“ফাইট্টা যায় বুকটা ফাইট্টা যায় আমার বন্ধু যখন বউ লইয়া আমার বাড়ির সামনে দিয়া রঙ্গ কইরা হাইট্টা যায়।” বিহান ভাই মনে হয় কিছুক্ষণের জন্য মনে হয় হ্যাং হয়ে গেলেন।চারদিকে যত মানুষ ছিলো সবার এটেনশন গানের দিকে চলে গেলো।বিভা আপুর ফ্রেন্ড বলে উঠলো কোন ক্ষ্যাতের ফোনের রিংটোন রে এইটা।
“আপনি আমাকে খাসি বললেন কেনো বিহান ভাই?আমি কি পুরুষ মানুষ যে খাসি হতে যাবো।” “তোর যে কানেও সমস্যা আছে এটা তো জানতাম না দিয়া।আচ্ছা তুই মানে কি সমস্যার গোডাউন।এত সমস্যা তোর কি হবে তোর জামাইয়ের।বেচারার জীবন টাই ত্যানা ত্যানা হয়ে যাবে।” “আমার কানে সমস্যা মানে।আমার কানে কবে সমস্যা ছিলো বিহান ভাই।
থানচির রাস্তাকে পাশ কাটিয়ে ওরা বেশ কিছুদূর এসে পড়েছে। দুজনে পাশাপাশি হাঁটছে। একপাশে বিশাল পাহাড়, অন্যপাশে গভীর খাদ। পাহাড়টা যেখানে ছোট হয়ে এসেছে সেখানে সেখান থেকেই জঙ্গল শুরু। ওদিকটায় গিয়েই হঠাৎ মুগ্ধ দাঁড়িয়ে পড়লো। তিতির বলল, -“কি হলো?” মুগ্ধ তিতিরকে দেখালো যায়গাটা। তিতির বলল, -“জঙ্গল দেখে কি করবো?”
পরী তৎক্ষণাৎ শায়েরের হাত মুঠোয় নিয়ে বলে, 'আপনি ছাড়া আমি পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির কাছেও সুখি থাকতে পারবো না। তাই এই প্রশ্ন আপনি কখনোই করবেন না।'
ক্রিসক্রিংগল থমকালেন। ভয়ংকর ভাবে চমকালেন। পায়ের কাছ থেকে কিচকে কোলে তুলে নিলেন। কিন্তু কিচ ছটফট করতে শুরু করল। মনে হলো ও কিছু বলতে চায়ছে। ক্রিসক্রিংগল উদ্বিগ্ন হয়ে জিজ্ঞেস করলেন,
- কিচ! সিয়া কোথায়?
তপ্ত দুপুরে স্ট্যান্ডের রাস্তা ধরে শো শো করে বড়ো বড়ো গাড়ি যাচ্ছে , সাইকেলের আনাগোনা খুবই কম। চারিদিক কোলাহলের শব্দে মুখরিত। এই কোলাহলে একে অপরের কথোপকথন হয়তো শোনা যাবে না । তাও সুদেষ্ণার বন্ধুগন সুদেষ্ণার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে অধির আগ্রহে…… সুদেষ্ণা সবার কৌতূহলী মুখের দিকে চেয়ে বলা শুরু করলো„„„„„ […]
কুয়াশাচ্ছন্ন ভোর৷ অর্ধাঙ্গিনীকে নিয়ে পরিপাটি হয়ে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ল সৌধ। ড্রাইভিং সিটে বসেছে সে। পাশে সিমরান৷ সৌধর চোখে স্টাইলিশ সানগ্লাস। পরনে ধূসর বর্ণের শার্ট, কালো প্যান্ট এবং শার্টের ওপর কালো রঙের কোটি ব্লেজার। সেই কিশোরী বয়স থেকে সৌধর স্মার্টনেস, গেটআপ আর ব্যক্তিত্বে ভীষণ দুর্বল সিমরান৷
"তোকে ভালবাসি, এক পৃথিবী সমান ভালবাসি। এই পৃথিবীতে বড় একটা নোটিস লাগাবো।যেখানে লিখে রাখবো এই পিচ্চি টা আমার মানে আমার।এই পিচ্চিকেই লাগবে আমার।এই আনম্যাচিউর, কম বোঝা পিচ্চিকেই চাই আমার।পিচ্চির শহরে অন্য কারো প্রবেশ নিষিদ্ধ। এই নিষিদ্ধ শহরে থাকবে শুধু আমার বসবাস।"
ধীরে ধীরে সময় গড়ায়।রাত গভীর হয়।টেবিলের উপর মৃদু আলোয় মোমবাতি জ্বলে।চেয়ারে পিঠ ঠেকিয়ে চোখ বুজে নেয় সিয়া।হঠাৎ দরজার বাইরে বারান্দার দিকে থেকে কারো কন্ঠস্বর শুনতে পায়
ওর কণ্ঠে বিস্ময়ের সুর৷ রুমাইশা নিজের মুখ টা কালো কাপড়ে কায়দা করে বাধতে বাধতে মৃদু স্বরে বলল
— এই পৃথিবীতে যদি আমার সবচেয়ে বেশি চেনা কোনো ঘ্রাণ থাকে, তবে সেটা আপনার শরীরের ঘ্রাণ৷
শুভ্র পাঞ্জাবি ছেড়ে সাদা টি-শার্ট পরে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়েছে আশমিন।চুল থেকে টপটপ করে পানি পরছে। শরীরের থেকে তার মনের ক্লান্তি বেশি।নূর গুটিশুটি মেরে শুয়ে আছে।আধঘন্টা আগে স্যালাইন শেষ হয়েছে।এতক্ষণ সে নূরের হাত ধরেই বসে ছিল।
'ভালো যেমন বাসবো শাসন ও করবো।আপনি যদি উনার প্রতি জেলাস হোন আমি আপনাকে শাসন করবো।আর উনি হলে উনাকে।দূজন আপন হয়ে থাকবেন।হিংসা,ঈর্ষা এ দূটো জিনিস কখনোই যেনো আমার প্রিয়তম স্ত্রীদের মধ্যে না দেখি।''ভালো যেমন বাসবো শাসন ও করবো।আপনি যদি উনার প্রতি জেলাস হোন আমি আপনাকে শাসন করবো।আর উনি হলে উনাকে।দূজন আপন হয়ে থাকবেন।হিংসা,ঈর্ষা এ দূটো জিনিস কখনোই যেনো আমার প্রিয়তম স্ত্রীদের মধ্যে না দেখি।'
মানুষ মানুষকে মাত্র(.৫০)পয়সা কিভাবে দিতে পারে ভাবা যায়।এটা এক মাত্র ওই আধ্যাতিক মানুষ টার পক্ষেই সম্ভব।উনার জন্য গেম টা নিশ্চিত হেরে গেলাম আমি।আসলে উনাকে বোকা বানানো এতটা সোজা নয়।এর পর বিভোর ভাই বিহান ভাই কে ডেয়ার দিলেন যে কাউকে খুব জোরে একটা থাপ্পড় মারতে হবে?মেহু আপু জিজ্ঞেস করলো বিহান ভাই থাপ্পড় মারলে
ওয়াসেনাত সামনে তাকিয়ে আছে। আজ কত দিন পড়ে সামনের লোকটাকে দেখছে।সে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারে নাই তাই ছাপিয়ে পড়ে তাকে জড়িয়ে ধরেছে।লোকটিও তাকে অতি যত্নে আগলে ধরে আছে।অনেকক্ষন ধরে ওয়াসেনাতকে না আসতে দেখে তার মা হাতরাতে হাতরাতে দরজার সামনে এসে থমকে যায়।সেই পরিচিত চিরচেনা ঘ্রাণ নাকে এসেছে বলে কথা।থমকে
ঘুম থেকে জেগে প্রতিবারের ন্যায় আজো অর্ক নিজেকে ব্যালকনিতে আবিষ্কার করলো।তবে অন্যদিনের তুলনায় আজকে অর্কের সাথে ব্যাতিক্রম ঘটনা ঘটেছে।প্রতিবার এই ব্যালকনিতে ঘুমিয়ে যাওয়ার পরে হয়তো আয়েশা বেগমের ডাকাডাকিতে অর্কের ঘুম ভাঙে
সকাল থেকেই কামিনী চৌধুরী কে খুব খুশি খুশি লাগছে।নূর তীক্ষ্ণ চোখে সবকিছু অবলোকন করেছে।মায়া বেগম নিজের মতো কাজ করে যাচ্ছেন। বিয়ের পর থেকে কিচেন সে সামলায়।এখন আর সেফের রান্না না খেয়ে সবাই তার হাতের রান্না ই খায়।তবে কামিনী চৌধুরীর খাবার সেফ রান্না করে।
নিস্তব্ধ পরিবেশ, চারিদিক থেকে পাখির “কিচিরমিচির” এর শব্দ শোনা যাচ্ছে। হিম শীতল ঠান্ডা বাতাস বইছে,,,,,,,, সুদেষ্ণা গায়ের চাদরটাকে আর একটু জরিয়ে নিয়ে তাকালো বেলকোনি থেকে রাস্তার দিকে , গাড়ি গুলো শো’ শো’ শব্দ করে তীব্র বেগে ছুটছে। সুদেষ্ণা এক ভাবে রাস্তার দিকে তাকিয়ে রইলো, ভুলেও পাশে দাঁড়ানো মানবটার দিকে তাকালো
এতকিছু শুধুমাত্র পরীর জন্য!! একটা মানুষ ঠিক কতটা ভালবাসলে এতকিছু করতে পারে!!! নিজের জীবন সংকটে ফেলতে পারে!!
সবকিছু একসাথে পাওয়া অসম্ভব। দুনিয়া কে তুমি যা দেবে দুনিয়াও তোমাকে তাই দেবে।'
জঙ্গলের ভেতর টা আজ কেমন জানি নিশ্চুপ। বেলা হয়েছে অনেক খানি, কিন্তু অন্যান্য দিনের মতো আজ পাখিদের কলরব নেই তেমন৷ মাঝে মাঝে বাতাসের কারণে গাছের শুকনা পাতা গুলো মরমর ধ্বনি করছে, আর সেই সাথে বাতাসের শন শন শব্দ শোনা যাচ্ছে থেকে থেকে।