ঘুম থেকে জেগে প্রতিবারের ন্যায় আজো অর্ক নিজেকে ব্যালকনিতে আবিষ্কার করলো।তবে অন্যদিনের তুলনায় আজকে অর্কের সাথে ব্যাতিক্রম ঘটনা ঘটেছে।প্রতিবার এই ব্যালকনিতে ঘুমিয়ে যাওয়ার পরে হয়তো আয়েশা বেগমের ডাকাডাকিতে অর্কের ঘুম ভাঙে, নয়তো সূর্যোদয়ের তীর্যক রশ্মি চোখে মুখে পড়ে অর্কের ঘুম ভাঙে!কিন্তু আজ এই দুই রীতির কোনোটাই অর্কের সাথে ঘটে নি।বরং আজ, স্বয়ং মুয়াজ্জিন তার সুরেলা কন্ঠে মহিমান্বিত করে অর্ককে ডেকে তুললো!আযানের প্রতিধ্বনি কর্ণকুহরে প্রবেশ করতেই ঘুম ভেঙে সজাগ হয়ে যায় অর্ক।ব্যালকনি থেকে ঝটপট উঠে গিয়ে দ্রুত গতিতে ওয়াশরুম ঢুকে পড়ে।আলমারি খুলে জায়নামাজ বের করে নামাজ কায়েম করতে বসে পড়ে।সূর্য আজকে কোন দিকে উঠতে চললো?প্রকৃতির চিরন্তন সত্য নিয়ম মেনে সৃষ্টিকর্তার ইশারায় এক সূর্য উদয় হয়!আর আজ সেই সৃষ্টিকর্তার ফরজ কাজ করে আরেক সূর্যের দিন শুরু হচ্ছে।মাশাল্লাহ!ছেলেকে নামাজে দেখে আয়েশা বেগম আশ্চর্য হয়েছিলেন বটে। তবে তার মনে বেশ প্রশান্তিও লাগছে।ছেলে আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন।স্মিত হেসে দরজাটা ভিড়িয়ে দিয়ে আয়েশা বেগম নিজের ঘরে চলে যান।
আজ রাওনাফ আর রোশনির গায়ে হলুদ।অর্কদের বাড়ি থেকে যেহেতু রোশনির বিয়েটা দেওয়া হবে। সেহেতু এক হিসেবে এটা রোশনির বাড়ি হিসাবে ধরাই যেতে পারে।মেয়ের বাড়ি বলে কথা।অনেক কাজ করতে হবে সকাল থেকে।বাড়িতে মেহমানরাও রয়েছেন।সকালবেলা আরো মেহমান আসবেও।গায়ে হলুদের অনেক আয়োজন করতে হবে।রাতে অর্করা অনেকটা দেরি করে বাড়ি ফেরায় ছেলের সাথে সেভাবে কথা বলতে পারেন নি আয়েশা বেগম।তাই ফজরের নামাজটা শেষ করে এসেছিলেন অর্কের সাথে একটু কথা বলবেন বলে।কিন্তু ছেলেকে যে এইমুহূর্তে নামাজে দেখতে পাবেন এটা ভুলেও কল্পনা করতে পারেন নি আয়েশা বেগম।
– মা!
ধীর কন্ঠে ডাক দিলো অর্ক।আয়েশা বেগম অর্কের ঘর থেকে বেড়িয়ে এসে নিজের ঘরে চলে আসেন।অর্কের যতক্ষণ না নামাজ শেষ হচ্ছে ততক্ষণ অব্দি তসবিহ টাই না হয় পড়তে থাকেন।অবশ্য আয়েশা বেগম রোজই ফজরের নামাজ শেষ করে কুরআন তিলাওয়াত আর তসবিহ পড়েন।আয়েশা বেগম হাতের তসবিহ টা জায়গা মতো রেখে রুমের ভেতর থেকে গলার স্বর উঁচু করে বললেন,
– দরজা খোলাই আছে।
অর্ক দরজা ঠেলে ঘরের ভেতরে ঢুকলো।আয়েশা বেগম জায়নামাজ ভাঁজ করে আলমারিতে রাখেন।অর্ক বিছানায় তাকিয়ে দেখে আকাশ সাহেব বিছানায় নেই।কপাল কুঁচকে মায়ের দিকে তাকায়।ছেলের জিজ্ঞাসুক দৃষ্টি দেখে আয়েশা বেগম স্মিত হেসে বললো,
– ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে গেছেন।
এক চিলতে হাসি ফিরিয়ে দেওয়া ছাড়া মায়ের কথার কোনো প্রত্যুত্তর করলো না অর্ক ।মায়ের কাছে এসে নরম গলায় বললো,
– তখন কি আমাকে কিছু বলতে গিয়েছিলে?
অর্কের দিকে চকিত দৃষ্টিতে তাকান আয়েশা বেগম। অর্ক তো নামাজে ছিল!তাহলে অর্ক কিভাবে জানলো উনি ওর রুমে গিয়েছিলেন?উনি একটু শব্দও করে নি, তাহলে ও টের পেলো কি করে?
আয়েশা বেগম কথাগুলো ভাবতে ভাবতেই অর্কের দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে ছিলেন।অর্ক বুঝতে পারছে এইমুহূর্তে ওর মায়ের মনে অনেক প্রশ্ন উঁকি ঝুকি মারছে।অর্ক আয়েশা বেগমের হাত ধরে বিছানায় বসিয়ে মৃদু হেসে শীতল কণ্ঠে বললো,
– তুমি চুপচাপ চলে আসলে কি হবে,তোমার গায়ে মাখা আতরের ঘ্রাণ এখনো আমার ঘরে রয়ে গেছে।
অর্কের কথায় মুচকি হাসলেন আয়েশা বেগম।আতর সুরমা লাগানো তার পুরোনো অভ্যাস।ফজরের নামাজ শেষে আতর সুরমা মেখে তার দিন শুরু হয়।অর্কের ঘ্রাণশক্তি প্রখর। আতরের ঘ্রাণ অর্কের আছে বরাবরই একটু বেশিই তীব্র মনে হয়।আয়েশা বেগম আজকে আতর মাখেন নি।কাল দুপুরে যুহরের নামাজ শেষ করে অল্প একটু দিয়েছিলেন।তাও ছেলের নাক এড়ায় নি!আয়েশা বেগম ধীর কন্ঠে বললো,
– আজ রাওনাফ আর রোশনির গায়ে হলুদ।একটা মেয়ে বিয়ে দিতে গেলে যা যা লাগে সব নিয়ম-কানুন যথাযথ ভাবে পালন করতে হবে।রোশনির বাবা মায়ের সাথে আমার রাতে সব কথা হয়েছে।যেহেতু এখানে উনাদের কোনো আত্মীয় স্বজন নেই আর আমরা নিজেরাই উনাদের ইনভাইট করে নিয়ে এসেছি, সেহেতু আমাদের তরফ থেকে কোনো ধরনের গাফিলতি যেন না হয়।সন্ধ্যা বেলায় গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান।অনুষ্ঠানে আমি কোনো ঝামেলা চাই না।আজকের এবং কালকের অনুষ্ঠানটা যাতে সুষ্ঠু ভাবে সম্পূর্ণ হয় সেটার খেয়াল রাখতে হবে বুঝেছো।
মায়ের কথায় সায় দিয়ে মাথা নাড়ায় অর্ক।আয়েশা বেগম ক্ষুদ্র একটা নিঃশ্বাস ফেলে ফের বললো,
– সকালে ঘুম থেকে উঠেছো,আল্লাহর ফরজ কাজও করেছো।কালকে অনেক রাত করে ঘুমিয়েছ।যদি আরেকটু ঘুমের প্রয়োজন হয় তাহলে একটু ঘুমিয়ে নিতে পারো।যাও এখন।
অর্ক মায়ের কথামতো উনার পাশ থেকে উঠে কয়েক কদম এগোতেই আয়েশা বেগম ভারী গলায় বললো,
– অর্ক!
মায়ের ডাক শুনতে পেয়ে দাঁড়িয়ে যায় অর্ক।মায়ের দিকে জিজ্ঞাসুক দৃষ্টি স্থির করে তাকিয়ে আছে।আয়েশা বেগমের মুখে গম্ভীরতার ভাব।অর্ক উনার দিকে তাকাতেই আয়েশা বেগম কপালে ভাঁজ ফেলে শীতল কণ্ঠে বললো,
– ওইদিনের পর থেকে মেহেনূর আমাদের বাসায় আসে না!সেটা কি তুমি জানো?
অর্ক আয়েশা বেগমের কথায় মোটেও অবাক হলো না।ব্যাপারটা যে ওর চোখ এড়িয়েছে তেমনটাও নয়।অনলাইন ক্লাসের নাম করে ওদের বাসায় দাওয়াত খেতে না আসা।বাড়ির দারোয়ান দিয়ে খবর পাঠানো।রোশনিরা ও বাড়ি থেকে চলে আসার সময় বাড়ির গেইট অব্দি এগিয়ে দিয়ে মেহেনূরের চলে যাওয়া।আয়েশা বেগম মেহেনূরকে উনাদের বাড়ি আসতে বললে কোনো না কোনা বাহানা দেখিয়ে এড়িয়ে যাওয়া।এই সব কিছু অর্কের নজরে পড়েছে অনেক আগেই।অর্ক ধারণা করেছিল মেহেনূর হয়তো ওদের বাসায় আসতে চায় না।তবে এখন, মায়ের কথায় ওর ধারণাটা সত্যি হলো।
অর্ক মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।মেহেনূরের এ বাড়িতে না আসার কারণটা ও-ই।হয়তো ওইদিন মেহেনূর অপমান বোধ করেছিল।অবশ্য করাটাই স্বাভাবিক।চোখের সামনে কাউকে নিজের ব্যাপারে এইভাবে ওইরকম কথা শুনলে যে কারোরই নিজেকে খুবই হ্যাংলা মনে হবে।মেহেনূর কথাগুলো যদি না শুনতো তাহলে হয়তো লজ্জা পেতো না।
অর্ককে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আয়েশা বেগম তীক্ষ্ণদৃষ্টিতে ফের বললো,
– তারমানে তুমি জানো!মেহেনূর এ বাসায় আসে না,এটা এতো দিন কারোর নজরে পড়ে নি।কিন্তু এখন যদি নিজের ভাইয়ের বিয়েতেও আমাদের বাড়িতে আসতে না চায়?ব্যাপারটা খুবই লজ্জাজনক হবে আমাদের জন্য!কেউ যদি এর কারণ জানতে চায় তাহলে মেহেনূর যে রকম মেয়ে,ও কাউকেই বলবে না।ঠিক কোনো না কোনো কারণ দেখিয়ে চলে যাবে।কিন্তু এটা কি অযাচিত অশোভন নয়?আমি চাই না নিজেদের মধ্যে কোনো ধরনের মনোমালিন্য হোক।কথাটা মাথায় রেখো।
অর্ক তখনও নির্লিপ্তভাবে দাঁড়িয়ে আছে।অর্ক লক্ষ্য করছে আয়েশা বেগম তখন থেকে অর্ককে তুমি বলে সম্মোধন করছে।ওর মা যখন সিরিয়াস থাকেন তখনই এরকম তুমি বলে সম্মোধন করে।তবে কখনো কখনো এর ব্যাতিক্রমও ঘটে। অর্ক কোনো কথা না বলে চুপচাপ মায়ের ঘর থেকে বের হয়ে আসে।
_________________
– তুমি কি চাও এই বয়সে এসেও আমি মায়ের হাতে মার খাই?
কিছুটা ঝাঁঝালো কণ্ঠে পরিচিত মানুষের বলা কথাটা কর্ণকুহরে প্রবেশ করতেই চমকে উঠে মেহেনূর।আচমকায় আতংকিত হওয়ায় ওর হাতে থাকা ফোনটা ছিটকে গিয়ে আটকায় ছাদের কার্নিশে।আরেকটু হলেই নিচে পড়ে যেতো।একটা তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলে পিছনে ঘুরে মেহেনূর।ফোনটার দিকে এক পলক তাকিয়ে বুকে হাত বেঁধে কপালে ভাঁজ ফেলে সামনের মানুষটার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে চেয়ে বললো,
– মানে?
মেহেনূরের দৃষ্টি অনুসরণ করে তড়িঘড়ি করে অদূরে পড়ে থাকা ফোনটা কুড়িয়ে নিয়ে আসে অর্ক।মেহেনূরের মুখের দিকে তাকিয়ে মেকি হেঁসে বললো,
– ভাঙে নি।
মেহেনূরের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি এবার ফোনের দিকে।হাত বাড়িয়ে অর্কের কাছ থেকে ফোনটা নিয়ে ভালো করে এপিট ওপিট দেখে নিয়ে ফের অর্কের দিকে তাকায়।মেহেনূর পূর্বের ভঙ্গিমায় বললো,
– তো কি যেনো বলছিলেন?
তখন যতটা রাগ নিয়ে কথাটা বলে ফেলেছিল এখন মেহেনূরের চোখ দেখে অর্কের ঠিক ততটাই ভয় হচ্ছে।নেত্রযুগলক দিয়ে ধনুকের তীর তাক করে আছে।কথার হেরফের হলেই সেই তীর মুহুর্তেই এসে বিঁধবে অর্কের বক্ষমাঝে।মেহেনূরের এই রূপ অর্কের কাছে আগে কখনো ধরা দেয় নি।চোখ বড় বড় করে শুকনো একটা ঢোক গিলে অর্ক।জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে ফিচেল হেসে বললো,
– কই কিছু বলি নি তো!
কপাল কুঁচকে আসে মেহেনূরের।অর্কের বলা কথাটা স্পষ্ট শুনেছে ও।উঁচু গলায় বলা কথাটায় বেশ ঝাঁঝও ছিল।আর এখন বলছে কিছু বলেই নি!অদ্ভুত!তবে অর্কের মুখ দেখে মনে হচ্ছে ও কিছু বলতে চাচ্ছে।মেহেনূর অর্কের দিকে আঁড়চোখে তাকিয়ে ফোনের পাওয়ার বাটন অন করে।এক পলক ফোনের স্ক্রীনের দিকে চেয়ে ক্ষীণ স্বরে বললো,
– আসছি আমি,আটটায় আমার অনলাইন ক্লাস আছে।
মেহেনূর চলে আসার জন্য কয়েক কদম এগোতেই পথ আগলে দাঁড়ায় অর্ক।মেহেনূর অর্কের এহেন কাজে একটু অবাক হয়।অর্ককে পাশ কাটিয়ে চলে আসতে নিলে অর্ক ফের একই কাজ করলো।এবার অবাকের সাথে সাথে প্রচন্ড বিরক্তও হয় মেহেনূর।আংশিক কড়া গলায় বললো,
– বার বার পথ আটকে দাঁড়াচ্ছেন কেন?বললাম না আটটায় আমার ক্লাস আছে।
অর্ক কোনো কথা বলছে না।মুখটা কেমন যেনো ভার করে রেখেছে।কয়েক সেকেন্ড অতিবাহিত হওয়ার পরেও যখন অর্ক কোনো কিছু বলছে না তখন মেহেনূর চলে আসার জন্য উদ্যত হতেই অর্ক মিনমিনে স্বরে বললো,
– তুমি আমাদের বাসায় যাও না কেন?
ঠায় দাঁড়িয়ে যায় মেহেনূর।অর্কের মুখে এই প্রশ্নটা শুনে এক পা পিছিয়ে অর্কের সামনে এসে দাঁড়ায়।স্মিত হেসে শীতল কণ্ঠে বললো,
– আমার যাওয়া নিয়ে তো আপনার আপত্তি!
মেহেনূরের দিকে আহত দৃষ্টিতে তাকায় অর্ক।মেহেনূর ফের বললো,
– আপনাদের বাড়ি,আপনাদের রাইট আছে কাকে বাড়িতে এলাউ করবেন আর কাকে নয়!বিশ্বাস করুন আমি যে এলাউ নই এটা আগে জানলে আমি কখনোই আপনাদের বাড়িতে যেতাম না।ওইদিন আমার জায়গায় অন্যকেউ হলে হয়তো সত্যিই কষ্ট পেতো বা রাগ করতো।কিন্তু বিশ্বাস করুন,আমি মোটেও কষ্ট পাই নি আর রেগেও নেই।
– তাহলে?
– আত্মসম্মানবোধ!আমি রাগ করি নি ঠিক আছে।কষ্ট পাই নি এটাও ঠিক আছে।কিন্তু আমার তো একটা আত্মসম্মানবোধ আছে নাকি?আমাকে কেউ পছন্দ করে না এটা জানার পরেও কি আমি আবার একই ভুল করবো?
মেহেনূর কথাগুলো শেষ করতেই অর্ক হুট করে মেহেনূরের হাতদুটো ধরে ফেলে।মেহেনূর ভয় পেয়ে গিয়ে কিছুটা পিছিয়ে যায়।অর্ক মেহেনূরের দিকে তাকিয়ে করুণ সুরে বললো,
– বিশ্বাস করো,ওইদিন কথাগুলো আমি মন থেকে বলি নি।তোমাকে বা আঙ্কেলকে কষ্ট দেবো বলেও বলি নি।ইচ্ছাকৃতভাবে হোক বা অনিচ্ছাকৃতভাবেই হোক,আমি জানি আমার কথায় তুমি কষ্ট পেয়েছো।সরি ফর এভ্রিথিং!
অর্ক মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।আঁড়চোখে অর্কের দিকে তাকায় মেহেনূর। অর্ক আসলেই অনুতপ্ত, লজ্জিত।হয়তো ও যা যা বললো সবটাই সত্যি।মেহেনূর অর্কের হাত থেকে নিজের হাতগুলো ছাড়াতে ছাড়াতে ধীর কন্ঠে বললো,
– ইটস ওকে!
এতক্ষণে অর্কের খেয়াল হলো ও মেহেনূরের হাত ধরে আছে।চটজলদি মেহেনূরের হাতটা ছেড়ে দিয়ে কিছুটা পিছিয়ে দাঁড়ায়।পর পরেই মুখ গোমড়া করে বললো,
– যদি কেউ কারোর ঘুমের বারোটা বাজায় তাহলে তার উপর রাগ হওটাই স্বাভাবিক নয় কি?তুমিও নিজেও জানো, তুমি গানটা ঠিকঠাক গাইতে পারো না!তাহলে কেন গাও বলো তো?
অর্কের কথা বলার ভঙ্গিমা দেখে ফিক করে হেসে দেয় মেহেনূর।অর্ক অবাক হয়ে বললো,
– হাসছো কেন?
মেহেনূর ঠোঁটের কোণে হাসি ঝুলিয়েই গলার স্বর উঁচু করে বললো,
– না এমনি!অবশ্য আপনি ঠিকই বলেছেন।আর রেওয়াজ করতেও আমার একদম ভালো লাগতো না।শুধু বাবার ভয়ে করতে হতো!
– সন্ধ্যায় আসছো তো?
অর্ক প্রশ্নটা করে উৎসুকভাবে মেহেনূরের দিকে তাকিয়ে আছে।অর্কের প্রশ্নটা শুনে সঙ্গে সঙ্গে মেহেনূরের মুখের হাসিটা মিলিয়ে যায়।
চলবে…