কেউ তার প্রশ্নের প্রত্যুত্তর দেয় না। অধৈর্য হয়ে উঠে মার্কস। বিরক্তবোধ করে। কপট রাগ মেশানো কন্ঠে উচ্চস্বরে বলে,,,
- কেউ আমাকে বলছে না কেনো, আর কতটুকু রাস্তা অতিক্রম করতে হবে?
উরসুলা বারকয়েক দু'চোখের পল্লব নাড়ান। রমনীকে চেনার চেষ্টা করেন। পরিচিত মনে হয়। হয়তো দেখেছিলেন কোথাও।
- তুমিতো আমাকে চেনো। তোমার অর্ধাঙ্গের হস্তে আমার অর্ধাঙ্গের মৃ'ত্যু হয়েছিলো। এতো সহজে ভুলে গেলে?
ক্রিস্তিয়ান তার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগেই সিয়ার হাতের দিকে তাকান স্ট্রিকল্যান্ড কুরী। তৈলচিত্রগুলো একপ্রকার ছিনিয়ে নেন তিনি। রাগমিশ্রিত কন্ঠে জিজ্ঞেস করেন,,,
- এগুলো তোমাদের কাছে কেনো? কে নিয়ে এসেছে এখানে?
তুমি উইজার্ড ডিয়েটসের নাতনি তাইনা? আমার নাম জোসেফাইন। তোমার দাদুর বন্ধু ছিলাম একসময়। সুতরাং ভয় পেয়ো না। আমি তোমার কোনো ক্ষতি করবো না।
বেশ কিছুক্ষণ সময় গড়ায়। ক্রিসক্রিংগল স্থির দাঁড়িয়ে থাকেন। প্রশিক্ষণ শেষ হয়। হঠাৎই ক্রিসক্রিংগলের দিকে তাকায় মার্কস। থমথমে পা ফেলে এগিয়ে যায় তার দিকে। ভরাট কন্ঠে বলে,,,
- জনাব ক্রিসক্রিংগল। আপনি প্রস্তুত হন। আমি আপনাকে ইম্যুভিলে পৌঁছে দিয়ে আসবো।
অধৈর্য হয়ো না ইনায়া। এদুয়ার্দো তোমাকে দু'দিন সময় দিয়েছিলো। প্রথমে এই দিনলিপিটা পড়ো। তারপর তোমার যা ভালো মনে হয়, তাই করো। আশা করি তুমি কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নিবে না।_______কথাটা বলে ক্রিস্তিয়ান।
আমি যা বলছি, তা এই দিনলিপি পড়ে জানতে পেরেছি। সত্যি কিনা মিথ্যা তুমি নিজেই যাচাই করে নিও।___ক্রিস্তিয়ানের ম্লান কন্ঠ।
বিশ্বাস হয় না। ক্রিস্তিয়ান যা বলছে, তা কখনো সত্যি হতে পারে না। ইনায়ার ডুকরে কান্না পায়। অশ্রুসিক্ত দু'চোখের কাতর দৃষ্টি মেলে ফ্রাঙ্কলিনের দিকে তাকায়।
আচ্ছা। যাও তাহলে। আজ ক্লাস করার প্রয়োজন নেই। ইজাবেলের সাথে কথা শেষ করে তাড়াতাড়ি ফিরে এসো। আমি এখানেই তোমার দু'জনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকবো।
ইনায়ার গলায় ক্রুশ লকেট ছিলো। তবুও জা'নোয়ারটা ওকে স্পর্শ করার দুঃসাহস কি করে পেলো?____ক্রিস্তিয়ান আর আর্নিকে জিজ্ঞেস করেন স্ট্রিকল্যান্ড কুরী।
কিঞ্চিত মাথা ঘোরায়। অবশ হয়ে আসা শরীরে দ্রুতপায়ে হাঁটে। হাঁটতে হাঁটতে আচমকাই হোঁচট খেয়ে পড়ে যায় সিয়া। ওকে বাম হাতে শক্ত করে আঁকড়ে ধরে এদুয়ার্দো। তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে কপট রাগমিশ্রিত কন্ঠে বলে