সব ভালোবাসা সুখকর হয়না। পায়না সে নিজস্ব পূর্ণতা। কিয়ৎকালের জন্য সুখ দিয়ে সারাজীবন দেয় বেদনা। প্রহর গুলোতে আনন্দ দিলে,ঋতু জুড়ে দেয় বেদনা। ভালোবাসা কি আদৌ সুখ দেয়?ভালোবাসা ছাড়া কি বেঁচে থাকা যায় না?ভালোবাসা যদি সুখ দিতো তাহলে বিশ্বজুড়ে ভালোবাসাতে ভরে যেতো। কষ্ট চেনার সাধ্য কারো হতো না। সবার ক্ষেত্রে ভালোবাসা আনন্দময় হয় না।
ভালোবাসা নামক সুখ পাখিটা সবার জীবনে ডানা ঝাপটাবে। কিন্ত পাখিটা কি আদৌ পোষ মানবে কি? সবাই তো পোষ মানাতে পারে না। কিছু অবহেলায় পাখিটা চলে যায় আবার কেউ যত্ন করেও পোষ মানাতে পারে না। ভাগ্য যে কাকে কোথায় নিয়ে যাবে তা কেউই জানে না। বিধাতার লিখন যে কেউ খন্ডাতে পারবে না।
বিন্দুর জীবনে সুখ পাখিটা ডানা ঝাপটে ছিল। ধরা দিয়েছিল বিন্দুর হাতে। কিন্ত যত্নেও পোষ মানাতে ব্যর্থ বিন্দু। যার কারণে তার শাস্তি পেয়েছে সম্পানও।
সম্পানের কিছু প্রহর আনন্দে কেটেছে কিন্ত বাঁকি ঋতুগুলো বোধহয় আনন্দ আর কখনোই আসবে না।
প্রিয়তমা তার সাথে করে সেই সুখটুকুও যে নিয়ে গেছে। তাই সে তার সুখের স্থির দেহের পাশে বসে শেষ দেখা দেখে নিচ্ছে। মুখের অজস্র কাটা ছেড়া তার প্রিয়তমার। তার মধ্যে থেকেই সুখ খুঁজে যাচ্ছে সে। অথচ কত কষ্ট দিয়েই না তার সুখের প্রানটা তার দেহ থেকে বের করে নেওয়া হয়েছে।
রাস্তা দিয়ে দৌড়ে আসছে পরী। গায়ের চাদরটা বৈঠকে পড়ে গেছে আসার সময়। গাঢ় কুয়াশার ভেতর দিয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে ফর্সা শরীরে বিন্দু বিন্দু শিশির কণা জমেছে। চুলের খোপা যে কখন খুলে পিঠ ছড়িয়েছে তা সে টেরই পায়নি। পরীর দৌড় থামলো বিন্দুকে দেখে। দূর থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল বিন্দুর মুখখানা। একটু থেমে পরী দৌড়ে গিয়ে ধপ করে সম্পানের পাশে বসে পড়ল।
জঙ্গলের ভেতরে গাছের ডালে বিন্দুর লাশ ঝুলতে দেখা যায়। সকালে ভোরে গ্রামেরই কেউ যাচ্ছিল কালী মন্দিরে। হঠাৎই তার চোখ যায় গাছের ডালে থাকা ঝুলন্ত বিন্দুর দিকে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগে না। কেউ কেউ ভেবেছিল যে বিন্দু আত্মহত্যা করেছে। কেননা সবাই জানে বিন্দু সম্পান কে ভালোবাসে। আর বিন্দুর বিয়ে অন্য ছেলের সাথে ঠিক হয়েছে। বিন্দু তাই মানতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। কিন্ত লাশ নামাতে গিয়ে সবাই বুঝলো বিন্দু আত্মহত্যা করেনি। মেয়েটার ক্ষত বিক্ষত শরীর টাই তার আসল প্রমাণ। বিন্দুর পরনের লাল পাড়ের সাদা শাড়িটি দিয়ে গলা পেঁচিয়ে গাছের ডালে ঝুলানো ছিল।
বিন্দুর লাশ জঙ্গলের বাইরে এনে শোয়ানো হয়েছে। শাড়িটিও ওর গায়ে জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। একে একে ভিড় জমতে লাগলো।
নিজের প্রান প্রিয় সখির স্থির দেহের দিকে তাকিয়ে আছে পরী। কি সুন্দর মায়াবী চোখ বিন্দুর!!ওই চোখজোড়া খুলে আর দেখবে না পরীকে। দেখবে না ভালোবাসার সম্পান কে। গজদন্তিনী আর হাসবে না। আর সে হাসিতে পরীও মুগ্ধ হবে না। সে আর দৌড়ে জমিদার বাড়িতে উঠবে না। হবে না মায়ের হাতের মার খাওয়া। ঘুম কাতুরে বিন্দু আজ চিরকালের জন্য ঘুমিয়ে পড়েছে। শত ডাকেও সে সাড়া দিবে না।
পরী আলতো করে বিন্দুকে ঝাঁকিয়ে বলে,’এই বিন্দু তুই ঘুমিয়ে আছিস কেন? ওঠ,এতো ঘুমালে চলে? তুই তো বিয়ে করতে এসেছিস। এই দেখ আমি এসেছি সম্পান মাঝি এসেছে। তোর আর সম্পান মাঝির বিয়ে হবে। ওঠ না,আমার আসতে দেরি হয়েছে বলে রাগ করে ঘুমিয়ে থাকবি? ওঠ,ওঠ না,ওঠ বিন্দু!!’
নাহ বিন্দুর সাড়া নেই। যে মেয়েটা পরীর এক ডাকে দৌড়ে চলে আসে আজ সেই মেয়েটা পরীর শত ডাকেও উঠছে না। পরী বিন্দুর দেহ ধরে ঝাকুনি দিচ্ছে আর উঠতে বলছে। কিন্ত মৃত ব্যক্তি কি কখনো জীবিত হতে পারে? তাই বিন্দুও উঠলো না। পরী এবার বিন্দুকে ছেড়ে দিয়ে সম্পানের দিকে তাকালো বলল,’সম্পান মাঝি,তুমি বললে বিন্দু ঠিক উঠবে। তুমি ওরে উঠতে বলো। তোমরা বিয়ে করবা না? আমার বিন্দুরে ঘরে তুলবা না?’
চোখের পানিতে বক্ষ ভেসে যাচ্ছে পরীর কিন্ত সম্পান এখনও চুপ করে দেখছে বিন্দুকে। হঠাত করেই সম্পান পরীর হাত থেকে সিঁদূর কৌটো নিয়ে নিলো। হাতে কৌটোর সব সিঁদূর ঢেলে রাঙিয়ে দিলো বিন্দুর সিঁথি। ঠোঁটের কোণে স্নিগ্ধময় হাসি ফুটল সম্পানের। সে বলল,’তোরে খুব সুন্দর লাগতাছে বিন্দু। একেবারে বউ। তুই তো চাইছিলি আমার বউ হইতে। আমার হাতের সিঁদূর পরতে। দেখ আমিও সিঁদূর পরাইছি। আয়নায় একবার দেখ কত সুন্দর লাগতাছে তোরে। না থাক, তুই তো ঘুমাইতাছোস। উঠলে দেহিস। অহন ঘুমা তুই।’
-‘সম্পান মাঝি কি বলো এইসব তুমি? বিন্দু,,’
সম্পান পরীর দিকে তাকিয়ে তর্জনী আঙুল মুখে চেপে বলল,’হুসসস বিন্দু ঘুমায় পরী। কথা কইয়ো না। চুপ থাকো চুপ থাকো।’
সম্পান আবার বিন্দুকে দেখায় মন দিলো। পরী থাকতে না পেরে চেপে ধরে সম্পানের কলার। নিজের দিকে সম্পান কে ঘুরিয়ে বলে,’তুমিও কি পাগল হয়ে গেলে সম্পান মাঝি? হ্যা ? বিন্দুর ভালোবাসায় কি পাগল হয়ে গেলে? কথা বলো না? আমার দিকে তাকাও?’
গ্রামের সবচেয়ে সুন্দর মেয়েটাও আজ সম্পানের চোখ সরাতে পারছে না বিন্দুর থেকে। ভালোবাসা তো এমনই হওয়া উচিত। সৌন্দর্য থাকবে না কিন্ত মাধুর্য থাকবে অপরিসীম। সে ভালোবাসায় মন জুড়াবে। পরী সম্পান কে ছেড়ে আবারো বিন্দুকে ডাকতে লাগল।
নারী পুরুষের ভিড় জমেছে। সবাই পরীকে অবাক হয়ে দেখছে। যে মেয়ের চেহারা কোন পুরুষ দেখেনি আজকে কতশত পুরুষ দেখে নিলো সেই পরীকে। শোক পালনের থেকে এখন সবাই পরীকেই দেখে চলেছে। কিন্ত পরীর সেদিক কোন খেয়াল নেই।
চন্দনা বিন্দুর খবর শুনে বেশ কয়েকবার জ্ঞান হারিয়েছে। পরে সেও এখানে চলে এসেছে। এসেই হাউমাউ করে কাঁদতে লাগল চন্দনা। বলতে লাগল,’ও আমার বিন্দু রে,,তুই ক্যান আমাগো ছাইড়া গেলি? এট্টু চাইয়া দ্যাখ,,’
বিলাপ করছে চন্দনা। ইন্দু আর সখা ও দিদির জন্য কাঁদছে। মেয়েকে এমতাবস্থায় দেখে মহেশ ও নিস্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। চন্দনার কান্না আর সহ্য হলো না সম্পানের। দুহাতে চেপে ধরে চন্দনার গলা। মাটিতে ফেলে আরো জোরে চেপে ধরে সম্পান। শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে চন্দনার। চোখ উল্টে গেল তৎক্ষণাৎ। সম্পান বলতে লাগে,’তোর লাইগা আইজ এই অবস্থা। তোর লাইগা বিন্দু আমারে ছাইড়া চইলা গেছে। আমি তোরে শ্যাষ কইরা ছাড়মু।’
মহেশসহ কয়েক জন মিলে সম্পানকে টানতে লাগল। কিন্ত ছাড়াতে পারছে না। এই মুহূর্তে সম্পানের শক্তির পরিমাণ দ্বিগুণ বেড়েছে। দূর থেকে নাঈম এসব দেখতে পেলো। তাই সে দৌড় দিলো সেদিকে। নাঈম শুনেছে বিন্দুর খবর,এও শুনেছে যে পরীও এখানে এসেছে। তাই সে দেরি না করেই ছুটে এসেছে। সে দৌড়ে কাছে আসতেই কেউ একটা চাদর দিয়ে পরীর মুখসহ পুরো শরীর ঢেকে দিলো। চকিতে তাকালো নাঈম। সেই ব্যক্তিটি আর কেউ না। স্বয়ং মালা। মালা চাদরসুদ্ধ মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ধরে। যাতে কেউ তার মেয়েকে দেখতে না পারে। নাঈম কাছে এসেও পরীকে দেখতে পেলো না। মায়ের সান্নিধ্য পেয়ে পরীও নিজেকে গুটিয়ে নিলো। ঠান্ডা শরীরটা একটু উষ্ণতায় নেতিয়ে গেলো। পরীর কান্নার আওয়াজ বা কথার আওয়াজ ও শোনা গেল না।
কুসুম এসে বলে,’বড় মা,বড় কর্তা আইবো তো। তাড়াতাড়ি বাড়িতে চলেন।’
মাথা নেড়ে মালা পরীকে গাড়িতে উঠিয়ে বাড়িতে নিয়ে গেলেন।
একটুর জন্য নাঈম পারলো না পরীর মুখ দেখতে। আরেকটু জলদি আসলেই দেখতে পারতো। নিজেকেই নিজে কিছুক্ষণ গালমন্দ করলো সে। এরই মধ্যে আফতাব সেখানে আসে। সবাই রাস্তা করে দেয় আফতাব কে। শায়ের ও সাথে এসেছে। বিন্দুর মৃত্যুর খবর শায়ের কেও ভাবাচ্ছে। মেয়েটাকে এভাবে নৃশংস ভাবে হত্যা করলো কারা?
পুলিশ কে খবর আগেই দেওয়া হয়েছিল। ঘটনাস্থলে তারাও চলে আসে। সবাইকে দূরে সরিয়ে দিলো। সম্পান কে সবাই মিলে ধরে রেখেছে। চন্দনা জ্ঞান হারিয়েছে আবার। তাকে সবাই ধরাধরি করে বাড়িতে নিয়ে যায়। পুলিশ সব দেখছে। শায়েরের পরিচিত ই তারা। শায়ের পুলিশ প্রধান কে বলে,’আপনি একটু ভাল করে দেখবেন। আমাদের গ্রামে এমন কখনোই হয়নি। অপরাধি কে বা কারা তাদের তাড়তাড়ি ধরার চেষ্টা করুন।’
-‘আমরা চেষ্টা করব শায়ের সাহেব। তবে এটা বুঝতে পারছি বেশ কয়েকজন যুবক ছিল। নাহলে মেয়েটাকে এভাবে,,’
চোখ বন্ধ করে নিলো শায়ের। কিছু পল ওভাবে থেকে চোখ মেলে বলল,’আমার মনে হয় কালকে যারা যাত্রা দেখতে এসেছিল তাদের কেউই হবে।’
পুলিশ প্রধান একটু ভেবে বলে,’আমার মনে হয়না এরকম সাহস কোন সাধারণ মানুষের হবে। মনে হচ্ছে কোন অপরাধী এরকম করেছে। আমার মনে হচ্ছে,,!’
-‘কি মনে হচ্ছে?’
-‘শশীল নয়তো? ও তো বড় একজন অপরাধী। আপনার মনে আছে চার বছর আগের সেই ঘটনার কথা?’
-‘হ্যা আছে। কিন্ত শশীল তো,,,’
-‘গাঁ ঢাকা দিয়েছে। ওকে ধরার চেষ্টা করছি দুবছর ধরে কিন্ত পারছি না। এমনও তো হতে পারে যে শশীল যাত্রা পালায় আসা মানুষের সাথে মিশে এসব করেছে।’
আফতাব একথা শুনে হুংকার দিয়ে উঠলো। আশেপাশে থাকা সবাই কেঁপে উঠল। আফতাব বলল,’ওই জানো**য়ার টাকে তাড়াতাড়ি খুঁজে বের করেন। সবার সামনে ওর গলা কেটে শান্ত হবো আমি।’
-‘আমরা এখনো সঠিক বলতে পারছি না। আগে তদন্ত করি তারপর বলা যাবে।’
নারকেল পাতার পাটিতে মুড়িয়ে বিন্দুকে নিয়ে পুলিশ চলে গেল। সম্পান দৌড়ে গিয়ে টেনে ধরেছিল বিন্দুকে। কিন্ত গ্রামের লোকজন তাকে টেনে নিয়ে এসেছে। সম্পান বারবার বলেছে বিন্দুকে যেন না নিয়ে যায় কিন্ত কেউ ওর কথা শোনেনি।
অন্দরের উঠোনে পরী চাদর জড়িয়ে বসে আছে। কাঁপছে ওর সারা শরীর। বিন্দুর মুখটা এখনও ভেসে উঠছে চোখের সামনে। মুখের প্রতিটা ক্ষত কালচে বর্ণ ধারণ করেছে। পরীর চোখে এখনও তা ভেসে উঠছে। মালা পরীর কাছে এসে বলে,’পরী অহন ঘরে যা।’
পরী মায়ের দিকে তাকিয়ে শব্দ করে কেঁদে উঠল। মালার হাত দুটো ধরে বলল,’আম্মা আমার বিন্দু!!
ওরা আমার বিন্দুকে মেরে ফেলেছে। আমি কাল রাতে ওই জঙ্গলে গিয়েছিলাম বিন্দু আর সম্পানের বিয়ে দিতে আম্মা। আমি পারি নাই আম্মা। কারা জানি এসেছিল সেখানে। ওরাই মনে হয় আমার বিন্দুকে মেরে ফেলেছে আম্মা। আমি কেন পালিয়ে আসলাম? আর ওই আগুন!!’
আগুনের কথা মনে হতেই পরী থমকে যায়। তখন আগুন লাগলো কীভাবে?? এখন তো শীতকাল। শিশিরে ভিজে ছিল খড় গুলো। হারিকেন ছিটকে পড়লে তো আগুন নিভে যাওয়ার কথা। তার বদলে আগুন জ্বলে উঠল কীভাবে??তার মানে ওই খড় গুলোতে কেরোসিন দেওয়া ছিল। তাই হারিকেন পড়তেই আগুন জ্বলে উঠেছে। এজন্যই পরী তখন কেরোসিনের গন্ধ পাচ্ছিল। তারমানে ওরা বিন্দুকে মারার পর পুড়িয়ে ফেলতে চেয়েছিল কিন্ত আগুন লাগার কারণে গাছের সাথে ঝুলিয়ে দিয়ে গিয়েছে। হ্যা তাই হবে। পরী এতক্ষণে সব বুঝতে পারল। উঠে দাঁড়িয়ে আবার পা বাড়ালো বৈঠকের দিকে। মালা এবার শক্ত করে টেনে ধরে পরীকে। বলে,’অনেক হইছে পরী। আর না। তুই আর বাইর হবি না। আমার কসম।’
-‘আম্মা আমাকে আব্বার কাছে যেতে হবে। সব বলতে হবে। বিন্দুকে ওরা পুড়িয়ে ফেলতে চেয়েছিল। কাল রাতের সবকিছু আমি জানি। আমি বলব সব। ওদের ধরে কঠোর সাজা না দিলে আমি শান্ত হবো না।’
-‘ওদের শাস্তি হবে। পুলিশ কে খবর দেওয়া হয়েছে। ওনারা ঠিক খুঁজে বের করবে।’
আফতাব কথাগুলো বলতে বলতে অন্দরে ঢুকলো। পরী সেদিকে তাকিয়ে বলল,’কি বলেছে পুলিশ? জানতে পেরেছে কিছু? কারা করেছে খুন?’
উত্তেজিত হয়ে গেছে পরী। আফতাব বলে,’পুলিশ সন্দেহ করছে শশীলের উপর। আগে শশীলকে ধরুক তারপর জানা যাবে।’
পরী সাথে সাথেই চিৎকার করে উঠল। ঘোর বিরোধিতা করে বলল,’নাহ শশীল এই কাজ করতে পারে না। আপনি ওদের মানা করুন। একাজ অন্য কেউ করেছে।’
-‘পুলিশের থেকে বেশি বোঝো তুমি? যাও ঘরে যাও। মেয়ে মানুষ এতো কথা বলো কেনো??’
-‘আপনি বোঝেন না। আপনার কি কোন দায়িত্ব নেই নাকি? কিসের জমিদার আপনি?’
পরীকে রাগারাগি করতে দেখে মালা বলে,’পরী, বাপের লগে খারাপ কথা কওয়ার সাহস পাইলি কই তুই?’
-‘আম্মা উনি বোঝে না কেন শশীল খুন করে নাই।’
মালা রেগে গিয়ে জিজ্ঞেস করে,’তুই কেমনে জানলি শশীল খুন করে নাই?’
-‘শশীল বেঁচে থাকলে তো খুন করবে আম্মা। দুইবছর আগে আমি নিজ হাতে শশীল কে খুন করছি আম্মা, নিজের হাতে।’