তবুও কেন এই নারী'কে এখানে নিয়ে আসা হলো? '
প্রণয় চৌধুরী'র এহেন হুংকারে শারমিন বাইজির বক্ষে চেপে রাখা কন্যাটির সর্বাঙ্গ শিউরে ওঠলো কয়েক পল সময় নিয়ে নিজ বোধশক্তিও হারিয়ে ফেললো।
শারমিন বুঝতে পারে ঘুঙুরের প্রতি শাহিনুরের তীব্র আকর্ষণ রয়েছে। ঘুঙুরের আওয়াজে জেগে ওঠে শাহিনুরের সমস্ত ইন্দ্রিয়। তাই এই ঘুঙুর থেকে মেয়ে'কে যথাসম্ভব দূরে রাখার চেষ্টা করে।
আমি ওকে খুব ভালোবেসেছি সখী। ও কেন আমাকে ধোঁকা দিলো, কেন আমাদের সন্তানটাকে নিঃশেষ করে দিলো। আমি ওর স্ত্রী'র মর্যাদা পাইনি কিন্তু ওর বাচ্চার মা'য়ের মর্যাদাটুকু ও কেন আমায় দিলো না?
-' ও মা গো... মরে গেলাম আম্মা... আমি মরে গেলাম।'
বিস্মিত হয়ে সকলেই তাকালো বাইজি গৃহের দিকে। সাংঘাতিক আশঙ্কায় সর্বাঙ্গ কেঁপে ওঠলো প্রণয়ের।
বক্ষঃস্থলে শুরু হলো ঢিপঢিপ ঢিপঢিপ আওয়াজ। সম্মুখের গৌরবর্ণের সুশ্রী পুরুষ'টির দৃষ্টিজোড়া কতো মোলায়েম...
পাশ থেকে রঙ্গন কপাল এগিয়ে দিয়ে বললো,
-' আম্মা আমি এক বছরের নামে বিদেশ চলে যাবো আমাকে একশটা চুমা দিন তাহলে। '
-' প্রেমের আবার নতুন পুরানোও হয়? '
-' কেন নয়? আমরা যেমন বহুবার হাসি তেমন বহুবার কাঁদিও৷ আমাদের জীবনে যেমন বহুবার হাসি আসে,বহুবার কান্না আসে, ঠিক তেমনি বহুবার প্রেমও আসে। '
-' সখী ভয় পাস না এই আপা'কে আমি চিনি। '
রোমানার হাসিটা বেশ চওড়া হয়ে গেলো,অবাকান্বিত কন্ঠে বললো,
-' নুর! তুমি এখানে? আমি ভাবতেই পারিনি তোমার সাথে আবারও দেখা হবে। '
-' ভাবিজান, এ যাত্রায় ঐ বেশ্যার বাচ্চা বাঁইচা গেলো। কিন্তু চিন্তা করবেন না ওর সঙ্গে আমি জবরদাস্ত ফাইট করেই ছাড়বো। নারী'জাত কে কীভাবে শায়েস্তা করতে হয় তা এই পলাশ খুব ভালো করেই জানে।'
নিজেই নিজেকে তাচ্ছিল্য করা...অদ্ভুত তাইনা? প্রণয় চৌধুরী মানুষটাই অদ্ভুত চরিত্রের।