আবিরঃ এবার লক্ষি মেয়ের মত ঘুমাও আর কখনো যেন রাজনীতির কথা মুখে না শুনি বলে আবির চলে গেল।
মেঘলাঃ ফাউল ছেলে দেখ এবার আমি কি করি রাতেই আমি এখান থেকে পালাব।
নাবিলঃ যা খুশি করুন বাঁধা দিচ্ছি না তো।
শ্রেয়া জনিকে ফোন দিল আর নাবিলের সামনেই সব বলল।
নাবিলঃ মুচকি হেসে সামিরাকে কোলে নিয়ে হাঁটতে লাগল।
মেঘলাঃ আ আমি খারাপ ড্রেস পড়ি নি তো।কেন করল এমন?
আকাশঃ ভালই তো হয়েছে কাঁদছিস কেন? এটা তো মজা পাওয়ার মত বিষয় তুই মজা পাস নি?
মেঘলা অবাক হয়ে আকাশের দিকে তাকাল...
মেঘলা দরজা খুলতেই ভেজা কাপড়েই মেঘলাকে টেনে বাইরে নিয়ে আসল আকাশ।
আকাশঃপাগল হয়ে গেছিস নাকি?এত রাতে এতক্ষন ধরে কেউ ভিজে?
কি ভেবেছিস পানি ঢালেই পরপরুষের ছোঁয়া মুছে যাবে নাকি?
নাবিলের চাল চলন দেখে সামিরা ইতিমধ্যে নাবিলের উপড় ক্রাশ খেয়েছে।
আজ সারাদিন ধরে নাবিল তার সাথে ছিল।সামিরা যতবার উল্টা পাল্টা কিছু করতে চেয়েছে নাবিল সামিরাকে আটকে দিয়েছে।
আকাশ দৌড়ে গিয়ে মেঘলাকে ধরে বলল কি করছিস এসব? একটুও বাড়াবাড়ি করলে মেরে হাত পা ভেংগে ঘরে ফেলে রাখব বুঝেছিস খুব সাহস বেড়েছে তাই না?
নাবিল সামিরাকে মন প্রানে ভালবেসে ফেলেছে। নাবিলের ধারনা বিয়ের পর সে ফিরে এলে সব আবার আগের মত ঠিক হয়ে যাবে।
আকাশঃ কেন বাঁচাবি আমায় আমি তো একটা বেইমান....!!! আমি আর বাঁচতে চাই না কার জন্য বাঁচব? বুকের একপাশ তোর নামে অনেক আগেই লিখে দিয়েছিলাম কিন্তু আজ তুই তা শুন্য করে দিলি। মেঘলা নাহয় বোকা কিন্তু তুই আমায় কি করে ভুল বুঝলি নাবিল? তুই না আমার না বলা কথা বুঝতি।
নাবিল যখন আকাশ কে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য ব্যাস্ত ঠিক তখন ইরা আর কিছু গুন্ডা এসে নাবিল আর আকাশ কে ঘিরে ধরল।
ইরাঃ তোদের কারোরি আজ আর এখান থেকে ফিরা হবে না।
নাবিলো পাগলের মত আবল তাবল বলছে।
নাবিলঃ আ আ আমি এই ভালবাসা চাই নি মেঘলা তোর বিনিময়ে ভালবাসা আমি কখনই চাইনি....তুই এটা কি করলি।