নাবিলের চাল চলন দেখে সামিরা ইতিমধ্যে নাবিলের উপড় ক্রাশ খেয়েছে।
আজ সারাদিন ধরে নাবিল তার সাথে ছিল।সামিরা যতবার উল্টা পাল্টা কিছু করতে চেয়েছে নাবিল সামিরাকে আটকে দিয়েছে।
সামিরা রাতে শুয়ে শুয়ে সারাদিনের কথা ভাবছে সারাদিন আজ কি কি হয়েছে।
তবে তার বারবার একটা কথাই মনে পড়ছে কারন নাবিল কিছুক্ষন আগে একটা অতিরিক্ত কাজ করে ফেলেছে যার জন্য সে ক্ষমাও চেয়েছে কিন্তু কাজটা সামিরার মনে দাগ কেটেছে।
মর্নিং ওয়ার্ক শেষে সামিরা বাসায় ফিরার পর নাবিলের সাথে প্রচুর ঝগড়া হয়েছে।
নাবিল সামিরাকে টানতে টানতে বাসায় নিয়ে আসলো।
সামিরাঃ তোমার এত সাহস হয় কি করে আমাকে জোর করার?
নাবিলঃ তোমার মত মেয়েকে যে এখুনো মেরে ফেলি নি এই তো অনেক।
সামিরাঃ মা মা….মা
সামিরার মা ছুটে আসলেন।
সামিরার মাঃ কি হয়েছে?
সামিরাঃ এই ছেলেটাকে এখুনি বাসা থেকে বের করে দাও মা।
সামিরার মাঃ মানে কি?
নাবিলঃ আন্টি এটা কি মেয়ে নাকি অন্যকিছু? অপ্রিয় হলেও সত্যি ওর মনে কোন দয়ামায়া নেই।আর একটা কথা আপনি বা ও কেউ চাইলেই আমি আর যাব না। বাসা থেকে বের করে দিলেও আমার হাত থেকে সামিরার আর কোন ছাড় নেই।
আপনি বলেন জনি নাকি ওকে ডিস্টার্ব করে আসলে ত সামিরা নিজে জনিকে সব কিছুতে ডেকে আনে।এভাবে লায় দিলে কোন ছেলে পিছু ছাড়বে?আজ আমাকেও মারার জন্য ডেকে এনেছিল।
সামিরার মা অবাক হল।তারপর বলল ছি সামিরা ছি এত নিচে নেমে গেছো তুমি ভাবতেই অবাক লাগছে বলে ভিতরে চলে গেল।
সামিরাঃ এই তুমি কিন্তু খুব বাড়াবাড়ি করছো…
নাবিলঃ আরো করব।তোমাকে তো সোজা করেই ছাড়ব বলে নাবিল রুমে চলে গেল।
কিছুক্ষন পর সামিরা রেডি হয়ে বের হতে চাইল তখন নাবিল এসে বাঁধা দিল।
সামিরাঃ কি সমস্যা?
নাবিলঃ এটা কি পড়েছো?ড্রেস চেঞ্জ করে এসো না হলে বাইরে যাওয়া হবে না।
সামিরা প্রচন্ড রেগে নাবিলের গালে ঠাস করে একটা থাপ্পড় মেরে বলল আমাকে অর্ডার করার তুমি কে।আমি এভাবেই যাব।
নাবিলকে থাপ্পড় মারায় নাবিলের জেদ চেপে গেল সে সামিরাকে নিজের ঘরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল।
সামিরাঃ আমার দেড়ি হচ্ছে আমি যাব ছাড়ো আমাকে।যতসব ফালতু ছেলে।
নাবিল চোখ বন্ধ করে জোরে একটা নিশ্বাস নিল তারপর আর কিছু না বলে সামিরার সামনে বসে সামিরার পেটে মুখ ডুবিয়ে দিল সামিরা চেঁচিয়ে উঠল কিন্তু সামিরার মা বাসায় না থাকায় তার চিৎকারে কেউ এগিয়ে আসল না।
সামিরা সমানে নাবিলকে বাঁধা দিয়ে যাচ্ছে কিন্তু নাবিলের সাথে পেরে উঠছে না নাবিল সামিরার সমস্থ শরীরের খালি জায়গা গুলিতে নিজের ঠোঁট ছুঁয়িয়ে দিল।
এক পর্যায়ে সামিরা কেঁদে দিল।সাথে সাথে
নাবিল সামিরাকে ছেড়ে দিল।
নাবিলঃ এখন কাঁদছো কেন? কি জন্যে ছোট ড্রেস পড়ো? এই জন্যই তো নাকি যাতে ছেলেরা দেখে আকৃষ্ট হয় আমিও হয়েছি দেখে যেটা ইচ্ছা হয়েছিল করে দিলাম এবার যেখানে যাওয়ার আছে যাও।
সামিরা কাঁদতে কাঁদতে নিজের ঘরে চলে গেল।
কিছুক্ষন পর নাবিলের রাগ কমায় সে বুঝতে পারল সে যা করেছে ভুল করেছে তাই সামিরার ঘরে গেল।
সামিরা সারা শরীরে ওড়না জড়িয়ে কাঁদছে।
নাবিলঃ আসতে পারি?
সামিরা কিছু বলল না।
নাবিলঃ আমার ঠিক কি বলা উচিত জানি না।কি ভাষায় ক্ষমা চাইব সেটাও জানি না। বিশ্বাস করবে না সেটাও জানি তবুও বলি আমি তোমাকে কখনো খারাপ চোখে দেখিনি কিন্তু তখন রাগের মাথায় কি থেকে কি করে ফেলেছি নিজেই বুঝতে পারিনি আমাকে যদি শাস্তি দিতে চাও দিতে পারো তবুও পারলে ক্ষমা করে দাও আর এটা ভুলে যাও।
সামিরা অবাক হয়ে নাবিলের দিকে তাকিয়ে আছে নাবিলের চোখে মুখে অপরাধবোধ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সামিরা কিছু বলল না। নাবিল বাইরে চলে গেল।
তার কিছুক্ষন পর নাবিল আর সামিরার মার কথার আওয়াজ শুনে সামিরা নিচে নেমে আসল।
নাবিল মোটামুটি রেডি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
নাবিলঃ আন্টি আমি এখান থেকে চলে যেতে চাই।
সামিরার মাঃ কিন্তু কেন?আবার কিছু হয়েছে সকালেই ত বললে তুমি এখানে থাকতে চাও সামিরা কি তোমাকে খারাপ কিছু বলেছে?
নাবিলঃ না আন্টি আমার মনে হচ্ছে আমি যা করছি ভুল করছি এসব ঠিক না আমাকে বাঁধা দিবেন না প্লিজ আমাকে যেতে দিন বলে নাবিল যখন বের হতে নিল তখন,
সামিরাঃ দাঁড়ান আপনি কোথাও যাবেন না।
নাবিলঃ মাফ করবেন ম্যাডাম আমি এখানে থাকতে পারব না আমাকে ক্ষমা করুন।
সামিরাঃ আপনাকে থাকতে হবে তখন বল্লেন না শাস্তি দিতে চাইলে দিতে পারি। আপনাকে থাকতে হবে এটাই আপনার শাস্তি আশা করি আর কিছু বলার নেই আপনার।
সামিরার মাঃ কিসের শাস্তি?
সামিরাঃ কিছু না মা
নাবিল সামিরার কথায় অবাক হল।কিছু বলতে পারল না সামিরার কথামত মাথা নিচু করে নিজের ঘরে চলে গেল।
সামিরার নাবিলের কাজটা খারাপ লাগার কথা ছিল কিন্তু তার খারাপ লাগছে না বরং নিজের ভুল বুঝতে পেরে কান্না করছিল তার নাবিলের উপর কোন রাগ নেই। সে বুঝেছে এমন ড্রেস পড়া ঠিক না।নাবিল যা করছে তার ভালর জন্যেই করেছে আর এটাও বুঝেছে একমাত্র নাবিলেই পারবে তাকে জনির হাত থেকে রক্ষা করতে।
নাবিল সামিরার কথায় বাসায় থাকলে এই ঘটনার পর থেকে সামিরা খেয়াল করেছে নাবিলের সাথে সারাদিনে যতবার নাবিলের সাথে দেখা হয়েছে ২জন মুখোমুখি হলেও নাবিল কখনো সামিরার দিকে তাকায় নি নিচ দিকে তাকিয়ে কথা বলেছে।
নাবিলের চলে যাওয়ার চেস্টা, ক্ষমা চাওয়া সামিরাকে ইগনোর করা এই আচারন গুলি সামিরাকে মুগ্ধ করেছে।
।
।
।
।
।
।
।
।
এদিকে আকাশের কথায় মেঘলার খারাপ লাগলেও সে তার মন থেকে সব রাগ ঝেড়ে ফেলতে পারিনি।
মেঘলা বরাবরেই ইমোশনাল মেঘলার আবেগি মন তাকে আকাশের কাছে থাকতে বল্লেও নাবিলের প্রতি ভালবাসা তাকে প্রতিশোধ নিতে বলছে।
এ যেন এক জীবন মরন ২ টানায় পড়ে গেছে মেঘলা। সে আকাশ কে ছাড়তে চায় না কিন্তু তার সাথে থাকারো কোন ইচ্ছা নেই একবার থাকার ইচ্ছা হলেও পরক্ষনেই আকাশের উপড় রাগ হয় তার।যতই রাগ হোক ছোট থেকে যাকে ভালবেসেছে তাকে হঠাৎ করে ছেড়ে দেওয়াটা এতটাও সহজ কাজ না।মেঘলার চোখ থেকে অনবরত পানি পড়ছে।
আকাশ মেঘলার পায়ের কাছে হাঁটু ঘেরে বসে আছে।
তখনি দরজায় কেউ নক করল আকাশের মা দরজা খুলে দিল। আকাশ অবাক হল কারন আবির এসেছে।
পার্টিতে মেঘলাকে খুঁজে না পেয়ে আবির আকাশের বাসায় এসেছে।
আকাশঃ তুই এখন এখানে?
আবিরঃ আসার কথা নয় কি?
আকাশঃ মানে কি?
আবিরঃ ভাই সহজ ভাষায় বলছি মেঘলার কাছ থেকে দুরত্ব বজায় রাখো। অনেক খেলোছো আর না।
আকাশঃ কাকে কি বলছিস মাথায় আছে?
আবিরঃ যা বলছি ভেবেই বলছি। আর মেঘলা তুমি এখানে কি করে আসলে সব ভুলে গেছো?
মেঘলাঃ…..
আবির মেঘলার হাত ধরে বলল চলল এখান থেকে।
আকাশ আবিরের আচারনে প্রচন্ড রেগে গেল।
তোর কি বাঁচার সব ইচ্ছা শেষ হয়ে গেছে আবির?
আবিরঃ মরার ভয় আবির পায় না।আমি মেঘলার কোনো ক্ষতি হতে দিব না কিছুতেই দিব না আর
হ্যা তুমি ঠিক বলেছো তোমাকে মেঘলার কাছে পৌছাতে হলে আবির লাশের উপড় দিয়েই যেতে হবে।
কিন্তু আবিরকে মারা যে এতটা সহজ হবে না সেটা তুমি যানো। রাস্তায় ঠুকর খেতে খেতে বড় হয়েছে আবির তুমার বা নাবিলের মত সোনার চামচ মুখে নিয়ে বড় হয় নি তাই আবির কে রাস্তা থেকে সরাতে অনেক কাঠখড় পুড়াতে হবে তোমাকে তাই বলছি আমার সাথে লাগতে এসো না। এমনেতেই নাবিল ভাইকে নিয়ে সবাই তুমাকে সন্দেহ করছে এবার আমার সাথে লাগলে যে ক্যারিয়ারের জন্য তুমি এত বড় বিশ্বাসঘাতকতা করলে সেই ক্যারিয়ার থাকবে কিনা সন্দেহ আছে?তাই কিছু করার আগে একটু ভেবে নিও বলেই আবির মেঘলাকে নিয়ে চলে যেতে চাইল।
আকাশ রেগে গিয়ে মেঘলার হাত টেনে ধরল।
আবিরঃ মেঘলার হাতটা ছাড়ো ভাই জোর করে ভালবাসা হয় না মেঘলা তোমাকে আর ভালবাসে না।বিশ্বাস না হলে ওকেই জিজ্ঞাস করো।
আকাশ তাছিল্যের হাসি দিয়ে বলল তাই নাকি? শোন আবির পৃথিবী উল্টে গেলেও মেঘলা আকাশকে ছেড়ে কখনো যাবে না কারন ও আকাশকে ভালবাসে।ও আমার ছিল আছে আমারি থাকবে।
কিন্তু মুহূর্তেই মেঘলা আকাশকে অবাক করে দিয়ে আকাশের হাতটা ছাড়িয়ে দিল।
আর বলে উঠল ভালবাসার রং কখনো কখনো ফিকে হয়ে যায় আকাশ তুমি যা যা করেছো তারপরে তোমাকে ভালবাসা সম্ভব না আমি এখন তোমাকে ঘৃনা করি শুধুই ঘৃনা।তোমার জন্য আমার কাছে কোন ভালবাসায় অবশিষ্ট নেই বলে
আবির হাত ধরে মেঘলা যাওয়ার জন্য পা বাড়াল।
আকাশ এই ধাক্কাটা সহ্য করতে পাড়ল না দৌড়ে এসে আবার মেঘলার হাত ধরল আর কাঁদো কাঁদো হয়ে বলল না মেঘলা এটা হতে পারে না তুই আমাকে ঘৃনা করতে পারিস না একবার বল তুই মিথ্যা বলেছিস।আমাদের এতদিনের ভালবাসাকে তুই মিথ্যা করে দিস না।আমাকে একা ফেলে যাস না মেঘলা।তুই অন্য ছেলের হাত ধরে চলে যাচ্ছিস আমি এটা মানতে পারব নারে।
পৃথিবীর সব মিথ্যা হলেও আমি তোকে ভালবাসি এটা মিথ্যা না।একবার বল তুই আমাকে ছেড়ে যেতে চাস না।বল মেঘলা বল…
আবির মেঘলাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে মেঘলাকে এক টানে সেখান থেকে নিয়ে চলে গেল।
মেঘলার কথাগুলি শুনে আকাশের ২ চোখে গড়িয়ে জল পড়তে শুরু করল।
এদিকে মেঘলার চোখেও পানি।
আবিরঃ কি হল কাঁদছো কেন?কাঁদার মত কিছুই হয় নি যা হওয়ার ছিল তাই হয়েছে সব ভুলে যাও।আন্টি আংকেলকেও আমি আকাশ ভাইয়ের হাত থেকে ছাড়িয়ে এনেছি মেঘলা আমি যতক্ষন আছি তোমাকে আগলে রাখব একটা আঁচর ও পরতে দিব না তোমার উপড়।
মেঘলাঃ আমি তোমাকে কি করে বুঝাব আবির আমার ভিতরে কি হচ্ছে যাকে নিজের চেয়েও বেশি ভালবাসি তাকে ছেড়ে দেওয়ার কষ্ট ঠিক কতটা যন্ত্রনাদায়ক। আমি যে আকাশ কে ভালবাসি কিন্তু প্রকৃতির কাছে আজ আমি বন্দি আকাশ এতটাই অন্যায় করেছে যে ওকে ক্ষমা করার কোন উপায় আজ আর আমার নেই কিন্তু ওকে আমি এতটাই ভালবাসি যে ও যদি আমাকে আঘাতে পর আঘাত করত আমি ক্ষমা করে দিতাম কিছুই মনে রাখতাম না কিন্তু ও ভাইয়ার সাথে কেন এমন করল কেন কেন কেন…?? কেন আকাশ আমাকে এভাবে অসহায় করে দিলে তুমি ত জানতে তোমার মেঘলা এতটা ধাক্কা সহ্য করতে পারবে না…তাও কেন এত আঘাত করলে
(মনে মনে)
আকাশঃ না এটা হতে পারে না মেঘলা আমাকে ভুলে যেতে পারে না। তবে আমি যে জানতাম আমি যতই খারাপ কিছু করিনি মেঘলা আমাকে ছেড়ে যাবে না আমি যত অন্যায়েই করি না কেন সবাই আমাকে ছেড়ে চলে গেলেও মেঘলা আমার পাশেই থাকবে সব কি তবে মিথ্যা ছিল। তুই আজ কি করে ভুলে গেলি মেঘলা যখন তোর কেউ ছিল না সবার বিপক্ষে গিয়ে আকাশ তোর পাশে থেকেছিল আজ তুই সব ভুলে গেলি আমার একটা ভুল মেনে নিতে পারলি না? আচ্ছা মানলাম এটা মানার মত না কিন্তু দোষটা ত আমার সবটা ছিল না। তুই কি করে আমার সামনে আবিরের হাত ধরে চলে গেলি একবারো ভাবলি না আমার কথা।কথাগুলি ভাবতে ভাবতে কাঁদছে আকাশ।
হঠাৎই কেউ আকাশের মাথায় হাত রাখল আকাশ চমকে উঠল চোখ তুলে তাকিয়ে আকাশ আরো জোরে কেঁদে উঠল।
আকাশঃ নাবিল তুই এসেছিস নাবিল? আমি জানতাম তুই আসবি আমাকে সবাই ছেড়ে চলে গেলেও নাবিল ছাড়তে পারে না আমি জানতাম তুই আমার কাছে ঠিক ফিরবি।বিশ্বাস কর আমি এসব করতে চাই নি। তুই তো বুঝবি আমায় তাই না? বল নাবিল আমি তোর সাথে নিজের ইচ্ছায় এমন করতে পারি? মেঘলাটা না বরাবরেই বোকা আজও আমায় ভুল বোঝে চলে গেল জানিস মেঘলা না আমাকে ছেড়ে চলে গেছে।কিন্তু আবার ফিরে আসবে তাই না কারন তুই তো চলে এসেছিস তুই ওকে ফিরিয়ে আনবি তাই না নাবিল।
যানিস নাবিল কতরাত ঘুমাই নি আমাকে একটু ঘুম পাড়িয়ে দিবি আমি তোদের ছাড়া থাকতে পারি বল।
আকাশ যখন কথাগুলি বলছে তখন আকাশের বাবা আকাশের ঘোর কাটিয়ে আকাশের চোখ মুছে দিয়ে বলল বাবা অনেক রাত হয়ে গেছে ঘুমিয়ে পর সব ঠিক হয়ে যাবে।
আকাশের ঘোর কেটে যেতেই বলল বাবা তুমি এখানে? না না নাবিল কোথায় ও যে আসল।
আকাশের বাবাঃ এটা তোর মনের ভুল বাবা নাবিল কোথা থেকে আসবে….
আকাশঃ না না হতে পারে না আমি স্পষ্ট দেখলাম নাবিল আমার মাথায় হাত রাখল।নাবিল কোথায় তুই আমার সাথে মজা করছিস তাই না বাইরে আয় বলছি আকাশ এদিক ওদিক নাবিল কে খুঁজছে।
আকাশের অবস্থা দেখে আকাশের বাবা কেঁদে ফেলল।
আকাশের বাবাঃ এই দিনটাও আমার দেখার ছিল আকাশ বাবা শান্ত হ নাবিল সকালেই আসবে মেঘলাকে আনতে গেছে ও।
আকাশঃ আসবে তো বাবা…?? আমাকে ভুল বোঝে চলে যাবে না তো।
আকাশের বাবাঃ আসবে বাবা নাবিল অবশ্যই আসবে এই বন্ধন যে ছিন্ন হওয়ার নয় ওকে ফিরতেই হবে।তুই এটা খেয়ে নে সকালেই ওরা চলে আসবে বলে আকাশকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে আকাশকে শুয়িয়ে দিল।
আকাশঃ নাবিল নাবি না ন….. বলতে বলতে ঘুমিয়ে গেল।
আকাশের বাবাঃ আর কতদিন তোকে এভাবে ওষুধ দিয়ে ঘুম পাড়াব আকাশ? নাবিল নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে তুই ঘুমাস না ঠিকমত খাস না এভাবে কতদিন চলবে? কেন করেছিলি এমন?কেন নিজেকে এত কষ্ট দিচ্ছিস আর কেনই বা নাবিলের সাথে এমন করলি?আমি কোনদিকে যাব?তুই তো অন্যায় করেছিস সেটা যেনেও মেঘলাকে কি মুখে বলল তোর সাথে থাকতে আর তোর এই কষ্টই বা কিভাবে সহ্য করব? যদি নাবিল সত্যিই ফিরে আসত তাহলে এই সমস্যার সমাধান হত ও নিশ্চুই তোকে বুঝত। কিন্তু সেটা কি সম্ভব ও কি আদো বেঁচে আছে? থাকলে এতদিনে কি ফিরে আসত না প্রতিশোধ নেয়ার জন্য হলেও ত আসত।কথাগুলি ভাবতে ভাবতে চোখের জল ফেলতে ফেলতে চলে গেল আকাশের বাবা।
এদিকে সামিরার বাসায় মাঝরাত সবাই গভীর মুখে আছন্ন নাবিলো ঘুমাচ্ছিল কিন্তু হঠাৎ করে সারা বাড়ি কেঁপে উঠল। সকল নিরবতা ভেংগে নাবিল চিৎকার করে উঠল।
নাবিলঃ আকাশ……..
সামিরা আর তার মা তারাতাড়ি নাবিলের ঘরে ছুটে গেল।
নাবিলের অবস্থা দেখে ২ জনেই হতবাক হয়ে গেল।
নাবিল রীতিমতো কাঁপছে ঠান্ডার মধ্যেও নাবিলের কপালে ঘাম জমেছে।
সামিরার মাঃ কি হয়েছে বাবা ভয় পেয়েছো?কোন দুঃস্বপ্ন দেখেছো বুঝি…??
নাবিলঃ স্বপ্ন নয় সত্যি আমার বন্ধু বিপদে পড়েছে আমাকে ডাকছে আমার যেতে হবে আন্টি বলে নাবিল শার্ট পড়তে শুরু করল।
সামিরার মাঃ এত রাতে কোথায় যাবে কিভাবে যাবে?
নাবিলঃ যানি না তবে আমাকে যেতে হবে শুধু সেটাই যানি।