এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৬৪

“বিহান ভাই ভেবে দেখেছেন আপনার বউ যদি মহিলা মেম্বার হয় তাহলে কত দাম বেড়ে যাবে।জানেন মানুষের বাড়ি মাঝে মাঝে মারাত্মক ঝগড়া হয় আবার তা নিয়ে আবার শালিস বিচার ও হয় তা আমি যদি মেম্বার হয় রেগুলার আমার বাড়িতে বসে জানতে পারবো কার বাড়িতে কি নিয়ে ঝগড়া হচ্ছে।আমাদের বাড়ির পাশে যে তরিকুল দের বাড়ি আছে না বিহান ভাই জানেন না ওদের বাড়ি কি মারাত্মক ঝগড়া হয়।ওরা পাঁচ ভাই আর তাদের বউয়েরা মিলে রেগুলার খুব বিশ্রি ভাষায় গালি গালাজ করে আর ঝগড়া করে।পাড়ার মানুষ যে কি পরিমান হাসে ওদের ঝগড়ার অধ্যাতিক কথা আর গালি শুনে।আমি তো উঁকি ঝুঁকু মের শুনি শুনি সেগুলা আম্মু আমাকে যেতেই দেয় না।তাই ভাবছি আমি মেম্বার হলে ওসব শালিস আমার বাড়িতেই হবে।”
“বিহান ভাই স্হির নয়নে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।আমার কথা গুলো মুখ বুজে হজম করে ভ্রু কুচকে বললেন,একমাত্র তোর দ্বারাই সম্ভব এসব আধ্যাতিক কথা চিন্তা করা।দুনিয়ায় এত ভাল ভাল জিনিস রেখে তোর মানুষের ঝামেলা ভাল লাগে।”
“আরে না আমি সমাজের উন্নয়ন ও করবো।সমাজ সেবা করা কি খারাপ নাকি?”
“তোকে ভোট দিবে কে?”
“আরে সবাই দিবে।আপনি সবার বাড়ি বাড়ি যাবেন।বয়স্ক মহিলাদের একটা করে গুল দিবেন সাথে পান আর জর্দা দিবেন দেখবেন তারা সিওর ভোট দিবেই।আর পুরুষ দের চা খাওয়াবেন রেগুলার বিকালে।আর মাইকে প্রচার করবেন ভোট চাই ভোটারের দোয়া চাই সকলের।ভোট দিবেন ভাই কোন খানে দিয়া আপার মার্কার মাঝ খানে।জনতার আপা দিয়া আপা।সে একজন বিশিষ্ট সমাজসেবক আপনাদের অচল রাস্তাঘাট মেরামত করে দিবে।”
“উনি বিরক্ত হয়ে বললেন মানুষ মরে যাবে তবুও রাজাকার দের ভোট দিবে না।যদি একবার জানে খান বংশের রাজাকার এবারের প্রার্থী মানুষ বলবে মাফ চাই।তোর দাদা তো মেয়র হয়েছিলো শুনেছি চাল ডাল সব জনতার টা মেরে খেয়ে ইয়া লম্বা ভুড়ি বানিয়েছে।”
“দেখুন মুখ সামলে কথা বলবেন আপনি।আমার দাদা কয়েক একর জমি বেঁচে মানুষ কে খাইয়েছে।অসভ্য লোক একটা।”
“আমি চাইনা জনতার জিনিস তুই খেয়ে ভুড়ি বানাস।মানুষ ভাববে এই মহিলা কি বারো মাস ই প্রেগন্যান্ট থাকে।আর আমাকে ভাববে অসভ্য পুরুষ। তোর বাবা বলেছিলো তোকে যেনো খালি পেটে না রাখি বাট তাই বলে ওইভাবে ও তো রাখতে পারি নাহ।”
“রিয়া আর বিভোর ভাই হেসে গড়াগড়ি যাচ্ছে।”
আমি রাগে ফুঁশছি।উনি এই অসভ্য আধ্যাতিক কথা কিভাবে বানিয়ে বানিয়ে বলেন।সারাজীবন কি এভাবেই জ্বালাবেন।
কেটে গেলো আরো কয়েক টা মাস।মেহু আপুর হসপিটালে একটা ছেলে হয়েছে।ছেলেটা নাকি একদম ই আমার মতো হয়েছে দেখতে।বাড়িতে নতুন সদস্যর আগমনে সবাই অনেক অনেক খুশি।ইদানিং বাবা,আম্মুর সমাই কাটছে তাদের পুচকু নাতি নিয়ে।লেখাপড়ার চাপে আমি আর রিয়া যেতে পারি নি।ধীরে ধীরে আমাদের পুচকু টা বেড়েই চলেছে।দিন দিনে ওর মুখে ফুটছে হাসি।যে হাসির মায়ায় আমাদের পুরো পরিবার পাগল।
__________________________________
“রিয়া তুমি কিন্তু অনেক বড় হয়ে গিয়েছো, অনেক কেয়ারিং হয়েছো আগের মতো আর ঝগড়া করো না।দেখতে দেখতে এতটা বড় হয়ে গেলে আমি বুঝতেই পারলাম না।সেই পিচ্চি রিয়া যাকে খুব রাগিয়ে দিতাম আর সে কিচিরমিচির করে ঝগড়া করতো।আর আমি ইচ্ছা করেই রাগিয়ে আগুন বানাতাম।এখন রাগাতে চাইলেও রাগে না।একজন পাক্কা গৃহিণী কিভাবে হয়েছে বুঝলাম ই না।”
“কি বলো তুমি বিভোর আমার হাইট অনেক বছর ৫ ফিট সাড়ে তিন ই আছে আর তুমি বলছো কিনা আমি বড় হয়েছি কোথায় বড় হয়েছি বলো তো।এখনো তো সেই তোমার কাধ অবধি ই আছি।বড় হয়েছি কই আমি তো আকাশ ছুতে পারি না।”
“প্রাঙ্ক করলে তো আমার সাথে।লম্বা না হলেও বুদ্ধি বেড়েছে বেশ।এইযে যে প্রঙ্ক গুলা আমি করতাম সেগুলা তুমি করো রোজ।”
“তাই না। এবার বলো তো এত কষ্ট করে অফিসের কাজ ফেলে আমাকে ডেকেছো কেনো? ”
“তুমি বলোতো কেনো ডেকেছি আমার ময়না পাখিটা।”
“আমি তো জানিনা মিস্টার কেনো ডেকেছেন?এবার বলবেন প্লিজ।”
“আজ কত তারিখ রিয়া। ”
“২ ফেব্রুয়ারী। ”
“এই দিন কে শুভেচ্ছা জানাতে তোমাকে ডেকেছি। এই দিনে এই প্রথিবীতে আমার জন্য এক পৃথিবী ভালবাসা নিয়ে আগমন হয়েছিলো তোমার।শুভ জন্মদিন রিয়া পাখি টা আমার।”
“ওহ মাই গড বিভোর তুমি।তুমি এই দিন তারিখ মনে রেখেছো।আমার তো মনেই ছিলো না।”
“আমি থাকতেও তোমাকে কেনো মনে রাখতে হবে একটু বলবে প্লিজ।তুমি শুধু এটুকুই মনে রাখো বিভোর নামে এক পাগল তোমাকে ভীষণ ভালবাসে।”
“বিভোর কে বলে দিও রিয়া বউ সাজতে চাই।চারদিকে সবাই বিয়ে করেছে রিয়ার ও বউ সাজতে মন চাইছে খুব।রিয়ার একা একা ঘুম আসে না বিভোর ছাড়া।সে যেনো কাল ই বাবাকে বলে আমাদের বিয়ের কথা।”
“রিয়ার বাবা তার ডাক্তার মেয়েকে কি এই সাধারণ একজন ব্যাংকার এর সাথে বিয়ে দিবে।”
“একদম বাজে কথা বলবা না তো।রিয়ার জীবনে বিভোর একটা ভালবাসার পৃথিবী। বিভোর ময় পৃথিবীতে রিয়া সারাক্ষণ বিচরণ করে।রিয়া মানসিক তৃপ্তি খুজে পেয়েছে বিভোরের মাঝে।”
“মেডিকেল এর চার টা বছর কেটে গিয়েছে দেখতে দেখতে।সময় একটু একটু করে পেছনে চলে গিয়েছে।শুধু আমার আর বিহান এর সম্পর্ক আজ ও আগের মতোই আছে।”
কলেজে এসেছি আজ ও অন্যদিনের মতোই।নির্বান স্যার আজ ক্যান্টিনে ডেকেছেন।বিহান ভাই এর অনুমতি নিয়েই উনার সাথে দেখা করতে গিয়েছি আজ।
“দিয়া অনেক দিন ধরে একটা কথা বলবো বলা হয়ে ওঠে নি।”
শান্ত কন্ঠেই বললাম বলুন না স্যার কি বলবেন?
সেদিন আমি ভীষণ লজ্জা পেয়েছিলাম যেদিন জেনেছিলাম বিহান তোমাকে ভালবাসে।আমি লজ্জায় কিভাবে বিহান কে মুখ দেখাবো বুঝতেই পারি নি।আমি বিহান কে যখন বললাম তোর ফুফাকে আমার দিয়ার বিয়ের কথা বলেছি তখন বিহান বললো ওইটা আমার ছোট বেলার বউ।খুজে খুজে মেয়ে আর পেলি না। আমার শ্বশুরকে ফোন করে বল তুই এখন বিয়ে করতে পারবি না।আমি খুব অবাক হয়েছিলাম বিহান এটা কি বলছে।আমি বাকরুদ্ধ হয়েছিলাম। তোমাকে আমার ভাল লেগেছিলো বাট বিহানের মতো অতটা ভাল লাগেনি।বিহানের ভাল লাগার সাথে অন্য কারো তুলনা হয় না।
বিহান তোমাকে অনেক ভালবাসে দিয়া।যে ভালবাসা পৃথিবীর আর কেউ তোমাকে দিতে পারবে না।সেদিন বিহানের চোখে আমি পানি দেখেছিলাম আর খুব অবাক হয়েছিলাম।যখন শুনেছিলো তোমার বিয়ে আমাকে ভীষণ মন খারাপ নিয়ে বলেছিলো কার বিয়ে দিয়া মানে আমার দিয়ার বিয়ে।দিয়া ছাড়া অপূর্ণ আমার জীবন।দিয়া ছাড়া চোখ থাকতেও অন্ধ হয়ে যাবো আমি।ওই পিচ্চি আমার জীবনের আলো।পিচ্চির মুখের দিকে তাকালে ভীষণ ভাল লাগার তৃপ্তি পায় আমি।যা পৃথিবীর কোনো সুন্দরী মেয়ে আমাকে দিতে পারে নি।দিয়ার জন্মের পর কোনদিন আর কোনো সুন্দরী মেয়ে আমার চোখে পড়ে নি।পিচ্চিকে বড্ড ভালবাসি আমি।
জানো দিয়া বিহানের মতো ছেলেরা ভালবাসার দিকে ভীষণ জেদী হয়।ওরা যাকে একবার মন দেয় আর পেছনে তাকায় না।সামনে পেছনে তার থেকে সুন্দর কিছু খোজার চেষ্টাও করে না।ওদের রাগের মাঝে পিওর ভালবাসা থাকে।রাগি মানুষরা তাদের ভালবাসা রাগের মাধ্যমেই প্রকাশ করে।পৃথিবীর প্রতিটা ছেলে যেনো বিহানের মতো ভালবাসায় লয়াল থাকে।তাহলে পৃথিবীতে প্রেম প্রতরণা বলে কিছুই থাকবে না।
উনার কথা শুনে বিহান ভাই এর মুখ টা বার বার ভেষে উঠলো।ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটলো।
স্যার আমাকে আবার ও বললেন,বিহান আমাকে বলেছে তোমার কাজিন তোহাকে বিয়ে করতে।মেয়েটা নাকি অনেক ভালো।
এক্সসাইটেড হয়ে বললাম সত্যি করবেন?
বিহান বলেছে আমি আর না করি কিভাবে।কিন্তু যে ফ্যামিলির এক মেয়ের সাথে বিয়ে ভেঙে দিলাম সেই ফ্যামিলির অন্য মেয়ে কি আমার সাথে দিবে।বাট বিহান বললো সে ম্যানেজ করেছে বাকিটা।
আপনি আমার দুলাভাই হবেন তাহলে স্যার।ওয়াও স্যার।খানিক টা সময় গল্প করে বাসায় ফিরলাম।
আজ অনেক দিন পর নড়াইল এ যাচ্ছি।বিভোর ভাই আর রিয়ার বিয়ে খুব জাকজমক ভাবেই হবে।অনেক এক্সসাইটেড রিয়ার বিয়ের জন্য আমি আর বিহান ভাই।বিহান ভাই ড্রাইভ করছেন আর আমি উনার পাশেই বসে আছি।মুগ্ধ হয়ে দেখছি মানুষ টাকে। সেই ছোট্ট বেলা থেকে তার সাথে পরিচয় একদিন আমরা বুড়ো বুড়ি ও হবো কিন্তু আমাদের ভালবাসা টা এমন ই থেকে যাবে। উনার কাঁধে মাথা দিয়ে গাড়িতে বসে আছি আমি।উনি মাঝে মধ্য মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন আর ড্রাইভ করছেন।
বাড়িতে পৌছানোর সাথেই মামি এগিয়ে এলো।এই প্রথমবার মামিকে বললাম কেমন আছো মা?
আমার মুখে মা ডাক শুনে মামি খুব খুশি আজ।দিয়া মা তোদের আসার অপেক্ষায় ছিলাম।দে ব্যাগ গুলা দে আমার কাছে।
মামির ছেলে মানে আমার উনি বিহান বললো আম্মু তোমার এই ছেলে থাকতে তুমি কেনো ব্যাগ নিবে বলোতো।
আজ অনেক দিন বাদে মামির হাতে খাচ্ছি আমি।মামি নিজ হাতে আমাকে আর তার ছেলেকে খাইয়ে দিচ্ছে।মামি বলে উঠলেন কোথায় আজ এ বাসায় ছোট্ট নাতি নাতনি থাকবে তাকে খাওয়াবো তা নয় এই বুড় দের খাওয়াচ্ছি।আমি বলে উঠলাম চিন্তা করো না আগামি বছর ই পেয়ে যাবে।বিহান ভাই খাওয়া ছেড়ে উঠে গেলেন লজ্জায়।
খুব মনোযোগ দিয়ে ল্যাপটপ এ কিছু একটা দেখছেন বিহান ভাই।আমি রুমে গিয়ে উনার ল্যাপটপের সাটার অফ করে দিয়ে উনার কোলের উপর বসে বললাম এত ল্যাপটপ দেখে কি হবে ডাক্তার এবার আমাকেও একটু দেখেন।আপনাকে কাছে পেতে মন চাইছে ডাক্তার।
-আমি কি দূরে আছি ম্যাডাম।
-কাছে থেকেও দূরেই তো আছো ডাক্তার।মন সারাক্ষণ ল্যাপটপ রুগি এসব দিকে।আমি যে অপনার অভাবে অনেক বড় রুগি সেটা দেখেন না কেনো ডাক্তার।
-উনার বুকের সাথে মাথা টা শক্তভাবে জড়িয়ে ধরে বললেন পিচ্চি টা মাঝে মাঝে এত পাগলামি করেনা।
-শুনুন না।
-বলো।
-একটা বেবি চাই আমার।আপনার মতো এমন গুলুমুলু বেবি।
-কপালে চুমু দিয়ে বললেন বেবি তো হবে।তোমার এই ছোট্ট পেটে আমাদের বেবি আসবে।
রিয়া আর বিভোর ভাই এর বিয়েটা ধুমধাম ভাবে হয়ে গেলো।ওরা দুজন আজ পৃথিবীর সব থেকে বড় সুখ টা পেয়েছে।
আমাদের ডাক্তারি পড়ার ও সমাপ্তি হয়েছে কিছুদিন।তোহা আপুর সাথে নির্বাণ স্যারের বিয়েটাও হয়ে গিয়েছে।সবাই চারদিকে যে যার মতো ভাল আছে।
বিহান ঘুমিয়ে আছে বিকালে আমি ওর চুল ধরে টেনে বললাম আজ না ভ্যালেন্টাইন্স ডে আপনি আমাকে উইশ করবেন না।উনি আমাকে এক টানে কোলের মাঝে নিয়ে বললেন তোমার সাথে আমার কিসের আলাদা ভ্যালেন্টাইন্স শুনি।আমি সব সময় ই ভ্যালেন্টাইন্স মনে করি বুঝলে পিচ্চি।
তার সাথে এভাবেই আমার দুষ্টু মিষ্টি সময় কেটে যাচ্ছে।একদিন অফিস থেকে এসে আমাকে সুয়ে থাকতে দেখে বললেন,
-দিয়া তোমার কি জ্বর হয়েছে এভাবে সুয়ে আছো যে?
-কপালে হাত দিয়ে দেখুন না ডাক্তার।
-তুমিও তো ডাক্তার।
-আমার ডাক্তার শুধু তুমি মিস্টার বিহান।
-কই কপালে তো কোনো তাপমাত্রা নেই?
-জানিনা শরীর ভাল লাগছে না।কেমন জানি সন্দেহ হচ্ছে আমার।
-কিসের?
-তিন মাস মিসিং আমার।আমি কোনো টেস্ট ও করিনি।কিন্তু আমার ও খাবারে তেমন অরুচি নেই।কোনো বমি বমি ভাব নেই, মাথাও ঘুরায় না।
-উনি আমাকে কোলে তুলে নিয়ে গালে চুমু দিয়ে বললেন তোমার সন্দেহ যেনো সত্যি হয়। আমি ভীষণ খুশি হবো দিয়া। এত খুশি হবো তোমাকে বুঝাতে পারবো না।বাট তিন মাস না দুই মাস মিসিং তোমার।
-আপনি জানলেন কিভাবে?
-বাহ রে আমার বউ এর সব কিছুই আমার মুখস্থ।
পরের দিন ইউরিন টেস্ট করে পজিটিভ দেখে বিহান অনেক বেশী খুশি হলো।একটা ছেলের জীবনের বাবা হওয়ার মতো আনন্দ এই পৃথিবীতে আর কোন কিছুতে নেই।আমিও পেয়েছি পৃথিবীর চমৎকার এক ভাল লাগার অনুভুতি। মা হওয়ার চেয়ে আনন্দ পৃথিবীতে অন্য কিছুতে নেই।বিহান আমাকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে রইলো।অতি অনন্দএ ওর মুখে কোনো কথা নেই আমাকে জড়িয়ে ধরে অনুভব করছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুখ।

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।