অরিএান অবাক আসলে অবাক বললে ভুল হবে সে ভয়াবহ ভাবে অবাক তার সামনে ঘটে যাওয়া ঘটনা দেখে।ওয়াসেনাত তার বাবার চাইতে বয়স বেশি হবে এমন একজন পুলিশকে ইট নিয়ে তেড়ে যাচ্ছে। অরিএানের মাথায় এটা আসছে না কেনো এমন করছে।কেনো আবার মারার জন্যে😂এই সামান্য কথা কেনো যে অরিএানের মাথায় আসছে না কে যানে।তবে সে ভাবছে হিজাব পড়া অতি সুন্দরি এবং ভদ্র একটি মেয়ে মাঝ রাস্তায় দাড়িয়ে এমন করার মানে কি।ব্যাপারটা অবাক হওয়ার মত।ওয়াসেনাতের মত মেয়ে যে কিনা সকল মানুষকে সম্মান করে সে কেনো তার বাবার চাইতে বয়সে বড় লোকে মারতে যাচ্ছে। কেনো?? কেনো?why??how??? অরিএান তার উওর পাওয়ার আগেই ওয়াসেনাত তেড়ে যাচ্ছে। না পাড়তে অরিএান ওয়াসেনাতের কাছে গিয়ে তার পিঠ অরিএানের বুকের সাথে লাগিয়ে তার কোমর পেঁচিয়ে তাকে কিছুটা উপড়ে তুলে আটকাতে চেষ্টা চালাছে।
ওয়াসেনাতকে থামানো সহজ ব্যাপার না।সে তো নিজের মত হাত পা ছুটা ছুটি করেই চলেছে।আর হাতের ইটটা বাড়িয়ে বারিয়ে চিৎকার করে বলছে……
__ওই ছাড় ছাড় আমায় আজ এই বুড়া শয়তানকে আমি নিজের হাতে মারমু।শালা কুত্তার জাত।আরে ছাড় আমায় শকুনের জাতকে তো আমি খুন করমু।শালা কুত্তা, বিলাই,অসভ্য, বেয়াদোপ বুড়গা।কিরে ভাই ছাড় না।
__আরে তুমি এমন করছ কেনো।ভার্সিটির সামনে এমন মারা মারি করছ তাও বয়স্ক লোকের সাথে। সমস্যা কি তোমার(ওয়াসেনাতকে ঘুড়াতে ঘুড়াতে)
__এই আপনার সমস্যা কি।সব সময় আমার পিছনে পিছনে কি?? হুম?? এই কুত্তার জাতকে তো আমি……(বলেই হাতের ইটটা ছুড়ে মারে লোকটির দিকে)
লোকটি সরে যাওয়ায় তার গায়ে লাগে নাই। অরিএান হতবাক। সে এমন কিছুই ওয়াসেনাতের কাছে আশা করে নাই। সে ভাবতেই পাড়ছে না ওয়াসেনাতের মত এত নরম মনের মেয়ে এমন কিছু করতে পাড়ে।ওয়াসেনাত অনবরত অরিএানের হাতে কিল ঘুসি চিমটি দিয়ে চলেছে।কিন্তু অরিএান সে তো বডিবিল্ডার।ওয়াসেনাতের কোমল হাতের ছোট ছোট আঙুলের চিমটি তার কাছে কিছুই না।ওয়াসেনাতের কথায় অরিএান সম্পূর্ণ ভাবে অবাক হয়ে যায়।ওয়াসেনাত চিৎকার করে বলে উঠে………………
__আপনি যানেন এই কুত্তাটা কি করেছে??শালা হারামজাদার দল।
__না বললে জানবো কিভাবে।
__কুত্তাটা তার নাতনির সমান মেয়ে কে বাজে ভাবে টাচ করেছে।ছি ছি ভাবতেই আমার মেজাজ গরম হচ্ছে, মাথায় রক্ত উঠে যাচ্ছে 😡😡😠😠😠😠
অরিএান হতবম্ভ হয়ে দাড়িয়ে আছে। এবার সে ওয়াসেনাতকে নিচে নামিয়ে রাখে।রক্ত চোখু দিয়ে সামনে তাকায়।পুলিশ লোকটি আগেই অরিএানকে চিনতে পেরেছে তাই সে ছুটে পালায়।আর ওয়াসেনাত শুরু থেকে বলা শুরু করে………..
আগের ঘটনা…………………………
ওয়াসেনাত আজকে ভার্সিটির জন্যে তৈরি হচ্ছে। সে আজ নিজেকে কালো রংয়ে সজ্জাইত করেছে।কালো লং হাতার সিল্কের কাজ বিহিন গাউন পরেছে। সাথে কালো হিজাব। আর হিজাবের বামপাশে পিন দিয়ে নয়নতারা সাদা ফুল লাগিয়েছ। প্রতিবারের মত আজও ভার্সিটি গিয়ে ক্লাস শেষ করে রিকশার অপেক্ষা করছিল। টিএসি মোড়ে এই টাইমে ট্রাফিক জেম লাগে। ওয়াসেনাত পাশেই দাড়িয়ে ছিল।হঠাৎ সে দেখলো একটি বাচ্চা মেয়ে ৮-৯বছর বয়স হবে এমন মেয়ে একজন ট্রাফিকপুলিশকে বলছে………..
__চাচাজান ফুল নিবেন?????
__না অন্যকিছু নিমু(বিছড়ি ভাবে হেসে)
পুলিশের কথা শুনে মেয়েটা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।এখন কার পরিস্থিতি একটা ৮-৯বছরের মেয়েকেও অনেক মেচিউড করে তুলেছে। মেয়েটা লোকটার কথার ধরন বুঝতে পেড়ে সরে যেতে চাচ্ছিলো।কিন্তু তার আগেই লোকটা মেয়েটা হাত ধরে অন্যপাশে খালি জায়গায় নিয়ে যায় আর বাজে ভাবে টার্চ করে।ওয়াসেনাত এটা দেখে লোকটাকে ধাক্কা দিয়ে মেয়েটাকে ছাড়িয়ে চলে যেতে বলে।মেয়েটা দৌড়ে চলে যায়।এবার লোকটা ওয়াসেনাতকে দেখে বলে………….
__আরে এত হুর পরী।ওটাকে তো বাচালি নিজেকে কিভাবে বাঁচাবি (বলেই ওয়াসেনাতের হাত ধরে।)
__এই কুত্তা আমাকে দুর্বল ভাববি না।(হাতে কামড় বসিয়ে)
__শুন তোদের মত মেয়েরা রাত হলে অরিএানের মত বড় বড় কোটিপতিদের কাছে দেহ দিয়ে দেয়।আর এখন সাধু সাজোস।ব্যাইশা কথাকার
এটা শুনে ওয়াসেনাত লোকটাকে লাথি মেরে ইট খুঁজে নিয়ে দৌড়াতে শুরু করে।সবাই তাদের দিকে তাকিয়ে আছে।আসলে একটি হিজাব ওয়ালা মেয়ে যদি রাস্তাময় হাতে ইট নিয়ে বাবার সমান কাউকে দৌড়ায় এটা আমাদের আমজনতার দেখার মুখ্য বিষয় বলা যায়।
ওইদিকে অরিএানের আজ অনেক দেড়তে ঘুম ভাঙে।ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে রিমনকে খুজতে নিচে যায়। রিমন মাথায় কুল ওয়াটার ব্যগ দিয়ে রেখেছে আর হেনার সাথে কথা বলছে।হেনাকে সে বলেছে যাতে সব মেয়েকে বের করে দেয় আর যাতে কোনো মেয়েকে অরিএানের রুমে না পাঠায়। যে সকল মেয়েদের টাকা লাগবে তাদেরকে টাকা দিয়ে দিতে।অরিএান রিমনের অবস্থা দেখে বলে উঠে………….
__এই তোর কি হয়েছে???মাথায় এটা কেনো দিয়েছিস।অসুস্থ নাকি???🤨🤨
__আরে না তোর চিন্তা করতে করতে আমার এই অবস্থা। দিন দিন তুই যা দেখাচ্ছিস আমার তো নিজেরে পাগল মনে হচ্ছে। তা ভাই আমি কি যানতাম তুই প্রমে পড়লে এমন হয়ে যাবি🥺🥺
__জাস্ট শার্টআপ। আমি আগেও বলেছি এখনও বলছি আমি প্রমে পড়ি নাই।এখন ননস্টপ না বকে বাইকটা বাহিরে নিয়ে আস।আমি খেয়ে বর হবো।আর গার্ডসরা যাতে না আসে।
__ok(মনে মনে অবাক হল।অরিএানের লুক দেখে সে আর অবাক হতে পাড়লো না।তাই চুপ চাপ কাজ করতে শুরু করে দেয়)
অরিএান খাওয়াদাওয়া করে ওয়াসেনাত বাসার সামনে যেতে চেয়েছিল।কিন্তু দেড়ি হওয়ায় সে ওয়াসেনাতের ভার্সিটিতে চলে যায়। আর ভার্সিটির সামনে গিয়েই এই দৃশ্য দেখে বাকিটা সবার যানা। ;;;;;;;;;;;
ওয়াসেনাত প্রচণ্ড রেগে আছে।তার নীলাভ চোখের চারপাশে লাল হয়ে আছে।গালগুলো, নাক,যামি লাল হয়ে আছে। অরিএান ওয়াসেনাতকে ভাল করে দেখে নিচ্ছে। কালো রং ফর্সা শরীরে ফুটে উঠেছে। কালো হিজাবের মাঝে লাল গোড়া মুখটা অসম্ভব সুন্দর লাগছে। যেনো কোনো হুর মাটিতে নেমে এসেছে।অরিএান বলে উঠে………..
__লোকটাকে কেমন শাস্তি দিতে ইচ্ছে করছে????
__প্রথমে তার হাত কাটতে তারপরে জিহ্বাটা কেটে নিতে ইচ্ছে করছে।জানোয়ারটা যাতে আর কখনও কাউকে এভাবে টার্চ করতে না পাড়ে।আর নোংরা ভাষায় যাতে কথা বলতে না পাড়ে।(চিৎকার করে)
__হতে পাড়ে সে এমন শাস্তিই পাবে(ঠোঁট বাঁকিয়ে)
__কে দিবে শাস্তি আপনার পরিএান বস😡😡(কলার ধরে)আপনার জন্যে শাস্তি দিতে পাড়িনাই। কেনো ধরলেন তা না হলে এতক্ষণে কিত্তাটার মাথা ফাটিয়ে দিতাম।
__আসলে আমি অন্যকিছু মনে করেছিলাম।
__হুম আপনিতো মনে করবেনই। ফালতু লোক।
অরিএান বুঝতে পেড়েছে ওয়াসেনাত অনেক রেগে আছে সাথে তার মন টাও খারাপ। এটা অরিএান কিছুতেই মেনে নিতে পাড়ে না।তার তো ওয়াসেনাতের হাসি দেখতে ভালো লাগে।তই সে ওয়াসেনাতের মন ভালো করতে লেগে পড়ে।
হঠাৎ অরিএান ওয়াসেনাতের হাত ধরে হাটা শুরু করে। আকর্ষিক ঘটনায় ওয়াসেনাত অবাক হয়।অরিএান হাটছে।ফুটপাতের রাস্তা ধরে।তার সাথে ওয়াসেনাত। ফুটপাতে অনেক চুড়ি ওয়ালি চুড়ি বিক্রি করে।এটা ঢাকার বিখ্যাত কাচেঁর চুড়ির দোকান।অরিএানের কেনো যেনো খুব ইচ্ছে করছে ওয়াসেনাতকে কাঁচের চুড়ি পড়িয়ে দিতে।এবার সে তার ইচ্ছাটা ফোসন করেই বসে।সে বলে বসে………………….
__ওয়াসেনাত চলো কাঁচের চুড়ি দেখি।চুড়ি গুলো খুব সুন্দর।
ওয়াসেনাত হাবার মত তাকিয়ে আছে।একে তো তার মাথা গরম তার উপড় লোকটাকে শায়েস্তা করতে পাড়ে নাই এই লোকের জন্যে। সে বলে কিনা চুড়ি দেখতে।ভাবা যায়।হঠাৎ কিছু হাতে ডুকতে ফিল হলে ওয়াসেনাতের ঘোড় কাটে।সে তাকিয়ে দেখে অরিএান তার সামনে হাটু গেড়ে বসে তাকে লাল রং এর চুড়ি পড়িয়ে দিচ্ছে। অরিএানের চুড়ি পড়ানের ভাব দেখলে মনে হবে। পৃথিবীর সব চাইতে মুল্যবান কাজ করছে সে।হঠাৎ কারো কথায় তারা সামনে তাকায়।তাকিয়ে দেখে।একটা ছেলে আর মেয়ে তাদের ছবি তুলছে। আর বলছে…………………
__ wowwwস্যার আপনাদেরকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে।এক কথায় couples of gold।
__আরে স্যার আপনার যে gf আছে এটা তো জানাছিল না(অবাক হয়ে মেয়েটা বলল)
অরিএানের মাথায় হাত।এ মেয়ে তো তাকে চিনে। যদি বলে দেয় তখন কি হবে। ওয়াসেনাত এমনে তেও কেমন কেমন করে তাকাছে।অরিএান কিছু না ভেবে বলে উঠে……….
__এই তোমরা এদিকে এসো তো?
ওয়াসেনাতের কাছ থেকে কিছু দুরে গিয়ে। তাদের বলল…………
__হেই তোমরা আমাকে চিনোও
__আপনাকে কেনা চিনে স্যার (ছেলেটা বলল)
__স্যার আমি তো আপনার অনেক বড় ফ্যান। (মেয়েটা বলে উঠ)
__যাই হোক আমার সাথে যে মেয়েটা আছে সে আমাকে চিনে না মানে আমার আসল পরিচয় যানে না।so তার সামনে তোমরা এ ব্যাপারে কথা বলবে না।আর যে ছবিটা তুলেছ আমাকে দিয়ে দিবে।
তারা দুজনই হাবার মত তাকিয়ে আছে।অরিএানের কথা গুলো তাদের মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। তারপরও মাথা নেড়ে হ্যাঁ বললো। অরিএান আবার ওয়াসেনাতের কাছে গেলো। ওয়াসেনাত ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে।অরিএান ব্যাপারটা বুঝতে পেড়ে বলে উঠে………
__আসলে ছবিটা আনতে গিয়েছিলাম।অনেক সুন্দর হয়েছে বলেছে তো তাই।
__হ্যাঁ হ্যাঁ আপু ওনি ঠিক বলছ।(ছেলে _মেয়ে)
ওয়াসেনাত কিছু বলে নি।কারন তার মন খারাপ।তার এখন কিছুই ভালো লাগছে না।তাই সে চুপ করে আছে।অরিএান ওয়াসেনাতের জন্যে অনেক গুলো কাঁচের চুড়ি কিনেছে। তারপর ওয়াসেনাতকে নিয়ে সামনের বড় ফুলের দোকানে যায়।তারপর কিছু সাদা গোলাপ ওয়াসেনাতের দিকে এগিয়ে দেয়।ওয়াসেনাত ফুলগুলোকে একবার দেখছে তো অরিএানকে একবার দেখছে।সে এতক্ষণ অরিএানের দিকে নজরই দেয় নাই। ছেলেটা আজ অন্যরকম সাজে এসেছে।কালো টিশার্ট, উপড়ে কালো জেকেট, কালো জিন্স,পায়ে কনভার্স,চুলগুলো আগের মতই।এই লুকে অরিএানকে দেখলে যেকেউ ফিট হবে।ওয়াসেনাত অবাক হয়ে ভাবছে এই গরমে অরিএান জেকেট কেনো পড়েছে।তবে তাকে অসাধারণ সুন্দর লাগছে।সাদা গোলাপ দেখে ওয়াসেনাতের মন কিছুটা ভালো হয়ে যায়।সে ফুলগুলো নিতে নিতে এক চিলতি হাসি দেয়।অরিএান তো হা করে তাকিয়ে আছে। সে জানতোনা কোনো মেয়ে সাদা গোলাপ পেয়ে এত খুশি হয়। ব্যাপারটা অদ্ভুত লাগলেও তার কাছে এখন হাসিটা মূল্যবান। তাই হাসির দিকেই তাকিয়ে আছে।ওয়াসেনাত বলে উঠে………….
__thanku.
__এই গোলাপে কি আছে বলবে।যার কারনে এটা তোমার এত প্রিয়।
__সাদা গোলাপের বিশেষ একটা বৈশিষ্ট্য আছে।যা এটাকে সবার থেকে আলাদা করে।
__কি বৈশিষ্ট্য???
__সাদা গোলাপ সৌন্দর্য এবং শান্তি দুটোই এক সাথে বহন করে।
অরিএান তাকিয়ে আছে। আর ভাবছে।এত বিশ্লেষন করে কেউ ফুল পছন্দ করে এটা তার যানা ছিল না।আসলে অনেক কিছুই তার জানা নেই যা ওয়াসেনাত প্রতি নিয়ত জানাচ্ছে। ওয়াসেনাতের ডাকে অরিএানের হুশ আসে………..
__এভাবে তাকিয়ে থাকবেন না।পরে আবার প্রেমে পড়ে যাবেন।
__প্রেমে পড়লে কি সমস্যা।(আনমনে বলে উঠে)
__অবশ্যই সমস্যা আছে।আমি চাই না সুন্দর ছেলে আমার প্রেমে পড়ুক বা আমি তার প্রেমে পড়ি।
__কেনো???সুন্দর ছেলেদের মাঝে ভেজাঁল থাকে তাই।
__এটাও ঠিক তবে তার চাইতে বড় ব্যাপারটা হল সুন্দর ছেলেদের নিয়ে ঝুঁকি বেশি।কত মেয়ে যে এদের জন্যে পাগল হয় আল্লাহ মালুম।আর এরাও এমদম ক্যারেক্টার লেস হয়। আর আমার ক্যারেক্টারলেস ছেলেদের একদম পছন্দ না।তাই আমি সুন্দর ছেলেদের প্রেমে পড়তে চাই না।বেসস
অরিএান কিছু বলল না।তার মুখ একদম চুপসে গেছে।কি বলবে বা করবে তার কিছুই মাথাই আসছেনা। অরিএানকে এখাবে চুপ থাকতে দেখে ওয়াসেনাত বলে উঠে……….
__চলেন ফুচকা খাই।আর আজকের টা আমি খাওয়াবো।
__তুমি রাস্তায় বসে ফুচকা খাবে????(অবাক হয়ে)
__তো কি হয়েছে। আমি ফুটপাতের খাবারের দোকানের খাবার খেতে পছন্দ করি। আমার তো সেই লাগে আপনারও ভালো লাগবে চলেন(অরিএানের হাত ধরে টানতে টানতে)
দোকানের সামনে এসে ওয়াসেনাত দুই প্লেট ফুচকার ওডার দেয়।অরিএান চারিপাশে ভালো করে তাকিয়ে নাকছিটকে দাড়িয়ে আছে। কি বিছড়ি পরিবেশ । তার এখন এখান থেকে লাফিয়ে চলে যেতে ইচ্ছা করছে।কিন্তু কিছু করার নেই। তাই দাড়িয়ে আছে।ওয়াসেনাত প্লেট পেয়ে খাওয়া শুরু করে। ঝালের কারনে ওয়াসেনাতের লাল ঠোঁট জোড়া আরও টুকটুকে লাল হয়ে আছে।অরিএানের তো ইচ্ছে করছে ঠোঁট গুলো ছুঁয়ে দিতে সাথে একগাদা চুমু খেতে।তবে কিছুই করার নেই তাই তাকিয়েই আছে।ওয়াসেনাত বলে উঠে…………….
__খান কা।
__আমি খাইনা ফুচকা(নাকটা একটু বিকৃত করে)
__এই আপনাদের ছেলে জাতির বড় সমস্যা।আসল জিনিসের মজা নিতে জানেন না।ফাউলল কোথাকার।গরুর দল।খান বলছি(একটা ফুচকা অরিএানের মুখে ডুকিয়ে)
অরিএান সব সময় বিদেশি খাবার খায়।সে ইতালিয়ান খাবারই বেশি পছন্দ করে।তেল জাতিয় খবার মশলা জাতিয় খাবার সে খায় না।তার উপড় ঝাল তো সে একদমই খেতে পাড়ে না।তাই ফুচকার ঝালে তার সম্পূর্ণ মুখ লাল হয়ে গেছে।ওয়াসেনাত এটা দেখে হু হা করে হেসে উঠে……….
__এই আপনাদের আর এক সমস্যা ঝাল খেতে পারেন না। আবুল। চাচা শুকনা ফুচকা দেনতো।(দোকানদারকে উদ্যেশে)
দোকানদার চাচা শুকনা ফুচকা দিলে ওয়াসেনাত তা অরিএানে মুখে ডুকিয়ে দেয়।অরিএান হা করেই আছে।যা দেখে ওয়াসেনাত তার যামি চেপে মুখ বন্ধকে বলে উঠে………………
__আপনি খুব কম কথা বলেন।যেটা আমার একদম পছন্দ না।
__আর আমার বেশি কথা বলা পছন্দ না।
__মানে কি??আপনি কি বলতে চান আমি বেশি কথা বলি।আমাকে আপনার পছন্দ না।যান ভাগেন আর আমার পিছনে পিছনে আসবেন না।আপনি আমাকে বাচাল বলতে চাচ্ছেন।😡😡😡😠😠😠।চাচা টাকা টা রাখেন। (টাকাদিয়ে রেগে হাটা শুরু করে)
__এই আমি এমন কিছুই বলি নি।(পিছনে যেতে যেতে)
__তো কেমন কিছু বলছেন।একদমই পিছনে পিছনে আসবেনা।(আঙুলদেখিয়ে)
__এই sssorry.
ওয়াসেনাত শুনেও না শুনার ভান করে রিকশায় উঠে যায়।রিকশায় উঠে বলে উঠে…….
__ক্ষমা মহত গুন।তাই ক্ষমা করে দিলাম।আসলে আম্মুুুু কল দিচ্ছে তাই তাড়াতাড়ি যেতে হবে।টাটা(খিলখিল করে হসে বলে উঠে)
ওয়াসেনাতের কান্ড দেখে অরিএান কিছুক্ষণ তাকিয়ে তাকে।তারপর ওয়াসেনাতের কথাগুলো মনে করে আনমনে হেসে উঠে।যা এই ১৫বছর পরে প্রথম হয়েছে।নিজের হাসিতে নিজেই অবাক।ওয়াসেনাত চুড়িগুলো নেয় নি।তবে ফুলগুলো নিয়েছে।অরিএান চুড়িগুলো নিয়ে হোটেলে চলে এসেছে। পড়ে দেখা হলে দিবে এটা ভেবে।
ওয়াসেনাত বাসায় এসে তার আম্মুুুুকে সব বলে আর প্রচুর কাদে।কান্নাটা তার হাত ধরার জন্যে না।মেয়েটার জন্যে। যদি সে ওখানে না থাকতো তবে কি হত বাচ্চা মেয়েটার সাথে ভাবতেই তার খুব কান্না পাচ্ছে।ওয়াসেনাত তার রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে ব্যগ থেকে ফুলগুলো বের করে দেখছে আর হাসছে। হাসির একমাএ কারন অরিএান।ওয়াসেনাত যখন রাগ করে চলে আসছিল তখন অরিএানের চেহারাটা দেখার মত ছিল।দেখে মনে হয়েছে গণপিটুনি খেয়েছে।ব্যাপারটা মনে পড়তেই ওয়াসেনাত হেসে উঠে।😂😂
আন্ধকার রুমে একটা লোকে বেধে রাখা হয়েছে।অরিএান তার সামনে বসে আছে।তারসাথে রিমনও আছে।অরিএান লোকটাকে উদ্যেশে করে বলে উঠে……………
__তোর বাড়িতে কে কে আছে???
__স্যার এবারের মত মাফ করে দেন(কেঁদে কেঁদে)
__আমি কি তোকে এটা জিগ্যেস করেছি??(ভয়ংকর ভাবে চিৎকার করে)
__১ছেলে১মেয়ে আর আমার বউ।(ভয়ে ভয়ে)
__ভালো। তোর তো মেয়ে আছে।তাই না।তাহলে…..থাক তোদের মত জানোয়ারের সাথে এইসব কথা না বলাই ভালো।তা তোর বেতন কত??
__স্যার ২৫হাজার।
__আজ থেকে যদি তোর পরিবার প্রতি মাসে ১ লাখটাকা করে পায়। তাহলে তোর মতামত কি??
লোকটা এবার আর কথা বলতে পাড়ে নাই।সে চিৎকৃত করে কাদঁছে। কারন সে যানে অরিএান মানুষ মারতে দ্বিতীয় বার ভাবে না।আর সে যাদের মারে তাদের পরিবারের দায়িত্ব সে নিজে নেয়।এটা সম্পূর্ণ পুলিশ,আর্মি, সকল প্রকার বাহীনি যানে।তাই সে ভয়ে কাদঁছে। আজ তাকে কেউ বাঁচাতে পাড়বেনা।
__তুই যা ভাবছিস তাই ঠিক।জানোস আমি তোকে নিজের নিয়মে কোনো শাস্তি দিবোনা।যে মেয়েটার হাত ধরেছিস তার নিয়মে দিবো।আল্লাহ তোর উপড় খুব দয়া করেছে। ওই মেয়ে তোর মত জানোয়ারের জন্যে খুব কম শাস্তি বরাদ্দ করেছে।দেখ তোকে আমি ছেড়ে দিতাম।তবে কি জানোস ওই মেয়ে আছে না যার কোমল হাত ধরতে আমি দুবার ভাবি। তার হাত তুই খুব সহজেই ধরে ফেলেছিস।ওটাই তোর ভুল।আর ওই বাচ্চা মেয়েটার গায়ে নোংরা স্পর্শের জন্যে ও খুব কষ্ট পেয়েছে যা আমার এখানে লেগেছে(বুকের বা পাশে হাত দিয়ে)ভাববিনা সে আমার প্রমিকার। আমি কিন্তু তার প্রেমে পরেছি কিনা তা যানি না।তবে তাকে আমার খুব প্রয়োজন। আর অরিএান খান তার প্রয়োজনীয় জিনিসের খুব ভালো ভাবে যত্ন নিতে পাড়ে।যাই হোক ওকে কষ্ট দিয়ে তুই ভালো করোস নাই।কিন্তু দেখ এত কষ্ট পেয়েও সে তোর জন্যে কত সহজ শাস্তির কথা বলেছে।ভাবা যায়।আসলেই তার মন মাটির তৈরি যা থেকে হাজারও ফুল জন্মনিতে পাড়বে।আমি কম কথা পছন্দ করি but দেখ তোর সাথে কত কথা বললাম।
অরিএান আর কথা বরালো না। সে ধামা দিয়ে লোকটি হাত দুটি আলাদা করে দিলো।তারপর জিহ্বাটা টেনে কেটে দিলো।লোকটি চিৎকার করতে পাড়ে নাই সুধু গোং রানির সাউন্ড বের হয়ে আসছে।রিমন অবাক হল অরিএান এত হিংস্র রুপ দেখে। সে এর আগেও অরিএানকে মানুষ খুন করতে দেখেছে।তবে অরিএান নিজে কখনো নিজের হাতে কাউকে খুন করে নাই এই প্রথম হাত কেটেছে।তবে আজ বড্ড বেশি হিংস্র মনে হয়েছে।
রিমনকে বলা হয়েছে লোকটাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে এবং তার পরিবারের সব দায়িত্ব অরিএান নিয়েছে এটা তাদের বলে দিতে। আর বলতে বলছে এর এই আবস্থা সন্ত্রাসিরা করেছে।
অরিএানের মেঝাজ প্রচণ্ড গরম।সে ভাবছে রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তবে মানুষ কার কাছে নিরাপদ থাকবে।কত মেয়ে যে এবাবে Defamation এর শিকার হচ্ছে এর কোনো হিসাব নাই।আর যারা rape এর শিকার হচ্ছে তারা তো সঠিক বিচারই পাচ্ছে না।আসলে পাবে কি ভাবে এখন তো রক্ষক রাই ভক্ষক। হ্যাঁ এটা ঠিক সে অনেক মেয়ের সাথে রাত কাটিয়েছ। তবে কারো সাথে জোড় করে না।তবে এটা তার উচিত হয় নি তাই সে মনে মনে অনুতপ্ত হচ্ছে।ওয়াসেনাত নামের মেয়েটা তার জীবনে না আসলে হয় তো তার এই অনুতপ্ত জাগতোই না।অরিএানের এই ওয়াসেনাত নামের মেয়েটাকে খুব খুব প্রয়োজন। এই একটা মেয়েই তার দুঃখ কমাতে পারে।তাকে হালকা করতে পাড়ে। তার ক্ষত স্থানে মলম দিতে পাড়ে।(কথাগুলো ভাবছে আর শাওয়ার অন করে ভিজছ)
কলিং বেলের সাউন্ডে ওয়াসেনাত ঘুমঘুম চোখে দরজা খুলে দেয়।তবে সামনে থাকা ব্যক্তিকে দেখে তার ঘুম নিন্দ্রা সব উড়ে যায়।………🍁
🍂চলবে……….
🍂🍁আমি অনেক দুঃখীত দেরিতে গল্প দেওয়ার জন্যে।plzzzসবাই আল্লাহর দেওয়া মহান গুন ক্ষমার চোখে দেখবেন।আমি আবারও বলছি আমি দুঃখীত🥺🥺
🍂🍂