'প্রতিদিন পৌঁছে দিলে কানাঘুষা হবে অফিসে। তবে বিপদে পরলে অন্য কথা। রাস্তাটাতো দুজনেরই এক। উঠুন।'
মারিয়া অবাক কণ্ঠে বলল ' সত্যিই পৌঁছে দেবেন? '
সাদিফ হেসে বলল,
' মিথ্যে মিথ্যে দেয়া যায়? উঠুন।'
মারিয়া কাঁধব্যাগ বুকে চে*পে দাঁড়িয়ে রইল। সাদিফ বাইক ঘুরিয়ে ফের স্টার্ট দিতে গেলে ডাকল,
' শুনুন।'
সাদিফ ঘাড় কাত করে তাকায়,
' কিছু বলবেন?'
শ*ক্তপোক্ত চেহারা দেখে মেয়েটা গুলিয়ে ফ্যালে সব।
পিউয়ের বুক কাঁ*পে লজ্জায়। ওই দৃশ্য যতবার মনে পড়ে ততবার সে কেঁ*পে ওঠে। হাঁস*ফাঁস করে। ম*রে যাওয়ার মত অনুভূতি হয়।
পিউ চোখ নামিয়ে মৃদূ হাসল।
মেয়েটা অপ্রতিভ ভঙিতে সবার দিকে তাকায়। ইকবালের দুগাল লেপ্টে সরে গেল দুদিকে। ধূসরকে কষে একটা চুমু খেতে পারতো যদি!
কেউ কিছু বলল না। পুষ্পর অস্বস্তি হচ্ছে। এত এত গুরুজনের মধ্য দিয়ে উঠে যাবে কী?
ধূসর তাগাদা দিলো ' কী হলো? যা।'
' হু? যাচ্ছি।'
বোনের ভালোবাসার গভীরতা হৃদয় দিয়ে মেপে নেয়। বিলম্বহীন জড়িয়ে ধরে দুহাতে। পিউ পালটা আকড়ে ধরল।
পুষ্প ওমনভাবেই আবদার করল,
' আজ থেকে আমার সাথে ঘুমাবি? '
' আচ্ছা।'
কারো মুখে কথা নেই,চোখ ভাষাহীন। শুধু ক*ম্পিত হাত পা, আর ভ*য়ার্ত দুই লোঁচন নিবদ্ধ সিড়ির দোরগোড়ায় দাঁড়ানো দুটো মানুষের ওপর।
রুবায়দা ছুটে গিয়ে পিউকে আগলে ধরলেন।
ইকবাল দাঁত কিড়*মিড় করল। দুপাশের চোয়াল মটমট করে ওঠে। চোখের পাশের পেশী গুলো অভ*ঙ্গুর।
অদৃশ্য ভাবে সাদিফের গালে এলোপাথাড়ি থাপ্প*ড় বসাল সে।
ইকবাল আপ্লুত চোখে বন্ধুর দিক চেয়ে থাকল। সেই চোখ জ্ব*লে উঠল পরপর৷ কোটর ছড়িয়ে পল্লব ছুঁলো। বদনের ঘাম মোছার ভাণ করে মাথা নীচু করে শার্টের হাতা দিয়ে মুছে নিলো জল।
পুষ্পর দিয়ে যাওয়া বিশেষণ' তুমি স্বার্থ*পর!' কানে বাজছে নিরন্তর। সে কী আসলেই স্বার্থ*পর? এই পরিবারের জন্য সত্যিই বিষা*ক্ত? কেন? কেন সে স্বার্থ*পর হবে? পুষ্পটা তো জানেনা,পরিবারের সবার ওপর সেও না বলতে পারেনি। মেয়েটা দুবছর ধরে ভালোবেসে কেঁ*দে ব্যকুল।
পিউ খুব বির*ক্ত হলো। কপাল কুঁচকে বলল,
' সাদিফ ভাইয়ের কাছে কেন যাবি? উনি যে কিছু করবেন না সেতো জানা কথা।'