তোমাকে | মুন্নি আক্তার প্রিয়া | পর্ব – ১৬

বাড়িতে ফিরে সেই যে ওয়াশরুমে ঢুকেছে পরী এখনো ফেরার নাম নেই। ১ঘণ্টা হতে চলল এখনো গোসল করছে। মেহেনুবা আধ ঘণ্টা ধরে ঘরের মধ্যে পায়চারী করছে। রেহেনা বেগম একটু পরপর এসে দরজায় ধাক্কাচ্ছেন। এবারও তিনি রুমে এসে দেখেন মেহেনুবা একা রুমে…

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ১১

একটা মানুষ কোন লেভেল এর ফাজিল হলে আর খারাপ হলে তার মেয়েকে ভয় দেখানোর জন্য তার বাবার পাঞ্জাবী মধ্য রাতে নিয়ে বকুল গাছে গিয়ে আটকাতে পারে।আমার বাবার পাঞ্জাবীর দিকেই নজর গেলো উনার।মনে চাইছে মারাত্মক আকারের একটা প্রতিশোধ নিয়ে নেই কিন্তু কিভাবে নিবো সেটাই তো বুঝতে পারছি না।

তোমাকে | মুন্নি আক্তার প্রিয়া | পর্ব – ২৪

রেহান মুচকি হেসে বলে, “আসসালামু আলাইকুম বেয়াইনসাব।” পরী বিড়বিড় করে বলে, “শালায় আবার গান শুরু করবে নাকি!” কিন্তু মুখে লম্বা হাসি ফুঁটিয়ে বলে, “ওয়ালাইকুম আসসালাম। ভালো আছেন?” “আলহামদুলিল্লাহ্‌ বেয়াইনসাব। আপনি?” পরী মৃদু হেসে বলে, “জি, আলহামদুলিল্লাহ্‌।” রেহান চাচির দিকে তাকিয়ে…

আমি পদ্মজা

আমি পদ্মজা | পর্ব – ৬২

মৃদুল এদিকওদিক দেখে বলল,'লিখন ভাই, চলো চইলা যাই।' অসহনীয় যন্ত্রনায় লিখনের কপালে বিন্দু,বিন্দু ঘাম জমেছে। সেসবকে তোয়াক্কা করে সে বলল,'পদ্মজার খোঁজ নিতে হবে আগে।'

হৃদ রোগ | পর্ব ১২

সময় প্রবহমান, সময় কারোর জন্য থেমে থাকে না। নবীনবরণ অনুষ্ঠানের পর কেটে গেছে বেশ কয়েক দিন, এই কয়েক দিন সুদেষ্ণারা কেউ কলেজ যায়নি । তার অব্শ্য কারন আছে , চনন্দননগর কলেজে সেকেন্ড সেমিষ্টার এর পরীক্ষা চলছিলো তাই সুদেষ্ণাদের ছুটি ছিলো কাল থেকে আবার কলেজ যাবে। সেকেন্ড সেমিষ্টার এর পর সুদেষ্ণাদের

অঙ্গনে হৃদরঙ্গন | পর্ব – ৩

কাপড়ের ব্যাগের এক কোণে পলিথিনে মোড়ানো দুইটা রুটি আছে। এখানে আসার পথে তিনটা কিনেছিলো, একটা খাওয়া হয়েছে দুইটা রয়ে গেছে। পঞ্চাশ টাকা বাঁচিয়ে সেখান থেকে একটা রুটি দিয়েই নাস্তা সেড়ে নেওয়ার কথা ভাবলো। পানি পানের জন্য খালি বোতলটা নিয়ে বাথরুমে গেলো।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ২২

আজ বিহান ভাই আর আমার মাঝে কোনো দূরত্ব নেই।মনে হচ্ছে মনের খুব কাছাকাছি চলে এসছি আমরা।ছাদে সবার আড্ডার মাঝে বার বার চোখাচোখি হচ্ছে আমাদের।কাজিন রা সবাই মিলে অনেক আনন্দ করছিলাম আমরা।কিছুক্ষণ পরেই কেক কাটবো আমরা।নিচ থেকে বিভোর ভাই এর আম্মু ডাকলেন কারা যেনো এসছে বাড়িতে।
বাইজি কন্যা

বাইজি কন্যা | পর্ব – ৬৭ (শেষ পর্ব)

কোন এক গভীর রজনীতে প্রথম দর্শনেই হৃদয় হরণ হয়েছিল ডক্টর প্রণয় চৌধুরীর। প্রচণ্ড শক্ত মন'টা অতিসন্তর্পণে চুরি করে নিয়েছিল মাত্র পঞ্চাদশী এক কিশোরী।
এক সমুদ্র প্রেম

এক সমুদ্র প্রেম – ৫৮

আফতাব অস্থির,অধীর। গলবিলটা কেমন ফ্যাসফ্যাস করছে দুশ্চিন্তায়। মস্তকের সমগ্র কোষ যেন স্বীয় জায়গায় থমকেছে। ঘামছে বয়ষ্ক গতর। বাড়ি ফেরা থেকে এক দন্ড শান্তিতে বসতে পারছেন না। ভেতরটায় কেমন করছে! ক্ষণ বাদে বাদে মুচ*ড়ে উঠছে বা-পাশ।
আমি পদ্মজা

আমি পদ্মজা | পর্ব – ২১

সারা বাড়ির সব কাজ শেষ করে, হেমলতা ক্লান্ত পায়ে হেঁটে ঘরে আসেন। মোর্শেদ সবেমাত্র শুয়েছেন। হেমলতা বিছানার এক পাশে কাত হয়ে শুয়ে চোখ বন্ধ করেন। মোর্শেদ হেমলতার দিকে ফিরে ধীরকণ্ঠে বলেন,’ধানের মিলটা পাইয়া যাইতাছি।’ মোর্শেদের গলা দূর্বল হলেও খুশিতে চোখ…

আমি পদ্মজা

আমি পদ্মজা | পর্ব – ৩

‘আপা,স্কুলে যাবা না?’ পূর্ণা পদ্মজাকে জিজ্ঞাসা করল। ‘যাব।’ ‘তাড়াতাড়ি করো।’ তাড়া দিয়ে পূর্ণা বাড়িতে ঢুকল। পদ্মজা বাড়ির পিছনের নদীর ঘাটে উদাসীন হয়ে বসে আছে। এ নদীর নাম মাদিনী (ছদ্মনাম)। গ্রীষ্মকাল বিদায়ের তিন সপ্তাহ চলছে। এখন বর্ষাকাল। মাদিনী জলে কানায় কানায়…

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৩৮

সকাল দশ টা বাজে সূর্যমামা তার পূর্ণ উত্তাপ ছড়িয়ে দিয়েছে পৃথিবীতে।ক্রমশ প্রকৃতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।আরো এক ঘন্টা আগে গোসল করে চুল ফ্যানের নিচে দিয়ে সুয়ে আছি।চুলের পানি ঝরলে চুল বেঁধে রেডি হয়ে নিলাম।এই গরমে কি পোশাক পরবো সেটা ভেবে দিশেহারা।আবার খারাপ পোশাক পরেও যাওয়া যাবে না।কাল সারারাত উত্তেজনাতে ঘুম হয় নি।
আমি পদ্মজা

আমি পদ্মজা | পর্ব – ৫৩

লিখন পদ্মজার যাওয়ার পানে তাকিয়ে থাকে। তার অশ্রুসজল চাহনি। তবে বুকে প্রশান্তি। জীবনের খরতাপ দহনে মায়াময় পদ্মজার কণ্ঠ,একটু দেওয়া সময় তার বুকে প্রশান্তির ঢেউ তুলেছে।
আমি পদ্মজা

আমি পদ্মজা | পর্ব – ৬০

আমির জবাব না দিয়ে হাতে থাকা সুন্দর কাচের হারিকেনটি পাশে রাখল। তারপরই পদ্মজা কিছু বুঝে উঠার আগে পদ্মজাকে কোলে তুলে নিল। পদ্মজা আমতাআমতা করে শুধু বলতে পারল,'এ...এ...ই কি...কি?'
আমি পদ্মজা

আমি পদ্মজা | পর্ব – ৮৪

আমির ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রয়েছে। পদ্মজা দূরে সরে দাঁড়ালো। আমিরের কৃষ্ণ মুখে, বিপর্যস্ত পদ্মজার নিষ্কম্প স্থির চোখের দৃষ্টি থমকে আছে। পদ্মজা থেমে থেমে বললো,' তাহলে আমি...আমিও বঞ্চিত ভালোবাসা থেকে!'

ইট পাটকেল | পর্ব – ১৪

ছাদের রেলিংয়ে পা ঝুলিয়ে বসে আছে আশমিন।সব সময় গোছানো ছেলেটা আজ প্রচন্ড অগোছালো হয়ে নিজের জীবনের হিসেব মিলাতে ব্যস্ত। অনুভূতিহীন চোখ গুলো আজ পরাজিত সৈনিকের মতো নত হয়ে আছে।আমজাদ চৌধুরী এসে সন্তপর্ণে ছেলের পাসে বসলো।আশমিন বাবার দিকে একবার তাকিয়ে আবার নিচের দিকে তাকিয়ে রইলো।
আমি পদ্মজা

আমি পদ্মজা | পর্ব – ৪৫ | প্রথম খন্ডের শেষ পর্ব

দেখতে দেখতে চলে এসেছে শীতকাল। সকাল দশটা বাজে। অথচ,কুয়াশার চাদরে চারিদিক ঢাকা। ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আছে পদ্মজা। মনটা কু গাইছে। বুকে অজানা একটা ঝড় বইছে। স্থির হয়ে কোথাও দাঁড়াতে পারছে না। ঢাকা আসার পর থেকে নিয়মিত পূর্ণার লেখা চিঠি পেত। প্রায়…

আমি পদ্মজা

আমি পদ্মজা | পর্ব – ৫৯

আজিদের বাড়ির সামনে পুকুর আছে। সেখানে নতুন ঘাট বাঁধানো হয়েছে। ঘাটে গোসল করছে আজিদের বউ আসমানি। মাসেক ছয় আগেই বিয়ে হলো। আসমানির সাথে পূর্ণার অনেকবার কথা হয়েছে। পূর্ণা আসমানিকে দেখেনি। আসমানি পূর্ণাকে দেখে ডাকল,'কি গো পূর্ণা! ফেইরাও চাইলা না। ভাবিরে চোক্ষে পড়ে নাই?'
মধ্যরাত্রে সূর্যোদয়

মধ্যরাত্রে সূর্যোদয় | পর্ব – ৩ | ম্লান আশার আলো

রোজ রাতে ওর ডায়রি খুলে বসতাম আর ওর হাতের লেখা পড়ে মনে হত যেন ও মার পাসে বসে আমার সাথে কথা বলছে। বুকের মাখে এক নতুন আশার আলো উঁকি দিয়ে ওঠে। ছোটমা আর বাবু আমার হাসি মুখ দেখে খুশি। ওরা ভাবে যে আমি পুরানো কথা ভুলে গেছি, কিন্তু আসল কথা যে আমার বুকে, ও যে ডায়রির মাধ্যমে রোজ রাতে আমার সাথে কথা বলে।

অফিডিয়ান | পর্ব – ২২

আত্মহত্যা করার আগে ল্যাব টা কে সাফওয়ানের ব্যাবহার উপযোগী করে রেখে গেছেন তিনি। ল্যাবটিতে অসংখ্য প্রাণির দেহাবশেষ কেমিক্যালে চুবানো ছিলো, সেগুলো সব অপসারণ করে রেখেছিলেন মোস্তফা।