লাভার নাকি ভিলেন | সিজন – ২ | পর্ব – ২২

আবির ঘরে যাওয়ার কিছুক্ষন পর আকাশ আবিরকে ফোন দিল।

আবিরঃ ভাই এত রাতে ফোন দিলে কোন দরকার…??

আকাশঃ দরকার তো অবশ্যই মেঘলার মাথা থেকে ভুত নেমেছে?

আবিরঃ না ভাই সারাক্ষন এক কথায় বলে যাচ্ছে রাজনীতি করবে।

আকাশঃ যেভাবেই হোক এই ভুত ওর ঘাড় থেকে নামা তানাহলে তোদের ২ টাকেই জিন্দা কবর দিব আমি।

আবিরঃ দেখো ভাই আমি নিজেই চাইনা এই নোংরা পলিটিক্সের পাল্লায় পড়ে মেঘলার লাইফ টা নষ্ট হয়ে যাক আর আমাকে ভয় দেখানোর দরকার নাই আমি ভয় পাই না আমি তো এমনেতেই জানি যেকোনো সময় আমার সাথে যা খুশি ঘটতে পারে।কিন্তু আমি যতদিন আছি মেঘলার কোনো ক্ষতি হতে দিব না এমন কি যদি তুমি ক্ষতি করতে আসো আমি রুঁখে দাঁড়াব আমি আর যাই হই বেইমান নই।যে আমাকে হাত ধরে টেনে এখানে তুলেছে তার প্রতি এই টুকু কৃতজ্ঞতা আমি স্বীকার করি।আমি তোমাকে যতটা ভালবাসি নাবিল ভাইকেও ততটাই বাসি।

আকাশ রহস্যময়ী হাসি দিয়ে ফোন কেটে দিল।

আবিরঃ আকাশ ভাইয়ের কথায় স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে মেঘলার বিপদ ঘনীয়ে আসছে।মেঘলাকে কিছুতেই এসবে যেতে দেওয়া যাবে না যেভাবেই হোক ওকে আমার আটকে রাখতে হবে।
আবির যখন মেঘলাকে আটকানোর চিন্তায় ব্যস্ত তখন এদিকে মেঘলা পালানোর ফন্দি করতে ব্যাস্ত কারন মেঘলা সবসময় বুঝে কম করে বেশি।
সে বসে বসে অপেক্ষা করছে কখন চারদিক নীরব হবে আর কখন সে সেখান থেকে পালাবে।

আনুমানিক ১ টায় মেঘলা বের হওয়ার জন্য উঠল কিন্তু তার সব আশায় আবির জল ঢেলে দিয়েছে অনেক আগেই।
দরজা বাইরে থেকে লাগানো দেখে মেঘলার খুব রাগ হলেও কিছু করার নেই।

মেঘলাঃ দুনিয়ার সব ছেলেরাই কি ভিলেন হয়? আমার কপালেও কেন এমন ছেলে জুটে কিন্তু আমি এবার হার মানব না ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেল।

পরদিন সকালে আবির নিজেই খাবার নিয়ে মেঘলার রুমে গেল।

মেঘলা অনেক আগেই উঠেছে কিন্তু দরজা লাগানো থাকায় বের হতে পারে নি।গাল ফুলিয়ে বসে আছে সে।

আবিরঃ চোখ মুখের এই অবস্থা কেন?

মেঘলাঃ আমি জীবনে কখনো শুনি নি মেহমানকে কেউ আটকে রাখে আমি তোমার এখানে থাকতে চাই না।

আবিরঃ তোমার কথামত তো সব হবে না। তাই বাজে কথা বাদ দিয়ে খাও।

মেঘলাঃ খাব না

আবির শার্টের হাতা ফোল্ড করতে করতে বলল খায়িয়ে দিতে আমার কোনো সমস্যা নেই।

মেঘলাঃ আমি কেঁদে দিব কিন্তু

আবিরঃ দাও কে মানা করেছে হা করো…

আবিরকে এগিয়ে আসতে দেখে মেঘলা খাবার হাতে নিয়ে খেতে শুরু করল।

আবিরঃ টুনি এই টুনি এদিকে আয়…

টুনিঃ জ্বি ভাইয়া বলুন

আবিরঃ ম্যাডামের জন্য এক গ্লাস জুশ নিয়ে আয়…

মেঘলাঃ আমি চা খাব জুশ খাব না টুনি আমাকে এক কাপ চা দিও তো।

আবিরঃ এক কাপ চা আর এন গ্লাস জুশ নিয়ে আয়।

মেঘলার খাওয়া শেষ হতে হতে টুনি চা আর জুশ নিয়ে আসল।

টুনিঃ ভাইয়া কি করব?

আবির ট্রে টা হাতে নিয়ে বলল তুই যা।

মেঘলাঃ চা টা দাও।

আবির জুশ টা দিল।

মেঘলাঃ চা খাব বলছি না।

আবিরঃ এই বাসায় আমি যা বলব তাই হবে খাও বলছি।

মেঘলা জুশ নিয়ে ফেলে দিল আবিরের রাগ হলেও কিছু না বলে বাইরে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিল।

মেঘলাঃ কি করছো দরজা খুলো তুমি আমার সাথে এমন করতে পারো না।আমার জীবন আমি কিভাবে কাটাব সেটা বলার আপনি কে?কোন অধিকারে আমার সাথে এমন করছেন?

আবিরঃ অধিকার আছে বলেই অধিকার দেখাচ্ছি।চুপ করে পড়তে বসো।




এই সেইম সকালটা আকাশেরো হয়েছে তবে মেঘলার মত করে নয়।
আকাশের চোখ মুখ ফোলা সারারাত ঘুমিয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। সারারাত কোন কাজে ব্যাস্ত ছিল সে।আকাশ দিন রাত তার পজিশন নিয়ে ব্যাস্ত।
ঘুম থেকে উঠেই পার্টি অফিসের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ল আকাশ।
আকাশের মা খাওয়ার জন্য অনেক ডাকলেও সে খায় নি।
আকাশ যাওয়ার সময় ইরাকে পিক করে নিয়ে গেল।কিন্তু অফিসে ডুকেই আকাশের পায়ের রক্ত মাথায় উঠে গেল কারন অফিসে মেঘলা আছে।

আকাশঃ তুই এখানে কি করছিস?

মেঘলাঃ তুই নয় আপনি করে বলুন…

ইরাঃ তোর এত সাহস আমাদের চোখে চোখ রেখে কথা বলিস তাও আমাদের পার্টি অফিসে দাঁড়িয়ে বলে মেঘলাকে থাপ্পড় মারতে গেল ইরা তখনি আবির এসে ইরার হাত ধরে ফেলল।

ইরা চেঁচিয়ে বলল আবির…

আবিরঃ সিনিয়দের জুনিয়াদের সাথে কেমন ব্যবহার করা উচিত জানেন না?

আকাশঃ মানে কি?

মেঘলাঃআপনাদের অবগতির জন্য যানানো যাচ্ছে যে মেঘলা আপনার অধিনস্ত হলেও এখন থেকে এই পার্টির একজন সদস্য…তাই ওর সাথে ভদ্রভাবে কথা বলবেন আর হাত শুধু ইরা ম্যাডামের নেই মেঘলারো আছে কথা টা মাথায় রাখবেন।বলে আবির মেঘলার সনদপত্র এগিয়ে দিয়ে বলল দেখ ভাই তোমার মত এত বড় পদ আমার না থাকলেও কাওকে পার্টিতে যোগ করার ক্ষমতা তো আমার আছেই তাছাড়া নাবিল ভাই পার্টির জন্য যা যা করেছে সেই দিক থেকেই মেঘলা পদ পেয়েছে তাই তোমার বা ইরা কারোর এই এতে কিছু করার নেই।

আকাশ দাঁতে দাঁত চেপে বলল এর ফল কি হবে তুই যানিস? আমি তোকে ওয়ার্নিং দিয়েছিলাম শুনলি না? কিরে মেঘলা পড়াশুনাটা কি শ্বশুর করবে?
তোকে একটা থাপ্পড় দিলে ২য় টা দেওয়ার জায়গাই তো নেই পারবি তো সহ্য করতে?

আবিরঃ সেই চিন্তা তোমার নয় সেটা ভাবার জন্য আবির আছে আগে তো ১ম থাপ্পড় টা তো লাগুক

আকাশ তাছিল্যের হাসি দিয়ে বলল তুই কি মনে করিস নাবিলের চেয়ে তুই বেশি পাওয়ারফুল?

আবির ইরার দিকে তাকিয়ে বলল আমি হয়ত নাবিল ভাই নই তবে আমি অনেক আগে থেকেই আকাশকে নিজের আইডল মেনে এসেছি তাই আমি নাবিলের ভাইয়ের মত বোকামি করব না আর অন্যায়ের জয় বারবার হতে পারে না আমি নাবিল ভাইয়ের মত হেরে যাব না।আর একটা কথা বললে না মেঘলাকে একটা থাপ্পড় মারলে আর একটা মারা যাবে না আমি বলছি সেই একটা থাপ্পড় মারতে হলে আবিরের লাশের উপড় দিয়ে গিয়ে মারতে হবে সবাইকে সাক্ষি রেখে বলছি মেঘলার গায়ে হাত দেওয়া ত দুর ওর দিকে যে চোখ তুলে তাকাবে আমি তার চোখ ২ টি তুলে শকুনকে খেতে দিব। আর আমি বিশ্বাস করি নাবিল ভাই খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসবে।তাই আবির আর নাবিলকে পেরিয়ে মেঘলার কাছে পৌছানোটা এতটাও সহজ হবে না কথাগুলি বলেই আবির মেঘলাকে নিয়ে চলে যেতে চাইল।

আকাশঃ দাঁড়া আবির এই জন্যই কি তোকে এত বিশ্বাস করতাম?তবে কি দুধ কলা দিয়ে কি কাল শাপ পোষলাম আমি? তুই কোথায় ছিলি আর কোথায় এনেছি সব আজ ভুলে গেলি? একটা এতিম ছেলেকে এনে আমি নতুন জীবন দিয়েছিলাম আর তার প্রতিদান তুই এভাবে দিলি?

আবিরঃ আমি কিছুই ভুলে যাইনি সবি মনে আছে। আর বিশ্বাস…!!! সে তো নাবিল ভাই ও তোমাকে করত তার প্রতিদান কি তুমি দিতে পেরেছো? বলে মেঘলাকে নিয়ে আবির চলে গেল।

মেঘলাঃকি হচ্ছিল এসব?

আবিরঃ কই কি হচ্ছিল..?? আকাশ ভাই আমাদের হুমকি দিচ্ছিল আমি উত্তর দিয়েছি আর কি

মেঘলাঃ তোমাদের কথার মধ্যে অনেক রহস্য ছিল।যেটা কেউ বুঝবে না কিন্তু আমি আকাশের সাথে অনেক দিন যাবত আছি আমি বুঝতে পারছিলাম এই কথাগুলিতে অনেক কিছু লুকানো ছিল।

আবিরঃ হ্যা তুমি এত বুঝো জন্যই তো আমার এই দশা। আমার হাত পা বাঁধা তা না হলে তোমার মত জেদি মেয়েকে জীবিত কবর দিয়ে দিতাম আমি।
কথা বলতে বলতেই আকাশ আবিরকে ফোন দিল।

আকাশঃ আবির তোকে রিকুয়েষ্ট করছি প্লিজ মেঘলার পদ পত্যাহার কর এসবে এনে ওর জীবন টা নষ্ট করে দিস না।

আবির মেঘলার থেকে দুরে গিয়ে বলল কি মনে হয় ইচ্ছা করে নিয়ে এসেছি? আমি ওকে ঘরে লক করে রেখে এসেছিলাম। রাস্তায় আসার পর বাসা থেকে ফোন আসল ম্যাডাম জানালা দিয়ে লাফ দিয়েছেন ভাগ্য ভাল তেমন কিছু হয় নি তবে পায়ে ব্যাথা পেয়েছে এরপরেও না আনলে তো সুসাইড করবে আমি কি করব?

আকাশঃ কিন্তু এখন তো আমার হাতে মরতে হবে।

আবিরঃ হা হা দেখা যাক আকাশের কাছ থেকে কতটা কি শিখতে পেরেছি?যদি ওকে রক্ষা করতে না পারি ভেবে নিব আমি তোমার শিষ্য হওয়ার যোগ্য ছিলাম না অথবা গুরু হিসেবে তুমি আমায় শিখাতে পারো নি।



এদিকে,
আজ নাবিলের প্রথম দিন সামিরাদের বাড়িতে সকালে সামিরার মা নাবিলকে ডেকেছেন।

নাবিলঃ গুড মর্নিং আন্টি…

আন্টিঃ গুড মর্নিং অরন্য…ঘুম কেমন হল সব ঠিক আছে তো?

নাবিলঃ হুম আন্টি…

আন্টিঃ তুমার শরীর যদি ঠিক থাকে তুমি কি সামিরার সাথে একটু যাবে আসলে ও জগিং এ যাবে তো…

নাবিলঃ অবশ্যই আন্টি…

সামিরাঃ দিস ইজ টু মাচ মাম্মাম আমি কেন ওর সাথে যাব আমার ফ্রেন্ডসরা দেখলে কি বলবে…??আমি ছোট বাচ্ছা নই যে আমাকে নিয়ে যেতে হবে।

আন্টিঃ চুপ করো অরন্য যাবে তোমার সাথে এটাই ফাইনাল।

সামিরা রাগে গজ গজ করতে করতে বেরিয়ে গেল।
নাবিল হুডির টুপি পড়ে নিয়েছে ফলে তার মুখ দেখা যাচ্ছে না। সামিরার যাচ্ছে নাবিলও সাথে যাচ্ছে।

তবে রাস্তায় নাবিল সামিরার সাথে কোন কথা বলে নি আর বেশ দুরত্ব বজায় রেখেই যাচ্ছে সে।

পার্কে যাওয়ার সাথে সাথে সামিরার কিছু বান্ধবিও জগিং করতে আসল…
তার বান্ধবিদের মধ্যে একজন শ্রেয়া।সামিরার বেস্ট ফ্রেন্ড।

নাবিল সামিরার সাথে সাথে আসছে দেখে

শ্রেয়া জিজ্ঞাস করল সামিরা ছেলেটা কে?তোর বয়ফ্রেন্ড বুঝি?

প্রশ্নটায় সামিরা অপ্রস্তুত না হলেও নাবিল অপ্রস্তুত হল।

নাবিলঃ ম্যাডাম আপনার কথা বলুন আমি এখানেই আছি বলে যেতে চাইল।

সামিরাঃ এই তো সুযোগ ওকে অপমান করার। হেই ইউ আমার সাথে ডিমান্ড দেখাচ্ছিস?

নাবিলঃ ম্যাডাম আপনি সবকিছুতেই বেশি বুঝেন আমি আপনার বন্ধুদের চিনি কি? আমার সামনে ওদের সাথে কথা বলতে আপনার সমস্যা হতে পারে তাই বল্লাম একটু দুরে দাঁড়াই কারোর পার্সনাল কথা বার্তা শুনতে আমি ইচ্ছুক না।

সামিরাঃ একটু দেখতে ভাল জন্যে এত ভাব নেয় বাবা…(মনে মনে)
শ্রেয়া তোর কি দেখে মনে হল ছেলেটা আমার বিএফ এমন উদ্ভট একটা ছেলে আমার বয়ফ্রন্ড হবে? এটা আমার গার্ড

শ্রেয়াঃমানে চাকর?ওহ শীট তবে যাই বলিস মাল টা দেখতে কিন্তু বেশ।শ্রেয়ার কথা শুনে সবাই হেসে দিল

সামিরাও শ্রেয়ার সাথে তাল মিলাচ্ছে। এতগুলি মেয়ে মিলে নাবিলকে যাতা বলে অপমান করছে তবে নাবিলের কোন রিয়েকশান নেই যেনো সে শুনছেই না।

সামিরাঃ ভাব দেখলে গা জ্বলে যায় যেন সে কোন রাজ্যের রাজা আমি কিছুই না। কত ছেলে আমার জন্য পাগল আর এই একবার তাকিয়েও দেখে না।কতদিন হাসপাতালে গেলাম একটা দিন কথা পর্যন্ত বলল না সারাক্ষন এত ভাব নিয়ে থাকে যে কথা বলার সুযোগই নেই এবার আমি মজা বুঝাব(মনে মনে)

সামিরাঃএই চাকরের বাচ্চা ওখানে দাঁড়িয়ে আছিস কেন এদিকে আয়।

নাবিলঃ জ্বি ম্যাডাম বলুন…

সামিরাঃ আমার জুতার ফিতা বেঁধে দে।

নাবিল আপত্তি না করে নিচে বসে ফিতা বেঁধে দিল।

নাবিলকে অপমান করতে পেরেছে এই ভেবে সামিরা মনে মনে খুব শান্তি পেল।

সামিরা বান্ধবীদের উদ্দেশ্য করে বলল চল যাওয়া যাক একটু পর তো আবার বের হতে হবে।

সামিরা আর সামিরার বান্ধবীরা যখন যেতে চাইল তখনি ধপাস করে পড়ে গেল।

শ্রেয়াঃ কিরে পড়ে গেলি কি করে?

সামিরা নিজের পায়ের দিকে তাকিয়ে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠল।

সামিরাঃ এই ইডিয়েট ২ জুতার ফিতা একসাথে বেঁধে দিয়েছিস কেন? ইচ্ছা করে আমাকে ফেলে দিলি? তোর এত বড় সাহস?

নাবিলঃ যাদের কমনসেন্স নেয় তাদের এভাবেই শিখাতে হয়…

সামিরাঃ মানে কি?

নাবিল শ্রেয়ার দিকে তাকিয়ে বলল এই যে তুমি আমাকে ফিতা বেঁধে দিতে বললে এটা আমার দায়িত্ব নয় কিন্তু এখন যে পড়ে গেল এখন তোমাকে কোলে করে নিয়ে যাওয়াটা আমার দায়িত্ব। আশা করছি গার্ড আর চাকরের মধ্যের পার্থক্যটা বুঝাতে পেরেছি।নেক্সড টাইম আমাকে নিয়ে কথা বলার আগে ২ বার ভেবে কথা বলবে বুঝেছো? নাক টিপলে দুধ বের হবে এমন মেয়েরা আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করছে ভেবেই তো মেজাজ গরম হচ্ছে আজ প্রথম দিন তাই অল্পতে ছেড়ে দিলাম চলো বাসায় চলো…

সামিরাঃ আমি তোকে খুন করে ফেল।

নাবিলঃ উম… আর একবার তুই করে বললে কথা বলার মত অবস্থায় রাখব না.উঠো বলছি বলেই নাবিল সামিরাকে কোলে নিয়ে নিল
সামিরা ছটফট করছে…

শ্রেয়াঃ এই তুমি যানো তোমার কি অবস্থা করতে পারি আমরা।

নাবিলঃ যা খুশি করুন বাঁধা দিচ্ছি না তো।

শ্রেয়া জনিকে ফোন দিল আর নাবিলের সামনেই সব বলল।

নাবিলঃ মুচকি হেসে সামিরাকে কোলে নিয়ে হাঁটতে লাগল।

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।