মানুষের জীবনে সমস্যা কখনো বলে আসে না আজ নিজের জীবন দিয়ে সেটা বুঝতে পারছি।কখনো ভাবতেই পারি নি আমার জীবনে এমন বাজে কোনো সিসুয়েশন আসবে।বিভোর ভাই কে সবাই বাজে ভাবে কথা শুনিয়ে চলেছে।বিভোর ভাই কিছুতেই আমার সাথে বিয়ে কল্পনাও করতে পারেন না।আমাকে নিজের মায়ের পেটের বোনের বিকল্প কিছুই ভাবেন না উনি।
প্রকৃতির প্রচন্ডে তান্ডবে উন্মুক্ত খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে আছি আমরা দুজন সদ্য বিবাহিত নব দম্পতি।উথাল পাথাল বাতাসে আমার গাড় লাল জরজেট ওড়ণা উড়ে গিয়ে উনার মুখে ছেয়ে গেলো।প্রচন্ড বাতাসে উনার সিল্ক চুল গুলো উড়ছে আমার সামনে এই মুহুর্তে যেনো পৃথিবীর সব থেকে সুন্দর পুরুষ দাঁড়িয়ে আছে।
ধুলাময়লা ধুয়ে সতেজ হয়ে উঠেছে প্রকৃতি।দিঘীর পাড়ে কয়েকটুকরো কাঠে আগুন জ্বালিয়ে আগুন পোহাচ্ছি আমরা দুজনে।দুইটা গাছের মাঝ বরাবর আগুন জ্বালিয়ে দুই সাইডের দুইটা গাছে হেলান দিয়ে পিঠ ঠেকিয়ে বসে আছি দুজনে।দুজনের চোখের দৃষ্টি দুজনের দিকেই আছে।দিঘীতে অনেক লাল লাল শাপলা ফুটে রয়েছে বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়ে শাপলা গুলো গোসল করে তাদের রুপ যেনো
–মধ্যরাতের আকাশ যেনো ভীষণ মায়াবী রূপ ধারণ ধরে আছে।নীল আকাশ এর নীলের সাথে ভেষে বেড়ানো সাদা মেঘের বুঝি ভীষণ ভাব।তা না হলে এই সাদা মেঘ ঘুলো এই শুনশান নিরবতায় রাতের আকাশে ভেষে বেড়ায় কেনো?সাথে চাঁদ ও যেনো আজ পূর্ণ তিথিতে আছে।গোলাকার রুটির আকৃতির রক্তিন বর্ণের চাঁদ বুঝি আজ উঠেছে আমাদের মধুচন্দ্রিমার সাক্ষী
“প্রিয় “B” মধ্যরাতে আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা তোমাকে দেখে ভীষণভাবে মন হারিয়েছে আমার।তোমার হাসিটা মারাত্মক সুন্দর।তুমি বিবাহিত না এটা আমি জেনেই প্রেমপত্র লিখতে বসেছি।তুমি কি রাগ করবে আমার এই পত্র পেয়ে।হয়তো ভাববে এইভাবে কিভাবে প্রেম হয়।এমি এক দেখায় তোমার প্রেমে পড়িনি।আমি হাজার বার দেখেছি তোমাকে।
বাসায় একটা ছোট সদস্য থাকলে জীবন নাজেহাল করেই ছাড়বে।ছাড়বে মানে ছাড়বেই মান ইজ্জত সব পানিতে ধুয়ে দিবে।এই দিকে আমার বই পড়তে বসা মানে প্রথমে বিশাল মনোযোগ দিয়ে চেয়ার টেবিল এ গিয়ে পূর্ণ মনোযোগ দেওয়া বইয়ের দিকে।
চোখ মুখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছি আমি লজ্জায় মরি মরি অবস্থা। শুধু মনে হচ্ছে এই মুহুর্ত টা কেনো এলো আমার জীবনে।এই মুহুর্তে এমন অনর্থ না হলেও পারতো।ঠাসস করে টাওয়াল এর গিট টা ও খুলে গেলো। এক হাত দিয়ে দ্রুত টাওয়াল টা ধরলাম। এইভাবে সব সমস্যা কি একসাথেই আসতে হলো।চোখ পিট পিট […]
সকাল দশ টা বাজে সূর্যমামা তার পূর্ণ উত্তাপ ছড়িয়ে দিয়েছে পৃথিবীতে।ক্রমশ প্রকৃতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।আরো এক ঘন্টা আগে গোসল করে চুল ফ্যানের নিচে দিয়ে সুয়ে আছি।চুলের পানি ঝরলে চুল বেঁধে রেডি হয়ে নিলাম।এই গরমে কি পোশাক পরবো সেটা ভেবে দিশেহারা।আবার খারাপ পোশাক পরেও যাওয়া যাবে না।কাল সারারাত উত্তেজনাতে ঘুম হয় নি।
যে চিঠি নিয়ে এত বড় একটা ইতিহাস হয়ে গেলো সেই চিঠি আসলে বিহান ভাই নয় বিভোর ভাই এর ছিলো।বিভোর ভাই এর মুখটা ফ্যাকাসে বর্ণ ধারণ করেছে।কারণ বিভোর ভাই ও শতভাগ নিশ্চিত ছিলেন যে ওই চিঠিটা বিহান ভাই এর ই হবে।
ভ্যাপসা গরমে ঘেমে মুখশ্রী লাল থেকে কালো রুপ ধারণ করেছে।বেশী ঘামলে মুখ তৈলাক্ত হয়ে কালো হয়ে যায় এই সমস্যার কোনো সমাধান ই পেলাম না আজ ও।রাস্তা থেকে আইসক্রিম কিনে রিয়া আর আমি খেতে খেতে বাসায় আসলাম।বিকালে আবার কোচিং এ ক্লাস আছে।সারারাস্তা প্রতিজ্ঞা করেছি আর জীবনে কথা বলবো না উনার সাথে।