিছিয়ে যায় ওর ফাঁ*সির। আর এখন ওর ফাঁ*সিই বাতিল। সময় বড়ই অদ্ভুত। সময়ের সাথে কেউ মৃ*ত্যুর কোলে ঢলে পড়ে তো কেউ বেঁচে যায়।’

থানায় এসে ওনারা দুজনে আবারও শায়েরের কাছে গিয়ে উপস্থিত হন। শায়ের এতক্ষণে টের পেয়ে গেছে
যে মুসকান সব সত্য বলে দিয়েছে। সে বলে উঠল, ‘আপনি কাজটা ঠিক করলেন না।’

-‘আপনিও কাজটা ঠিক করেননি। কেন নির্দোষ হয়েও দোষী হলেন? এখন আপনার এই খবর সারা দেশ জুড়ে ছড়িয়ে যাবে।’

-‘এমনটা করবেন না। পৃথিবীর কেউ যেন এই খবর না জানে।’

শায়েরের কথায় বিষ্মিত হল মুসকান,’আপনি এখনও এসব বলছেন? আত্মত্যাগ করা যায় কিন্তু আপনার মত আত্মত্যাগ ক’জন করে। সেটাই এবার বিশ্ব জানবে।’

-‘বিশ্ব আমার আত্মত্যাগ দেখবে না তারা দেখবে বিশ্বাসঘাতকতা। আপনি এই খবর কাগজে ছাপালে সবাই জেনে যাবে পরীজানের বাবা কাকার হিং*স্র*তার কথা। মেয়েরা তাদের বাবাকে বিশ্বাস করতে পারবে না। কাকা ভাইকেও অবিশ্বাস করবে। আশেপাশের কাউকেও ভরসা করবে না। তাহলে এসব গোপন থাকাই শ্রেয়। দো*ষীরা তো শাস্তি পেয়েছেই।’

মুসকান ভেবে দেখল শায়েরের কথা গুলো চিরন্তন সত্য। এই সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয় কিন্ত বদনাম হতে এক মুহূর্তও সময় লাগে না। এখন সবাই যদি জানে আফতাব পিতা হয়েও তার কন্যাদের হ*ত্যা করেছে তাহলে কোন মেয়েই তার বাবাকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করবে না। সব বাবা তো আফতাবের মত হয় না। কিছু বাবা মেয়েকে রাজকন্যা করে রাখেন। শায়েরের কথায় ফের মুগ্ধ হল মুসকান।
নুরুজ্জামান এবার শায়ের কে প্রশ্ন করল,’তোমার শ্বাশুড়ি এখন কোথায় আছে? কোথায় রেখে এসেছো তাদের?’

-‘আমি জানি না তারা এখন কোথায় আছে। জানলেও বলতাম না।’
-‘তুমিই তো ওদের সরিয়ে নিয়েছিলে। এখন সত্য বলো।’
-‘তিন বছর ধরে আমি জেলে বন্দি। আমি কীভাবে জানব তারা কোথায় আছে? আমি তাদের সিলেটের গাড়িতে তুলে দিয়েছিলাম। কিন্তু বর্তমানে তারা কোথায় আছেন তা জানা নেই। আর আপনারা ওনাদের সারা পৃথিবী ওলট পালট করে খুঁজলেও পাবেন না।’

নুরুজ্জামানের রাগ হল শায়েরের উপর। তিনি রাগে গজগজ করতে করতে চলে গেলেন। ওনার কাছে কোন ছবি নেই যা দিয়ে বিজ্ঞাপন দিবেন। কারণ তিনবছর আগে শায়েরের শ্বশুড়িই শায়েরের নামে কেস লিখিয়ে উধাও হয়ে গেছেন। শায়ের কে ধরতেই তিনবছর লেগে গেছে। কোন খোঁজ নিতে পারেনি নুরুজ্জামান। তখন শুধু শায়ের কে ধরার চিন্তাই ওনার মাথাতে ছিল। শায়ের যখন পুলিশের হাতে এল তখনই পরীর পরিবারের খোঁজ শুরু হল। কোথাও তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নুরুজ্জামান ভেবেছিলেন শায়ের বুঝি সাক্ষীর অভাবে ছাড়া পেয়ে যাবে। কিন্তু শেষমেষ শায়ের নিজের মুখেই তার দোষ স্বীকার করে নেয়। কিন্তু এখন এই কেসের মোড় ঘুরে গেছে। অতি শীঘ্রই শায়ের ছাড়াও পেয়ে যাবে। শায়েরের মুখ থেকে আশানুরূপ আর কোন উত্তর পাওয়া গেল না। আর না গেল নাঈমের থেকে। নুরুজ্জামানের সন্দেহ শায়েরের উপর থেকেই গেল। সে শায়ের কে ছাড়ল না। যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রত্যক্ষ আসামী ধরা পড়ছে ততক্ষণ পর্যন্ত শায়ের কে কারাবন্দি হয়ে থাকতে হবে। কিন্তু মাস দুয়েক যেতে না যেতেই উপর মহল থেকে চাপ দিচ্ছে শায়ের কে মুক্তি দেওয়ার। কেননা বিনা দোষে শায়ের তিনবছর জেলে থেকেছে। আর এখন তাকে আটকে রাখার কোন মানেই হয় না। বাধ্য হয়েই শায়ের কে মুক্তি দেওয়া হল।

ছাড়া পেয়ে শায়ের সর্বপ্রথম নাঈমের বাসায় গেল। নাঈম ও তার অপেক্ষাতেই ছিল। শোভন কে কোলে নিয়ে বসে আছে মুসকান। এই ছোট্ট ছেলেটাকে আদর দিয়ে বড় করেছে সে। মা না হয়েও মায়ের আদর স্নেহ দিয়েছে। আজ সে কীভাবে শোভনকে শায়েরের কাছে দিয়ে দেবে? বুক ভেঙে কান্না আসছে ওর। চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে। শোভন অনেক বার জিজ্ঞেস করছে মুসকান কাঁদছে কেন? কোন উত্তর দিতে পারেনি সে। শুধু অশ্রুসিক্ত নয়নে শোভনের দিকে তাকিয়ে রইল।
দরজা খুলে শায়ের কে ভেতরে আনল নাঈম। শায়ের কে দেখেই কেঁপে উঠল মুসকান। দুহাতে আঁকড়ে ধরল শোভন কে। অচেনা মানুষের আগমন ঘটতেই শোভন প্রশ্ন করে বসে,’ইনি কে আম্মু?’

সবার দৃষ্টি ঠেকল শোভনের মুখপানে। নাঈম কোন ভনিতা না করেই জবাব দিল,’তোমার আব্বু।’

ছোট্ট শোভন অবাক চোখে দেখল শায়ের কে!! শুভ্র পাঞ্জাবিতে আবৃত পুরুষটির মুখভর্তি দাঁড়ি। চুল গুলো এলোমেলো। কিন্ত চোখের দিকে তাকাতেই স্থির হল শোভনের দৃষ্টি। হিসেব মিলাতে পারছে না শোভন। মুসকানের কোল থেকে নেমে সে নাঈমের হাত ধরে বলল,’আমার আব্বু তো তুমি!! তাহলে এই লোকটা আমার আব্বু হল কীভাবে?’

নাঈম হাটু গেড়ে শোভনের সামনে বসে পড়ে। দুহাতে শোভনের গাল দুটো ধরে বলে,’দেখো বাবাই আমরা সবসময় চোখে যা দেখি আর কানে যা শুনি তা সত্য হয় না। সেরকমই তুমি এতদিন যাদের মা বাবা বলে জেনে এসেছো তারা তোমার বাবা মা নয়। তোমার বাবা ওই যে লোকটা দাঁড়িয়ে আছে উনি। আর আজ ওনার সাথে তুমি চলে যাবে। একদম মন খারাপ করবে না।’

শোভন কি বুঝল তা জানে না নাঈম তবে শোভন বলে উঠল,’তাহলে আমার আসল মা কোথায়? আমাকে তোমাদের কাছে কেন দিয়ে গেছে?’

-‘তোমার সব প্রশ্নের জবাব তোমার আব্বুই দিতে পারবে। যাও তোমার আব্বুর কাছে।’

নাঈম আর মুসকান কে করুন চোখে দেখে সে শায়েরের কাছে গেল। শায়ের এতক্ষণ চুপ থেকে ছেলেকে দেখছিল। কতটা সহজে সব মেনে নিল। ছেলেটা পরীর স্বভাব পেয়েছে বটে। কঠিন ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন। শোভন কে কোলে তুলে নিল শায়ের। গালে হাত রেখে কপালে চুমু খেয়ে বুকে জড়িয়ে নিল ছেলেকে। বাবার গলা ধরে কাঁধে মাথা রাখল শোভন। বাবা বাবা গন্ধ পাচ্ছে তাই শক্ত করে বাবার গলা ধরে রেখেছে সে। শায়ের চলে যাওয়ার আগে নাঈম মুসকান কে উদ্দেশ্য করে বলে,’আমি জেল থেকে ছাড়া পেতে চাইনি। কিন্তু যখন পেয়েই গেছি তখন আমি আমার ছেলেকে নিয়ে আলাদা দুনিয়ায় চলে যাব। আপনাদের ধন্যবাদ এতদিন আমার সম্পদ কে আগলে রাখার জন্য। আপনাদের এই ঋণ আমি কোনদিন পরিশোধ করতে পারব না।’

শায়ের চলে যেতেই নাঈম বসে পড়ল মেঝেতে। এতক্ষণ বহু কষ্টে নিজেকে সামলেছে সে। কিন্তু আর
নিজেকে ধরে রাখতে পারল না। এতদিন যাকে নিজ সন্তানের স্থানে রেখেছিল তাকেই আজ দূরে সরিয়ে দিল। মুসকান নাঈমের পাশে বসে কাঁদতে লাগল। মুসকানের কষ্ট যেন একটু বেশিই হচ্ছে। নাঈম একহাতে মুসকান কে বুকে টেনে নিল। কষ্টের মাঝেও একটু খানি শান্তি অনুভব করল মুসকান। মানুষের একদিক দিয়ে কষ্ট আসলে অন্যদিক থেকে সুখ আসে যেন। আজ শোভন চলে গেল কিন্তু নাঈম কাছে টেনে নিল মুসকান কে।

সেদিনের পর আরও পাঁচ মাস কেটে গেছে। নুরুজ্জামান সবসময় শায়ের কে চোখে চোখে রাখত আড়াল থেকে। যদি কোন খবর পাওয়া যায়। কিন্তু নাহ,কোন খবর পাওয়া গেল না। শায়ের ছেলেকে নিয়ে দিব্যি দিন কাটাচ্ছে। এতে বিরক্ত নুরুজ্জামান। কেসটা এতদূর এসে থেমে গেল যেন। আর কোন তথ্যই পাচ্ছেন না তিনি। শুধুমাত্র একটা খবর তিনি পেয়েছেন শুধু। সেটা হল জুম্মান ওর বাবার সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়ে দেশ ছেড়ে চলে গেছে। তাও বছর খানেক আগে। আর কিছুই জানা যায়নি। তাই এই কেস আপাতত বন্ধ।

নতুন বাড়িতে বাবার সাথে বেশ কাটাচ্ছে শোভন। মুসকান আর নাঈম প্রায়শই দেখা করতে আসে শোভনের সাথে। এভাবেই ওদের দিন কাটছে। একদিন সকাল বেলা হলুদ খামের চিঠি হাতে শায়েরের কাছে গেল শোভন। চিঠিটা শায়েরের দিকে এগিয়ে দিল শোভন। ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে চিঠিটা খুলল সে।

“সাত বছরের অপেক্ষা শেষ হতে চলছে। আপনার শাস্তির মেয়াদ শেষ। বাগানে অসংখ্য ফুল ফুটে আছে কিন্তু মালির অভাবে তা খুব তাড়াতাড়ি ঝরে পড়তে চলছে। ভ্রমর গুলোও অভিমান করে ফিরে যাচ্ছে।সৌন্দর্য শূন্য হতে চলছে মন বাগান। শূন্যতা খুব শীঘ্রই পূর্ণতা পেতে চাইছে। এ দূরত্ব কি ঘুচবে না??”

চিঠিটা পড়ে মৃদু হাসে শায়ের। বাবার হাসি দেখে শোভন জিজ্ঞেস করে,’কার চিঠি ছিল আব্বু?’

শোভন কে কাছে টেনে নিল শায়ের। বুকে জড়িয়ে ধরে শুধালো,’নতুন দিনের সূচনা হতে চলছে আমার রাজকুমার। আমাদের গন্তব্য এখনও শেষ হয়নি। নতুন সফরের জন্য তৈরি হও।’

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।