হারিকেনের আবছা আলোয় হঠাৎ এক রমনিকে দেখে ঘাবড়ে যায় শায়ের। আর নিজেকে ওই অবস্থায় কোন নারী দেখে ফেলেছে বিধায় লজ্জিত সে। তড়িঘড়ি করে পাঞ্জাবি গায়ে দিতে গিয়ে উল্টো করে পরে ফেলেছে। চুলগুলো ঠিকমতো মুছতেও পারলো না। কোন দরকার ভেবে দ্রুত পায়ে পরীর সামনে এসে দাঁড়ায়। তবে দুহাত দূরে সরে দাঁড়িয়েছে শায়ের। সে ভেবেছিল কুসুম এসেছে কিন্তু কাছে এসে বুঝতে পারলো এটা কুসুম নয় অন্যকেউ। কিন্তু জেসমিন বা মালা নয় এটাও সে বুঝতে পারলো। তাহলে কি এই মেয়েটা পরী?এই মুহূর্তে শায়েরের সামনে জমিদার কন্যা পরী দাঁড়িয়ে তা বুঝতে বেগ পেতে হলো না শায়েরের। তাই সে বলে উঠলো,’কোন সমস্যা হয়েছে? আজকে হঠাৎ আপনি বাইরে এলেন যে?’
কথাটা সে মাথা নিচু করেই বললো। তবে শায়েরের কথার ভাবে বোঝা গেলো সে পরীকে চিনেছে। কিন্তু কিভাবে?এর আগে কখনো শায়েরের মুখোমুখি হয়নি পরী। তাহলে চিনলো কিভাবে?পরী মাথা নাড়ে শুধু।
শায়ের বলল,’এতো রাতে ঘর থেকে বের হবেন না। যেকোনো সময় বিপদ আসতে পারে। নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে আপনি জানেন তা আমি জানি তবুও সাবধানের মার নেই। পেছন থেকে আঘাত আসলে নিজেকে রক্ষা করা খুবই কঠিন। কোন সমস্যা হলে কুসুমকে পাঠিয়ে দিয়েন।’

পরী চুপ থেকে কথাগুলো শুনলো। ফিরে যেতে গিয়েও ঘুরে দাঁড়ালো বলল,’পাহারা বাড়ায়ে দেন। অন্দরে কেউ ঢুকেছিল। ভাগ্য ভালো আমার হাতে পড়ে নাই।’

এটুকু বলে দরজা বন্ধ করে দিলো পরী। মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দেওয়াতে অপমান বোধ করে শায়ের। মুখে বিরক্তি নিয়ে আবার বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ায়। পরীকে সে কখনো দেখেনি আর না দেখার ইচ্ছা আছে। কারো মুখ থেকে পরীর সম্পর্কে আজ পর্যন্ত কিছু শোনেওনি। সে সময় তার নেই। আফতাব সবসময় তাকে কাজের উপর রাখে। আজ এখানে কাল ওখানে তো পরশু সেখানে,দৌড়ের উপর থাকে সে। তবে এবার শায়ের ঠিক করেছে যে আফতাব কে বলে কয়েকদিন বিশ্রাম নিবে। আর এতো কাজ করতে ভালো লাগে না।
তখনই মনে পড়লো পরীর বলা কথাটা। অন্দরমহলে নতুন কেউ ঢুকেছিল। কিন্তু সে কে হতে পারে? একথা আফতাবের কানে গেলে হুলুস্থুল কাণ্ড ঘটাবে। এর থেকে কালকে পাহারা বাড়িয়ে দিতে হবে। দেশে বন্যা হচ্ছে বিধায় তেমন পাহারা দেওয়া হয় না। এই সুযোগে যে অন্য কেউ এসে ঢুকবে তা মাথায় ছিলো না শায়েরের। তবে আর বেশি মাথা না ঘামিয়ে সে ঘুমাতে চলে গেল।

কিন্তু সেই রাতে পরীর আর ঘুম হলো না। মাথায় একটা কথাই ঘুরঘুর করছে যে কে এসেছিল?পরী তো যাওয়ার সময় বাইরে থেকে দরজার ছিটকিনি তুলে দিয়েছিল কিন্তু এসে দেখে দরজা হাট করে খোলা। সন্দেহ দমানোর জন্য কাঠের টেবিলের উপর হারিকেনটা রাখলো সে। তারপর চেয়ার টেনে বসে। বই খাতার ভাজ থেকে কঙ্খিত খাতাটা বের করে উলোট পালট করে দেখতে লাগলো পরী। যেদিন সোনালী রাখালের হাত ধরে পালিয়ে যায় তার ঠিক আগের দিন এই খাতাটা সে পরীকে দিয়ে যায়। এবং কঠিন সুরে আদেশ দেয়,’শোন পরী তোর যেদিন পনের বছর বয়স হবে সেদিন এই খাতাটা খুলে পড়বি।’ কিন্তু পরী কি আর অতো কিছু বোঝে!সে তখন বোকার মতো তাকিয়ে ছিল। খাতাটা নিতে না চাইলেও সোনালী জোর করে দিয়ে গেছে। বড় বোনকে নিজের মায়ের থেকেও বেশি ভয় পেতো পরী। সারা বাড়িতে এই একটা মানুষের কথাই মান্য করতে দেখা যেতো পরীকে। আর খুব ভালোও বাসতো। তাই সোনালীর কথার অবাধ্য পরী হয়নি। পনের বছর বয়সে পা দিয়েই খাতাটা খুলে বসেছে। কিন্তু সোনালীর এরকম শর্ত দেওয়ার মানে আজও বুঝে উঠতে পারেনি পরী। স্মৃতিচারণ করতে করতে পরবর্তী পাতা উল্টায় পরী। সেখানে গোটা গোটা অক্ষরে লেখা,”পাতা উল্টে দেখো একটা গল্প লেখা। এই গল্পটি পরী ছাড়া অন্য কারো পড়া মানা।”

আনমনে হাসলো পরী। তারপর পাতাটা উল্টে ফেলে।

“ভালোবাসা কি সেটা আমাকে রাখাল শিখিয়েছে। ভালোবাসা, ভালোলাগা,মায়া একটা মেয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত বোঝে না যতক্ষণ না সে প্রেম নিবেদন পায়!আর তার চোখে না কাউকে ভালো লাগে!এই দুটো জিনিস ছাড়া কারো পক্ষে ভালোবাসা বোঝা অসম্ভব। এসব আমাকে রাখালই বুঝিয়েছে। বুঝতাম না যে ভালোবাসা কি? কাউকে কখনো ভালো ও লাগেনি। এমনকি বুঝতেও পারিনি যে আদৌ আমার কাউকে ভালো লাগে কি না? সেদিন ওই রাখালই আমাকে চোখে আঙুল দিয়ে আমার ভালো লাগা আমাকেই বুঝিয়েছে। অবাক করে দিয়েছে আমাকে।
স্কুল থেকে ফেরার সময়ে রাস্তায় দেখা হতো রাখালের সাথে। সে নাকি আমার জন্যই দাঁড়িয়ে থাকতো। প্রথমে অতো কিছু ভাবতামই না। চৌদ্দ বছর বয়সে আর কতো বুঝবো?একটি সে কোথা থেকে এসে হাতে একটা চিঠি গুজে দিয়ে গেল। আমি আবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম। সানু আর দিপা দুপাশে থেকে ঠেলা মেরে সেদিন অনেক রসিকতা করেছিল। বাড়িতে এসে চিঠিটা খুলে একরাশ মুগ্ধতা ঘিরে ধরেছিল আমাকে। এত সুন্দর করে কেউ চিঠি লিখতে পারে তা আমি কখনোই ভাবিনি।
আমি জানি পরী তোর এখন চিঠিটা পড়তে খুব ইচ্ছে করছে। পড়বি? তাহলে পরের পাতা উল্টা!!”
সত্যি পরীর জানতে ইচ্ছে করছে তাই সে দ্রুত পাতা উল্টায়। ভাতের দানাকে আঠা বানিয়ে চিঠিটা আটকানো রয়েছে খাতার পৃষ্ঠার সাথে। পরী সেটা খুলে পড়তে লাগলো,

স্বর্ণকেশী কন্যা সোনালী,
পত্রের শুরুতে প্রিয় বলে সম্বোধন করিনি কেন জানো? কারণ কারো প্রিয় হতে গেলে তার মন জয় করতে হয়,তার অনুমতি নিতে হয়। আমি জানি না আমি তোমার প্রিয় কি না? কিন্তু তুমি আমার প্রিয়,আমার প্রিয়তমা। আমি জানি না কিভাবে তোমার মন জয় করতে হবে। তবে আমি তোমার প্রেমে পড়ে গেছি। আর উঠতেই পারছি না। এখন তুমি যদি আমাকে একটু ওঠাও তাহলে খুব ভালো হয়। যখন ধান ক্ষেতের আইল ধরে হেঁটে যাও ধানের শীষে তোমার শরীরের ছোঁয়া লাগে। ঘাসগুলো তোমার কোমল পায়ের স্পর্শ অনুভব করে। আমার খুব হিংসে হয় আমি কেন পারিনা? বইগুলোর উপর ও রাগ হয় কারণ ওদের সবসময় বুকে চেপে ধরো। মনে হয় ওদের মেরে ভুত বানিয়ে দেই। কিন্তু ওরা তো আর ব্যথা পায় না মেরে কি লাভ?
তবে শুনে রাখো গজদন্তিনী তোমার হাসিতে আমি রোজ মরি। এভাবে প্রতিদিন না মেরে একেবারে মেরে ফেলো না? তাহলে খুব ভালো হয়। মরে গিয়েও বেঁচে যেতাম। ভয়ংকর সুন্দর হাসির থেকে।
তবে আবার বাঁচতে ও ইচ্ছে করে খুব। তোমার হাসিতে বারবার মরতে চাই আমি। দয়া করে বাঁচাও আমাকে!!!

রাখাল,,,,

অধর জোড়া প্রশ্বস্ত করে হাসলো পরী। হারিকেনের লাল আলোয় অসম্ভব সুন্দরী ওই রমণীর হাসি জড় বস্তু গুলো ছাড়া কোন জীব দেখতে পারলো না। যদি কোন পাখিও সেই হাসি দেখতো তবে নির্ঘাত সেই হাসিতে মুগ্ধ হতো।
এই প্রথম কারো প্রেমপত্র পড়লো পরী। পৃথিবীতে কেউ এতো ভালোভাবে চিঠি লিখতে পারে পরী তা আজ জানলো। রাখালের চিঠিটা না পড়লে হয়তো বুঝতোও না কখনো। চিঠিতে গজদন্তিনীর প্রসংশা করেছে রাখাল। বিন্দুর মতো সোনালীর ও গজ দাঁত আছে। সেজন্যই বিন্দুর প্রতি পরীর টান টা অন্যরকম। বিন্দুর মধ্যে সোনালীকে দেখতে পায় সে। শুধু গাঁয়ের রং টাই পার্থক্য। পরী দেরি না করে পড়া শুরু করল। সেই চিঠিটা পড়েই সোনালী রাখালের প্রেমে পড়ে গিয়েছিল। তারপর ছোট ছোট প্রেম জড়ানো অনুভূতির কাহিনী লিখেছে সোনালী। ভরা বর্ষায় রাখাল ওর জন্য কদম গুচ্ছ নিয়ে আসতো কখনো বেলি ফুল। স্কুলে যাওয়ার পথে লোকচক্ষুর অন্তরালে গুঁজে দিতো নিজের অদম্য অনুভূতি। শাপলা বিলে নৌকায় করে ঘুড়ে বেড়াতো দু’জনে। পদে পদে ভালোবাসার প্রমাণ পেয়েছে সোনালী।

“আকাশকে বিধাতা সুন্দর করে বানিয়েছেন।এই ধরণী তার থেকেও বেশি সুন্দর। আমার তা দেখতে ইচ্ছে করে না। মনে হয় তুমি না থাকলে এই পৃথিবী সুন্দর লাগতো না। বৃষ্টি এতো মোহনীয় লাগতো না,ঘাসগুলো নেতিয়ে পড়তো,বিচিত্রময়ের ফুলগুলো বিচ্ছিরি রং নিতো, পদ্মার পানি কালচে হয়ে যেতো, নূরনগর শ্রান্ত হয়ে পড়তো,আর এই রাখাল রং হারা হতো।”

শান্ত নজরে সোনালী তার রাখালের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসতো। এতো ভালো সোনালী নিজেও রাখালকে বাসতে পারেনি। চোখের অশ্রু গুলো হানা দিলো কপোলদ্বয়ে। আনন্দ অশ্রু,যার সাথে রাখাল প্রতিদিন মিলিত হয়। এই অশ্রু রাখালকে বড় শান্তি দেয়। ও বুঝে যায় এই স্বর্ণকেশী কন্যা ওর ভালোবাসা খুব করে বুঝে গেছে।
আরো কিছু ঘটনা তুলে ধরেছে সোনালী। শাপলা বিলে ঘুরতে গিয়ে আফতাবের কাছে ধরা খাওয়ার পরের কাহিনী। একের পর এক আঘাতে সেদিন চুর্ণ বিচূর্ণ হয়েছিল সোনালীর দেহখানা। রক্ত লাল দাগ কেটে গিয়েছিল সারা শরীরে। কাঠের লাকড়ির মারের দাগে সাতদিন জ্বরে ভুগেছিল সে। তবুও রাখালের নাম ভোলেনি সে। এর পরের দিনগুলো আরো দূর্বিষহ হয়ে ওঠে। আঘাতে আঘাতে দিন কাটে ওর। মায়ের কাছে আসার সুযোগ ও থাকে না তখন। বন্দী ভাবে পড়ে থাকে নিজ কক্ষে। তার পরের সবকিছু পরীর জানা। আফতাবের উপর রাগটা পরীর আরো বেড়ে যায় তখন। তবে ও পারে না দৌড়ে গিয়ে বোনের ঘরের দরজা খুলে দিতে। সেদিনের পর থেকেই পরী আর রুপালির বাড়ি থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দেয় আফতাব। সাথে বাড়ির সব মহিলাদের ও।
তার পর আসে সেই দিন যেদিন সোনালী পালিয়ে যায় রাখালের সাথে। ওকে সাহায্য করেছিল রুপালি। রুপালির কাছে সানু প্রায়ই আসতো সোনালীর খবর নিতে তাও গোপনে।
সেই সুযোগ লুফে নিলো সোনালী। ঘরের জানালা দিয়ে রুপালি আর পরী লুকিয়ে কথা বলতো বোনের সাথে। রুপালির কাছে একখানা চিঠি গুঁজে দেয় সোনালী আর সেটা সানু পৌঁছে দেয় রাখালের কাছে। রাখালের কি অবস্থা হয়েছিল তা সোনালী জানতে পারেনি শুধু এটুকুই দেখেছিল যে লতিফ আর দেলোয়ার রাখালকে ঘাড় ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। সোনালী তখনই বুঝতে পেরেছিল রাখালের সাথে খারাপ কিছু হতে যাচ্ছে। আফতাব বিয়ে ঠিক করে তার বড় মেয়ের আর তার মেয়ে নিজের ভালোবাসা পাওয়ার জন্য বের হয়ে যায় নিজ গৃহ ছেড়ে। দু’বার লোকলজ্জায় পড়ে গিয়ে আফতাব মেয়েকে আর ঘরে তুলতে চান না। তারপরে আর কিছু লেখা নেই। হয়তো এখানেই সমাপ্ত করেছে সোনালী। কিছু একটা ভেবে পরের পাতা উল্টায় পরী। সেখানে লেখা আছে,

“আমি ওই সাধারণ ছেলেটার পিছনে যতোটা ছুটেছি, রাজপ্রাসাদের রাজপুত্রের পিছনেও কেউ অতোটা ছুটবে না। ওকে ছেড়ে থাকি কি করে?তাই গন্তব্য দূর অজানায়, চলে যাচ্ছি আর হয়তো কোনদিন দেখা হবে না রে পরী।”
লেখাটার উপরে একফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়লো। সেটা পরীর চোখের পানি। বুকের ভেতর টা মোচড়াচ্ছে খুব। তাহলে কি সোনালীর কথাটা সত্যি?আর কোনদিন দেখা হবে না বোনের সাথে?পরী পরের পাতায় দেখতে পেলো,

“তোর খুব কাছের মানুষগুলো তোর প্রিয় মানুষ গুলোকে প্রতিনিয়ত আঘাত করে চলছে পরী। সময় হলে ঠিকই বুঝতে পারবি।”

কথাটায় ধাক্কা খেলো পরী। কাছের মানুষ প্রিয় মানুষকে আঘাত করে কিভাবে?তাহলে কি কাছের মানুষ আর প্রিয় মানুষের মধ্যে পার্থক্য আছে?ঠিকমতো মগজে ঢুকাতে পারছে না পরী। বোঝার জন্য পরের পৃষ্ঠায় গেলো তবে সেখানে কিছুই লেখা নেই। আরো কিছু পৃষ্ঠায় শুভ্র রংএর মেলা। তার মানে আর কিছু লেখা নেই। সোনালীর লেখা শেষ বাক্যটা ভাবনায় ফেলে দিলো পরীকে। কাছের মানুষ, প্রিয় মানুষের মানেটা পরীর মাথা ঘুরিয়ে দিচ্ছে। সোনালী আসলে কি বোঝাতে চাইছে পরীকে?এই রহস্য উদঘাটন করতে হলে মালার কাছে যেতে হবে। একমাত্র মালা’ই পারবে সোনালীর কথার মানে বোঝাতে। ওর কোন কাছের মানুষ ওর প্রিয় মানুষকে আঘাত করছে তা জানতেই হবে!! ভাবনা গুলো আর ঘুমাতে দিলো না পনেরো বছরের কিশোরীটিকে। বাকি প্রহর বিনা নিদ্রায় পার করলো সে।

ভোরের দিকে ঘুমিয়ে পড়েছে পরী। ফলে ওর ঘুম ভেঙ্গেছে দেরিতে। কাল রাতের কথা মনে পড়তেই ও ছুটে গেল মায়ের কাছে। কিন্ত মালাকে অন্দরের কোথাও পেলো না। দরজার ফাঁক দিয়ে বৈঠক ঘরে চোখ পড়তেই মালাকে দেখল পরী। আসিফ আর শেখরের সাথে কথা বলছে মালা। পরী নিজের ঘরে চলে যেতে চেয়েও থেমে গেল। শেখর আর আসিফকে ভাল করে পর্যবেক্ষণ করতে লাগল। কথা শেষে যখন ওরা চলে গেল তখন ওদের পায়ের দিকে তাকালো পরী। মৃদু হেসে সে দৌড়ে চলে গেল আর ভুলে গেল সোনালীর বলা কথাটা।

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।