একজন নারী যোদ্ধার সাজ যেমন হয় ঠিক তেমনি করেই সেজেছে পরী। চোখ গাঢ় কাজলে ঢেকে ফেলেছে আর মুখটা কাপড় দিয়ে বেঁধে রেখেছে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে পরিপাটি করলো নিজেকে। তারপর পালঙ্কের নিচ থেকে ধারালো সেই ত*লো*য়া*র খানা বের করল। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তা দেখতে লাগল বারংবার। ঠিক সেই মুহূর্তে কুসুম খবর দিলো শি*কার চলে এসেছে বাঘিনীর গুহায়। মুচকি হেসে পরী সোনালীর ঘরের দিকে পা বাড়াল। নওশাদ নিজের খোড়া পা নিয়ে আস্তে আস্তে সোনালীর ঘরে ঢুকে পড়ল। বিছানায় সে কাউকে শুয়ে থাকতে দেখে নিঃশব্দে হাসে। কন্ঠ খাদে নামিয়ে বলে,’বাঁচার জন্য মানুষ কত কিছুই না করে পরী। আমাকে বাঁচতে হলে তোমাকে যে ম*রতে হবে।’

ছু*রি*টা নিয়ে পালঙ্কের দিকে এগিয়ে গেল নওশাদ। ইচ্ছামতো ছু*রি চালালো শুয়ে থাকা ব্যক্তির শরীরে। নওশাদ ভাবছে নিশ্চয়ই পরীর শরীর এতক্ষণে ক্ষ*ত বি*ক্ষ*ত হয়ে গেছে। অন্ধকারে কিছুই দেখতে পারছে না। সে নিজে নিজেকে সুধালো,’র*ক্ত ছিটকে আসছে না কেন?’

-‘তুই র*ক্ত দেখতে চাস? আমি তোকে আজ র*ক্ত দেখাব। তোর শরীরের যত র*ক্ত আছে আজ তুই সব দেখবি।’

নওশাদ ফিরে তাকায়। কুসুম হারিকেনের আঁচটা বাড়িয়ে দিতেই পরীর বদনখানা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। রক্তিমা কালো অশ্রুতে টলমল চোখ দেখে নওশাদের আত্মা যেন বেরিয়ে গেল। সে চিৎকার দিতে চাইল মুহূর্তেই কিন্ত ভারি কিছু মাথায় পড়ায় চোখ বন্ধ হয়ে এলো যেন। তবে সম্পূর্ণ জ্ঞান সে হারালো না। মেঝেতে বসে পড়ল সে। আ*ঘাতটা পেছন থেকে রুপালি করেছে। সে এতক্ষণ এই ঘরেই লুকিয়ে ছিল। নওশাদ যাকে পরী ভেবে আঘাত করেছে তা বালিশ ছিল যা চাদরে ঢাকা ছিল।

রুপালি রুষ্ঠচিত্ত কন্ঠে বলল,’ওর গলার আওয়াজ বন্ধ কর কুসুম।’

তৎক্ষণাৎ শেফালির আগমন ঘটে সে বলে,’ওর আওয়াজ আমি বন্ধ করতাছি।’

নওশাদ অবাক হয়ে গেল কিন্ত কথা বলার আগেই কুসুম ওর হাত দুটো পিছমোড়া করে ধরে। নিজেকে ছাড়ানোর সেই শক্তিটুকু কেড়ে নিয়েছে রুপালি। তাই নড়তে পারছে না। শেফালি হাতের গামছা টা নওশাদের মুখে ঢো*কানোর চেষ্টা করছে কিন্ত নওশাদ মুখ খুলছে না। শেষে উপায়ন্তর না পেয়ে নাক টিপে ধরে। শ্বাস নিতে পারে না নওশাদ। তাই শ্বাস নেওয়ার জন্য মুখ খুলতেই শেফালি ওর মুখে গামছা ঢু*কিয়ে দেয়। নওশাদের লাঠি দিয়ে গুতো মেরে মেরে অর্ধেক গামছা গলা দিয়ে নামিয়ে দিলো সে। পরী এগিয়ে একটা চেয়ার আনলো। ওরা ধরে নওশাদ কে চেয়ারের সাথে হাত পা বেঁধে ফেলে। ছুটোছুটি করছে নওশাদ কিন্ত পারছে না। পরী ত*লো*য়াবর হাতে নিয়ে নওশাদের মুখোমুখি বসে।ত*লো*য়া*র দেখে ভয়ে নওশাদের আত্মা যেন বেরিয়ে আসছিল। পরী বলে,’তোর চোখে আমি ভয় দেখতে পাচ্ছি। আমার এতে খুব আনন্দ হচ্ছে।
আরো ভয় পাবি তুই।’

-‘এতো কথা বলিস না পরী। ওকে শেষ করে দে।’

পরী ঘাড় কাত করে নওশাদের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘এতো সহজে?? তাহলে তো আসল মজাটাই মাটি হয়ে যাবে।’

পরী একটানে নওশাদের মুখ থেকে গামছা বের করে আনলো। গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে নওশাদের। তৃষ্ণায় পানি পানি করতে লাগল। গামছা মুখে থাকায় দম প্রায় বেরিয়ে আসছিল। পরী জিজ্ঞেস করল, ‘পানি খাবি?’
মাথা নাড়ে নওশাদ। কুসুম কে ইশারা করতেই সে একটা ছোট বাটি নিয়ে আসে পরী বাটিটা দেখিয়ে বলে,’পানি তো নেই। তোর মতো পি*শাচের তৃষ্ণায় পানিও মুখ ফিরিয়ে নেয়। এখন কি করি?’

একটু ভাবল পরী। হাতের তলোয়ার মেঝেতে রেখে কোমড়ে গোঁজা ছোট্ট ছু*রিটা বের করে। পরপর তিন চারটা দা*গ কেটে দেয় নওশাদের হাতে। ব্যথায় নওশাদ আ*র্তনাদ করে উঠলেও মুখ দিয়ে শব্দ বের হলো না। ওর হাত দিয়ে চুইয়ে চুইয়ে র*ক্ত ঝরছে আর পরী তা বাটিতে সংগ্রহ করছে। কিছুটা র*ক্ত নিয়ে সে নওশাদের মুখের সামনে ধরে বলে,’নে তোর পিপাসা মেটা।’

এবার নওশাদ তার বাক শক্তি কিছুটা ফিরে পেল। র*ক্ত দেখে ঘেন্নায় মুখ ফিরিয়ে নিয়ে বলে,’আমাকে ছেড়ে দাও পরী। আমি অনেক দূরে চলে যাব।’

-‘আমার আপাকে ছেড়েছিস তোরা? আপাও তো অনেক দূরে যেতে চেয়েছিল ছেড়েছিস কি?’

নওশাদের গাল দুটো চেপে ধরে রক্ত ওর মুখে ঢেলে দিল পরী। সাথে সাথেই বমি করে দিল নওশাদ। এটা দেখে কুসুম আর শেফালির ও বমি পেল। মুখে কাপড় দিয়ে বমি আটকালো ওরা।পরী তাতেও ক্ষ্যান্ত হলো না। বাকি রক্ত টুকু আবারও মুখে ঢেলে দিলো। এবারও তা ফেলে দিল নওশাদ।

-‘এই হাত দিয়ে আমার আপাকে স্পর্শ করেছিলি তাই না?’
বলতে বলতেই নওশাদের তর্জনী আঙুল টা কে*টে নিলো পরী। এবার চিৎকার করে উঠলো নওশাদ কিন্ত ওর চিৎকার কারো কানে পৌঁছায় না তার আগেই পরী আবার ওর মুখে গামছা ঢুকিয়ে দিয়েছে।
কুসুম আ শেফালি মৃদু চিৎকার করে উঠল। ভয়ে কাঁপতে লাগল দুজনেই। পরী যে এতটা ভয়ানক হয়ে উঠবে তা ওরা চিন্তাও করেনি। ওরা দুজন বাইরে চলে যেতে চাইলে পরী বলে ওঠে,’কোথায় যাচ্ছিস তোরা? এখানেই থাক। ওর যন্ত্রণা তোদের দেখতে হবে।’

কুসুম ভয়ে ভয়ে বলে,’আমার ডর করতাছে আপা আমি যাই। আর এইহানে থাকতে পারমু না।’

বলতে বলতে কুসুম দৌড়ে চলে গেল। ওর দেখাদেখি শেফালিও পালালো। বাকি আছে রুপালি। ওর ভয় লাগলেও শক্ত চোখে সবটা দেখছে। ও বলল,’আমি দেখতে চাই পরী। আমার আপার হ*ত্যা*কারীদের শাস্তি কেমন তা আমি নিজ চোখে দেখতে চাই। ভয় আমি পাব না।’

পরী মুখোশের আড়ালে হাসে। তারপর ছু*রি দিয়ে নওশাদের পরনের শার্ট টা কেটে খুলে ফেলে। বুকে ছু*রি চালিয়ে শান্তির নিঃশ্বাস ফেলে। ওর কলিজাটা আজ কিছুটা ঠান্ডা হয়েছে। নওশাদের বুকের ক্ষ*তটা বেশ গাঢ় ফলে র*ক্তের বন্যা বয়ে গেল মুহূর্তেই। রুপালি খানিকটা শুকনো মরিচের গুড়া সেখানে লাগিয়ে দিতেই ছটফট শুরু করে নওশাদ। গ*লা কা*টা মুরগির মতো ছুটো ছুটি করছে সে। এর থেকে বুঝি আর কোন যন্ত্রণা হয় না। পরী প্রশান্তির স্বরে বলে,’সারা শরীরের যন্ত্রণা সহ্য করা যায় কিন্ত বুকের যন্ত্রণা সহ্য করা খুবই কঠিন নওশাদ। আজ তোকে আমি ভ*য়া*নক মৃ*ত্যু দেব। তুই হাত জোড় করে ক্ষমা চাওয়ার সময়ও পাবি না। তোকে আমি জীবিত দা*ফন করব। জানাযা ও হবে না তোর। শশীলের লা*শ তো তোরা পেয়েছিলি কিন্ত তোর লা*শ কেউ পাবে না।’

ব্যথায় ভয়ে কাঁপছে নওশাদ। শরীরে জ্বলন হলেও নড়ার শক্তি নেই। এরই মধ্যে পরী ওর আরেকটা আঙুল কে*টে নিল। এবার আর রুপালি থাকতে পারে না। অনেক সাহস দেখালেও আর সাহসে কুলায় না ওর। তাই ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। পরী রুপালিকে বাঁধা দিলো না। শুধু বলে কুসুম আর শেফালি যেন গরম পানি দিয়ে যায়।
পরী নওশাদের দিকে তাকিয়ে বলে,’দেখ মৃ*ত্যু যন্ত্রণা কতটা কষ্টের!! তুই চিন্তা করিস না! তোর দাফন খুব ভাল করেই হবে। তোকে গোসল করাব,আগরবাতি জ্বলবে,গোলাপ জল দেওয়া হবে,কবর খোড়া হবে।
কিন্ত তোকে সাড়ে তিন হাত জায়গা দেওয়া হবে না। তুই তো মানুষের মধ্যেই পড়স না। তাহলে তোকে মানুষের মতো দাফন করাটা উচিত হবে না।’

নওশাদ গোঙ্গাচ্ছে, দেখে মনে হচ্ছে সে কিছু বলছে।পরী নওশাদের আরেকটু কাছে এগিয়ে তা শোনার চেষ্টা করে,’আমাকে তাড়াতাড়ি মেরে ফেল। আমার আর সহ্য হচ্ছে না।’
ভাঙা ভাঙা গলায় নওশাদ বলছে। কুসুম আর শেফালি তখন গরম পানির পাতিল নিয়ে ঘরে এলো। পরী ওদের দেখে বলল,’তুই কি নওশাদের একটা আঙুল কা*টবি কুসুম?’
মুখে না বলে মাথা নেড়ে না বলে কুসুম। ভয়ে সে কাঁপছে এখনও। শেফালিকেও একই কথা জিজ্ঞেস করে পরী সেও না বলে দেয়। ওদের ভয় দেখাতে পরীর ভিশন ভাল লাগছে। সে বলে,’গোসল করানোর পর কিন্ত ওর গায়ে আর হাত দেওয়া যাবে না।’

-‘না আপা থাক। আমরা অহন কি করমু?’

-‘গোসল করা।’
কুসুম পাতিলের সব পানি নওশাদের গায়ে ঢেলে দিল। পানি এতটাই গরম ছিল যে সাথে সাথে ফোসকা পড়ে গেল নওশাদের শরীরে। শেফালি আগরবাতি জ্বালিয়ে ঘরে গোলাপ জল ছিটিয়ে দিল। পরী নাক টেনে গোলাপ জলের সুগন্ধিটা নিল। খুব ভাল লাগছে ওর। ওরা তিনজন ঘর ত্যাগ করে নওশাদ কে একা রেখে। উঠোনের এক কোণায় খড়ের গাদা সরিয়ে সেখানে গর্ত খুড়ছে। পরীও সাথে যোগ দিয়েছে। তিনজন নারী মিলে কবর খুড়ছে। কবর বললে ভুল হবে গর্ত খুঁড়ছে। রুপালি পাশে দাঁড়িয়ে আছে। এমন সময় সেখানে মালা চলে আসে। ওদের গর্ত খুঁড়তে দেখে বলেন,’কি করস পরী? সবাই এইহানে ক্যান?’

পরী কো*দাল ফেলে সোজা হয়ে দাঁড়াল। লাফ দিয়ে উপরে উঠে এসে বলে,’আপনি ঘরে যান আম্মা। পিকুলের কাছে যান।’

-‘নওশাদরে ধইরা আনছোস তাই না?’
-‘হুমম।’
-‘তোর বাপ জানি এইসব জানতে না পারে। তাইলে কিন্ত হেয় খারাপ কিছু করব।’
পরী অবাক হলো মায়ের কথায়। তবে সে বুঝতে পারল মালাও ওকে সমর্থন করছে। মালা এতদিনে এটা বেশ বুঝেছে যে সে যতই বলুক না কেন। পরী তার সিদ্ধান্ত বদলাবে না। এখন মালা সাবধান করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারবে না। তাই মালা চলে গেল।
মাটি মেখে তিনজন বড় একটা গর্ত খোঁড়ে। তারপর সোনালীর ঘরে যায়। পরী নওশাদকে ভাল করে দেখে। এখনও বেঁচে আছে। শরীরের অনেক র*ক্ত বের হয়ে গেছে। যার ফলে নেতিয়ে পড়েছে। ওর প্রতিটি নিঃশ্বাস এখন শেষ নিঃশ্বাসের প্রহর গুণছে। বড় একটা চাদরে শুইয়ে সেটা ধরে চারজন মিলে নওশাদ কে গর্তের কাছে নিয়ে এল। নওশাদ তখনও নিভু নিভু দৃষ্টিতে ওদের দেখছে আর মনে মনে প্রাণ ভিক্ষা চাইছে। তারপর জীবিত পুঁতে ফেলে নওশাদ কে। মাটির নিচে শ্বাস নেওয়া যায় না। সেখানে অক্সিজেন ও পৌঁছায় না। কাজ শেষ করে পরী কলপাড়ের দিকে এগোয়।

মধ্য প্রহরের কিছুটা সময় পর যখন পুরো গ্রাম ঘুমানো। এমনকি ঝিঁ ঝিঁ পোকা গুলো ও ঘুমিয়ে পড়েছে। তখন শুধু আকাশের চাঁদ খানা জেগে আছে। পুরো গ্রামটাতে নজর বুলাচ্ছে। তবে কিছু না দেখলেও নওশাদের শেষ পরিণতি গাছের ফাঁক দিয়ে ঠিকই দেখেছে। সম্পূর্ণ কালো রঙের শাড়ি গায়ে জড়িয়েছে পরী। গোসল সেরে শরীর মুছেনি এমনকি মাথাও না। পরনের শাড়িটা অর্ধেক ভিজে আছে। সেই অবস্থাতেই ঘরে গেল পরী। সেখানে শায়ের ওর জন্য অপেক্ষা করছে। পরীই তাকে খবর পাঠিয়েছে।
এমতাবস্থায় পরীকে দেখে বেশ ঘাবড়ে গেল শায়ের। তবে কথা বলল না। পরীর এমন সৌন্দর্য শায়ের কে আটকে দিল। হাসল পরী যা শায়েরের কাছে ভয়ংকর লাগল। নিজের শীতল হাতটা শায়েরের গালে রাখে পরী। যার দরুন হালকা কেঁপে ওঠে সে।
তা দেখে আবারও হাসে পরী। দ্বিতীয় হাত অপর গালে রেখে টেনে তাকে নিচু করে। তারপর পায়ের পাতা উঁচু করে চুম্বন করে স্বামীর কপালে। আদুরে গলায় বলে,’আমি ছাড়া অন্য কোন নারীকে ছুঁয়েছেন কখনো?’

-‘জীবনে দুজন নারীকে আমি গভীর ভাবে ছুঁয়েছি। তার মধ্যে আপনি দ্বিতীয়। প্রথমত আমি আমার মা’কে ছুঁয়েছি আর দ্বিতীয়ত আপনাকে। আর কোন নারীকে চোখ দিয়েও স্পর্শ করিনি।’

-‘এজন্যই কি আপনার স্পর্শে জাদু আছে? যার জন্য আমি এত উতলা হয়ে উঠি?’

-‘আপনার শরীর ঠান্ডা অনেক। কাথাটা গায়ে জড়িয়ে বসুন। নাহলে জ্বর আসবে।’
পরীর হাত ধরে ওকে পালঙ্কে বসায় শায়ের। কাথাটা গায়ে জড়িয়ে দিয়ে বলে,’আপনি দিন দিন আরও অদ্ভুত আচরণ করছেন। এরকম করলে আপনার শরীর খারাপ করবে।’

জবাব না দিয়ে পরী শায়ের কেও টেনে নিলো কাথার ভেতরে। শায়েরের কাঁধে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে।
ভিশন শান্তি লাগছে পরীর। শায়ের বলে উঠল, ‘আপনি ভালোবাসা বিশ্বাস করেন?’

-‘শুধু আপনার ভালোবাসা বিশ্বাস করি। বাকি সব মিথ্যা।’

-‘সম্পানের ভালোবাসা কিন্ত মিথ্যা ছিল না পরীজান। ও সত্যিই বিন্দুকে ভালোবাসতো। শুধু আপনাকে মারতে চেয়েছিল বলে কি ওর ভালোবাসা মিথ্যা?’

পরী মাথা তুলে শান্ত চাহনিতে শায়েরের দিকে তাকালো। শায়ের নিজেও পরীর দিকে তাকিয়ে আছে। স্বামীর চোখের দিকে তাকিয়ে তার মনের অভিব্যক্ত পড়ার বৃথা চেষ্টা করছে পরী। তা উপলব্ধি করতে পারে শায়ের। সে বলে,’সম্পান কিন্ত খারাপ হয়ে জন্ম নেয়নি পরীজান। তাকে খারাপ বানানো হয়েছে। টাকা এমন একটা বস্তু যার নেশায় ধনী গরীব সবাই পড়ে। এবং এই নেশাই সম্পান আর আমার মতো শত পুরুষ খারাপ কাজে লিপ্ত হয় আর ধনীরা পাপ করেও সকলের আড়ালে থেকে যায়।’

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।