সেদিনি নাবিল আকাশ আর মেঘলার মিল করিয়ে দিলেও মেঘলার মন থেকে এই সন্দেহ দূর করা সম্ভব হয় নি।
মেঘলা আকাশ কে প্রায়েই এটা ওটা বলতেই থাকে।
আকাশ চিন্তা করতে শুরু করল ফোনে কি এমন ছিল...??যার জন্য মেঘলা ফোনটা ভাংগল আর আমি একটা থাপ্পড় দিয়েছি বলে সোসাইড করার সিধান্ত নেওয়ার মত মাথা খারাপ তো মেঘলা নয়।
নাবিলঃ আছে একটা পাগলি একদিন না হয় পরিচয় করিয়ে দিব।
আবিরঃআকাশ ভাইয়ের ভালবাসা দেখে খুব হিংসা হচ্ছে তারউপর। সেই ভাগ্যবতীকে তো দেখতেই হবে।
নাবিলঃ সত্যিই সে ভাগ্যবতী...!!!
নাবিল চিৎকার করে উঠল
না এটা হতে পারে না কিছুতেই হতে পারে না আমি মানি না আকাশের কিছু হতে পারে না। আকাশ উঠ আকাশ.... তোর কিছু হতে পারে না।
আমার কিছু দুরত্বেই আকাশের নিথর দেহ টা পড়ে আছে আমি আর কিছু ভাবতে পারছি না মাথা যেন ভারি হয়ে গেছে হাত পা জমে গেছে অনেক কস্টে নিজেকে কন্ট্রল করে অশ্রুমাখা চোখে আকাশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আমি।
আকাশ কি করে এত বদলে গেল সেটা বুঝার ক্ষমতা মেঘলার হয় নি।সেই হিসাব মিলানোর চেস্টাও মেঘলা করছে না।
মেঘলা কাঁদতে কাঁদতে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিল।
ইরার মুখে বিজয়ের হাসি মেঘলাকে প্রথম আঘাতটা ইরাই করল....!!
মেঘলা আকাশের হাতে মার খেলেও এমন মারের সাথে পরিচিত না এক একটা আঘাতে মেঘলা মৃত্যু যন্ত্রনা অনুভব করছে।
হটাৎ করেই ইরা বলে উঠল এবার তোমায় কে বাঁচাবে মেঘলা?
মেঘলা নামটা শোনার সাথে সাথে কেউ যেন ২২০ ভোল্টের শক খেল।
আর যেই মেয়েটিকে আকাশ ভাইকে মারার চেষ্টা করল তার জন্যেই বা আকাশ ভাইয়ের এত টান কেন থাকবে...??
সেদিন পালানোর সময় নাবিলকে ভাই কে গুলি করা হয়েছিল আর সেটা নিউজ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল প্রথমে নিউজে শুটের কথা বলা হলেও পরে সেটা আড়াল করা হয়েছিল কারন এটা বললে পুলিশের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হবে।
আবিরের কথাগুলি শুনে আকাশ বাকরুদ্ধ হয়ে গেল....